কয়েক মাসের পরিকল্পনায় এমপি আজীম হত্যা: ডিবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, রাজধানীর গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় বসে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন তার বাল্যবন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার আক্তারুজ্জামান শাহীন।

শাহীনের পরিকল্পনায় হত্যার কাজটি করেন পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমান উল্লাহ আমান ওরফে শিমুল।

তিনি বলেন, শাহীন দুই থেকে তিন মাস ধরে আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তবে গোয়েন্দা পুলিশের শক্তিশালী তদন্ত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতার কারণে তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কলকাতাকে বেছে নেন।

বৃহস্পতিবার (২৩) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সস্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান বলেন, কলকাতায় গত ১৩ মে বাংলাদেশের সংসদ সদস্য আনারকে অত্যন্ত নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশ গুম করার জন্য পৈশাচিকভাবে মরদেহ টুকরো টুকরো করে বিভিন্ন স্থানে ফেলে দেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে ঘটনায় জড়িত মূল হত্যাকারীসহ গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি, সংসদ সদস্য আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় দুই থেকে তিন মাস আগে।

তিনি বলেন, ঢাকার গুলশান ও বসুন্ধরায় বসে একাধিকবার আলোচনা করেছেন তারা। আনারকে হত্যা করতে প্রথমে তারা বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে ডিএমপির ডিবি তদন্ত সক্ষমতার কথা চিন্তা করে তারা দেশের বাইরের মাটিতে পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এপ্রিল মাসের ২৫ তারিখ কলকাতায় তারা বাসা ভাড়া করেন। সে বাসায় নিহত সংসদ সদস্যের বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীন, তার বান্ধবী এবং পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আমান উল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ওঠেন। মূলত, পরিবার নিয়ে থাকার তথ্য দিয়ে বাড়ির মালিকের সঙ্গে চুক্তি করা হয়।

হারুন আরো বলেন, হত্যাকারীরা দুই মাস ধরে সংসদ সদস্যকে নজরদারিতে রাখছিলেন, কখন তিনি কলকাতায় যান। সংসদ সদস্য বিভিন্ন সময়ে কলকাতায় যেতেন। সেখানে তিনি দীর্ঘদিন বাস করেছেন। সেখানে তার বন্ধু-বান্ধব রয়েছেন। তারা এই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন।

তিনি বলেন, সংসদ সদস্য আনার কলকাতায় গিয়ে তার বন্ধুর গোপালের বাসায় গিয়ে ওঠেন। তারা জানতেন ১২ মে সংসদ সদস্য আজীম কলকাতায় যাবেন। হত্যার পরিকল্পনাকারীরা ৩০ এপ্রিল কলকাতায় গিয়ে স্থানীয় দুজনকে ঠিক করেন। তারা হলেন- জিহাদ ওরফে জাহিদ ও সিয়াম। হত্যার পরিকল্পনাকারী শাহীন হত্যার পর কোন গাড়ি ব্যবহার করা হবে, কাকে কত টাকা দিতে হবে, সেগুলো ঠিক করে ১০ মে বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

নিহত সংসদ সদস্য কলকাতায় যাওয়ার পর ১৩ তারিখ ওই বাসায় যান। যাওয়ার পথে একটি সাদা গাড়িতে করে ফয়সাল নামের এক ব্যক্তি তাকে নিয়ে যান। গাড়িটি কিছু পথ যাওয়ার পরে হত্যাকারী আমান উল্লাহ সেই গাড়িতে ওঠেন। গাড়িটির চালক ছিলেন রাজা। সেই বাসায় যাওয়ার পর মোস্তাফিজসহ তারা বাসায় প্রবেশ করেন। বাসাটিতে আগে থেকে জাহিদ ও সিয়াম অবস্থান করছিলেন।

১৩ তারিখ দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে বাসায় প্রবেশ করেন আনোয়ারুল আজীম। এর ৩০ মিনিটের মধ্যেই হত্যা করা হয় তাকে। হত্যার পরে ঘাতকেরা সংসদ সদস্যের মোবাইল ফোন দিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ম্যাসেজ পাঠান।

এরপর তারা মরদেহের হাড় থেকে মাংস আলাদা করেন। পরবর্তীতে দুটি ব্রিফকেসে করে জিহাদ ও সিয়াম মরদেহ গাড়িতে করে ফেলে দেন যাতে হত্যার পরে সংসদ সদস্যের চিহ্ন না থাকে। কাজ শেষ করে ১৫ তারিখ আমান উল্লাহ ও শাহীনের প্রেমিকা শিরিস্তি দেশে ফিরে আসেন। সবাই ফিরে আসায় হত্যার মাস্টারমাইন্ড শাহীন বিমানে করে দিল্লি গিয়ে সেখানে ২ ঘণ্টার ট্রানজিট নিয়ে কাঠমাণ্ডু চলে যান। সেখান থেকে অন্য কোনো দেশে চলে যান তিনি।

