টুং-টাং শব্দে মুখর কিশোরগঞ্জের কামারপাড়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কিশোরগঞ্জ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই ঈদ। কিশোরগঞ্জের সবগুলো উপজেলায় কোরবানির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। টুং টাং শব্দে মুখরিত হচ্ছে কামারপাড়া।

কামার ছমেদ আলী (৩৫) দুই দিনে ১০ ঘণ্টাও ঠিকমতো ঘুমাতে পারেনি৷ গভীর রাত পর্যন্ত চলে তার কাজ। কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে আবার ফজরের আগেই দোকান খুলতে হচ্ছে৷  কারণ জমে থাকা কাজ শেষ করতেই হবে।

শনিবার (১৫ জুন) রাতে কয়েকটি কামারশালা ঘুরে দেখা যায়, প্রতি দোকানে অতিরিক্ত ৫-৬ জন শ্রমিক মিলে কাজ করছে৷ দোকানের চারদিকে ঘিরে আছে মানুষ৷ দা, বটি, ছুরি কেউ নতুন কিনছেন আবার কেউ পুরাতন গুলো মেরামত ও ধার দিতে আনছেন।

এমনকি রোববার সকাল থেকেই ধরণা দিচ্ছেন তাদের জিনিস গুলো তৈরি হলো কিনা এ নিয়ে৷

একদিকে কোরবানির পশু কেনায় ব্যস্ত সচ্ছল পরিবারগুলো, অন্যদিকে প্রায় কয়েকগুণ বেশি সমানুপাতিক হারেই দা, বটি, ছুরি কিংবা কুরবানির পশু কাবু করার অস্ত্র তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কামাররা। দম ফেলার যেন ফুসরত নেই এখন৷ অনেকটা নাওয়া খাওয়া ভুলেই কাজ করতে হচ্ছে।


ঈদ মৌসুমে ভোর রাত থেকেই তাদের কর্মযজ্ঞ শুরু হয় আর চলে মধ্য রাত অব্দিও। প্রতিটি ছোট ও বড় ছুরি ধারালো করার কাজে কামাররা মজুরি নিচ্ছেন ১০০-১৭০ টাকা। চাকু ৫০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের অনেকে আবার নিজস্ব ধাতব পদার্থ নিয়ে আসছেন দা-বটি তৈরি করতে। কেউবা নিচ্ছেন কিনে। তবে দা বটির চাহিদা থাকে সারা বছরই। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে হলেও প্রয়োজনীয় জিনিসটি নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।

কামার সুজিত চন্দ্র বলেন, ঈদের আগেই এমন কদর, পরে শেষ। সবকিছু এখন রেডিমেড কিনতে পাওয়া যায়৷ নতুন তৈরির আগ্রহ অনেকের কম। এই কয়ডা দিনই আমাদের টেহা রোজগারের দিন।'

আরেক কামার ছমেদ আলী বলেন, ঘুম, খাবার ঠিকমতো হচ্ছে না৷ মানুষের তাগদা আছে অনেক৷ আজ শেষ দিন৷ কাজ শেষ করার খুব চাপ।

   

বিদ্যুৎ বিল বকেয়া, আলোর নিচে অন্ধকারে রেলের পূর্বাঞ্চল কার্যালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
আলোর নিচে অন্ধকারে রেলের পূর্বাঞ্চল কার্যালয়। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

আলোর নিচে অন্ধকারে রেলের পূর্বাঞ্চল কার্যালয়। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কার্যালয়ের প্রায় এক কোটি ৫৭ লাখ টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে রেলওয়ে কর্মকর্তাদের অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সোমবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিদ্যুৎ বিভাগ। ছয় ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও দেখা মেলেনি বিদ্যুতের।

বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানা যায়, গত ৬ মাসে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বকেয়া বিল দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকায়। কয়েকবার নোটিশ দিলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাঁড়া না পাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

রেলের পূর্বাঞ্চল কার্যালয়। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

বিকেল তিনটার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যুৎ না থাকার কারণে অন্ধকারে রেলের বিভিন্ন শাখার কক্ষগুলো ভুতুড়ে বাড়িতে পরিণত হয়েছে। অনেক গরম সহ্য করতে না পেরে বারান্দায় এসে হাঁটাহাঁটি করছে। আবার কোনো কোনো কক্ষে আইপিএসের দিয়ে বাতি ও টেবিল ফ্যান চালাতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে রেল পূর্বাঞ্চলের প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা বিদ্যৎ বিলের জন্য যে পরিমাণ বাজেট চেয়েছি সেটি পায়নি। বরাদ্দ না পেলে, পেমেন্ট কীভাবে করব। বেলা ১১টা থেকে বিদ্যুৎ নেই। আমরা বিদ্যুৎ বিভাগে যোগাযোগ করেছি। তারা বকেয়া বিলের জন্য লাইন বন্ধ রেখেছে বলে জানিয়েছে। দুইটায় তো সরকারি দফতর। তারা (বিদ্যুৎ বিভাগ) তাদের মত আর আমরা আমাদের মত কাজ করছি। আমাদের উপর জানানোর দায়িত্ব, আমরা উপরে জানিয়েছি।

