খুলনার বাজারে কাঁচা মরিচের আকাশছোঁয়া দাম



ডিস্ট্রিক করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খুলনা
ছবি: কাঁচা মরিচ

ছবি: কাঁচা মরিচ

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদের পর থেকে খুলনার বাজারগুলোতে কাঁচা মরিচের দাম আকাশছোঁয়া পর্যায়ে পৌঁছেছে। রান্নার অন্যতম এই উপাদানটির বর্তমান মূল্য দাঁড়িয়েছে কেজি প্রতি ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকায়। যা সাধারণ মানুষের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কাঁচা মরিচ আমাদের খাদ্য সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। যা প্রায় সব বাঙালি রান্নায় ব্যবহার করে। এর ঝাঁঝালো স্বাদ এবং সুগন্ধ যেকোনো খাবারকে অতুলনীয় করে তোলে। এটি স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী। কাঁচা মরিচে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কাঁচা মরিচের আরও একটি বিশেষ গুণ হল, এটি হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি খেলে রক্ত সঞ্চালনও বাড়ে এবং বিপাক প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। বিভিন্ন রান্নার স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি খাদ্যের পুষ্টিমানও বৃদ্ধি করে। ফলে মানুষের মধ্যে কাঁচা মরিচের একটি আবেদন সব সময় ছিল এবং আছে। অথচ কিছুদিন পর পর এই উপাদানটির দাম বেড়ে যায় আকাশচুম্বি।

ব্যবসায়ীরা জানান, সরবরাহ সংকট এবং অতিরিক্ত চাহিদার কারণে কাঁচা মরিচের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ঈদের পর থেকে বাজারে মরিচের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। ফলস্বরূপ, প্রতিদিনই দাম বেড়েছে রসুই ঘরের এই প্রধান উপদানটির।

ভোক্তারা এ পরিস্থিতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন। খুলনা মহানগরীর মিস্ত্রিপাড়া বাজারে আসা মোঃ আঃ জব্বার ফকির নামের একজন ক্রেতা জানান, ‘রান্নার প্রধান উপাদান হিসেবে কাঁচা মরিচ এমন দামে কেনা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন পর পর এই পন্যটির দাম বাড়ে। কেন বাড়ে? আমি মনে করি এটি ব্যবসায়ীদের কারসাজি।’

নগরীর ময়লাপোতা কেসিসি সান্ধ্য বাজার এলাকায় আসা বকসিপাড়া এলাকার সুমাইয়া রহমান নামের অন্য একজন ক্রেতা বলেন, ‘প্রতিদিনের খাবারের জন্য এত বেশি টাকা খরচ করা সম্ভব না। বাজারের কোন ভারসাম্য দেখছি না। মাঝে মধ্যে মনে হয় ঘন্টায় ঘন্টায় বাজারের প্যণের দর দাম উঠানামা করছে। এর একটি বিহীত হওয়া প্রয়োজন।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানায়, এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে সরবরাহ চেইনের সমস্যা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসলের ক্ষতি। এছাড়া, অন্যান্য বাজারের পরিস্থিতিও এই মূল্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে।

খুলনা বড় বাজার পাইকারি কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, কিছুদিনের মধ্যে সরবরাহ ঠিক হলে দাম কমে আসবে। তবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্রেতাদের এই উচ্চমূল্যেই কাঁচা মরিচ কিনতে হবে।

নগরীর ময়লাপোতা কেসিসি সান্ধ্য বাজার এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী মোঃ সেলিম জানান, ৬০ টাকা পোয়া দরে এখন বিক্রি করছি। তবে গতকাল (২৩ জুন) দাম আরো বেশি ছিল। আজ (২৪ জুন) একটু কম। তবে আবার বাড়তে পারে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।

আনসার আল ইসলামের নতুন জঙ্গী শাখা ‘আস-শাহাদাত’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার শহরের চৌফলদন্ডিতে একটি মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’র তিন সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী বই, লিফলেট ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে র‌্যাব-১৫ সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

আটকরা হলেন, জামালপুরের ইসলামপুর এলাকার আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে জাকারিয়া মন্ডল (১৯), ভোলার বোরহান উদ্দিনের মো. নুরুল আমিনের ছেলে নিয়ামত উল্লাহ (২১) ও ফেনীর সোনাগাজীর ইদ্রীস আলীর ছেলে মোহাম্মদ ওজায়ের (১৯)।

এসময় কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৫ এবং র‍্যাব-৭ এর যৌথ আভিযাত্রিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কক্সবাজারের চৌফলদন্ডি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’-এর তিন সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০টি উগ্রবাদী বই, ২৯টি লিফলেট ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম।"

 ‘আনসার আল ইসলাম’র তিন সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আটকরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সক্রিয় সদস্য। তারা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আল কায়েদা মতাদর্শের এই জঙ্গি সংগঠনে যোগ দেয়। র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মিত অভিযানের ফলে আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম প্রায় স্তিমিত হয়ে পড়ে।

