ঈদকে ঘিরে হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই: র‌্যাব ডিজি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঈদকে কেন্দ্র করে নাশকতা মোকাবিলায় প্রস্তুত র‍্যাব: ডিজি

ঈদকে কেন্দ্র করে নাশকতা মোকাবিলায় প্রস্তুত র‍্যাব: ডিজি

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা বা নাশকতার তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও সক্ষমতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

রোববার (১৬ জুন) সকালে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান র‍্যাব ডিজি।

মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারাদেশে পশুর হাট জমে উঠেছে। হাটকেন্দ্রিক মলম পার্টি, অজ্ঞানপার্টি প্রতিরোধে র‍্যাব সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছে। হাটগুলোতে পর্যাপ্ত ফোর্স মোতায়েন রাখা হয়েছে, জাল টাকা শনাক্তের জন্য ডিভাইস রয়েছে প্রত্যেকটা বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, ট্রেন স্টেশনে র‍্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে। টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে সংঘবদ্ধ ১০ জনের একটা দলকে র‍্যাব গ্রেফতার করেছে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পশুবাহী গাড়ি ঢাকায় আসছে। এসব গাড়ি যাতে কোথাও বাধাগ্রস্থ না হয় আমরা নজর রাখছি।

তিনি বলেন, ঈদের দিনে ঢাকায় জাতীয় ঈদগাহে সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া, শোলাকিয়া, রংপুর, দিনাজপুরে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এসব ঈদ জামাতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থাসসহ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। র‍্যাব সদর দফতর থেকে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা মনিটরিং করা হবে। চামড়া নিয়ে যাতে কোনো কারসাজি না হয়, সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, ঈদ ঘিরে আমরা যথেষ্ট সতর্ক রয়েছি, গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। ঈদকে কেন্দ্র করে সুনির্দিষ্ট কোনো হামলা-নাশকতার তথ্য নেই। তবে কোন আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না, সবকিছু মাথায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। আমরা সতর্ক রয়েছি। র‍্যাবের ডগ স্কোয়াড, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটসহ দুটি হেলিকপ্টারকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যে কোন ধরনের নাশকতা- হামলা প্রতিরোধ করতে র‍্যাব প্রস্তুত রয়েছে। সাইবার ওয়ার্ল্ডে সাইবার পেট্রোলিং জোরদার করা হয়েছে, যে কোন গুজব প্রতিরোধ করতে প্রস্তুতি রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন ধরনের হামলার সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নাই। তারপরেও যদি এমন কিছু হয়ও আমরা প্রস্তুত আছি। যে কোন ঘটনা প্রতিহত করতে র‍্যাবের প্রস্তুতি রয়েছে। র‍্যাব বর্তমানে ত্রিমাত্রিক এলিট ফোর্সে পরিনত হয়েছে। জলে-স্থলে-আকাশে আমাদের সক্ষমতা রয়েছে। নিশ্চয়তা দিচ্ছি শোলাকিয়ায় হামলার মতো এ ধরনের ঘটনা ঘটবেনা।

   

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার: নানক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক

সিলেটে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘সিলেটে বন্যায় কৃষিখাতে যে ক্ষতি হয়েছে সে ক্ষতিপূরণ সহায়তা করবে সরকার। সুরমা, কুশিয়ারা নদী খননের মাধ্যমে সিলেটবাসীকে বন্যা থেকে রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী বছর সিলেটবাসীকে বন্যার কবল থেকে রক্ষা করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এবং পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে সিলেট পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।’

সোমবার (২৪ জুন) সিলেট সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগরীর ৪২নং ওয়ার্ডে বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা প্রদানকালে তিনি এসব বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা শুধু ত্রাণ বিতরণ করতে চাই না। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেবে সরকার। দেশের যেকোনো দুর্যোগ দুঃসময়ে আওয়ামী লীগ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। শেখ হাসিনা তার লক্ষ্য অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। তারই হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে।

বিএনপির সমালোচনা করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ক্ষমতার মসনদে বসে দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে দেশকে দেউলিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করে বিএনপি। তাদের কর্তা ব্যক্তিরা বিদেশে টাকা পাচার করে আলিশান অট্টালিকা নির্মাণসহ সম্পদের পাহাড় তৈরি করেছেন। ‘আমরা অভিযোগ করেছিলাম তারেক রহমান এই দেশে অর্থ লোপাট করছে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।’ তারেক রহমান তো দূরের কথা একটি দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি খালেদা জিয়া সরকার।

