মোটরমালিক সমিতির অবরোধ, কুড়িগ্রাম থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতির ‘এক চেটিয়া’ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকাসহ সারাদেশের দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সড়ক অবরোধ করে বাস চলাচল বন্ধ রাখে কুড়িগ্রাম মোটরমালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। ফলে জেলা থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গমনেচ্ছু যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পরেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সামনের সড়কে দূরপাল্লার বাস আড়াআড়ি রেখে অবরোধ করে বাস শ্রমিকরা। তারা সব ধরণের যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করেন। ফলে কুড়িগ্রাম থেকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে সকল ধরণের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম ভোগান্তিতে পরে সাধারণ মানুষ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে উত্তেজিত মোটর শ্রমিকদের বেপরোয়া অবরোধে কুলিয়ে উঠতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা ট্রাফিক পুলিশের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতি অন্যায়ভাবে কুড়িগ্রামের গাড়ি যাতায়াতে বাধা সৃষ্টি করছে। ঈদের আগে এ ধরণের সমস্যা সাধারণ মানুষকে পেরেশানিতে ফেলেছে। এর প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম মোটরমালিক ও শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উভয় পক্ষের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছেন।

কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতির সড়ক সম্পাদক রায়হান কবির জানান, পলাশবাড়ী মোটরমালিক সমিতির অন্যতম সদস্য ও পলাশবাড়ী পৌর মেয়র গোলাম সরোয়ার বিপ্লব কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার বাস পলাশবাড়ীতে আটকে দিচ্ছেন। আমাদের শ্রমিকদের হেনস্থা করছেন। এর প্রতিবাদে আমরা মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছি। একই সাথে আমাদের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে পলাশবাড়ী মালিক সমিতির অন্যায় হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ জানাচ্ছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে।

রায়হান কবির বলেন, ‘সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা জেলা থেকে কোনও দূরপাল্লার বাস ছাড়বো না।’

তবে পলাশবাড়ী মোটর মালিক সমিতির সদস্য ও পলাশবাড়ী পৌর মেয়র বিপ্লব তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি গাড়ি চলাচলে বাধা দিচ্ছি না।’

সমস্যা সমাধান প্রশ্নে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে নিজের দায় এড়াতে পারেননি মেয়র বিপ্লব। তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী থেকে আমাদের একটি বাস চলাচল করবে। কিন্তু কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতি তা দিতে নারাজ। তারা রাজি হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

বিপ্লবের এই দাবির বিষয়ে কুড়িগ্রাম মোটর মালিক সমিতির সড়ক সম্পাদক রায়হান কবির বলেন,‘তাদের গাড়ি প্রবেশে আমাদের পক্ষ থেকে নয়, রংপুর মোটর মালিক সমিতি থেকে আপত্তি রয়েছে। তার (বিপ্লবের) দাবি সঠিক নয়। আমাদের গাড়ি চলাচলে বাধা দিলে আমরা গাড়ি ছাড়বো না।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলামের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত সাড়ে ৯ টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত ছিল।

আজ কোন এলাকায় কত সময় কারফিউ শিথিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

কারফিউর মধ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

গত ১৯ জুলাই (শুক্রবার) থেকে শুরু হয়ে এখনও দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, শনিবার (২৭ জুলাই) কারফিউ তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিদ্দান্ত আসতে পারে। 

তবে আজও (২৬ জুলাই) রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও এলাকা কারফিউয়ের আওতায় থাকবে।

ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। এরপর বিকেল ৫টা থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও গাজীপুরসহ চার জেলায় ফের শুরু হবে কারফিউ।

সবচেয়ে বেশি সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা সেখানে কারফিউ শিথিল থাকবে। বরিশালেও একই সময় ধরে কারফিউ শিথিল থাকবে। 

এছাড়া চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা, রাজশাহীতে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা এবং সিলেটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে।

এর আগে, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা থেকে রোববার (২১ জুলাই) সকাল ১০টা পর্যন্ত সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার।

;

জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ক ডিবিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ তিনজনকে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অপর দুই সমন্বয়ক হলেন- আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবির একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ডিবি বলছে, নিরাপত্তা এবং জিজ্ঞাসাবাদের স্বার্থে তিন সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

তারা তিনজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

;

কারফিউ তুলে নেয়ার ব্যাপারে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত কারফিউ নিয়ে সবাইকে একটু অপেক্ষা করতে হবে। কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা, তা আমরা দেখছি।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারফিউ শিথিল করা যায় কিনা আমরা দেখছি। পুলিশ বিজিবি, সেনাবাহিনী কাজ করছে। জনজীবন স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করতে হবে। জনগণকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। এ বিষয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলেও জানান তিনি।

এ সময় আন্দোলনের নামে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দেশের এই ক্ষতির দায় কে নেবে? বিএনপি বলছে সহিংসতার মধ্যে তারা নেই। তাহলে কে করেছে? এটা জনগণের প্রশ্ন।

কোটা আন্দোলনকারীদের আটকের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনকারী নেতারা নিজেরাই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাদের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে গত ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে কারফিউ জারি করে সরকার। এসময় সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়।

পরবর্তীতে নির্ধারিত সময়ের জন্য কারফিউ শিথিল করা হলেও এখনো পুরোপুরি এখন তুলে নেয়া হয়নি।

;

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

যেসব অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অফিস

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আট বিভাগেই মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এ অবস্থায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

একইসঙ্গে খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় টাঙ্গাইল, সিলেট ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। 

বর্ধিত ৫ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;