আনসার আল ইসলামের নামে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করতে ব্যাহত হচ্ছে বিধায় তাদের কার্যক্রমকে চলমান রাখতে আনসার আল ইসলাম মতাদর্শী ‘আস-শাহাদাত’ নামে নতুন একটি জঙ্গি গ্রুপ তৈরি করে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। এই গ্রুপটি পার্শ্ববর্তী একটি দেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছে এবং এই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা আনুমানিক ৮৫-১০০ জন। এই গ্রুপটির উদ্ভাবক হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশের নাগরিক হাবিবুল্লাহ এবং কথিত আমির সালাহউদ্দিন।’

জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে তিনি আরও বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ও নেতৃস্থানীয় অনেক সদস্য গ্রেফতার হয়। যেহেতু কিছু সংখ্যক সদস্যকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে, তাই এই সংগঠনটিকে তারা পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন রিক্রুটিং করছে।

উঠতি বয়সী কিশোরদের অপব্যাখা দিয়ে সহজে ব্রেন ওয়াশের মাধ্যমে ভূলপথে নেওয়া যায় বিধায় কোমলমতি কিশোরদের তারা প্রথমে টার্গেট করতো। তাই এই সংগঠনের বেশিরভাগ সদস্যই ১৯-২০ বছর বয়সী তরুণ। সাধারণ লেখাপড়ায় শিক্ষিত উগ্র মনোভাবাপন্ন লোকজনকে আকৃষ্ট করার জন্য দেশ বিরোধিতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতো।’

;

হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়ল ২৫ কেজির পাখি মাছ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়ল ২৫ কেজির পাখি মাছ

হাতিয়ায় মেঘনা নদীতে জেলের জালে ধরা পড়ল ২৫ কেজির পাখি মাছ

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে পৃথক সময়ে জেলের জালে ধরা পড়েছে দুইটি পাখি মাছ। পরে ডাকের মাধ্যমে দুটি মাছ ৫ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

শুক্রবার (২৮ জুন) চেয়ারম্যান ঘাটের মৎস্য আড়তে মাছগুলো বিক্রি করা হয়। ওই সময় পাখি মাছগুলো এক নজর দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেঘনা নদীতে মনির মাঝি মাছ ধরতে গেলে ২৫ কেজি ওজনের একটি পাখি মাছ পান। শুক্রবার দুপুরে চেয়ারম্যান ঘাটের মেঘনা ফিশিং এজেন্সিতে নিলামে মাছটি ৩ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এর আগে একই দিন সকালে ১ হাজার ২০০ টাকায় ২০ কেজি ওজনের আরেকটি পাখি মাছ বিক্রি করা হয়। দুটি মাছ নিলামে কিনে নেন এনায়েত বেপারী। ২০ কেজি ওজনের মাছটি নরম হয়ে যাওয়ায় কম দামে বিক্রি করা হয়েছে।

হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান বলেন, এটি একটি সামুদ্রিক মাছ। এ অঞ্চলে এই মাছ পাখি মাছ হিসেবে পরিচিত। খেতে খুব সুস্বাদু। তবে মেঘনা নদী থেকে দুটি পাখি মাছ পাওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।

;

বন্ধের দিনেও খাল খননে ডিএনসিসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উদ্ধারকৃত জমি দখলমুক্ত রাখতে ছুটির দিনেও অভিযান পরিচালনা করে খাল খননের কাজ করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

শুক্রবার (২৮ জুন) মোহাম্মদপুরের সাতমসজিদ হাউজিং এলাকায় সকাল থেকে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। মাঝে জুমার নামাজের বিরতির পর আবারও খনন কাজ চলে।

ডিএনসিসির তথ্য কর্মকর্তা মো. পিয়াল হাছান এ বিষয়টি জানিয়েছেন।

ডিএনসিসির খাল উদ্ধারে টানা তিন দিন ওই এলাকায় অভিযান চলছে। গতকাল অভিযান পরিচালনা করে ৬০টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দিয়ে ১০ বিঘা জমি উদ্ধার করে ডিএনসিসি।

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহে আলম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান, স্থানীয় কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ।

উল্লেখ, আগামীকালও সকাল সাড়ে ১০টা থেকে উচ্ছেদ অভিযান ও খাল খনন কাজ চলবে।

;

স্বপ্ন জয়ের দুই বছরে পদ্মা সেতু

দুই দেশের বানিজ্য ও ভ্রমণ খাতে আমূল পরিবর্তন



আজিজুল হক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বেনাপোল বন্দর

ছবি: বেনাপোল বন্দর

  • Font increase
  • Font Decrease

বাঙালীর স্বপ্ন জয় করে পদ্মা সেতু আজ দুই বছরে পা রেখেছে। চলমান বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও সেতুর কল্যানে সময় ও অর্থ সাশ্রয়ে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে বেড়েছে বানিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত। তবে চলমান বৈশ্বিক মন্দা কাটলে এ সুফল আরো বাড়বে বলছেন বানিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা। বন্দর সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বৈশ্বিক মন্দা কাটলে বানিজ্য আরো গতিশীল হবে।

