ভৈরবে নৌকাডুবি: বাল্কহেডসহ আটক ৩, আরও ২ মরদেহ উদ্ধার

  • উপজেলা করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনায় বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় পর্যটকবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন মাঝিকে আটক করেছে নৌপুলিশ। শনিবার (২৩ মার্চ) ভোরে অভিযান চালিয়ে নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার আলভি এলাকা মেঘনা নদী থেকে তাদের আটক করা হয়। এ সময় ধাক্কা দেয়া বালুবাহী বাল্কহেডটিও জব্দ করা হয়েছে।

অন্যদিকে এই নৌকাডুবির ঘটনায় তিনজনের মরদেহ পাওয়া গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৬ জন।

বিজ্ঞাপন

ভৈরব নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আনন্দ তরী নৌকাটি ডুবার ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ৬ জন। নিখোঁজদের উদ্ধারে শনিবার (২৩ মার্চ) এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার সাড়ে পাঁচটার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু এলাকা ভৈরব প্রান্ত থেকে ট্রলারে ২১ জন দর্শনার্থী নিয়ে আশুগঞ্জ সোনারামপুর চর ভ্রমণ শেষে ভৈরবে ফেরার পথে একজন নিহত ও পুলিশসদস্যসহ ৮ জন নিখোঁজ হয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ থেকে বিআইডব্লিউটিএর ডুবুরি দল উদ্ধারে যুক্ত রয়েছে।

নিখোঁজের মধ্য যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হল ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল (৩০) এবং তার স্ত্রী আনিকা বেগম (২০) ও দুই সন্তান। আনিকা বেগমের বাড়ি নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার নারায়নপুর এলাকার দড়িকান্দি গ্রামে। এছাড়াও ভৈরব শহরের আমলাপাড়া গ্রামের বেনন দে, রুবা দে ও আরদে নিখোঁজ হন। বাকিরা সাঁতরে পাড়ে ওঠেন।

এর আগে ট্রলারের মাঝি নাহিদ জানান, ইফতারের কিছুক্ষণ আগে আশুগঞ্জ চর থেকে ২১ যাত্রী নিয়ে ভৈরব ঘাটে কাছাকাছি আসতেই পেছন থেকে বালুবাহী একটি বাল্কহেড ধাক্কা দিলে পর্যটকবাহী নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় অন্য যাত্রীরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ হন আটজন।