পাগলের বেশ ধরেছে কনস্টেবল কাউসার, কুলুপ এঁটেছেন মুখে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর গুলশানে বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে ডিউটিরত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় কাউসার আলী নামে অপর এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তবে গ্রেফতারকৃত ঘাতক পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও মুখ খুলছেন না কনস্টেবল কাউসার। পাগলের বেশ ধরে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বলে জানিয়েছেন গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম।

রোববার (৯ জুন) সকালে বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য জানান তিনি।

রিফাত রহমান শামীম বলেন, ঘাতক কনস্টেবল কাউসার দীর্ঘদিন পুলিশে কর্মরত। রাতেই তাকে নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেয়া হয়। তাকে থানা হেফাজতে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, কিন্তু মুখ খুলছেন না কনস্টেবল কাউসার।

তিনি বলেন, পাগলের বেশ ধরেছেন কাউসার। ঘটনা স্পর্শকাতর গুরতর ঘটনা। এই অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে জানে কনস্টেবল কাউসার। সঙ্গতঃ কারণে তিনি পাগলের বেশ ধরতে পারেন। মুখে কুলুপ এঁটেছেন, অধিকাংশ প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে্ন না। 

কনস্টেবল কাউসার মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বা ভারসাম্যহীন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি রিফাত বলেন, পাগল প্রমাণ করতে পারলে সে মামলায় সুবিধা পেতে পারে। সেটা জেনে-বুঝেই হয়তো পাগলের বেশ ধরেছে। আমরা আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবো। তারপর বলা সম্ভব, ঘটনার আসল মোটিভ। মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা করবেন নিহত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের বড় ভাই। তিনি ঘটনা শুনে রাতেই গুলশান আসেন। তিনিও পুলিশে চাকরি করেন। তিনি মামলার বাদী হবেন। মামলা নথিভুক্ত হবার পর আটক কনস্টেবল কাউসারকে আদালতে পাঠানো হবে।

এর আগে, শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশান-বারিধারার কূটনীতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ সদস্যের গুলিতে নিহত হন কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালকও। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই ঘটনায় আরেকজন পথচারী আহত হয়েছেন। তবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

ঘটনার খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত হন। মোতায়েন করা হয় সোয়া টিম। পরে রাত পৌনে ২টার দিকে ঘাতক কনস্টেবলকে হেফাজতে নেয় গুলশান থানা-পুলিশ।

ঘটনার পর দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।

সে সময় তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের লোক ছিল, ঘটনা যে ঘটিয়েছে সেও আমাদের লোক। আসলে ঘটনাটা কি কারণে ঘটেছে সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি।

এদিকে ঘাতক কাউসার সম্পর্কে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে কাউসার আলী মানিসকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। গত ৫ থেকে ৬ দিন ধরে তিনি কারও সঙ্গে ঠিকভাবে কথা বলতেন না। বলতে গেলে গত ৫ থেকে ৬ দিন ধরে তিনি চুপচাপ ছিলেন, কারো সঙ্গে কথা বলতেন না। ঘটনা ঘটিয়েও ভারসাম্যহীন আচরণ করেন।

এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করার পর কাউসার আলী ঘটনাস্থলে আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। কিছু সময় তিনি দূতাবাসের সামনে বসেছিলেন। তার ঘোরাফেরা ও আচরণ দেখে মনে হচ্ছিল মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।

ঘটনার পর রাতেই ডিএমপির ডিপ্লোম্যাটিক সিকিউরিটি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশার আরিফুল ইসলাম সরকার বলেন, আমাদের প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে কাউসার আলী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত অবস্থায় ছিলেন। প্রাথমিকভাবে আমরা আক্রমণকারী পুলিশ সদস্যের ব্যাপারে যতটুকু জেনেছি সে পাঁচ-ছয় দিন থেকে খুব চুপচাপ ছিলেন। তার অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গেও কথা বলছিলেন না। তার ব্যাচমেটদের সঙ্গে কথা বলে এসব জেনেছি।

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার (১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে সাভারের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সদর দফতরে জমায়েত হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। সারাদেশের সমিতির সাথে একযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

সকাল থেকেই নিজেদের দাবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করছেন তারা। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্মবিরতি চলছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত দাবি দুটি হলো- স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মাণে আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের জন্য সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সমিতির তদারকি প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) দ্বৈত নীতির কারণে ন্যায্য সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। শুধু তাই নয় বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিতরণ লাইনে ব্যবহৃত নিম্নমানের মালামালের জন্য উত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।

আন্দোলনকারীরা বলেন, এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি বছরের ৫ মে থেকে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর ১০ মে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সমস্যা সমাধানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসবে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আশ্বাসে কাজে ফিরে যাই। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী দাবি দাওয়া উল্লেখ করে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৭ হাজার ৫৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর স্বাক্ষরসহ চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেয়া হয়। যেখানে বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়।

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম (ওএন্ডএম) সৈকত বড়ুয়া বলেন, সারাদেশের সাথে একযোগে আমাদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে জরুরি বিদ্যুৎ সেবার দিকে আমাদের নজর রয়েছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই তাই আবারো বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিপীড়ন ও শোষণ থেকে বাঁচতে আবারও আমাদের কর্মবিরতিতে যেতে হলো।