ডিবি প্রধান হারুন আরো বলেন, হত্যার বিষয়টি প্রকাশ হওয়ার পর দেখা গেছে, হত্যাকারীরা তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতে নিহত সংসদ সদস্যের দুটি মোবাইল ফোন দুইদিকে নিয়ে যান। এরপর তারা বিভিন্নজনকে বার্তা পাঠানো ও কল করতে থাকেন, যাতে তদন্তকারীরা বুঝতে পারেন তিনি জীবিত আছেন।

এমন কী গত ১৮ তারিখ এমপির ব্যক্তিগত সহকারীকে একটি ম্যাসেজ পাঠায়, ‘আমি দিল্লি যাচ্ছি। আমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আছেন। দিল্লির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ’র সঙ্গে আমার একটি মিটিং আছে’!

এই বার্তাগুলো আমরা যখন পেয়েছি, তখনই বুঝতে পেরেছি, হত্যাকারীরা নিজেদের আড়াল করতে এই বার্তা পাঠিয়েছেন। হত্যাকারীরা দুটি মোবাইল ফোন কলকাতার বিভিন্ন অঞ্চল ও বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় পাঠিয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে তারা এই হত্যাকাণ্ডটি করে ফেলেছেন।

   

আজ যেসব এলাকার রাস্তা এড়িয়ে চলবেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আজ যেসব এলাকার রাস্তা এড়িয়ে চলবেন

আজ যেসব এলাকার রাস্তা এড়িয়ে চলবেন

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ রোববার (২৩ জুন)। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের পথ হেঁটে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রচনার সূতিকাগার দলটির ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। এরপর দুপুর ২টা ৩০মিনিটে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোববার (২৩ জুন) ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তৎসংলগ্ন এলাকার কিছু সড়কে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ বা সীমিত করা হবে। এর মধ্যে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, শাহবাগ ক্রসিং, কাটাবন ক্রসিং, টিএসসি, দোয়েল চত্বর ও মৎস্য ভবন ক্রসিংয়ে যানবাহন চলাচল সীমিত রাখবে ডিএমপির ট্রাফিক-রমনা বিভাগ।

এ অবস্থায় নগরবাসীকে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ করছে ডিএমপি।

রমনা-ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশনায় সমাবেশে আগত গাড়িগুলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়াম মাঠ, মুহসীন হল মাঠ ও ফুলার রোডে পার্কিং করার জন্য বলা হয়েছে। 

;

রংপুর থেকে বগুড়া পৌঁছতে ৮ ঘণ্টা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক থেকে রাত ১০টার বাসটি ভোরে ঢাকায় পৌঁছার কথা। ভোর গড়িয়ে গেছে বগুড়া পার হতেই। পাক্কা ৮ ঘণ্টা সময় লেগেছে রংপুর-বগুড়ার ১০০ কিলোমিটার রাস্তায়।

মহাসড়কে মহাজ্যামের দুর্বিষহ রাত পেরিয়ে ভোরের আলো যাত্রীদের মনে আশার আলো সঞ্চার করার অনেক নজীর রয়েছে। ভোরের আলোর সঙ্গে সঙ্গে ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতা বেড়ে যায়, ধীরে ধীরে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু আজকে তার লেশমাত্র নেই। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর পশ্চিমে এক জায়গায় ২ ঘণ্টা ধরে থমকে আছে বাসটি। শুধু বাসটি বললে ভুল হবে, শতশত নয় হাজার হাজার বাস-ট্রাক-প্রাইভেট গাড়ি।

ঈদের আনন্দ শেষে কর্মস্থলে ফেরা লোকজন মহাবিড়ম্বনায় পড়ে গেছেন। বিশেষ করে নারী শিশুদের ত্রাহী অবস্থা। তাদের না আছে খাবারের কোন ব্যবস্থা, না আছে জরুরি প্রয়োজন সারবার কোন সুযোগ। ঈদ যাত্রার এই দুর্ভোগ নিত্য দিনের চিত্রে পরিণত হয়েছে।

আগে যখন ফেরীতে পার হতে হতো তখন নানা দুর্ভোগ হতো। কখনও কুয়াশায় ফেরী বন্ধ, কখনও আবার ডুবোচরে আটকে রাত কাবার। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু হওয়ার পর মনে হয়েছিল এবার বুঝি দুখের অবসান হল। কিন্তু কপালে সুখ বেশিদিন টিকল না। সাভার, নবীনগর, আশুলিয়ায় জট তৈরি হতে থাকল। এরপর যখন ঢাকা-টাঙ্গাইল চার লেন হল, তখন এদিকে জট কমে গেলো, এলেঙ্গা ও সেতুর টোল প্লাজায় দুর্ভোগ শুরু। এখন এলেঙ্গা, সিরাজগঞ্জে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়।

