আমি বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই: এমপি আনারের মেয়ে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাবার হত্যাকারীদের বিচার চান ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন।

বুধবার (২২ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ের সামনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি বাবার হত্যার বিচার চাই, আমি দেখতে চাই কারা আমাকে এতিম করলো। কারা হত্যাকারী। আমি বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যু দেখে যেতে চাই। আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই।

ডরিন বলেন, ইতোমধ্যে জেনেছি যে, আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। এটা শুনেই আমি ডিবি প্রধান হারুন আঙ্কেলের কাছে এসেছি। তারা ইতোমধ্যে তিনজনকে ধরেছেন। মূলত আমি মামলা করবো। ডিএমপি কমিশনার, ডিবি প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। সবাই আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। ডিবি আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি দেখছেন।

ডরিন বলেন, আমার কোনো ভাই নেই। আমরা দুই বোন। বড় বোন ডক্টর। আমি এলএলবি পড়ছি। আমি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডরের আন্ডারে এলএলবি পড়ছি। ডিবি পুলিশ আন্তরিকতার সঙ্গে বিষয়টি দেখছেন বলে আমি অনেক তথ্য পাচ্ছি।

গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, আমি আমার বাবা হত্যার বিচার চাই। আপনারা এই বিষয়ে আমাকে সহযোগিতা করুন। আপনারা নিউজ করুন অনুসন্ধান করুন। আপনাদের নিউজে সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হোক। আমি যেন বিচার পাই, আমার বাবাকে কারা হত্যা করেছে, সেটা যেন জানতে পারি।

ডরিন বলেন, আমার বাবাকে কারা হত্যা করেছে, কেন করেছে, এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। আমি এর শেষ দেখতে চাই, তারা কেন বাবাকে হত্যা করেছে? আমি যেন দেখতে পাই আমার বাবার হত্যাকারীদেরকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানো হয়েছে।

ডরিন ক্রন্দনকণ্ঠে বলেন, আজকে আমি এতিম হয়ে গেছি। আমার পড়াশোনা এখনো শেষ হয়নি। আমি মাঝ পথে। সবার পরিবার আছে, সন্তান আছে। সবাই জানেন, যার বাবা থাকে না তার কেউ থাকে না, তারা এতিম হয়ে যায়। যতই কাছের আত্মীয়, আপন মানুষ থাকুক না কেন বাবা বাবাই। বাপের মত কেউ আপন হয় না।

তিনি বলেন, আমার বাবা অনেক স্বপ্ন নিয়ে আমাকে এলএলবিতে ভর্তি করিয়েছে। আমি পরীক্ষাও দিয়েছি। সামনে রেজাল্ট দেবে। বাবা আমাকে বলে গেছে ইন্ডিয়া থেকে ফিরে আমার রেজাল্ট চেক করবে। আমার কোন কথাই সে রাখতে পারে নাই।

আনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন আমার একটাই অনুরোধ আপনারা বাবার হত্যার সুষ্ঠু বিচার করুন। একটা সময় আমার বাবা ১৪টা বছর মিথ্যা মামলায় পালিয়ে পালিয়ে থেকেছেন। তখন আমি অনেক ছোট। তখনো আমি আমার বাবাকে কাছে পাইনি। যখন একটু বুঝতে শিখি তখন আমার বাবাকে কাছে পেয়েছি। এখন আবার আমার বাবাকে হারিয়ে ফেললাম। আপনারা কেউ আমার বড় ভাই কেউ বাবার মত। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই। আমি নিজের স্বচক্ষে দেখতে চাই কারা আমাকে এতিম করল, কেন করল।

কাউকে সন্দেহ করছে কিনা? তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, একজনের নাম আনোয়ারুল আরেকজনের নাম ফয়সাল। আপনি তাদেরকে চেনেন কিনা জানতে চাইলে ডরিন বলেন, আমি চিনি না কিন্তু চিনতে চাই আমি হারুন আঙ্কেল কে বলেছি, আপনি আইডেন্টিফাই করুন কেন এরকম হলো। আমি নিজেও আইন পড়ছি আইনের কিছু বিষয় আমি জানি। আপনি দেখুন আমাকে চেনান তারা কারা।

বাবার সঙ্গে আপনার বা পরিবারের কবে শেষ কি কথা হয়েছিল জানতে চাইলে ডরিন বলেন, আমার সঙ্গে বাবার সর্বশেষ ভিডিওকলে কথা হয়েছে। সে বলেছে আম্মু আমি ইন্ডিয়াতে যাচ্ছি। দুই-একদিনের মধ্যে চলে আসব। তোমার দাঁতের ডাক্তারের কাছে দেখানোর কথা। আমি ফিরে এসে তোমাকে দাঁতের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবো, তুমি একা যেও না। ডাক্তার ফোন করলে বলবে যে বাবা ইন্ডিয়াতে গেছে, বাবা ফিরে আসলে যাব। তুমি থাকো আমি আসছি। তারপর আর বাবার সঙ্গে কথা হয়নি।

