সালিশের নামে উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার অর্থ আত্মসাৎ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে নৌ বন্দরের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা ভূমি ও অবকাঠামোর জন্য পাওয়া ৬ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের না দিয়ে শালিসের বাহানায় আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি ও উপজেলা বিএনপি নেতা মো. জাকির হোসেনের কাছে রেখে দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের নাছির আহমেদ সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলার চর চারতলা গ্রামের হাবিব মিয়ার মেয়ে হাসি আক্তার জুঁই।

লিখিত বক্তব্যে জুঁই বলেন, জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চর চারতলা মৌজার ৪৪০/৩৩১৮ দাগের এক একর ভূমি নৌ বন্দরের অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করে সরকার। অবকাঠামো বিলসহ অধিগ্রহণ মূল্য নির্ধারণ করা হয় ২৬ কোটি ৮৪ লাখ, ৪১ হাজার ৯৫৩ টাকা। আমরা উক্ত ভূমির বৈধ মালিক হলেও উপজেলার মৈশাইর গ্রামের শাহজাহান মিয়াসহ আরো কয়েকজন জাল দলিল ও ভুল বিএস খতিয়ানের মাধ্যমে অধিগ্রহণকৃত ভূমি তাদের নামে খারিজ করে নেয়। নামজারি করতে গিয়ে ২০.১২.১৯৫২ সালে সম্পাদিত ৪৩৬৪ নং একটি দলিলের জাল অনুলিপি প্রদর্শন করা হয়। অথচ রেকর্ড রুমে তল্লাসী দিয়ে পাওয়া যায় ৪৩৬৪ দলিলাদি সরাইল উপজেলার বেহাইর মৌজার যা ০৪.১২.১৯৫২ সালে সম্পাদিত হয়েছে। অথচ আমরা উক্ত ভূমির প্রকৃত ওয়ারিশের কাছ থেকে ক্রয়সূত্রে বৈধ মালিক হওয়ায় আদালতে মামলা দায়ের করি। ফলে অধিগ্রহণের টাকা আটকে যায়। যা কোন পক্ষের মাধ্যমেই তা উত্তোলন করা যাচ্ছিল না।

এমতাবস্থায় আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি ও উপজেলা বিএনপি নেতা জাকির হোসেন ২৮.১১.২০২১ তারিখে আমাদের ডেকে নিয়ে উভয় পক্ষকে সমঝোতার মাধ্যমে অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন করে সমবন্টনের প্রস্তাব দেয়। আমরাও সরল বিশ্বাসে মীমাংসার স্বার্থে তাদের কথা বিশ্বাস করে আমাদের দায়ের করা মামলা ৪১০/২০১৯ তুলে নেই। একই তারিখে হানিফ মুন্সি ও জাকির হোসেন আমাদের ৪ জনের কাছ থেকে নন জুডিশিয়াল খালি স্ট্যাম্পে এবং স্ব স্ব একাউন্টের ব্যাংক চেকে টাকার অংক না বসিয়ে স্বাক্ষর নেয়। পরে মিমাংসার স্বার্থে আমাদের আপত্তি না থাকায় শাহজাহান মিয়ার মাধ্যমে অধিগ্রহণের টাকা উঠানো হয়। উঠানো টাকার মধ্যে ৬ কোটি টাকা হানিফ মুন্সির কাছে জমা রাখে। যা পরবর্তীতে সমঝোতার ভিত্তিতে বণ্টন করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু হানিফ মুন্সি এই টাকা আমাদের না দিয়ে ৩ বছর যাবত তার কাছে আটকে রেখেছে। যা এলাকার সকলেই জানেন। আমরা এই বিষয়ে তার কাছে বার বার গেলেও সে আমাদের টাকা না দিয়ে ঘুরাচ্ছেন। অথচ আমরা মামলা মোকাদ্দমা করে টাকা পয়সা খরচ করে অতিকষ্টে আমরা দিনে পার করছি। এই টাকার শোকে আলম খা স্টোক করে মৃত্যুবরণ করেন। তার ছেলেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে। এসব ঘটনা সুরাহা না হওয়ায় আমরা আবারো আদালতে পি২৮৮/২০২৪ একটি মামলা দায়ের করেছে।

এসব বিষয়ে মৃত আলম খার ছেলে জামাল খা বলেন, ৬ কোটি টাকা আমরা পাওয়ার কথা থাকলেও শালিসের নাম করে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. হানিফ মুন্সি ও উপজেলা বিএনপি নেতা জাকির হোসেন তা নিজেদের কাছে আটকে রাখছে। আমরা গরিব মানুষ একদিকে জমি ও বাবাকে হারিয়েছি, অন্যদিকে টাকা। আমরা এখন সব হারিয়ে নিঃস্ব। আমরা আমাদের প্রাপ্য টাকা চাই।

