আজ ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি.মি দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।

আজ ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদ্‌যাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপনীত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।

পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন। সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে। অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য।

মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত।

বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

   

পাচারের শিকার ভারত থেকে দেশে ফিরল ২০ নারী-শিশু



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে পাচারের শিকার ২০ নারী-শিশুকে উদ্ধারের পর স্বদেশ প্রত্যাবাসন আইনে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে তাদেরকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ভাল কাজের প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে বিভিন্ন সময় এরা দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে পাচার হয়েছিল। বাংলাদেশে ফেরার পর আইনি সহায়তায় তাদেরকে ৩টি মানবাধিকার সংস্থা গ্রহণ করেছে। সীমান্তে হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, পুলিশ, বিজিবিসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা।

এদিকে পাচার প্রতিরোধে বিভিন্ন সংগঠন কাজ করলেও কোনোভাবে থামছে না এসব কার্যক্রম। তবে পাচার নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে সচেতনতায় কমাতে পারে পাচার কার্যক্রম। আর ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ রয়েছে পুলিশের আইনি সহায়তা নিয়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চোখে-মুখে ঘরে ফেরার আনন্দ বলে দেয় বন্দী জীবন থেকে তাদের মুক্তির স্বাদ। কেউ প্রেমিকের প্রতারণা, কেউ উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন আবার কেউ ভালো কাজের আশায় দালালের হাত ধরে পাড়ি জমায় ভারতে। তবে ভারতে গিয়ে বুঝতে পায় তারা সবাই নিজের অজান্তে বিক্রি হয়েছে দালালের হাতে। কিন্তু যখন বোঝে তখন আর কিছু করার উপায় থাকে না। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে নানান ঝুঁকিমূলক ও অসামাজিক কাজে তাদের ব্যবহার করা করে পাচারকারীরা। ভাগ্যের জোরে কিছু সংখ্যক ফিরে আসলেও অনেকের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা রয়েছে অজানা।

পাচার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো বলছে, উদ্ধারের সংখ্যা মাত্র ৩০ শতাংশ। পাচারকারীদের বেশি টার্গেট থাকে অসহায় পরিবার ও স্বামীহীন নারীদের ওপর।  এমন পাচারের শিকার ২০ নারী-শিশুকে উদ্ধারের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ফেরত পাঠায় কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তারা। পাচারের শিকার এসব বাংলাদেশিদের এক এক জনের জীবনে রয়েছে লোমহর্ষক কাহিনি।

ফেরত আসা কিশোরী রহিমা (ছদ্মনাম) জানান, ডান্সার বানানোর কথা বলে ভারতে নিয়ে বিক্রি করে প্রেমিক। পরে বুঝতে পেরে সে পুলিশের হাতে ধরা দেয়। বন্দিদশা থেকে ফেরত আসতে পারবে, এটা সে ভাবতেও পারেনি। এ ভুল পথে আর পা বাড়াবে না সে।

ফেরত আসা নারী মমতাজ (ছদ্মনাম) জানান, সে হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে এক মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করে। কিন্তু মেয়েটি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বাবা মামলা করেন। পরে সে জেল থেকে বের হলে মেয়েটির বাবা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভারতে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে তাকে পুলিশ আটক করেছিল। দুই বছর পর সে বাড়ি ফিরছে।

ফেরত আসা এক কিশোরীর অভিভাবক বলেন, মেয়েকে ফিরে পেয়ে তিনি খুশি। তবে পাচারের ঘটনায় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানায়। কিন্তু টাকা দিতে পারেনি বলে সহযোগিতা পায়নি।

মানবাধিকার সংস্থা জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার এস,এস, মুহিত হোসেন জানান, ফেরত আসা ২০ জনের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ১৭ জন, নারী-শিশু রয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জনকে জনকে জাস্টিস এন্ড কেয়ার, ৮ জনকে রাইটস যশোর ও ৫ জনকে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি গ্রহণ করেছে আইনি সহায়তা দিতে।

পাচার প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া অনুবিভাগের পরিচালক বিদোষ চন্দ্র বর্মন জানান, পাচার প্রতিরোধে সরকার বিভিন্নভাবে কাজ করছে। তবে সবার সহযোগিতায় পাচার প্রতিরোধ সম্ভব।