তিনি বলেন, বন্যায় সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিয়মিত খাবার, পানি ও ওষুধ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এর আগে ২০২২ সালের বন্যায় সিলেটবাসীর পাশে দাঁড়ান প্রধানমন্ত্রী। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা ও সহমর্মিতা জানাতে তিনি নিজেও সিলেট সফর করেন। তারই নির্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ পুলিশ ও প্রশাসন ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলো বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ায় এবং পানি বন্দিদের উদ্ধার কাজ করেন। আগামী বছর বন্যার কবল থেকে সিলেটকে রক্ষা করতে কাজ করছে আওয়ামী লীগ সরকার।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার। যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ সরকার মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সিলেটে বন্যা দেখা দেওয়ার পর থেকে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে বন্যার খোঁজ খবর রাখেন। শেখ হাসিনা সব সময় সিলেটবাসীর পাশে আছেন। আপনারা তার উপর আস্থা রাখুন। সব সময় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিলেট—৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আজিজুস সামাদ ডন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এড. নাসির উদ্দিন খাঁন, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বদরুল ইসলাম, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মো.মখলিছুর রহমান কামরান, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ তৌফিক বকস, ৪২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রব।

এসময় সিলেট সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এরপর দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট—৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের উদ্যোগে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলামে বন্যার্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

এর আগে সকাল ১১টায় সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনের পরিচালনায় নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ড তেররতন এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ত্রাণ সহায়তা প্রধান করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

এর আগে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে সকাল ৮টায় হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। মঙ্গলবার (২৪ জুন) সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ করবেন তিনি।

;

দেশে ৩৩ কোটি নিবন্ধিত সিমে চালু আছে সাড়ে ১৯ কোটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে মোট চার মোবাইল কোম্পানির নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার। এর মধ্য গ্রাহকরা চালু রেখেছেন ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার বলে সংসদে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য আব্দুল মালেক সরকারের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটরের সংখ্যা চারটি। এগুলো হলো- গ্রামীণ ফোন লিমিটড, রবি অজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেড এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড। বর্তমানে এ চারটি মোবাইল অপারেটরের নিবন্ধিত সিম সংখ্যা মোট ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৬ হাজার ৯৭০টি।

তিনি আরও জানান, গ্রামীণফোনের নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ১১ কোটি ৯৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯২৫টি। বাংলালিংকের ৯ কোটি ৭ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬২টি, রবি অজিয়াটার ১০ কোটি ৭৯ লাখ ৬১ হাজার ৮০০টি এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা ১ কোটি ৪৪ লাখ ৬১ হাজার ২৮৩টি।

এর মধ্যে গ্রামীণফোনের সক্রিয় সিম সংখ্যা ৮ কোটি ৩৯ লাখ ৫০ হাজার, রবি অজিয়াটার ৫ কোটি ৮৫ লাখ ১০ হাজার, বাংলালিংক-এর ৪ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ৬৫ লাখ ৫০ হাজার। দেশে মোট ১৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩০ হাজার সক্রিয় সিম রয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিনের এক প্রশ্নের জবাবে পলক জানান, ২০১৯ সালে বিটিসিএলের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯২২ জন। ২০২৪ সালের ১২ জুন পর্যন্ত সে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯৫০ জন। অর্থাৎ গত ৫ বছরে বিটিসিএলের গ্রাহক সংখ্যা কমেছে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭২টি।

;

ঢাকার বাইরে থেকে লবণযুক্ত চামড়া ঢুকছে ট্যানারিতে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
সাভার চামড়া শিল্প নগরী, ছবি: বার্তা২৪.কম

সাভার চামড়া শিল্প নগরী, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভার বিসিক চামড়া শিল্প নগরীতে চলছে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কার্যক্রম। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কেনা লবণযুক্ত চামড়া ঢুকছে ট্যানারির বিভিন্ন কারখানায়। এনিয়ে কর্মব্যস্ত সাভার চামড়া শিল্প নগরী।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সাভার চামড়া শিল্প নগরীতে ঘুরে দেখা যায়, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লবণযুক্ত পশুর চামড়া বোঝাই ট্রাক ঢুকছে ট্যানারিতে।