ভুক্তভোগীদের ওয়ারিশ মো. কুদ্দুস মিয়া বলেন, আমরা এই টাকার জন্য বার বার হানিফ মুন্সিও জাকির হোসেনের কাছে গেলেও তারা আমাদের পাত্তাই দিচ্ছে না। এনিয়ে উপহজলায় বেশ কয়েকবার চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন। আমরা আমাদের অধিকারের টাকা চাই।

এসব বিষয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো.হানিফ মুন্সি বলেন, যারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদের মধ্যে কেউ এই টাকা পাওনা না। তারা উদ্যেশ্যমূলকভাবে ও আমাকে হয়রানি করার জন্য এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সবকিছু মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমরা কারো প্রাপ্য টাকা আমাদের কাছে রাখিনি। যারা অভিযোগ করেছে তাদের মামলা আদালতে খারিজ করে দিয়েছে। তাই কোন ভাবেই তারা টাকা পাওনা না। একটি মহল আমাকে নির্বাচনে ঘায়েল করার জন্য এই নাটক সাজিয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আলম খার ছেলে জামাল খা, রাজন খা, ওমর খার স্ত্রী খালেদা বেগম, কুদ্দুস মিয়ার স্ত্রী ফরিদা বেগম, কুদ্দুস মিয়া প্রমূখ।

   

বাহাদুর-কালাপাহাড় নিয়ে বিপাকে মালিক দ্বীন মোহাম্মদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানা এলাকা থেকে ১৬ মণ ওজনের বাহাদুর আর ১৯ মণ ওজনের কালাপাহাড় নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মালিক দ্বীন মোহাম্মদ। তার দাবি হাটে আসার পর প্রথম দিন দামাদামি হলেও এখন কেউ দাম বলছে না। বড় গরু হওয়ায় কেউ এখন নিতে চাচ্ছেন না।

রোববার (১৬ জুন) দুপুরে কমলাপুর হাটের প্রবেশ মুখেই বাহাদুর আর কালাপাহাড় নিয়ে দুশ্চিন্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মালিক দ্বীন মোহাম্মদকে।

বাহাদুর আর কালাপাহাড়ের মালিক দ্বীন মোহাম্মদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, গ্রামে একটি এনজিও থেকে ঋণ গরু লালন পালন করছি। বড় স্বপ্ন ছিল গরু দু'টো বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করে খামারটিকে বড় করব। কিন্তু এই হাটে ৫ দিন হয়ে গেলেও বড় গরু হওয়ায় কেউ দাম বলছে না। অনেকে দাম বলছে তাতে বিক্রি করলে আমার লোকশান হবে গরু প্রতি এক থেকে দেড় লাখ টাকা।

দ্বীন মোহাম্মদ কান্না কণ্ঠে বলেন, কুষ্টিয়া থেকে এই গরু ঢাকায় আনতে ট্রাক ভাড়া ২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ঢাকায় আসার পর প্রতিদিন গরুর খাবারসহ দেড় থেকে দু'হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। এই গরু বিক্রি করতে না পারলে আবার ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে কুষ্টিয়ায় নিয়ে যেতে হবে।


দ্বীন মোহাম্মদের মত সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে শাহীওয়াল জাতের বিশাল চারটি গরু নিয়ে এসেছেন শহীদুল। একেকটি গরু ১৮ মণ ওজন। গত ১২ জুন বুধবার হাটে আসছেন তিনি। বার্তা২৪.কমকে বলেন, খামারে লালন পালন করে যে টাকা খরচ হয়েছে তার চেয়ে অনেক কম দাম বলছে। এখন আজকে বিক্রি না হলে আবার খামারে নিয়ে যাবেন গরুর মালিক শহিদুল।

তিনি আরও বলেন, কমলাপুর হাটে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। বড় গরু কেউ নিতে চাচ্ছেন না। কিন্তু লোকশান দিয়ে গরু বিক্রি করবো না।

এদিকে সকাল থেকে কমলাপুর হাট ঘুরে দেখা যায়, এই হাটে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে যেমন ট্রাকে করে গরু আসছে। তেমনি বিক্রিও হচ্ছে। ছোট মাঝারি গরুর চাহিদা থাকায় বিক্রিও হচ্ছে বেশি। যারা বড় গরু নিয়ে আসছেন তারাই বিপাকে পড়ছেন।

;

বরিশালে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কা, নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল ঢাকা মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারবাহী ট্রাকের পেছনে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন।

রোববার (১৬) জুন সকালে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ব্র্যাক অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, সোহাগ (১৮) ও প্রায় ৩০ বছর বয়সী অজ্ঞাত পরিচয়ের এক যুবক।