এখন বলা হচ্ছে টাঙ্গাইল-রংপুর চার লেন হলে যানজট থাকবে না। চার লেন অনেকটা হয়েছেও কিন্তু দুর্ভোগ কমেনি। ময়মনসিংহ রুটেও চার লেন হয়েছে কিন্তু অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। এর জন্য সবার আগে প্রয়োজন শৃঙ্খলা ও আইনের কঠোর প্রয়োগ

রাস্তায় জটের কারনে কয়েক বছর ধরে বাসের সূচি লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়া নিয়তিতে পরিণত হয়েছে। যানজটের কারণে নির্ধারিত সময়ে যাত্রী পৌঁছে দিয়ে ফিরতে পারেনি বাসগুলো। এমন সময় গেছে ২০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে বাস ছেড়ে গেছে। ২০১৯ সালে বিলম্ব করতে করতে শেষ দিকের বাসগুলোর যাত্রা বাতিল করা হয়।

এ মাসের ২২ জুনেও অনেক বাস বিলম্বে ছেড়েছে রংপুর থেকে। শ্যামলী পরিবহনের রাত ৯.৩০ টার বাস ছেড়েছে রাত ১ টায়। এতে করে শুরুতেই দুর্ভোগ পিছু নিয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত পিছনে লেগে রয়েছে। অথচ আরও কয়েক ঘণ্টা আগেই ঢাকায় পৌঁছার কথা ছিল। আন্তর্জাতিক মানদন্ড বিবেচনা করলে ঢাকা-রংপুর ৩ ঘণ্টার পথ। কিন্তু ৬ থেকে ১০ ঘণ্টা ধরে নিয়েই অনেকে যাত্রা শুরু করেন। তার সাড়ে ১০ ঘণ্টা খেয়ে ফেলেছে অর্ধেক পথেই।

;

ছুটি শেষে ব্যস্ততা ফিরেছে নগরীতে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ব্যস্ত রাজধানী / ছবি: বার্তা২৪

ব্যস্ত রাজধানী / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে একে একে রাজধানীতে ফিরেছে কর্মব্যস্ত মানুষজন। আবারো পুরানো সেই রুটিন মেনে ছুটছে অফিসে। সকাল থেকেই নিত্যদিনের মানবব্যস্ত নগরীর রূপ ফিরে পেতে শুরু করেছে ঢাকা। 

রোববার (২৩ জুন) সকালে রাজধানীর পথে আবার মানুষ এবং যানবাহনের ভিড় বাড়তে দেখা যায়। কর্মমুখী মানুষ কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ছুটে চলেছে অফিসের উদ্দেশ্যে। মহানগরী ফিরে যাচ্ছে স্বাভাবিক রুটিনে। 

গত ১৩ জুন থেকে পবিত্র ঈদ উপলক্ষে ছুটি শুরু হয়। স্থানভেদে বিভিন্ন কর্মস্থলে ছুটি চলছিল এতদিন। রোববার থেকে প্রায় সব জায়গায় আবার কাজ শুরু হয়েছে। এতদিন ফাঁকা হয়েছিল রাজধানী। রাস্তাঘাটে ছিল না যানযট কিংবা অতিরিক্ত মানুসের ভিড়। পরিবারের সঙ্গে লম্বা ছুটি কাটিয়ে আবার কর্মস্থলে ফিরেছে সকলে। স্বাভাবিক রুটিনে ফিরে এসেছে জীবন। 

যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে এখনো গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোতে ঈদের সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন ছুটি দেওয়া হয়েছে। ২ জুলাই ছুটি শেষে শিক্ষার্থীরাও আগের রুটিনে ফিরবে। কলেজে ছুটি শেষ হবে ২৪ জুন।  

;

ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি মানের’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি মানের’

ঢাকার বাতাস আজ ‘মাঝারি মানের’

  • Font increase
  • Font Decrease

বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত তুলে ধরা সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার'র তথ্যানুযায়ী বিশ্বের ১১৮টি শহরের মধ্যে আজ রোববার (২৩ জুন) সকালে রাজধানী ঢাকার অবস্থান ১৫তম। এসময় ঢাকার স্কোর ছিল ৮৫। বাতাসের এই মান ‘মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের’ বিবেচনা করা হয়।

রোববার (২৩ জুন) সকালে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি।

সংস্থাটি জানায়, আজ সকাল ৯টার দিকে বায়ুদূষণে প্রথম অবস্থানে ছিল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা। আইকিউএয়ারের সূচকে শহরটির স্কোর ১৭৪।দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে যথাক্রমে ভারতের দিল্লি ও বাহরাইনের মানামা। দিল্লির স্কোর ১৬৮। মানামার ১৫৭।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বাতাস।

স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।

;