কী পরিমাণ বকেয়া আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের বিভিন্ন একাউন্টে বকেয়া থাকে, মোট বলা যাবে না। দুই মাসের প্রায় এক কোটি টাকার বেশি বিল বকেয়া রয়েছে। এর আগে চিঠিপত্র চালাচালি হয়েছিল।

রেলের পূর্বাঞ্চল কার্যালয়। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ যে কাজটি করছে সেটা ঠিক না। টাকা দেবে সরকার। সরকার আমাদের বাজেট দিলেই তো আমরা বকেয়া বিল দিতে পারব। তাই বলে পুরো বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবে সেটা হতে পারে না। সে সকাল সাড়ে ১০টায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কেউ কল রিসিভ করছে না। শুনেছি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজেও বিদ্যুৎ কেটে দিয়েছে। এটা তো সরকারের ক্ষতি হচ্ছে। ওরাও সরকারি প্রতিষ্ঠান। এসব ঠিক না। এর আগেও অনেকবার এরকম করেছে। কন্ট্রোল অফিসেও বিদ্যুৎ নেই। কোনো ট্রেনের যদি দুর্ঘটনা ঘটে এর দায়ভার কি পিডিবি নেবে?

চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ বিভাগের (দক্ষিণ) প্রধান প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা বেশ কয়েকবার তাদের চিঠি দিয়েছি। তারা তবুও বকেয়া বিল পরিশোধ করেনি। দেড় কোটি টাকার ওপর তাদের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া। তাদের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে। আমি সংযোগ দেওয়ার জন্য বলে দিয়েছি। কিছুক্ষণ পরে হয়তো বিদ্যুৎ সংযোগ পাবে তারা।

এর আগে সোমবার সকাল ১১ টায় এক কোটি ২৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা বকেয়া বিল পরিশোধ না করায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বিদ্যুৎ বিভাগ। এতে দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি চমেকে।

;

ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি শেষ করা ভারত সফর সম্পর্কে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে। সকাল ১১টায় গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২১ জুন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের নয়াদিল্লি যান।

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার পর ভারতে কোনো সরকার প্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।

এছাড়াও, এই সফরটি ছিল ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর, তিনি ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট জনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে, ঢাকা ও নয়াদিল্লি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সাতটি নতুন এবং তিনটি নবায়নসহ ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।

;

বেনজীর-মতিউরের সম্পদ অনুসন্ধান প্রভাবিত করতে চাপ নেই: দুদক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বেনজীর আহমেদ ও মতিউর রহমান

বেনজীর আহমেদ ও মতিউর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের সম্পদ অনুসন্ধানকে প্রভাবিত করতে বাইরে থেকে কোনো চাপ নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারে উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতির অনুসন্ধানে বাইরের চাপ ও প্রভাবের বিষয়ে দুদক সচিব বলেন, আপনারা জানেন দুর্নীতি দমন কমিশন একটি স্বাধীন সংস্থা, এসব বিষয়ে কোনো দিক থেকে কোনো চাপ আসছে না। যে দুটো আইন ও বিধির কথা উল্লেখ করছি, এই সংশ্লিষ্ট আরও কিছু আইন আছে, সেগুলোর আলোকে আমাদের আইনি প্রক্রিয়া চলছে। অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব কার্যক্রম চলে, এ ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম বা ব্যত্যয় হবে না।

দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও দুই কন্যার ব্যক্তিগত শুনানির তারিখ ছিল আজ (সোমবার)। তবে তারা আজ উপস্থিত হননি। তারিখ বাড়ানোর জন্য কোনো আবেদনও করেননি। তবে একটি লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। যেখানে অভিযোগের বিষয়ে তাদের অবস্থান বর্ণনা করেছেন। এই আবেদনটি বেনজীর আহমেদের আবেদনের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার এসেছিল।

বেনজীরের স্ত্রী জিসান মির্জা ও তার দুই কন্যা যে আবেদন করেছেন, তা যাচাই-বাছাই করে সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা দুদক আইন ও দুদক বিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান দুদক সচিব।

তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তারা প্রতিবেদন দেওয়ার পর কমিশন–পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে। প্রতিবেদনে কর্মকর্তাদের সুপারিশের ওপর ভিত্তি করে ও অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম চলবে।

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমানের বিষয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন বলেন, মতিউরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। মতিউরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিতে অনুসন্ধান কর্মকর্তা আদালতে আবেদন করেছেন। আদালত থেকে মতিউরের বিদেশযাত্রার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মতিউর, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও তাদের পুত্রসন্তান আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদেরও মতো মতিউর রহমানও প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দেশ ছেড়েছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার ঘনিষ্ঠ একাধিক কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, রোববার (২৩ জুন) বিকেলের দিকে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মতিউর পালিয়ে গেছেন।

;

অক্সিজেন সাপোর্ট দিলেন না চিকিৎসক, মারা গেল নবজাতক!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম,সিলেট
ছবি: বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ছবি: বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

  • Font increase
  • Font Decrease

অক্সিজেন সাপোর্ট না দেওয়ায় সিলেটের বিশ্বনাথে ভূমিষ্টে হওয়ার আধা ঘন্টার মধ্যেই এক নবজাতকের মারা গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

রোববার (২৩ জুন) রাতে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া নবজাতক বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের আলিম উদ্দিন সন্তান।

জানা গেছে, নবজাতক ভূমিষ্টের পর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে (নবজাতক) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন জরুরী বিভাগের ডাক্তার মামুন মিয়া।

এদিকে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স বিকল থাকায়, নবজাতককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের অক্সিজেন সাপোর্টে রাখার অনুরোধ জানিয়ে, বিকল্প অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থার চেষ্টা করছিলেন নবজাতকের পিতা। কিন্তু ডাক্তার তাদেরকে সেই সময়টুকু না দিয়ে অক্সিজেন সাপোর্ট ছাড়াই নবজাতকের পরিবারকে ওসমানী মেডিকেল যেতে বললে, আর তাতে পথিমধ্যেই অটোরিকশাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে নবজাতকটি। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই স্ট্যাটাস দেয়ায় ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় বইছে।

এব্যাপারে নবজাতকের বাবা আলিম উদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের দায়ী করে বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীকে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। তখন তাকে একজন মিড ওয়াইফ রিসিভ করেন, এসময় সেখানে দুইজন পুরুষ ডাক্তারও ছিলেন। কিছুক্ষন পরে বাহির থেকে কিছু ওষুধ কিনে আনতে বললে এনে দেই। এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে নরমাল ডেলিভারীর মাধ্যমে আমার এক পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহন করে। এর পাঁচ মিনিট পর তারা ছেলেকে নীচ তলায় নিয়ে যেতে দেখি। কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন জিজ্ঞাস করলে তারা আমাকে জানান নবজাতকের শ্বাস কষ্ট হচ্ছে, আর তাই কিছুক্ষণ জরুরী বিভাগের অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়। তখনও নড়াচড়া করছিল ছেলেটি। পরে রেফার করা হয় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে। আমরা অ্যাম্বুলেন্স চাইলে তারা জানান সেটি বিকল। নিজ ব্যবস্থায় যেতে বলেন। তখন আমরা তাকে জরুরী বিভাগের অক্সিজেন সাপোর্টে রাখার অনুরোধ জানিয়ে বিকল্প অ্যাম্বুলেন্স আনার সময় চাই। কিন্তু ডাক্তার আমাদের সে সময়টুকু দেননি। রাখতেও দেয়া হয়নি জরুরী বিভাগের অক্সিজেন সাপোর্টেও। তখন উপায় না দেখে অক্সিজেন সার্পোট ছাড়াই অটোরিকশায় (সিএনজি) আমরা ওসমানী হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। কিন্তু বিশ্বনাথ উপজেলা সদরে পৌঁছার পূর্বে আমার বাচ্চাটি মারা যায়। এর দায় সম্পূর্ণ ডাক্তারের। তারা আমাকে একটু সহযোগিতা করলে হয়তো অক্সিজেন সাপোর্টসহ বাচ্চাটিকে নিয়ে বের হতে পারতাম।

এব্যাপারে অভিযুক্ত ডাক্তার মামুন মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অবস্থাদৃষ্টে নবজাতকের তখন এনআইসিইউতে চিকিৎসা জরুরী ছিলো। যেটি আমাদের ওখানে নেই। তাই রেফার করা হয়। তখন তারা কেউ আমাদের কোন কিছু বলেননি। তাছাড়া বাচ্চাটিকে এখানে রাখা হতো তাহলে সে মারা যেতো।

এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.দেলোয়ার হোসেন সুমন মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

;