উত্তরের নারীরা আজও পারিশ্রমিকে অবহেলিত
![ছবি: বার্তা২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Mar/08/1709879602749.jpg)
ছবি: বার্তা২৪.কম
কৃষিনির্ভর উত্তরের জেলা নীলফামারীর নারীরা অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছেন। কৃষিতে জীবিকা চলে বেশিরভাগ মানুষের। এ অঞ্চলে পুরুষের পাশাপাশি সংগ্রামী জীবনযাপন নারীদেরও। তবুও কাজের ক্ষেত্রে পারিশ্রমিকে অবহেলিত হন নারীরা। পুরুষের মত সমান কাজ করলেও মিলেনা সমান পারিশ্রমিক। ভোরবেলায় সূর্য উঠার সাথে সাথে পুরুষের মতো কাজে যান নারীরাও। সমান কাজ করেও দিনশেষে পারিশ্রমিক কম পান তারা।
জানা যায়, উত্তরের তিস্তার চরে জেগে উঠা ফসলি জমিসহ আলু উত্তোলন, তামাক, ইটভাটা বিভিন্ন কোম্পানিতে নারী শ্রমিকই বেশি। কম টাকায় সমান কাজে নারী শ্রমিক পাওয়ায় তাদের চাহিদা বেশি। জীবন-জীবিকার তাগিতে পুরুষ শ্রমিকদের সঙ্গে মাঠে-ময়দানে হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করলেও মিলছে না সমান মজুরি। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা নারীর মজুরি বৈষম্য রোধে সভা-সেমিনার করলেও কাজে আসছে না কিছুই।
ইটভাটায় কাজ করা মফেলা বেগম বার্তা২৪.কমকে জানায়, ‘আমি এ ইট ভাটায় প্রায় তিন বছর ধরে কাজ করি।এখানে পুরুষের সাথে কাজ করি। তারা যে মজুরি পায় আমি তার থেকে কম টাকা পাই কিন্তু আমি তাদের মতই সমান কাজ করি। মালিক কম টাকা দিলে কি আর করার।’
আরেক শ্রমিক আক্তারা বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা নারীরা সবসময় বেশি কাজ করি তবুও আমরা অবহেলিত। আমরা কাজ সবসময় বেশি করে থাকি। আমাদের যদি একটু বেশি মজুরি দিত তাহলে আরও ভালো হতো। আমাদের সমান মজুরি দেওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুমানা ফেরদৌস বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা নারীদের নিয়ে কাজ করছি। সমাজে পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করি। নারীদের অধিকার রক্ষা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে আমরা সবসময় সহায়তা করে থাকি।’
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনিসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, সরকারি কাজ টিআর, কাবিখা, কর্মসৃজনসহ বিভিন্ন প্রকল্পে নারী পুরুষের সমান মজুরি দেওয়া হয়। বেসরকারি ও মালিকানাধীন কাজেও নারী পুরুষের মজুরি বৈষম্য দূর করার চেষ্টা করছি।