গরমে ভোগান্তি

সিলেটে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তাপপ্রবাহে পুড়ছে সিলেট। গত কয়েক দিনের অসহনীয় গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সব শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশেষভাবে খেটে খাওয়া মানুষদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে। ধারাবাহিকভাবে তাপমাত্রা ওঠা-নামা করছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে চলতি বছরের পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে তাপমাত্রার নতুন রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র গরমের মধ্যে তৃষ্ণার্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই শফি আহমদ।

শুক্রবার (২৪ মে) সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সিলেটে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৬ মে চলতি বছরের প্রথম সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সিলেট আবহাওয়া অধিদফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো.সজীব হোসাইন বলেন, আজ শুক্রবার সকাল থেকে সিলেটে মৃদু তাপপ্রবাহ অনুভব করা যাচ্ছে। বিকেল তিনটায় সিলেটের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সিলেটে এ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরা হয়। তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছালে মাঝারি তাপপ্রবাহ ধরা হয়। সে হিসেবে সিলেটে মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে।

শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ার ফলে অফিস আদালতে কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত না হলেও প্রচণ্ড রোদে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন পথচারী ও খেটে খাওয়া মানুষদের। নগরীর রাস্তায় মানুষ কম দেখা গেছে। যানবাহন চলাচলও কম চোখে পড়ে। প্রচণ্ড রোদে লোকজন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না।

এদিকে, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই শফি আহমদের উদ্যোগে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য শরবত বিতরণ করতে দেখা যায়। সিলেট নগরীর মিরের ময়দান এলাকায় রিকশা চালক ও অটোরিকশা চালকদের মধ্যে শরবত বিতরণ করেন।

   

কারাগারের ছাদ ফুটো করে ফাঁসির ৪ আসামির পলায়ন, পরে গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া জেলা কারাগারের ছাদ ফুটো করে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি পালানোর পরপরই তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিবাগত রাত তিনটার দিকে কারাগারে কনডেম সেল থেকে আসামিরা পালিয়ে যায়।

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পালিয়ে যাওয়ার পর পুলিশের হাতে গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থানার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু ওরফে মঞ্জু (৬০), নরসিংদি জেলার মাধবদী থানার ফজরকান্দি গ্রামের মৃত ইসরাফিলের ছেলে আমির হামজা ওরফে আমির হোসেন (৪১), বগুড়া কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদরের কুটিরবাড়ি গ্রামের ইসরাইল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (৩০)।

তারা প্রত্যেকেই হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামি।

পুলিশ সুপার বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চার আসামি ছাদ ফুটো করে বের হয়। এরপর তারা বিছানার চাদর ব্যবহার করে দেয়াল টপকিয়ে বাহিরে বের হয়। ভোর রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে পুলিশের একাধিক টিম সংবাদ পেয়ে শহরে তল্লাশী শুরু করে। ভোর রাত ৪টা ১০ মিনিটে শহরের চেলোপাড়া চাষি বাজার থেকে চারজনকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

তিনি বলেন, পালিয়ে যাওয়ার পরপরই জেলা কারাগার থেকে পাঠানো ছবি দেখে গ্রেফতারকৃতদের শনাক্ত করা হয়। গ্রেফতারের পর চারজনকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয় এবং কারা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে শনাক্ত করেন।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, কারাগার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, তারা চারজন একই সাথে একটি কক্ষে অবস্থান করতো। তারা পরিকল্পিতভাবে ছাদ ফুটো করে পরিধেয় বস্ত্র এবং বিছানার চাদর জোড়া দিয়ে রশি বানিয়ে দেওয়াাল টপকিয়ে পালিয়ে করতোয়া নদীর পার হয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

;

কলাপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ল রাইসমিল, ১০ লাখ টাকার ক্ষতি



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অগ্নিকাণ্ডে একটি রাইসমিল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ২টি ইউনিট, থানা পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আধা ঘণ্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) উপজেলার সাপ্তাহিক হাট বাজারের শেষ মুহূর্তের রাত ৯.৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, পৌর শহরের আন্ধারমানিক নদীর তীরে মৌডুবি ট্রলার ঘাট এলাকার সিরাজুল হক মুন্সির ‘তানভির রাইসমিলে’ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় চাল, হলুদ-মরিচের গুঁড়াসহ অন্যান্য সামগ্রী পুড়ে গেছে।

কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. ইলিয়াস বলেন, খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে।

বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সূত্রপাত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ক্ষতিগ্রস্ত ও প্রত্যক্ষদর্শীরা। মিল মালিক সিরাজুল হক মুন্সি বলেন, এ অগ্নিকাণ্ডে আমার প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তবে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

;

রংপুরে ট্রাক্টরের ধাক্কায় নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রংপুর
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের পীরগঞ্জে ট্রাক্টরের ধাক্কায় এক যাত্রীসহ ব্যাটারিচালিত অটো ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম।

নিহতরা হলেন- পীরগঞ্জের উপজেলার ছাতুয়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে ভ্যানচালক আব্দুর রহমান (৫৫) ও একই উপজেলার বিছনা গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী ফাতেমা বেওয়া (৭৫)।

এর আগে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সন্ধ্যায় পীরগঞ্জ উপজেলার নবাবগঞ্জ-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে ব্যাটারিচালিত অটো চার্জারভ্যানে যাত্রী নিয়ে খালাশপীর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ভ্যানচালক আব্দুর রহমান। উপজেলার গোপীনাথপুর নামক স্থানে পৌঁছালে চার্জারভ্যানকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি ট্রাক্টর। এতে ঘটনাস্থলেই ভ্যানচালক আব্দুর রহমানের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত ভ্যানের যাত্রী ফাতেমা বেওয়াকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে, দুর্ঘটনাস্থল থেকে মাহিন্দ্র ট্রাক্টরটি জব্দ করেছে পুলিশ। ট্রাক্টরচালক ও তার সহকারী পলাতক রয়েছে।

পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, নিহতদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সড়ক পরিবহন ২০১৮ আইনে চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

;

লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার লোহাকুচি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৬ জুন) ভোরে উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের লোহাকুচি গ্রামের ৯১৯ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে ৪-৫ জনের একদল বাংলাদেশী গরু পারাপারকারী জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার লোহাকুচি সীমান্তের ৯১৯নং সীমানা পিলার দিয়ে ভারতের ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় ভারতের কোচবিহার জেলার সিতাই থানার ৭৮বিএসএফের ওয়েষ্ট চামটা ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান নুরুল ইসলাম (৬০)। পরে অন্যরা তার মরদেহ নিয়ে আসে। খবর পেয়ে উপজেলার গোড়ল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত ব্যক্তির নাম নুরুল ইসলাম (৬০)। তিনি ওই ইউনিয়নের লোহাকুচি গ্রামের মৃত্যু মইনুদ্দিনের ছেলে।

লালমনিরহাট ১৫বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,এ বিষয়ে পতাকা বৈঠকের আহবান জানানো হয়েছে।

;