ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝালকাঠিতে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঝালকাঠি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝালকাঠিতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে জোয়ারের পানির উচ্চতা। এতে সুগন্ধা, বিষখালী নদীর পানি স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় প্রায় দুই থেকে তিন ফুট বেড়েছে বলে জানিয়েছেন এসব এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

শনিবার (২৫ মে) সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা যায়, নদীতে পানি বেড়ে বেড়িবাঁধ ছুঁই ছুঁই হয়েছে।

ঝালকাঠির কলেজ খেয়াঘাটের ট্রলার চালক মো.রুবেল বলেন, স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আজকে জোয়ারের পানি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক নিম্ন অঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে।

সরই এলাকার বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘূর্ণিঝড় শুনলেই আতঙ্কে থাকি। রেমালের নাম শুনেছি এখন দেখি নদীর পানির উচ্চতাও বাড়ছে। পানি যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে আর যদি দেড় থেকে দুই ফুট পানি বাড়ে তাহলে বাড়িঘরে পানি ঢোকা শুরু করবে।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, পূর্ণিমার জোয়ার ও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারহা গুল নিঝুম জানান, ঘূর্ণিঝড়ের সময়ে আশ্রয়ের জন্য জেলায় ৮৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬২টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৩৭টি মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের ৮টি উদ্ধারকারী দল।

এছাড়া নগদ ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং জরুরি মুহূর্তে বিতরণের জন্য ৪'শ মেট্রিক টন চাল মজুদ আছে। পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ৪২৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছে। সকল সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারির ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ৬টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।

   

পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নে গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত হাবিবুর রহমান (৩৫) একই গ্রামের জয়নাল আবেদিনের ছেলে। পেশায় তিনি দিনমজুর। ব্যক্তিগত জীবনে হাবিবুর রহমান বিবাহিত এবং দুই সন্তানের পিতা। পাশাপাশি বাবা-মা, এক ছোট ভাই ও স্ত্রী সন্তান সহ ৭ সদস্যের ঐ পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি।

ভূরুঙ্গামারী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যেখানে তার মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখা যায় সেখানে মাছ ধরার জাল ছিলো। সেই জালের দড়ি দিয়েই তাকে ঝুলতে দেখা গেছে।

পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, নিহত হাবিবুর রহমান পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তার বৃদ্ধ বাবা-মা অসুস্থ থাকায় ব্যয়ের বোঝা বেড়ে যায়। এছাড়াও তার ছোট ভাইও তার উপর নির্ভরশীল। দিনমজুরের কাজ করে তেমন আয়ও হচ্ছিলো না। দীর্ঘদিন থেকে তিনি মানসিক চাপে ভুগছিলেন। আজ ভোরে মাছ ধরার উদ্দ্যেশ্যে বাড়ি থেকে জাল নিয়ে বের হলে কিছুক্ষণ পরেই তাকে একটি নালার উপরে গাছের সাথে জালের দড়ি দিয়ে ঝুলতে দেখে এলাকাবাসী। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

তিনি আরো বলেন, এ ব্যাপারে পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় একটি অপমৃত্যুর মামলা গ্রহণ করা হয়েছে এবং মরদেহটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

সাতক্ষীরায় ভয়াবহ লোডশেডিং, প্রচণ্ড গরমে নাকাল মানুষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
লোডশেডিংয়ে কুপি জ্বালিয়ে রান্না/ ছবি: বার্তা২৪.কম

লোডশেডিংয়ে কুপি জ্বালিয়ে রান্না/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে সাতক্ষীরা জেলাবাসী। একদিকে তীব্র তাপদাহ আর অন্যদিকে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাকাল হয়ে পড়েছে জেলার ২৪ লক্ষাধিক মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা। বিদ্যুতের লুকোচুরিতে তাদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে রাতে প্রচণ্ড গরমে ঘুমাতে পারছেন না শিশু এবং বয়স্ক মানুষজন।

অন্যদিকে লোডশেডিংয়ের কারণে জেলার বিসিক শিল্পনগরীতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

সাতক্ষীরা শহরের সরকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বারি জানান, জেলায় তীব্র তাপদাহ চলছে, তার উপর ভয়াবহ লোডশেডিং শুরু হওয়ায় সাধারণ মানুষজন নাকাল হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্ক মানুষজন অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। তাছাড়া আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। এখন যদি শিক্ষার্থীরা ঠিকমত পড়াশুনা করতে না পারে তাহলে পরীক্ষাতে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে তাদের।

পার্শ্ববর্তী কাটিয়া এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, অসহনীয় গরমের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে সাধারণ মানুষজন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। গরমের যন্ত্রণায় রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে মানুষজন রাস্তায় রাস্তায় বেরোচ্ছেন।

সাতক্ষীরা বিসিক শিল্পনগরীর উপ-ব্যবস্থাপক গৌরব দাশ বলেন, বিসিকে উৎপাদনশীল ৪২টি কারখানা রয়েছে। গত তিন দিন যাবত ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে এসব শিল্প কারখানাগুলোতে মারাত্মকভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তিনি দ্রুত বিদ্যুৎ স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম মঞ্জরুল আকতার জানান, জেলায় তাদের ৬ লাখ ২৪ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ১১০ মেগাওয়াট। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৬৮ মেগওয়াট। ঘাটতি থাকছে ৪২ মেগাওয়াট। ফলে গ্রাহকের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে সাতক্ষীরা পিডিবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুনুর রহমান জানান, তার অধিনে সাতক্ষীরাতে ৫৫ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ১৫ মেগওয়াট। এতে করে ঘাতটি থাকছে ৪ মেগাওয়াট। শহরের ১১টি ফিডার রয়েছে। যা থেকে পর্যায়ক্রমে লোডশেডিং ওঠানামা করা হয়। তবে কবে নাগাত বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি।

;

লালমনিরহাটে সেতুর নিচে পড়ে ছিল অর্ধগলিত মরদেহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
সেতুর নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার

সেতুর নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটে মহাসড়কের পাশে সেতুর নিচ থেকে অজ্ঞাত (৫০) এক ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের জুড়াবান্ধা বসুনিয়া বাড়ি এলাকার সেতুর নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের জুড়াবান্ধা বসুনিয়া বাড়ি এলাকায় সেতুর নিচে অর্ধগলিত মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন করে মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

উপস্থিত জনতা কেউ মৃত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করতে পারেনি। পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

;

মানিকগঞ্জে আইনজীবীকে মারধর: হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জে এক আইনজীবী ও তার পরিবারের উপর হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে মানিকগঞ্জ পৌরসভার বেউথা এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষ এই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, হামলাকারীরা সমাজের চিহ্নিত মাদক কারবারি, তারা বিভিন্ন সময়ে চাঁদাবাজি করে বেড়ায়। গত ঈদুল আজহার রাতে অ্যাডভোকেট মুরাদসহ তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা করে। হামলার ঘটনার ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও হামলাকারীদের এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান তারা।

;