;

স্মার্টকার্ড উদ্বোধন করতে কুয়েতে যাচ্ছেন ইসি হাবিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড উদ্বোধন করতে কুয়েতে যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।

বুধবার (১ মে) কুয়েতের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন তিনি। ফিরবেন আগামী ৭ মে। তার সঙ্গে যাবেন একান্ত সচিব আসমা দিলারা জান্নাত ও ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব রওশন আরা বেগম। এই সফরের ব্যয় করা হবে স্মার্টকার্ড তথা আইডিইএ প্রকল্প থেকে।

এর আগে যুক্তরাজ্য, ইতালি, সংযুক্ত আবর আমিরাত, সৌদি আরব ও কাতারে স্মার্টকার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে ইসি।

;

যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় না দেখে সবক দেয়: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজের চেহারা আয়নায় না দেখে, মানবাধিকার নিয়ে বাংলাদেশকে সবক দেয়। মার্কিন কোনো পুলিশের গায়ে কোনো রাজনৈতিক দল হাত তুললে, কী করতো সেখানকার পুলিশ? কদিন আগে যুদ্ধের বিরোধীতা করায় সাধারণ মানুষের আন্দোলনে কি জুলুমটাই না করলো আমেরিকার পুলিশ। এটা তো মানবাধিকার লঙ্ঘন। এর জবাব কী?

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমাদের দেশের কিছু রাজনৈতিক দেউলিয়াতাপূর্ণ, যারা একেবারে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া— এদের কিছু বক্তব্য আর আমাদের দেশের কিছু আছে বুদ্ধি বেচে জীবিকা নির্বাহ করেন, সেই তথাকথিত বুদ্ধিজীবি অনবরত বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গীবত গাচ্ছে এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে যে, এদেশের অতি বাম, অতি ডান সবই এখন এক হয়ে গেছে, এটা কীভাবে হলো আমি জানি না। এই দুই মেরু এক হয়েও সারাক্ষণ শুনি আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করতে হবে। অপরাধটা কী আমাদের?

তিনি বলেন, করোনার সময় আমরা বিনা পয়সায় ভেকসিন দিয়েছি। পৃথিবীর ধনী দেশগুলো দেয়নি কিন্তু বাংলাদেশ দিয়েছে। টেস্ট আমরা বিনা পয়সায় করেছি, কোনও ধনী দেশও করেনি। আমরা দুই হাতে পানির মতো টাকা খরচ করে মানুষকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নিয়েছি। খুব কম দেশই সেটা করতে পেরেছে। আমরা সেখানে সাফল্য অর্জন করেছি। মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়েছি, শিশু মৃত্যুর হার কমিয়েছি, স্বাক্ষরতার হার বাড়িয়েছি, মানুষের আয়ুস্কাল বৃদ্ধি করেছি, মানুষের ঘরের কাছে চিকিৎসাসেবা নিয়ে গেছি, শিক্ষার ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি আছে। সব দিক থেকেই তো বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, পিছিয়ে আছি কোথায় আমরা? মাথাপিছু আয় আমরা বৃদ্ধি করেছি, প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, করোনার অতিমারি, এরপর আসে ইউক্রেন যুদ্ধ, স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশন, সারা বিশ্বব্যাপী মূদ্রাস্ফীতি— এই সমস্যার কারণেই কিন্তু আমরা নয়, সারা পৃথিবী, এমনকি উন্নত দেশগুলোও হিমশিম খাচ্ছে। তারপরও আমরা আমাদের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছি। ২০০৮ সালর নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা এক ধাপ উপরে তুলবো। রূপকল্প ২০২১ আমরা ঘোষণা দেই, দিন বদলের সনদ আমরা ঘোষণা দেই। আজকে দিন বদল ঘটেছে।

