‘মাছ উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় হলেও প্রক্রিয়াজাতকরণে পিছিয়ে আছি’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

মাছ উৎপাদনে সারা বিশ্বে আমরা তৃতীয় হলেও মাছ রফতানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পিছিয়ে আছি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোঃ আব্দুর রহমান। 

বুধবার (১৩ মার্চ) মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘বিএফডিসি রেডি টু কুক ফিস’ বিপণন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন ।

বিজ্ঞাপন

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে রেডি টু কুক ফিসের অনেক চাহিদা রয়েছে। বিদেশের বাজারে রেডি টু কুক ফিসের ক্ষেত্রে কোন কোন ধরণের মাছের চাহিদা রয়েছে সেটা খুঁজে বের করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি আহবান জানান। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে রেডি টু কুক ফিস কার্যক্রম চালাতে পারলে এসব পণ্য রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব হবে বলে তিনি এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া রেডি টু কুক ফিসের মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও সু্যোগ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, রেডি টু কুক ফিস বিপণন কার্যক্রমের মাধ্যমে মহিলারা বিশেষত কর্মজীবী মহিলারা অনেক উপকৃত হবেন। বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে নারীরা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হচ্ছেন। ফলে তাদের জীবনযাত্রা সহজ করার জন্য বিএফডিসি রেডি ফিস খুবই ফলপ্রসূ হবে বলে আশা করা যায়।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্মজীবী নারীদের রান্নার সহজীকরণে রেডি-টু-কুক ফিস প্রস্তুতকরণ, বাজারজাতকরণ ও বাজার সম্প্রসারণের জন্য দূরদর্শী দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তৎপ্রেক্ষিতে বিএফডিসি রেডি-টু-কুক ফিশ প্রস্তুতকরণ ও বাজারজাতকরণ কার্যক্রম গ্রহণ করে।

বিএফডিসি কর্তৃক গৃহীত সময়োপযোগী এই কার্যক্রম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি এসময় মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, রেডি টু কুক ফিসের ক্ষেত্রে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হলো স্বাদ ও খাদ্যমান বজায় রাখা। তবে বিএফডিসি থেকে যেসব মৎস্য পণ্য রেডি টু কুক হিসেবে বিপণন করা হবে তা অত্যন্ত মানসম্মত বলে তিনি মন্তব্য করেন। খাদ্যমান ও স্বাদ নিশ্চিতকরণের বিষয়ে অধিক গুরুত্ব দিতে তিনি আহবান জানান। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এসব পণ্য প্রস্তুত করা হলে ভালো সাড়া পাওয়া যাবে বলে মন্ত্রী বলেন।

মৎস্য পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সরকার সব ধরণের সহযোগিতা করবে বলে মন্ত্রী এ সময় মন্তব্য করেন। বিএফডিসি রেডি ফিশ বাজারজাতকরণ ও বাজার সম্প্রসারণে সকল অংশীজনকে যার যার অবস্থান থেকে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি আহবান জানান।

মোট ৪০ প্রজাতির মাছ রেডি টু কুক হিসেবে তিনটি স্থানে স্থায়ীভাবে বৃহস্পতিবার থেকে বিপণন করা হবে। স্থান তিনটি হলো- কারওয়ান বাজারে অবস্থিত বিএফডিসি ভবনের মৎস্য বিতান, যাত্রাবাড়ীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং চট্রগ্রাম মৎস্য বন্দর।

এছাড়া ঢাকা শহরের ১৬ টি স্পটে ০৬ টি ফ্রিজিং ভ্যানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান ভিত্তিতে 'বিএফডিসি রেডি ফিস' বাজারজাত করা হবে। ভ্রাম্যমাণ স্পট গুলো হলো: ১) মহাখালী ডিওএইচএস, ২৭ নম্বর রোড, ২) বনানী, নেভী হেডকোয়াটার ও গুলশান (আজাদ মসজিদ সংলগ্ন), ৩) সচিবালয় এর দক্ষিণ গেইট, ৪) মিরপুর ডিওএইচএস, মিরপুর, ৫) স্বপ্ন নগর আবাসিক এলাকা, ক্যান্টনমেন্ট, ৬) মিরপুর অপরাজিতা ভবন, মিরপুর, ৭) ধানমন্ডি ৬ নম্বর, ৮) আজিমপুর কলোনী, আজিমপুর, ৯) লেডিস ক্লাব, ইস্কাটন, ১০) সচিব কোয়াটার, ইস্কাটন (বুধবার ও শনিবার), ১১) দুদক অফিস, সেগুনবাগিচা, ১২) এজিবি কলোনী, মতিঝিল, ১৩) শংকর, ধানমন্ডি, ১৪) সেচভবন, মানিক মিয়া এভিনিউ (শুক্রবার ও শনিবার), ১৫) ধানমন্ডি ২৮, ও ১৬) মোহাম্মদপুর মা ও শিশু হাসপাতাল সংলগ্ন, মোহাম্মদপুর।

এছাড়া অনলাইন, ই- কমার্স প্ল্যাটফর্ম এবং এলাকাভিত্তিক ডিলার নিয়োগের মাধ্যমে বাজারজাতকরণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।