কাউকে সন্দেহ করছি না উল্লেখ করে ডরিন বলেন, আমি আগে দেখতে চাই কারা এ কাজ করেছে। তারপর আমি আমার সন্দেহের কথা বলবো।

কারো সঙ্গে কোনো শত্রুতা ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারো সঙ্গে শত্রুতা ছিল কিনা আমি জানি না। যাদেরকে সন্দেহ করা হচ্ছে তাদেরকে আগে ধরা হোক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। আমি যদি জানতাম তাহলে তো ডিবি পুলিশকে বলেই যেতাম।

গত আটদিন আগে ভারতে গিয়ে নিখোঁজ বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের মরদেহ আজ বুধবার (২২ মে) সকালে কলকাতার নিউটাউন থেকে উদ্ধারের খবর দেয় স্থানীয় একটি গণমাধ্যম।

উল্লেখ্য, গত ১১ মে এই এমপি চিকিৎসার জন্য দর্শনা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে যান। এরপর দুই দিন পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। গত ১৪ মে থেকে তার সঙ্গে সবার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

   

কাঁচা মরিচের আগুন দাম, পিছিয়ে নেই অন্য পণ্যও



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের ছুটি শেষ হতে না হতেই রাজধানীর নিত্যপণ্যের বাজারে বইছে উচ্চমূল্যের ঝড়। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে মাছ, মাংস, সবজিসহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীর বাজারে কাঁচা মরিচ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ধরনভেদে ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা দরে। একই সঙ্গে লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকা। এছাড়া ৮০ টাকা কেজি দরের নিচে মিলছে না অন্যান্য ভালো সবজিও।

শুক্রবার (২১ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে উচ্চমূল্যের নিত্যপণ্যের বাজারে চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু ৬০, পেঁয়াজ ৯০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, উচ্ছে ১০০ টাকা, লাউ আকার ভেদে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেড়শ ৬০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, শসা ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

রুই মাছ কেজি প্রতি ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা

মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে শিং মাছ কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, রুই মাছ কেজি প্রতি ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা মাছের কেজি ৬০০ থেকে ৫০০ টাকা, ইলিশ মাছ কেজি প্রতি ৮০০ থেকে ১৮০০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ১৮০ থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত কেজি দর, সরপুঁটি মাছ কেজি প্রতি ১৬০ থেকে ২০০ টাকা। দেশি পুঁটি ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ টাকা, লেয়ার মুরগির কেজি ৩৮০ টাকা এবং সোনালী মুরগির কেজি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে উচ্চমূল্যের বাজারে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ ক্রেতারা। 

ক্রেতা অকিবুর রহমান বলেন, যত দিন যাচ্ছে ততোই বাজারে সবকিছুর দাম বাড়ছে। দিন দিন মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এমন চলতে থাকলে এক সময় দিনে দুই বেলা খাওয়া বন্ধ করে এক বেলা খেয়ে থাকতে হবে।

ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৮০ টাকা

অন্য এক ক্রেতা সবুজ বলেন, আগে যা কিছু কিনতাম ১ কেজি , এখন সেই এক কেজির টাকা দিয়ে আধা কেজিও পাওয়া যায় না। দিন যত যাচ্ছে ততোই সবকিছুর দাম বাড়ছে।

এদিকে সবকিছুর উচ্চমূল্যের কারন হিসেবে ঈদ পরবর্তী সরবরাহ সংকটকে দায়ী করছেন ব্যবসায়িরা।

সবজি বিক্রেতা মাহফুজ বলেন, ঈদের ছুটির কারনে ঢাকার বাইরে থেকে সবজির গাড়ি বাজারে আসে নেই। তাই সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়তে পারে।

মুরগি বিক্রেতা সুমন বলেন, ‘আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে। কেন দাম বেড়েছে সেটা আমরা বলতে পারব না।’

;

সুরমা-কুশিয়ারার ছয় পয়েন্ট এখনও বিপৎসীমায় 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের নদ-নদীগুলো এখনও বিপৎসীমায় রয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারার ছয়টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার থেকে ১০২ সেন্টিমিটারে উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

শুক্রবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ছয়টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

পাউবোর তথ্যানুযায়ী, সুরমা সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ও কামাইঘাট পয়েন্টে ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর আমলসীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে ১০২ সেন্টিমার ও শেরপর পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সিলেটে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলমান বৃষ্টিপাত আগামী পাঁচ দিন অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমলেও রংপুর, ময়মনসিংহ ও  সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় তা অব্যাহত থাকবে। 

এর আগে, গত তিন সপ্তাহে  সিলেট নগরীতে অতিভারি বৃষ্টিতে পাঁচবার তলিয়েছে শতাধিক এলাকা। জলাবদ্ধতায় ভুগেছে নগরবাসী৷ পরবর্তীতে উজান থেকে নেমে আসা  পানিতে সুরমাসহ সিলেটের নদ-নদীগুলো বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে সিলেটের সবগুলোর উপজেলায় বন্য পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

