বিশ্বে দূষিত বায়ুর শহরে ঢাকা ষষ্ঠ, শীর্ষে সিউল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ষষ্ঠ। এদিন সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৭২ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান 'অস্বাস্থ্যকর' হয়ে পড়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে বায়ু মানের সূচক ৩৪৩ নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেন, পাকিস্তানের লাহোর, ভিয়েতনামের চিয়াংমাই ও ভারতের দিল্লি যথাক্রমে ২১৭, ১৮৭, ১৭৯ ও ১৭৭ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকায় দ্বিতীয়, তৃতীয় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থান দখল করেছে।

১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়। আর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকা একিউআইকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' বলে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের ৩টি প্রধান কারণ হলো, ইটভাটা, যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া ও নির্মাণ কর্মযজ্ঞের সৃষ্ট ধুলো।

   

গৃহায়ণের ও গণপূর্তের প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এই অসন্তোষ থেকেই চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষ না করে নতুন প্রকল্প না নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটি’।

রোববার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্যাপ্টেন (অব:) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি। কমিটির সদস্য চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, মো. মাহবুবউল আলম হানিফ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রাণ গোপাল দত্ত, অপাজিতা হক, মো. শাহরিয়া আলম এবং খাদিজাতুল আনোয়ার বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ও কর্মবন্টন এবং এর আওতাধীন চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ও কর্মবন্টন এবং এর আওতাধীন চলমান প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতির উপর সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সমাপ্তকরণ এবং গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসই করণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ডকরণ বর্ষাকালের পরিবর্তে শীতকালে করার জন্য কমিটি মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। বৈঠকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধিদপ্তরের টেন্ডার আহবান করার কার্য ক্ষমতা ও বিধি বিধান রয়েছে কি না তার তথ্য উপাত্ত আগামী এক মাসের মধ্যে কমিটির কাছে উপস্থাপন করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয় এবং চলমান প্রকল্পগুলো সমাপ্ত না করে নতুন প্রকল্প গ্রহণ না করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে। এছাড়া, ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের পরিত্যক্ত জমিতে ফ্ল্যাট নির্মাণের ব্যবস্থা করা এবং পূর্বাচল ও ঝিলমিল প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শনের বিষয়ে কমিটি সুপারিশ করে।

গৃহায়ণ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানরা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়সহ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

শহরের সঙ্গে জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ



সীরাত মঞ্জুর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগর ও পাঁচ জেলায় চলমান ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের কারণে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। নগর ও আশেপাশের জেলাগুলোতে বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল। ফলে তীব্র গরমে জরুরী প্রয়োজনে বের হওয়া মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। এদিকে ধর্মঘটের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অটোরিকশা চালকরা দুই থেকে তিনগুণ অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের। পাশের জেলার পাশাপাশি দূরপাল্লার বাসগুলো বন্ধ থাকায় বিছিন্ন হয়ে পড়েছে চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এসব ভোগান্তি চোখে পড়ে। 

সকাল থেকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার শাহ আমানত সেতু এলাকায় কোনো ধরণের বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। এসময় দীর্ঘক্ষণ যাত্রীদের তীব্র রোদে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। কেউ কেউ ফেরত গেলেও অনেকে ট্রাকে চড়ে ও দ্বিগুণ ভাড়ায় অটোরিকশা যোগে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন। একই দৃশ্য উত্তর চট্টগ্রামের প্রবেশপথ অক্সিজেন মোড় এলাকায়ও।

জরুরি প্রয়োজনে রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রাম শহরে এসেছেন রফিকুজ্জামান। অক্সিজেন এলাকায় পরিবার নিয়ে গাড়ির জন্য তীব্র রোদে দাঁড়িয়ে আছেন। বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা জরুরি কাজে চট্টগ্রামে এসেছিলাম। ধর্মঘটের বিষয়টি জানতাম না। এখন বাড়ি যাওয়ার জন্য এখানে এসেছি। এসে দেখি কোন ধরনের গাড়ি নেই, কয়েকটা অটোরিকশা থাকলেও তারা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে। সিএনজি থাকলেও ওরা তিনগুণ ভাড়া চাচ্ছে। আগে জনপ্রতি ২০০ টাকা করে ভাড়া নিতো এখন ৩০০ টাকা চাচ্ছে।’