আহতরা হলেন- জিয়াউল করিম (৩৩), জাহাঙ্গীর মোল্লা (৪৫), একরামুল (২৬), আরিফ (৩০) ও ইমন (৩০)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে ব্যাপারী পরিবহনের একটি বাস যাত্রী নিয়ে বরিশালের নথুল্লাবাদ টার্মিনালের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই একটি ট্রাক মহাসড়কে দাঁড়ানো ছিল। এ সময় দ্রুতগতির বাসটি থেমে থাকা ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রাকটি ছিটকে পাশের পুকুরে পড়ে যায়। বাসের সামনে অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় দুইজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

;

ঈদের ছুটিতে বাসার মূল্যবান সম্পদ থানায় রাখা যাবে: সিএমপি কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেছেন, ঈদের ছুটিতে প্রতিবছরই স্বজনদের সাথে ঈদ করতে নগরবাসী শহর ছেড়ে যায়। এসময় শহর ফাঁকা হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আমাদের একটি অভিজ্ঞতা আছে। আমি পরামর্শ দিচ্ছি যে, আপনাদের মূল্যবান যদি কোনো সম্পদ থাকে সেগুলো আত্মীয়-স্বজনের বাসায় কিংবা থানায়ও রাখতে পারেন।

শনিবার (১৫ জুন) নগরের চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকার কর্ণফুলী পশুর হাটের সার্বিক নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে সেসকল প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের একসাথে ছুটি না দিয়ে পালাক্রমে ছুটি দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আর কোনো রকম ব্যত্যয় পরিলক্ষিত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেবেন। পাশাপাশি যাদের অবস্থা ভালো আছে তাদেরকে বলেছি, আপনারা আইপি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান। যেন আপনি দূরবর্তী স্থান থেকেও আপনার প্রতিষ্ঠানের অবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। সেই অনুসারে প্রয়োজনে পুলিশের সাথে যোগাযোগও করতে পারবেন।'

ঈদে নগরবাসীর নিরাপত্তায় চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় সাজানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদকে ঘিরে আমরা চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমাদের পোশাকি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, আমাদের সাদা পোশাকে ব্যবস্থা আছে। আমাদের স্পেশালাইজড টিম প্রস্তত আছে। তাছাড়া আমরা ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্টের সাহায্য নিয়েছি। আমাদের থানার বিভিন্ন ধরনের গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে।'

নিরাপত্তা ব্যবস্থা তিনভাগে ভাগ করার কথা জানিয়ে কমিশনার বলেন, ‘যেকোনো উৎসব-পার্বনে আমাদের সদস্যরা খুব কমই ছুটিতে যেতে পারে। আমরা নিরাপত্তা স্তরকে তিনভাগে সাজিয়েছি। ঈদের পূর্ব সময় পর্যন্ত এক ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে। সেখানে আমাদের অধিক সংখ্যক সদস্য নিয়োজিত থাকবে। ঈদের দিন ঈদ জামায়াতকে কেন্দ্র করে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়া ঈদ পরবর্তী এক সপ্তাহ আরেকটি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। সেই ধরনের কর্মসূচি আমাদের নেওয়া আছে। আমরা আশা করছি আমাদের গৃহীত ব্যবস্থা এবং সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় আমরা নগরের নিরাপত্তা অক্ষুণ্ন রাখতে পারবো।’

পশুরহাটের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি যেখানে-সেখানে যেন পশুরহাট না বসে। আমরা এক্ষেত্রে অনেকাংশেই সফল হয়েছি। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে অনেকটাই ধারণা ছিলো। কোনো কোনো সময় স্থানীয় লোকজন নানা ধরনের অত্যাচার করে থাকে ইজারাদারদের। আমার সে বিষয়েও খোঁজখবর নিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত বড় কোনো অভিযোগ পাইনি। এরইসাথে এক হাটের গরু জোরপূর্বক আরেক হাটে নেওয়ার যে প্রবণতা ছিল সেটা এ বছর নেই বললেই চলে। আমরা এ পর্যায়ে এসে বলতে পারি যে, আমাদের গৃহীত ব্যবস্থা এবং যারা সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা এবারের পশুরহাটে সন্তোষজনক অবস্থা বজায় রাখতে পেরেছি। আশা করছি, ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এ অবস্থা অটুট থাকবে।’

‘ঈদের দিনের জন্য আমাদের একটি বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতি হাটে জালনোট শনাক্তকরণ ব্যবস্থা রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা আছেন। কিছু কিছু মার্কেটে ক্যাশলেস লেনদেনের ব্যবস্থা আছে। সবমিলিয়ে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অজ্ঞান পার্টির যে প্রবণতা থাকার কথা, অতীত অভিজ্ঞতা বলে এটা এবারও থাকতে পারতো। আমরা তাই ইজারাদারদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় রেস্টুরেন্ট করতে বলেছি। আর সেই রেস্টুরেন্ট যেন পরিচিত কেউ চালায় সে ব্যবস্থা করতে বলেছি, যাতে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশনের শঙ্কা না থাকে।’

