জাতীয় স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা 

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ভোর থেকে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের মানুষ দলে দলে আসছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসতে থাকে সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরাও আসেন শ্রদ্ধা জানাতে। 

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দেশের ৫৪তম স্বাধীনতা দিবসে ভোরে সূর্য উঁকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশকে প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া বন্ধু দেশ ভুটানের রাজা ওয়াংচুকসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈতিকরা।

বিজ্ঞাপন

১৯৭১’র ২৫ মার্চের কালো রাতের পর বিভিষিকার ভয়াবহ সকাল। ২৬ মার্চ বজ্র কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা- বাংলাদেশ স্বাধীন ভূখণ্ড। আর সে ভূ খণ্ড রক্ষায় ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ। আর নয় মাস ভূখণ্ড রক্ষা ও অধিকার আদায়ের মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগ দেওয়া জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে লাখো মানুষের ভিড় জমেছে জাতীয় স্মৃতিসৌধে। 

স্মৃতির মিনারে শ্রদ্ধার ফুল অর্পণ করে নীরবে স্মরণ করেন দেশের সূর্য সন্তানদের। নানা অপূর্ণতা আর পূর্ণতার কথাও জানান অনেকে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধা আবেদীন খান বলেন, ৫৪ বছরে আমাদের অনেক পূর্ণতা যেমন আছে, তেমনি অপূর্ণতাও আছে। পূর্ণতার চেয়ে অপূর্ণতাই আজ বেশি। বঙ্গবন্ধু যে দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন সে স্বপ্ন আজ চাপা পড়ছে দেশের দুর্নীতিবাজদের জন্য। দেশের ৪ টি মূলনীতি আজ কলুষিত হচ্ছে। মুক্ত বাজার ব্যবস্থা বন্দি হয়ে পড়ছে। এসব ঠিক হলেই আমাদের স্বাধীনতা পূর্ণতা পাবে। আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে যুদ্ধ করেছিলাম তা পূর্ণ হবে।

জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আছপিয়া বলেন, আমরা এ দেশে অনেক কিছু পেয়েছি যা আমরা চাইনি। অনেক কিছু পাইনি যা চেয়েছি। স্বাধীনতা তো আমাদের অহংকার আর তা ধরে রাখাই আমাদের দায়িত্ব। চাওয়া পাওয়া দিয়ে তা বিচার না করাই ভালো। যুদ্ধ করে দেশ এনেছে বাঙালি জাতি। আজও যুদ্ধ করছি আমরা। টিকে থাকার এ যুদ্ধ চলবেই। আর আমাদের সে যুদ্ধের অনুপ্রেরণা তো আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদরাই।

এদিকে স্বাধীনতা দিবস ঘিরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ।

এ বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) মো. আবদুল্লাহিল কাফী বলেন, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি, সড়ক-মহাসড়কে অতিরিক্ত পুলিশ পুলিশ মোতায়েনসহ আমাদের বড় একটি টিম কাজ করছে। স্মৃতিসৌধ এলাকায় আমাদের কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন হাজার পুলিশ সদস্য এই মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তায় কাজ করছে। এর বাইরে এ বছর ড্রোন দ্বারা পুরো এলাকার পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।