পাসপোর্টের কাজে সকালে ফটিকছড়ি থেকে মেয়েকে নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছেন পঞ্চাশোর্ধ্ব ইউনুছ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সকালে সিএনজি অটোরিকশা করে এসেছি। ভাড়াও ঠিক ছিল। দুপুরে এসে দেখি। ৫০ টাকা ভাড়া বেড়ে গেছে। মানে আসতে নির্ধারিত ভাড়া নিছে, যেতে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে।’

শহরের সঙ্গে জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল
  

এদিকে খাগড়াছড়ি থেকে কাজির দেউরিতে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে আসা রাকিব হোসেন বলেন, ‘বাস নেই তাই সিএনজি করে ভেঙে ভেঙে যাব। ভাড়া অনেক বেশি চাচ্ছে, এটা আসলে জুলুম হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশে কোন একটি কিছু হলে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে চালকরা। এটির সমাধান হওয়া দরকার। বাস নেই, সেজন্য অটোরিকশা করে ফটিকছড়ি যাব, সেখান থেকে আবার মানিকছড়ি যাব।’

অক্সিজেন এলাকায় দাঁড়িয়ে দুর্ভোগের কথা জানাচ্ছিলেন মিনাল চাকমা নামের ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা। তিনি বলেন, ‘খাগড়াছড়ি যাব, কিন্তু অনেকক্ষণ রোদের মধ্যে দাঁড়িয়েও কোন বাস পাই নাই। সিএনজি চললেও তারা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করছে। আগে বাসে করে ২২০ টাকা নিতো। আজ সিএনজিতে ৫০০ টাকা চাচ্ছে ভাড়া।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) তারেক আহমেদ জানান, স্বাভাবিকভাবেই মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে। শহরে কিছু বাস চলছে। তবে দূরপাল্লার গাড়ি বন্ধ আছে। অলঙ্কার, একে খান মোড় ও কদমতলী থেকে দূরপাল্লার গাড়ি ছাড়ছে না।

কোথাও তেমন কোনো গণ্ডগোলের খবর আমরা পাইনি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। দ্রুত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়া বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মনজুর আলম চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, পরিবহন ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক আমাদেরকে ডেকেছেন। আমরা সেখানে আমাদের দাবিগুলো উত্থাপন করব। আমাদের যে চার দফা দাবি এগুলো যৌক্তিক দাবি। এখানে আমরা দেশে প্রচলিত আইনে যেটা হওয়ার সেটার কথাই বলেছি। আমাদের যে গাড়ি ক্ষতি করা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। চুয়েট কর্তৃপক্ষকে গাড়িগুলোর ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং দেশে নিয়ম না মেনে যে অবৈধ গাড়িগুলো চলাচল করছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চাই প্রত্যেক জিনিসের আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হোক। চুয়েটের নিহত শিক্ষার্থীদের আমরা আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছি। এরপরও গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই ছাত্র মারা গিয়েছে সেটা কি তাদের দোষ নাকি গাড়ির দোষ। বিষয়টি প্রশাসন বা তদন্ত কমিটি দেখবে।

বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে কি না জানতে চাইলে এই পরিবহন মালিক নেতা বলেন, আমাদের দাবিগুলা আদায় না হলে আমরা ধর্মঘট চলমান রাখবো। আমরা সরকারকে বিব্রত করতে চাই না। আমরা জনগণের সেবা করার জন্য গাড়ি চালাচ্ছি। আমাদের নিরাপত্তা এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

আমাদের ধর্মঘটের আওতায় সব গাড়ি বন্ধ। যে একটি সংগঠন প্রত্যাহার করেছে এদের কোন গাড়ি নেই। আমাদের বাস মালিকদের সব সংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে আছে। তারা সবাই ধর্মঘট পালন করছে বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত ২৪ এপ্রিল ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপরও ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা গণ পরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।

;

টর্পেডো সদৃশ বস্তু ভেসে এলো পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী খালে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পানির তলদেশ থেকে ব্যবহৃত অস্ত্র ‘টর্পেডো’ সদৃশ একটি বস্তু ভেসে এসেছে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর একটি খালে। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফুট।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নের মীরকান্দা গ্রাম সংলগ্ন ভাঙা খালে বস্তুটিকে দেখতে পায় গ্রামবাসী। ভাসমান বস্তুটি দেখতে স্থানীয়রা ভিড় করতে থাকেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বস্তুটি দেখে ভারী কোনো অস্ত্র ভেবে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে রোববার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা বস্তুটির কাছ থেকে লোকজনকে সরিয়ে দেয়। বস্তুটি যাতে ভেসে না যায়, সে জন্য দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।