তিনি বলেন, সব সময় আমারা লক্ষ্য রেখেছি তৃণমূলের মানুষ, তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নতি করা। আজকে কেউ বলতে পারছে না যে, গ্রামে দারিদ্য আছে। এখন বলে— শহরে দারিদ্র। এখন অদ্ভুত এক হিসাব হয়ে গেছে, দারিদ্রের হার শহরে বেড়ে গেছে, গ্রামে না। অথচ এক সময় গ্রামের মানুষ একবেলা ভাত খেতে পেতো না, মাথা গোজার ঠাই ছিল না, রোগের চিকিৎসা পেতো না, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল। আমাদের উন্নয়নের তৃণমূল মানুষের দিকে লক্ষ্য রেখে পরিকল্পিতভাবে এগিয়েছি। ইতোমধ্যে কয়েকচি জেলা-উপজেলা গৃহহীন, ভূমিহীন মৃক্ত ঘোষণা দিয়েছি। অল্প কিছু বাকি আছে, সেগুলোও শিগগিরই হয়ে যাবে। বাংলাদেশের কোনও মানুষই ঠিকানাবিহীন থাকবে না।

তিনি বলেন, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যে অগ্রযাত্রা টা সহজভাবে আমরা করতে পারবো। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলে, ভোটের অধিকার নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলে তাদের জন্মটা কোথায়? অবৈধ ভাবে হত্যা কু ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখলকারী, তাদের পকেট থেকে বের হওয়া যে রাজনৈতিক দল তাদের কাছে এখন গণতন্ত্রের কথা শুনতে হয়, ভোটের অধিকারের কথা শুনতে হয়, যারা হ্যা, না ভোট দিয়ে যারা ভোট চুরি শুরু করেছিলো। এরপরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ প্রত্যেকটা নির্বাচনই তো আমরা দেখেছি। কিভাবে জনগণের ভোট নিয়ে খেলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশি দূর যেতে হবে না ২০০১ সালের যে নির্বাচন সে নির্বাচনেও তো চক্রান্ত করে আওয়ামী লীগ কে হারানো হয়েছিলো। আমরা শতাংশ হিসেবে বেশি ভোট পেয়েছি কিন্তু আসন পাইনি। কারণ আমি রাজি হয়নি আমার দেশের গ্যাস অন্য দেশকে বেচবো। আজকে গ্যাসের জন্য যে হাহাকার, আমি যদি তখন রাজি হতাম তাহলে কি আমাদের দেশে কোন ইন্ডাস্ট্রি চলতো? ফার্টিলাইজার সেন্টার চলতো, বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়তো, হতো না। কিন্তু খালেদা জিয়া কিন্তু সে মুচলেকা দিয়েছিলো। খালেদা জিয়া কথা দিয়েছিলো ক্ষমতায় গেলে গ্যাস বিক্রি করবে। আমি শুধু বলেছিলাম, আল্লাহ জন বুঝে ধন দেয়। খালেদা জিয়া খালেদা জিয়া কথা দিয়েছে গ্যাস বিক্রি করবে, গ্যাস পাবেই না। তাদের আমলে কিন্তু কুপ খনন করে গ্যাস পায়নি।

আমাদের অধিনে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলার কে তারা? যাদের জন্মই হয়েছে ভোট চুরির মধ্য দিয়ে তারা আবার প্রশ্ন করে কিভাবে? জনগণ বলুক, দেশের মানুষ তো ভোট দিতে পেরে খুশি। হ্যা, এলাকায় এলাকায় স্থানীয়ভাবে কিছু সমস্যা হয়। বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে ২০২৪ সালের নির্বাচনের চেয়ে সুষ্ঠুভাবে কবে হয়েছে বাংলাদেশে।

;

গাইবান্ধার টিকিট কালোবাজারি ‘জসিম’ কারাগারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইন নিউজপোর্টাল বার্তা২৪.কমে খবর প্রকাশের পর গাইবান্ধা বোনারপাড়া রেল স্টেশনের সেই টিকিট কালোবাজারি জসিমকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এরআগে সোমবার সন্ধ্যায় বোনারপাড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে ব্ল্যাকে টিকিট বিক্রির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশ।

জসিমকে গ্রেফতার এবং কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন বোনারপাড়া রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম।

এর আগে গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) “ব্ল্যাকে টিকেট কিনে বিপাকে ১৩ যাত্রী, কালোবাজারির নাম 'জসিম'' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করে বার্তা২৪.কম।

গ্রেফতারকৃত জসিম গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার রাঘবপুর গ্রামের বীর মুক্তযোদ্ধা মৃত হায়দার আলীর ছেলে। এরআগেও তিনি টিকিট কালোবাজারে বিক্রির সময় বোনারপাড়া রেল স্টেশনে চারটি টিকিটসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন।

 

;