ঈদে লঞ্চ দুর্ঘটনা
নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি নাগরিক সমাজের
পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ঢাকার সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত এবং দায়ীদের শাস্তি দাবি করেছে নিরাপদ নৌ-পথ বাস্তবায়ন জোট। পাশাপাশি দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তি এবং নিহতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ ৮ দফা দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিদাতারা বলেন, অবহেলা আর কতিপয় মানুষের বেপরোয়া আচরণের বলি এ পাঁচ মৃত্যু। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলাতেও অবহেলাজনিত ও বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা যায়, ঈদের দিন বিকেলে সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে দুটি লঞ্চ বাঁধা অবস্থায় ছিল। এ দুটি লঞ্চের মাঝখানে যথেষ্ট জায়গা না থাকলেও সেখান দিয়ে আরেকটি লঞ্চ বেপরোয়াভাবে পন্টুনে ঢোকানোর চেষ্টা করে। এ সময় একটি লঞ্চের রশি ছিঁড়ে পন্টুনে অপেক্ষমাণ পাঁচ যাত্রীকে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থালেই তাদের মৃত্যু হয়। ঈদের সময় লঞ্চঘাটে সবসময়ই বাড়তি চাপ থাকে, ফলে সেখানে বাড়তি নজরদারি, বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকাই ছিল স্বাভাবিক। নিরাপদ নৌ-পথ বাস্তবায়ন জোটের পক্ষ থেকে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থার অবসান দাবি করা হয়। বাংলাদেশের নৌ-পথকে নিরাপদ করতে জোট থেকে নিম্নোক্ত দাবিসমূহ পেশ করা হয়।
বিবৃতিতে ৮ দফা দাবি জানানো হয়েছে। এগুলো হলো- একজন বিচারপতির নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন; তদন্ত কমিটিতে বিশেষজ্ঞ এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতিনিধিও রাখা; অতীতের সব তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ করা; মেরিন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পর্যাপ্ত পুলিশ বাহিনী মোতায়েন রাখা; লঞ্চ মালিকদেরকে সকল যাত্রীর বীমা এবং যাত্রী নিবন্ধন নিশ্চিত করা; দুর্ঘটনার জন্য দায়ী সকলকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা; ঈদ, পূজা, অন্যান্য উৎসবকালীন এবং ঝড়ের সময় জেটিতে অতিরিক্ত পরিদর্শক ও পুলিশ মোতায়েন করা এবং ১১ এপ্রিল লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারগুলোকে অবিলম্বে সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ প্রদান।
জোটের প্রধান সমন্বয়ক রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নদীমাতৃক বাংলাদেশে নৌ-পথ সবচেয়ে ব্যয় সাশ্রয়ী ও নিরাপদ। আমরা চাই, গণমানুষ ও পণ্য পরিবহনের জন্য এই সাশ্রয়ী নৌ-পথ নিরাপদ করার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হোক।