পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ইতালির পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ইতালির পররাষ্ট্র সচিব রিকার্ডো গুয়ারিগলিয়া

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ইতালির পররাষ্ট্র সচিব রিকার্ডো গুয়ারিগলিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইতালির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মহাসচিব (পররাষ্ট্রস‌চিব) রিকার্ডো গুয়ারিগলিয়া।

সোমবার (২৪ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণাল‌য়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্ত‌রে এ সাক্ষাৎ অনু‌ষ্ঠিত হয়।

সাক্ষা‌তে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী প্রথম পশ্চিম ইউরোপের দেশ হিসেবে ইতালির ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতালির দ্বিতীয় রাজনৈতিক পরামর্শক সভার কো-চেয়ার হিসেবে যোগ দিতে আসা ইতালির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মহাসচিব রিকার্ডো গুয়ারিগলিয়াকে স্বাগত জানান।

এ‌দি‌কে, রাষ্ট্রীয় অ‌তি‌থি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের রাজনৈতিক পরামর্শক সভায় বসে‌ছে বাংলাদেশ ও ইতালি। বৈঠ‌কে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ইতালির পক্ষে রিকার্ডো গুয়ারিগলিয়া নেতৃত্ব দি‌চ্ছেন। বৈঠ‌কে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং অভিবাসন ইস্যু গুরত্ব পাবে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন সং‌শ্লিষ্টরা।

এক চেয়ারের দখল নিয়ে মুখোমুখি দুই বন্ধু



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: রফিক মিয়া ও ফজর আলী

ছবি: রফিক মিয়া ও ফজর আলী

  • Font increase
  • Font Decrease

রফিক মিয়া ও ফজর আলী। দীর্ঘদিন ধরে তারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তাদের বন্ধুত্বের মধ্যে ফাটল দেখা দেয়। ফাটলটা ধরে পৌর মেয়রের পদকে কেন্দ্র করে। এবার সেই ফাটলটি গভীর হচ্ছে। এক চেয়ারে বসা নিয়ে মুখোমুখি দুই হচ্ছেন দুই বন্ধু। এমনই ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভায়। বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে মুহিবুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্তের পর প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের সুবিধার্থে দায়িত্ব গ্রহণ নিয়ে তাদের মধ্যে চলছে তুমুল লড়াই।

তারা দুজন হলেন-৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিক মিয়া ওরফে রফিক হাসান ও ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিশ্বনাথ পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো.আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপনে মেয়রকে পদ থেকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ জারি করেন। আদেশের একটি কলামে বলা হয় পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ কে প্রশাসনিক ও দাপ্তরিক কাজের সুবিধার্থে পৌরসভার মেয়রের আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

আর এই আদেশ জারি হতে না হতেই মেয়রের দায়িত্ব পালন করা নিয়ে প্যানেল মেয়র-১ দাবি করে তুমুল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কাউন্সিলর রফিক মিয়া ও কাউন্সিলর ফজর আলী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্যানেল মেয়র-১ হিসেবে মেয়রের দায়িত্ব চালাবেন বলে পৌর শহরে আনন্দ মিছিল করেন রফিক মিয়াসহ ৭ জন কাউন্সিলরদের সমর্থকরা।

আর রাত ৯ টায় প্যানেল মেয়র-১ দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী। মূলত তারা ছিলেন একে অপরের ঘনিষ্ট বন্ধু। কিন্তু সম্প্রতি ৬ জন কাউন্সিলরকে সাথে নিয়ে বরখাস্ত হওয়া মেয়রের সাথে কাউন্সিলর রফিক আলীর দূরত্বের সৃষ্টি হলেও ফজর আলী রয়েছেন মুহিবুর রহমানের পক্ষে।

খোঁজ নিয়ে যায়, বিশ্বনাথ পৌরসভা নির্বাচন ২০২২ সালের ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ওই বছরের ২২ ডিসেম্বর পৌরসভার প্যানেল মেয়র নির্বাচনের লক্ষে এক বিশেষ সাধারণ সভা পৌরসভা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মেয়র মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সর্বসস্মতিক্রমে ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিক মিয়াকে প্রথম প্যানেল মেয়র হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তার সাথে পৌরসভার ১নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর সাবিনা ইয়াসমিনকে দ্বিতীয় প্যানেল মেয়র এবং ৩নং সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সুমনকে তৃতীয় প্যানেল মেয়র নির্বাচিত করা হয়।