চামরা শিল্প নগরীতে ট্যানারিগুলো ঘুরে দেখা যায়, লবণযুক্ত চামড়াগুলো থেকে এখন বাড়তি অংশ বাদ দিয়ে সেগুলোকে পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। চামড়াগুলোকে সোকিং করার পর সেগুলোকে ওয়েট ব্লু প্রসেস করা হবে, যেখানে রাসায়নিক ব্যবহার করে চামড়া থেকে পশম ছাড়িয়ে তাতে প্রয়োজনীয় রং করা হয়। পরবর্তীতে ক্রাস্ট ও ফিনিস লেদার হিসেবে তা বিক্রি করা হবে।

আগামী কয়েক মাস এভাবেই লবণযুক্ত চামড়া সংগ্রহ করবেন ট্যানারি মালিকরা। এছাড়া অনুকুল পরিবেশ থাকায় এবার ১ কোটি চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে বলে আশাবাদী মালিকরা।

লবণযুক্ত চামড়া ঢুকছে ট্যানারির বিভিন্ন কারখানায় 

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত উল্লাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার চামড়া আমরা প্রথম গ্রহণ করেছি। ঢাকার বাইরের চামড়া আজ থেকে সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এটা দুই থেকে আড়াই মাস চলবে। দেশ জুড়ে সার্বিক অবস্থা ভালো রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে সবাই সচেতন।

তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে লবণের সরবরাহ ছিল ভালো। সবখানে লবণ দিয়ে চামড়া ভালোভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে। চামড়ার মানও ভালো। যথাসময়ে সঠিকভাবে যারা চামড়া সংরক্ষণ করেছে তারা সরকারের বেঁধে দেওয়া ন্যায্য দাম পাবেন। আমরা ঢাকাতে যে লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিলাম, প্রাথমিকভাবে তা অর্জিত হয়েছে। ঢাকার বাইরেও খোঁজ নিয়েছি, আশা করছি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে। আমরা আশা করি এভাবে চামড়া যারা সংগ্রহ করেছে, তাদের কাছ থেকে সরাসরি চামড়া সংগ্রহ শুরু করেছি। দ্রুত সব চামড়া সংরক্ষণে সক্ষম হবো।

;

বিদেশি নাগরিকেরা ১০ মাসে ১৩০ মিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকেরা তাদের আয় থেকে ১শ ৩০.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

সোমবার (২৪ জুন) জাতীয় সংসদের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনে ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কাদের আজাদের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান।

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

অর্থমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বছরে আয়সংশ্লিষ্ট তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষিত নেই।

কোনো সূত্রের উল্লেখ না করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকেরা তাদের আয় থেকে ১শ ৩০.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার নিজ নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

কোন দেশের নাগরিকেরা কত ডলার নিয়েছেন, সে তথ্য জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ভারতের নাগরিকেরা ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার, চীনের নাগরিকেরা ১৪.৫৬ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কার নাগরিকেরা ১২.৭১ মিলিয়ন ডলার, জাপানের নাগরিকেরা ৬.৮৯ মিলিয়ন ডলার, কোরিয়ার নাগরিকেরা ৬.২১ মিলিয়ন ডলার, থাইল্যান্ডের নাগরিকেরা ৫.৩০ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাজ্যের নাগরিকেরা ৩.৫৯ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের নাগরিকেরা ৩.২৪ মিলিয়ন ডলার, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ৩.১৭ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়ার নাগরিকেরা ২.৪০ মিলিয়ন ডলার, অন্যান্য দেশের নাগরিকেরা ২১.৯২ মিলিয়ন ডলার নিজ দেশে নিয়ে গেছেন।

এমপি আব্দুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সংসদে জানান, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অর্থ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

মূল্যস্ফীতির চলমান সংকটের মূলে যে কারণগুলো রয়েছে, তা হলো- বৈশ্বিক পণ্য বাজারে সরবরাহে অনিশ্চয়তা, মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং দেশের বাজারে সরবরাহ শৃঙ্খলে ত্রুটি।

অর্থনৈতিক এ সংকট কাটিয়ে দ্রবমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে এ সময় উল্লেখ করেন তিনি।

;