গত ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা দেখা দেয়। ৮ জুনের পর থেকে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। সর্বশেষ সোমবার শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টিতে আবার জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে নগরে বন্যা দেখা দেয়।

;

ছাগলকাণ্ড: ‘ইফাত মতিউরেরই ছেলে, নিজাম হাজারীর ভাগ্নে’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী 
বায়ে মতিউর রহমান মাঝে ইফাত ডানে নিজাম হাজারী

বায়ে মতিউর রহমান মাঝে ইফাত ডানে নিজাম হাজারী

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার মোহাম্মদপুরে অবস্থিত সাদিক অ্যাগ্রো থেকে একটি খাসির ছবিসহ ভাইরাল হওয়া যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানেরই ছেলে বলে মন্তব্য করেছেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। আলোচিত ইফাত সম্পর্কে নিজাম হাজারীর ভাগিনা।

শুক্রবার (২১ জুন) বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে নিজাম হাজারী বলেন, ইফাত মতিউর রহমানের দ্বিতীয় সংসারের ছেলে।

এর আগে, বুধবার (১৯ জুন) মুশফিকুর রহমান ইফাতের সঙ্গে নিজের কোনো আত্মীয় সম্পর্কও নেই বলে মন্তব্য করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য এবং কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমান।

এরপর থেকেই দেশজুড়ে আলোচনার তুঙ্গে এ বিষয়টি। এবার সেটা নিয়ে মুখ খুলেছেন ইফাতের মামা নিজাম উদ্দিন হাজারী। 

নিজাম হাজারী বলেন, ইফাতের মা শিবলী ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের আরু চেয়ারম্যান বাড়ির মিল্লাত মিয়ার মেঝো মেয়ে। ইফাতের মা সম্পর্কে আমার মামাতো বোন। ইফাত মতিউর রহমানের দ্বিতীয় সংসারের ছেলে।

তিনি বলেন, মতিউর রহমান রাগ করে হয়তো ইফাতের সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু তিনি (মতিউর রহমান) সবসময় আমার মামাতো বোনের সঙ্গে নানা পারিবারিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

ছেলের সাথে সম্পর্ক অস্বীকার করে মতিউর রহমান বলেন, ‘ইফাত নামে আমার কোনো ছেলে নেই। এমনকি আত্মীয় বা পরিচিতও নন। আমার একমাত্র ছেলে, তার নাম তৌফিকুর রহমান। একটি গোষ্ঠী আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। আমি এ বিষয়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সহায়তা চেয়ে আইনি পদক্ষেপে যাচ্ছি।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ছবি ও নাম ব্যবহার করায় বিব্রত হয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

প্রসঙ্গত, মতিউর রহমান কর্মজীবনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, বৃহৎ করদাতা ইউনিট, ঢাকা বন্ড কমিশনারেট রাজধানীর বিভিন্ন কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম কাস্টমস, বেনাপোল কাস্টমস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

উল্লেখ্য, সাদিক অ্যাগ্রো বিটল প্রজাতির ওই খাসিটির দাম ১৫ লাখ টাকা চেয়েছিল। পরে ওই ক্রেতার সঙ্গে ১২ লাখ টাকায় বিক্রির চুক্তি হয় তাদের। তবে খাসিটির মূল্য ও এর ক্রেতাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ‍সৃষ্টি হলে মুহূর্তেই ভাইরাল হয় সেটি। এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে তার বাবা পরিচয় দিয়ে ফেসবুকের বিভিন্ন স্ট্যাটাসে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

;

কক্সবাজারে পাহাড় ধসে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার শহরের বাদশা ঘোনায় পাহাড় ধসে গর্ভবতী স্ত্রীসহ স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন স্থানীয় ওমর ফারুক জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন আনোয়ার হোসেন ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মাইমুনা আক্তার।

শুক্রবার (২১ জুন) ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে এঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওসমান সরওয়ার টিপু বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পাহাড় ধসে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করেছি। তবে এটা আমার এলাকার মধ্যে পড়েনি। ১০ নং ওয়ার্ডের আওতায় পড়েছে।

১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির বলেন, আমার এলাকায় পাহাড় ধসে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।

প্রতিবেশী এবং স্বজনেরা জানিয়েছেন, রাতভর বৃষ্টির কারণে হঠাৎ ভোররাতে পাহাড় ধসে পড়ে। তখন ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশকে বারবার কল করা হলেও কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করেও কেউ সাড়া দেয়নি। পরে স্থানীয়রা মাটি কেটে তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করে।

জানা গেছে, নিহত আনোয়ার হোসেন বাদশা ঘোনা ওমর ফারুক জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম। তার সাথে ৭ মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মাইমুনা। তাদের এই অকাল মৃত্যুতে শোকাভিভূত বাদশা ঘোনা এলাকার মানুষ এবং তাদের আত্মীয়স্বজন।

এদিকে, কয়েকদিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে কক্সবাজারে। বুধবার (১৯ জুন) কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসের ১০ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ২ জন স্থানীয় এবং ৮ জন রোহিঙ্গা রয়েছে।

;