তবে সংবাদ সম্মেলনে ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী মেয়রকে বরখাস্তের নিন্দা জানিয়ে বলেন, প্রায় ৩ মাস পূর্বে পৌরসভায় একটি মিটিংয়ের মাধ্যমে কাউন্সিলর রফিক আলীকে বাদ দিয়ে আমাকে প্যানেল মেয়র-১ করা হয়েছে। তাই যদি প্রশাসনিক বা আইনের জটিলতা না থাকে তাহলে রোববার থেকে পৌরসভার অফিসে বসে আমি মেয়রের দায়িত্ব পালন করবো। কিন্তু কাউন্সিলর রফিক আলী মামলার আসামি হয়ে মেয়রের দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। রফিক আলী মামলার আসামি হয়ে বিভিন্ন দফতরে অনায়াশে চলাফেরা করলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে না। আর আমি এবং মেয়র মামলার আসামি হয়ে আইনকে শ্রদ্ধা করে আদালত থেকে জামিনে আছি। তিনি কাউন্সিলর রফিক আলীকে গ্রেফতারের জন্য জোর দাবি করেন।

এব্যাপারে বিশ্বনাথ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিক মিয়া বলেন, নতুন পরিষদ গঠনের পরপর পৌরসভার প্রথম সভায় আমাকে প্যানেল মেয়র নির্বাচিত করা হয়। মেয়র যখন দুই বিদেশ যান তখন আমি ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্বও পালন করেছি। যখন আমরা মেয়রের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছি তখন মেয়রসহ ওই কাউন্সিলর তাদের মতো করে রেজুলেশন করে কাগজ সৃষ্টি করেছে। যেখানে আমাদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অনাস্থা প্রস্থাবে মেয়রের বিরুদ্ধে আমাদের উপস্থিত স্বাক্ষর নিয়ে বিভিন্নতা লেখালেখি করেছেন ও রেজুলেশন কপি না দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। যা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। কোনো কিছু না বুঝে, না জেনে কাউন্সিলর ফজর আলী ফিতনা সৃষ্টি করার জন্য এসব করছেন।

এদিকে, প্যানেল মেয়র-১ দাবিদার হয়ে মেয়রের দায়িত্ব পালন নিয়ে আগামী রোববার উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, সংঘর্ষের কোনো আশঙ্কা নেই। কেউ যদি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার ও প্যানেল মেয়র-১ মেয়রের দায়িত্ব পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা আক্তার বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে দুটি বিষয়ের দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন পেয়েছি।

উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবরে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেন ৭ কাউন্সিলর।

অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ রফিক মিয়া, প্যানেল মেয়র-২ সাবিনা বেগম, ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজুক মিয়া রাজ্জাক, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুর আলী, ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীম আহমদ, ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাসনা বেগম ও ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লাকী বেগম।

অনাস্থ প্রস্তাব প্রেরণের পরপরই দুইভাগে বিভক্ত হন কাউন্সিলররা।প্যানেল মেয়র রফিক মিয়াসহ ৭ কাউন্সিলর এক পক্ষে ও মেয়র মুহিবের পক্ষ নেন ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলী, ৬নং ওয়ার্ডের বারাম উদ্দিন, ও ৪নং ওয়ার্ডের মুহিবুর রহমান বাচ্চু।

;

আমেরিকার ফরেন পলিসি তৈরিতে বাংলাদেশ পরামর্শ দিবে: মোমেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন

ছবি: সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন

  • Font increase
  • Font Decrease

ভবিষ্যতে আমেরিকার ফরেন পলিসি কি হওয়া উচিত সে বিষয়ে বাংলাদেশের পরামর্শ দেওয়ার সময় এসেছে জানিয়ে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমেরিকার ফরেন পলিসি কি ধরনের হওয়া উচিত সে গুলোতে আমরা উপদেশ দিব। আমাদের এখন উপদেশ নেয়ার সময় নয়, আমাদের এখন উপদেশ দেয়ার সময়। আমেরিকা যদি তাদের ফরেন পলিসি পরিবর্তন করে এবং দুনিয়ার মানুষের কথা চিন্তা করে। তাহলে তারা বিশ্বের নেতা হবে। আর যদি তাদের নীচু মন মানসিকতা প্রকাশ পেতে থাকে তাহলে কিন্তু তারা বিশ্বের মধ্যে কুলাঙ্গার হবে।

শুক্রবার (২৮ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খা হলে 'আওয়ামীলীগের সফল ও গৌরবময় পথচলার ৭৫ বছর' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভাটির আয়োজন করে এডুকেশন রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম (ইআরডিএফবি)।

মোমেন বলেন, আগামী পৃথিবীর ভবিষ্যৎ কি হবে এটা নিয়ে ভাবার সময় এখন এসেছে। কারণ ইতিমধ্যে জঞ্জাল লেগে গেছে। পৃথিবী ঘিরে একটা যুদ্ধ যুদ্ধ ভাব বিরাজ করছে। তাই আমাদের এডুকেশন রিসার্চের গবেষণা করা উচিত যে বিশ্বের ভবিষ্যৎ কি ধরনের হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, দুনিয়া নিয়ে ভাবার সময় আমাদের এখন এসেছে। আমরা তাদের আঙ্গুল দিয়ে দেখায় দিতে চাই। এজন্যই আমাদের প্রয়োজন আছে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের।

সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোর প্রতি আমাদের দাবি এই অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করে মানুষের মনমানসিকতা ও সংস্কৃতির বিকাশে সেই টাকা গুলো খরচ করেন। ২৩শ বিলিয়ন ডলার তারা শুধু অস্ত্র কেনা বা ডিফেন্সের নামে তা সবই মেকিং। আমরা যদি মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যবোধ তৈরি করতে পারি তাহলে ওইগুলোর প্রয়োজন হবে না। আজকে যারা গবেষণা করে তাদেরকে এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে হবে। কিভাবে ডাইভারসিফিকেশনের মাধ্যমে এই অর্থ মানুষের বিকাশের জন্য কাজে লেগে পৃথিবীতে সুন্দর একটা রূপ দেয়া যায়।

পশ্চিমা বিশ্বের ফ্রি থিংকিং এর পরিধি সীমিত হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, সম্প্রীতি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি আমাকে দাওয়াত দেয়, জিও পলিটিক্স এর বিষয়ে আলোচনা করতে। তারপর তারা আমাকে শর্তও দিয়ে দেয় যে, আপনি গাঁজা এবং ফিলিস্তিনের ইস্যুতে কোন কথা বলবেন না। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির মতন বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে উন্মুক্তভাবে সকল কিছু আলোচনা করা যায়। তারা এখন কতটা ন্যারো মাইন্ডেড হয়ে গেছে এর মাধ্যমে বুঝা যায়।

মোমেন বলেন, বাংলাদেশ হচ্ছে ল্যান্ড অফ ফ্রিডম স্পিচ এন্ড ফ্রি মডিয়া। গত ৭০ বছরে আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে তারা একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র তৈরি করেছে। শুধু দেশ তৈরি নয়, সেই দেশটাকে শক্ত ভীমের উপর প্রস্তুত করার জন্য যা যা দরকার তাই করেছে। এজন্য ধন্য শেখ হাসিনা ধন্য তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল খান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার।

আলোচনা সভায় মূল আলোচেক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা।

আলোচনা সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খাঁন।

;

লক্ষ্মীপুরে রাসেলস ভাইপার ভেবে মারা হলো অন্য সাপ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুরে রাসেলস ভাইপার ভেবে মারা হলো অন্য সাপ

লক্ষ্মীপুরে রাসেলস ভাইপার ভেবে মারা হলো অন্য সাপ

  • Font increase
  • Font Decrease

মেঘনা উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে বহুল আলোচিত বিষধর 'রাসেলস ভাইপার' সাদৃশ্য একটি সাপ দেখা গেছে। সাপটি দেখতে পেয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে পথচারীরা।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে উপজেলার মাতাব্বরহাট বেড়িবাঁধের পশ্চিমে মেঘনা নদীর তীরে সাপটি দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঘটনার সময় কয়েকজন পথচারী ঘটনাস্থল দিয়ে যাচ্ছিল। এসময় রাসেলস ভাইপার সাদৃশ্য সাপটি তাদের নজরে পড়ে। এতে তাৎক্ষণিক তারা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে সাপটিকে মেরে ফেলে।

উপজেলা রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবী রিমন রাজু বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল যাই। সেখানে সাপটি এখনো পড়ে আছে। দেখতে রাসেলস ভাইপারের মতো হলেও এখনো নিশ্চিত নই।

কমলনগর উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, সাপটিকে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে সাপটি রাসেলস ভাইপার ছিলো না। রাসেলস ভাইপারের ধরণের সঙ্গে এর অধিকাংশই মিল নেই। এটি অন্য কোন প্রজাতির সাপ। তবে নামটি আপাতত বলতে পারছি না।

;

কিশোরগঞ্জের হাওরে ঘুরতে এসে দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, আহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের হাওরে ঘুরতে এসে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তিন বন্ধু দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এতে একজন নিহত ও দুজন মারাত্মক আহত হয়েছে।

জেলার বাজিতপুর উপজেলায় মোটরসাইকেল ও টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন ঘটনাস্থলে মারা যায়।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৯টার দিকে বাজিতপুর-সরারচর সড়কের উপজেলার পৈলনপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. ইয়াসিন হাসান (১৮) পাশ্ববর্তী গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার তরগাঁও ইউনিয়নের উত্তর খামের এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় একই এলাকার আকবর আলি সিফাত (১৮) ও মাসুদ মিয়ার ছেলে সানজিদ (১৯) আহত হয়েছে।

জানা গেছে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে বাজিতপুর-সরারচর সড়কের উপজেলার পৈলনপুর এলাকায় মোটরসাইকেল ও টমটমের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের এক আরোহী নিহত হয় এবং দুই আরোহী গুরুতর আহত হয়।

আহত দু’জনকে উদ্ধার করে উপজেলার ভাগলপুর জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

;