;

পীরগঞ্জে অসহনীয় লোডশেডিং থেকে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজি এবং অসহনীয় লোডশেডিং থেকে মুক্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে পীরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে এই মানববন্ধন করা হয়।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানবন্ধন চলাকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন রায়, উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ইত্তেশাম উল হক মিম, উপজেলা জাসদের সভাপতি সলেমান আলী, উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মুর্তাজা, প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নসরতে খোদা রানা, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি বিষ্ণুপদ রায়সহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।

অবিলম্বে বিদ্যুতের লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে আনা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচীর ডাক দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, বর্তমানে পীরগঞ্জ উপজেলার গ্রাম গঞ্জে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

;

গাইবান্ধায় পানিতে ডুবে বাক প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গর্তের পানিতে ডুবে বাক প্রতিবন্ধী যুবক মহসিন মিয়ার (১৯) মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চরিতাবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মহসিন ওই গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে।

বিষয়টি দুপুরে মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, রাস্তার ধারের গর্তে পড়ে বাক প্রতিবন্ধী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় নিহতের স্বজনদের বরাতে ওসি জানান, সোমবার সকালের দিকে পরিবারের লোকজনের অজান্তে বাক প্রতিবন্ধী ওই যুবক বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী গুচ্ছগ্রামে দাদির বাড়িতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে স্থানীয় মশিউর রহমান নামের এক ব্যক্তির জমিতে থাকা গর্তের পানিতে পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেনি। পরে স্থানীয়রা তাকে গর্তের পানিতে ভাসতে দেখে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

;

ধানের জাত ও নমুনা চেয়ে সরকারকে মিল মালিকদের চিঠি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ধানের জাত ঠিকমতো না চেনায় কুষ্টিয়ার খাজানগরের চালকল মালিকরা ধানের জাত ও জাতের নমুনা চেয়ে কুষ্টিয়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে কুষ্টিয়ার অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (৩০ জুন) কুষ্টিয়ার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তার দপ্তরে এ চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সভাপতি ওমর ফারুক উল্লেখ করেন, চালের বস্তার গায়ে ধানের জাত লিখতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাইস মিল (চালকল) মালিকদের। এজন্য সরকারের তালিকাভুক্ত ধানের জাতের নাম ও নমুনা সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ওমর ফারুক জানান, সরকার বলছে, মিনিকেট বলে কোনো ধান নেই। কিন্তু আমরা এ নামে ধান কিনছি কৃষকদের কাছ থেকে। তাহলে ওই ধানের ক্ষেত্রে বস্তায় কি লিখব, তা জানার জন্যই এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে চালের বস্তায় ধানের জাত, মিলের ঠিকানা ও দাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হলেও এখনও হাট-বাজার ও আড়তে কার্যকর হয়নি সরকারি সেই নির্দেশনা। বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিকদের কাছ থেকে নির্দেশনাযুক্ত চালের বস্তা হাতে পাননি তারা।

কুষ্টিয়ার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান জানান, অন্য জাতের ধান থেকে মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করে লাভবান হন মিল মালিকরা। তাই তারা এসব চিঠি দিচ্ছেন। চিঠিটি ঊর্ধ্বতন মহলে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা এলে, তা বাস্তবায়ন করা হবে।

জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা জানান, সরকার অনুমোদিত জাতের ধান ছাড়া অন্য নামে যেমন মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করার সুযোগ নেই। করতে দেওয়া হবে না।

কুষ্টিয়ার খাজানগরে ৫০টির মতো অটোমেটিক রাইস মিল থেকে সারাদেশের সরু চালের সিংহভাগ সরবরাহ করা হয়। ধানের জাত যেটাই হোক, এখান থেকে মিনিকেট নামের চালই বেশি সরবরাহ হয়ে থাকে। বাজারে মিনিকেট চালের চাহিদা বেশি। এ কারণেই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিপত্র জারি করেছে যে চালের বস্তার গায়ে ধানের জাতের নাম ও চালের দাম লিখে দিতে হবে। আড়াই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ মিল মালিক বস্তার গায়ে এসব তথ্য লিখছেন না।

অপরদিকে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কুষ্টিয়ার বেশিরভাগ কৃষকই তাদের ধানের জাতের নাম উল্লেখ করেই বিক্রি করেন। এছাড়া কৃষি বিভাগও ধানের জাত উল্লেখ করেই বীজ বিতরণ ও প্রণোদনা দিয়ে থাকে। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী উৎপাদিত ধানের জাত উল্লেখ থাকে। তবে মিলাররা এসব ধানকে সরু করে মিনিকেট বলে বিক্রি করেন। জাত উল্লেখ করে বিক্রি করলে মিলারদের মিনিকেটের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা এমনটা করছেন।

এছাড়া অদৃশ্য কারণেই কুষ্টিয়ার চালকল মালিকরা প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দিনের পর দিন মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করে আসছেন। এর মধ্যে জাত না চেনার এ চিঠি তথ্য গোপন করে মিনিকেট বাজারজাত ও সরকারি নির্দেশনা অমান্যের জন্য কালক্ষেপণ মাত্র- এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্ট।

;