সুবর্ণচরে ভূমিহীনদের জায়গা দখল চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

নোয়াখালীর উপকূলীয় উপজেলা সূবর্ণচরে বহিরাগত ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং প্রকৃত ভূমিহীনদের জায়গা বন্দোবস্ত দেয়ার দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে অসহায় দরিদ্র সহস্রাধিক ভুক্তভোগী ভূমিহীন পরিবার।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় চরজুবলী ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের চর জিয়া উদ্দিন গ্রামের ভূমিহীন সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে ভূমিহীনরা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার চর বাগ্যা গ্রামের ৫০ একর সরকারি খাস জমি কাগজপত্র করে ভূমিহীনগণ নথি সৃজন পূর্বক ঘরবাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করছেন। দীর্ঘদিন দখলে থাকা ভূমিহীনদের বাড়ি ঘর, মসজিদ, মোক্তব, ডোবা, নালা, খাল-বিল অবৈধভাবে দখল করার চষ্টা চালিয়ে আসছে এজি গ্রুপ।

ভুক্তভোগী ভূমিহীনরা আরো বলেন, ২০০২ চর বাগ্যা গ্রামের বাগান পরিস্কার করে সরকারি খাস জায়গায় বসবাস শুরু করেন তারা। পরবর্তীতে ২০০৭ সালে সিডিএসপি মাঠ জরিপে দখল প্রমাণিত হওয়ায় ভূমিহীন শতাধিক পরিবারকে টোকেন স্লিপ প্রদান করে। কিন্তু বহিরাগত একটি ভূমিদস্যু চক্র ভূমিহীনদের নামে খতিয়ান হওয়ার পূর্বেই তাদের উপর নির্যাতন ও হামলা করে ওইসব ভূমি দখল করে নেয়।

ওই জায়গাতে ফ্যাক্টরী, মিল-কারখানা হবে এবং ভূমিহীন পরিবারের কর্ম সংস্থানের আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও ফ্যাক্টরী করা না হওয়ায় আমরা সকল ভূমিহীন একত্র হয়ে পূনরায় আমাদের জায়গাতে ফিরে আসি।

এরপর থেকে বিদেশী প্রকল্পের নাম ভাঙ্গিয়ে আগের মত ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে একটি মহল আমাদেরকে গুম-খুনের হুমকি দিয়ে আসছে। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন সময় মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলন, প্রতিবাদ সমাবেশ করলে বহিরাগত ভূমিদস্যুরা আমাদের নামে মিথ্যা গুজব রটিয়ে আবারও উচ্ছেদ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে এবং প্রকৃত ভূমিহীনদের জায়গা বুঝিয়ে দিয়ে মাথা গোজার ঠাঁই করে দেয়ার জন্য ভূমিহীনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানান।

এ সময় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভুমিহীন নেতা জয়নাল আবেদিন, আব্দ্লু গণি, ভূমিহীন নেত্রী নার্গিস বেগম, মনোয়ারা বেগম, মায়া বেগম, মহিমা বেগম, মো. ইসমাইল, প্রতিবন্ধী আব্দুল হাফেজ, মাকছুদ আহম্মদ, জুলেখা আক্তার প্রমুখ।