চোরাই পথে গরু আসলে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘চোরাই এবং অবৈধ গরু যদি শনাক্ত হয় বা অভিযোগ আসে তাহলেই ব্যবস্থার প্রশ্ন আসবে। কিন্তু যখন একটি গরু নিয়ে আসা হবে তখন চট করে বোঝা যাবে না এটি চোরাই কিংবা অবৈধ কিনা। আমাদের চট্টগ্রামের বড় বড় মার্কেটে যেসকল বেপারিরা গরু নিয়ে আসেন তারা সাধারণত নির্ধারিত। তারা এই মার্কেটগুলোর সাথে অনেকদিন ধরে সংযুক্ত আছেন। যদি কোনো অভিযোগ আসে এবং যেখান থেকে চুরি হয়েছে সেখানের সোর্স থেকে খবর পাই তবে সোর্সের সাথে কানেক্টেড হয়ে তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহতাব উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) প্রকৌশলী আবদুল মান্নান মিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মাসুদ আহাম্মদ, উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আব্দুল ওয়ারীশ, উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-পশ্চিম) মো. তারেক আহম্মেদ, চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির প্রমুখ।

;

নওগাঁয় প্রতি কেজি লেবুর দাম ২০ টাকা



শহিদুল ইসলাম,ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
নওগাঁয় অঢেল লেবু / ছবি: বার্তা২৪

নওগাঁয় অঢেল লেবু / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই কোরবানি ঈদ, তাই ঈদকে ঘিরে বাজার করার ব্যস্ততা বেড়েছে মানুষের মধ্যে। মাংসের মসলা থেকে শুরু করে শাক-সবজি, চাল-ডাল, লবণ ইত্যাদি কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতা বিক্রেতা। পোলাও বা ভাতের পাতে শসা আর লেবুর চাহিদাও ব্যাপক। সচরাচর এই লেবু হালি হিসেবে বিক্রি হলেও সেটি ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে নওগাঁয়। সেই সুযোগে লাইন ধরে কিনছেন ক্রেতারা। 

আজ রবিবার (১৬ জুন) দুপুরে সরেজমিনে নওগাঁ পৌর কাচা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন জাতের লেবু প্রচুর পরিমাণে সরবরাহ হয়েছে। কয়েকজন লেবু ব্যবসায়ী বস্তার উপরে লেবু ঢেলে প্রতি কেজি ২০ টাকা করে ডাকছেন। এমন সহজলভ্যতায় ক্রেতারা অবাক হয়ে লাইন ধরে লেবু কিনছেন, কারণ লেবু কেজি দরে বিক্রি হবার কথা না। 

নওগাঁয় অঢেল লেবু / ছবি: বার্তা২৪

পার-নওগাঁ এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন,‘লেবু বাজারে প্রচুর উঠেছে। তাই হয়তো এতো কম দামে পাচ্ছি। খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে; কিন্তু এখানে কম দামে পেয়ে গেলাম, তাই ২ কেজি কিনলাম। বাসায় সবাই লেবু পছন্দ করে।’

স্থানীয় বাসিন্দা গৃহবধূ সামিহা বলেন, ‘আমার স্বামী হাটে গিয়েছে কোরবানির গরু কিনতে। এদিকে আমি কাঁচা বাজার করতে আসলাম। এসে দেখি লেবু ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, তাই ১ কেজি নিলাম। আমিতো প্রথমে অবাক হয়েছি যে, কেজি দরে লেবু বিক্রি হয় নাকি আবার!’  

লেবু ব্যবসায়ী নাহিদ বলেন, ‘লেবুর এবার উৎপাদন ব্যাপক হয়েছে ও সরবরাহ বেশি এজন্য লেবুর দাম কম। আমরা আরো কম দামে কিনেছি বলেই কম দামে বিক্রি করতে পারছি। প্রতি কেজি লেবু বিক্রি ২০ টাকা শুনে মোটামুটি সবাই ২-১ কেজি কিনছেন।’

নওগাঁয় অঢেল লেবু / ছবি: বার্তা২৪

আরেক ব্যবসায়ী জানান, ‘আমি ১ টা লেবু ১ টাকা করে বিক্রি করতেছি। আর ৪ টা ৪ টাকা। লেবু যেহেতু বাজারে অনেক উঠেছে, সেজন্য দাম বেশি ধরলে কেউ কিনবে না। তাই কম দামেই দিয়ে দিচ্ছি। অনেকেই কেজি দরেই বেশি কিনছেন।’

লেবুর খুচরা ব্যাবসায়ী সামসুল বলেন,‘আমি ৪ টা লেবু বিক্রি করছি ১২ টাকা। কারণ পাইকারি কিনে যদি সামান্য লাভ না করি, তাহলে তো আর সংসার চলবে না।‘

;