জানা যায়, বর্তমান সরকারের সময়ে দেশে যেসব উন্নয়নমূলক কার্যক্রম হয়েছে তার মধ্যে পদ্মা সেতু অন্যতম। নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে ২০২২ সালের ২৫ জুন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এ সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকার সাথে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলা যুক্ত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে যশোর জেলার মানুষ। যশোরের বেনাপোলে রয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর। আর ব্যবসা, ভ্রমন, উচ্চ শিক্ষা ও চিকিৎসার কাজে প্রতিবছর ২০ লাগের অধিক যাত্রী যাতায়াত করে। আগে যেখানে ঢাকা থেকে পণ্যবাহী ট্রাক বা যাত্রীবাহী বাস বেনাপোল বন্দরে পৌছাতে ১২ ঘন্টা থেকে অনেক সময় দিন পার হতো। এখন সেখানে ৪ ঘন্টায় পৌছাচ্ছে বন্দরে। এতে পাল্টে গেছে বানিজ্য ও ভ্রমনের চিত্র।

বন্দরের পরিসংখ্যন মতে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। ২০২৩ -২৪ অর্থবছরের ১১ মাসে ভারত থেকে পণ্য আমদানি হয়েছে ১৯ লাখ ৮ হাজার ৯৫৬ মেট্রিক টন। আমদানি বেড়েছে ১০ হাজার ৫৫৬ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরের ১১ মাসে বেনাপোল বন্দর ব্যবহার করেছে ১৯ লাখ ৮৫ হ্জার ৪০৭ জন। যা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১১ মাসে ছিল ১৯ লাখ ৯৮ হাজার ৪৪৭ জন। এক্ষেত্রে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে ১৩ হাজার ৪০ জন। তব। পদ্মা সেতুর আগে এরুটে যাত্রীর পরিমাণ বছরে ১৫ লাখ পাসপোর্টধারী ও আমদানি বানিজ্য ১৮ লাখ মেট্রিক টনের ঘরে ছিল।

বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টস এন্ড এক্সপোর্টস এ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জিয়াউর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, আগে ঢাকা খেকে বেনাপোল বন্দরে পণ্যবাহী ট্রাক পৌঁছাতে ১০ ঘন্টা থেকে পুরা দিন লেগে যেত। এখন পদ্মা সেতু দিয়ে ৪ ঘন্টায় বন্দরে পণ্য পৌঁছায়। বানিজ্য সম্প্রসারনে বড় ভুমিকা পদ্মা সেতুর।

ভারতগামী পাসপোর্টধারী জমির বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, সেতুর কারনে ভোর ৪টার আগে বন্দরে পৌঁছাতে পারছি।যা আগে দ্বিগুন সময় লাগতো। তবে পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে জনবল বৃদ্ধি আর ভোর ৫ টায় বেনাপোর বন্দর খোলা হলে যাত্রি আরো বাড়বে এরুটে।

বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টস এন্ড এক্সপোর্টস সিনিয়র সহসভাপতি আবুল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন,পদ্মা সেতুর সুফলে বানিজ্য ত্বরান্বিত হয়েছে ভারত-বাংলাদেশে মধ্যে। বাড়ছে রাজস্ব আয়ও।

সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বার্তা২৪.কমকে বলেন, পদ্মা সেতুর কল্যানে বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছেন আমদানিকারকেরা। দ্রুত পণ্য গন্তব্যে পৌছানোয় সবাই উপকৃত হচ্ছেন।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের নেতা আমিনুল হক আনু জানান, পদ্মা সেতু দক্ষীন বঙ্গের মানুষের জন্য আর্শীবাদ। ভাঙা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নত হলে এপথে বানিজ্য ও রাজস্ব আয় দ্বিগুন বাড়বে।

বেনাপোল স্থলবন্দর পরিচালক রেজাউল করিম বার্তা২৪.কমকে জানান, পদ্মা সেতু ভারত-বাংলাদেশ বানিজ্য সম্প্রসারনের ক্ষেত্রে আর্শীবাদ। ইতিমধ্যে দুই বছরে সে সুফল এপথে যাতায়াতকারী ব্যবসায়ী ও পাসপোর্টধারীরা পাচ্ছেন। বন্দরে আরো সুবিধা বাড়াতে তারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম শুরু করেছেন। আধুনিক বন্দর রুপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে। ভারত অংশেও তাদের অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ চলছে।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সুত্র জানায়, দুই বছরে সেতুতে ১ কোটি ২৭ লাখ ১৩ হাজার ২৭৫ যান পারাপার করেছে। এতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি ৭৬ লাখ ১৮ হাজার ৩০০ টাকা। দুই বছরের প্রতিদিন গড়ে যান চলাচল করেছে ১৯ হাজার ১৬৮টি। প্রতিদিনের গড় টোল আদায় ২ কোটি ৩২ লাখ ১৪ হাজার ২২২ টাকা। প্রথম বছর ৫৭ লাখ ১৭ হাজার ৪৬টি যান পারাপারে টোল আদায় হয়েছে ৮০১ কোটি ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ২০০ টাকা। আর দ্বিতীয় বছর আয় আরও বেড়েছে। ৬৯ লাখ ৯৬ হাজার ২২৯টি যান পারাপারে টোল আদায় হয় ৮৪৭ কোটি ৩১ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা।

;