মৌডুবি ইউনিয়নের আরাফাত হোসেন বলেন, বস্তুটি দেখতে ভারী কোনো অস্ত্রের মতো। গ্রামবাসীর ধারণা, পাশের রাবনাবাদ চ্যানেল হয়ে হয়ত এটি ভাসতে ভাসতে এই খালে এসেছে। এটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ থেকে ২৫ ফুট।

টর্পেডো সদৃশ বস্তু রোববার সকালে ভেসে আসে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী খালে, ছবি- বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, কোস্টগার্ডকে বিষয়টি জানানো হলে ছবি দেখে তারা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, বস্তুটি টর্পেডো হতে পারে। টর্পেডো ডুবন্ত অবস্থায় থাকে। যেহেতু এটি ভেসে এসেছে, সে কারণে ধারণা করা হচ্ছে, এটি সম্ভবত ব্যবহৃত। কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করার পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

এ ব্যাপারে কোস্টগার্ড রাঙ্গাবালী আউটপোস্টের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের আন্ধারমানিক নদীতে যে টিমটি আছে, সেটি ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। যতটুকু আমি দেখলাম, ওটা টর্পেডো হতে পারে, মিসাইল নয়।

তিনি বলেন, টর্পেডোর মাঝখানে যেভাবে জোড়া থাকে, ওটারও সেভাবেই আছে। যেকোনো বড় জাহাজ ধ্বংস করে দেওয়ার কাজে টর্পেডো ব্যবহার হয়। এটা নৌবাহিনীর কাছে থাকে।

আবুল কালাম আজাদ আরো বলেন, টর্পেডো অনেক ভারী থাকে। সাধারণত, এটা পানির নিচে থাকে। যেহেতু, এটি ভেসে এসেছে, সুতরাং এটি ব্যবহার করা হয়েছে কিংবা ড্যামেজ হয়েছে বলে ধারণা করছি।

তবে ভেতরে যদি কোনো বাতাস থাকে, তাহলে বিস্ফোরণ ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এজন্য ‘বোম ডিসপোজাল’ (বোমা নিষ্ক্রিয়করণ) ইউনিট গিয়ে ওটা পরীক্ষা করে দেখতে পারে। আমাদের যে টিম ঘটনাস্থলে গেছে, তাদের রিপোর্টের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, টর্পেডো হচ্ছে, এক ধরনের স্বচালিত অস্ত্র, যা পানির নিচে বিস্ফোরক ওয়ারহেড বহন করে এবং লক্ষ্যবস্তুর সংষ্পর্শে বা কাছাকাছি আসার পর বিস্ফোরিত হতে পারে। এটি পানির নিচে বা উপরে উভয় স্থান থেকেই নিক্ষেপ করা যায়। এগুলোকে বিভিন্ন ধরনের উৎক্ষেপক দিয়ে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে নিক্ষেপ করা সম্ভব।

;

নারী আম্পায়ার ঘিরে বিতর্ক: কিছুই জানেন না পাপন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের ম্যাচে নারী আম্পায়ার নিয়ে ওঠা বিতর্ক নিয়ে কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পূনর্বাসন কেন্দ্র সিআরপিতে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ ও পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপিল) প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে নারী আম্পায়ার বির্তক নিয়ে প্রশ্ন করলে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তখন সাংবাদিকরা বলেন, বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ চাউর হয়েছে। নাজমুল হাসান পাপন বলেন, আমার ফেসবুক নাই। তাই হয়তো আমার জানা হয়নি। এছাড়া কেউ আমাকে এনিয়ে কিছু বলেনি।

পাপন আরও বলেন, আজকেও কথা বললাম আম্পায়ার্স কমিটির মিঠুর (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু) সঙ্গে, সেও কিছু বলেনি। আসলেই আমি বিষয়টি জানি না।

সিআরপি পরিদর্শন করে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, আজকে একটি বিশেষ দিন, শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন। এই দিনটায় সিআরপিতে আসা, তাদের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ভালোভাবে জানা, যদি কোনভাবে সাহায্য করা যায়। এর চেয়ে ভালো কাজ হতে পারে না। এখন তো বাজেট শেষ, আগামী বাজেটে অবশ্যই তাদের (সিআরপি) জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখব। স্পোর্টস ইকুইপমেন্ট টেন্ডার প্রক্রিয়ায় আছে, আসলে তাদেরকেও দিব।

;