দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় চট্টগ্রামের ঈদ জামাতে দোয়া 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদ প্রাঙ্গণে সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে ঈদের নামাজে অংশ নিয়েছেন হাজারো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। ঈদের নামাজ আদায় শেষে সবাই দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে দু'হাতে তোলে দোয়া করেন।

সোমবার (১৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭টায় নগরীর ওয়াসা মোড়স্থ জমিয়তুল ফালাহ প্রাঙ্গণে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধানে ঈদ জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।

সাধারণ মুসল্লিদের পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জাতীয় পার্টির মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী ও সোলায়মান আলম শেঠসহ রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদুল আজহার প্রধান জামাতে অংশ নেন।

একই স্থানে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সোয়া ৮টায়। এই জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ্ মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মৌলানা আহমুদুল হক।

নামাজ শেষে দোয়া ও মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানায় হাজারও হাত। গুনাহ থেকে মুক্তি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবার, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করা হয়। সব মৃত ব্যক্তির কবরের আজাব থেকে মুক্তির দোয়া করা হয়েছে। যেকোনো বিপদ থেকে দেশকে হেফাজতের জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে। খতিব ও ইমাম বাংলাদেশকে সব ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য দোয়া করেন। ফিলিস্তিনসহ গোটা বিশ্বের নিপীড়িত মুসলমানদের জন্য প্রার্থনা করা হয়। এসময় ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় জমিয়তুল ফালাহ প্রাঙ্গণ।

এদিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির ব্যবস্থাপনায় ঈদুল আজহার জামাত স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। ইমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ সিনিয়র কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা ড. সাইয়েদ আবু নোমান।

এর আগে ঈদের নামাজ পড়ার জন্য আতর মেখে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে আসেন মুসল্লীরা। খতিব এ সময় খুতবা পাঠ করেন। খুতবা পড়ার সময় কিভাবে কোরবানি করতে হবে, কোরবানির মাংস কিভাবে বিলিবন্টন করতে হবে ইত্যাদি সম্পর্কে বয়ান করেন।

এছাড়া সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ৯টি মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

মসজিদগুলো হলো- লালদিঘী সিটি করপোরেশন শাহী জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ, জহুর হকার্স মার্কেট জামে মসজিদ, দক্ষিণ খুলশী (ভিআইপি) আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, আরেফীন নগর কেন্দ্রীয় কবরস্থান জামে মসজিদ, সাগরিকা গরুবাজার জামে মসজিদ এবং মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদ (সাগরিকা জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়াম সংলগ্ন)। নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে একটি করে প্রধান ঈদ জামাত স্ব স্ব মসজিদ ও ঈদগাহে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঈদ জামাত শেষে শুরু হয় পশু কোরবানির তোড়জোড়। ভোরেই কোরবানি করার জন্য পশুকে গোসল করিয়ে প্রস্তুত করে রাখা হয়। অনেকে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে ছুটে গেছেন গ্রামে। অনেকে যেতে পারেননি বা যাননি। যারা শহরে রয়ে গেছেন, তারা নিজেদের ও প্রিয়জনের নামে পশু কোরবানি দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি আদায়ে সচেষ্ট হয়েছেন।

   

ফতুল্লায় জাহাজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণ করছে/ছবি: সংগৃহীত

ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণ করছে/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুর ২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার। এর আগে, দুপুর দেড়টার দিকে আগুন লাগে।

তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা বাজারের পাশে একটা জাহাজে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চার ইউনিট কাজ করছে। আরও চারটি ইউনিট পথে আছে।

তবে কি ধরনের জাহাজ এখনো জানা যায়নি বলে জানান তিনি।

;

লালমনিরহাটে বাস চাপায় নিহত ১



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটে যাত্রীবাহী বাস চাপায় নুরজামাল ইসলাম (৬০) নামে এক ইমাম নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে লালমনিরহাট রংপুর মহাসড়কে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর মার্কেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইমাম নুরজামাল ইসলাম সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের ঢাকনাই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় উত্তর চিনিপাড়া বায়তুন নুর জামে মসজিদের খতিব।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের উত্তর চিনিপাড়া বায়তুন নুর জামে মসজিদ সংলগ্ন মকতবে শিক্ষার্থীদের পড়াতে বাড়ি থেকে বাইসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন নুরজামাল ইসলাম। জাহাঙ্গীর মার্কেট এলাকায় পৌঁছালে রংপুরগামী একটি বাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ইমাম নুরজামাল ইসলাম। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

মেডিকেল শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে আধুনিক যৌন ব্যবসা, আয় শতকোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চক্রের হোতারা

চক্রের হোতারা

  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উঠতি বয়সী তরুণীদের টার্গেট করে আকর্ষণীয় বেতন চাকরি, ট্যালেন্ট হান্টিং ও মডেলিংয়ের নামে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফাঁদে ফেলতো একটি চক্র। এরপর ব্যক্তিগত ছবি হাতিয়ে নিয়ে ব্ল‍্যাকমেইল করে অনলাইনে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হতো। দীর্ঘদিন ধরে অতি কৌশলে শতশত তরুণীদের ফাঁদে ফেলে আধুনিক যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগে চক্রের মূলহোতাসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি ‘র সাইবার পুলিশ সেন্টার)।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- চক্রের মূলহোতা ও মেডিকেল শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান (২৫) ও তার প্রধান সহযোগী খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন (২৬), মো. জাহিদ হাসান কাঁকন (২৮), তানভীর আহমেদ ওরফে দীপ্ত (২৬), সৈয়দ হাসিবুর রহমান (২৭), শাদাত আল মুইজ (২৯), সুস্মিতা আক্তার ওরফে পপি (২৭) ও নায়না ইসলাম (২৪)।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) ঢাকা, সাতক্ষীরা, চাঁদপুর ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি তৈরি ও তরুণীদের ব্ল্যাকমেইলে ব্যবহৃত ১২টি মোবাইল ফোন, ২০টি সিম কার্ড, ১টি ল্যাপটপ এবং আয়ের টাকা লেনদেনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড ও চেক বই জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া নামে ফেসবুক আইডি ও পেইজ খুলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ, লোভনীয় চাকরি, মডেল বানানো, মেধা অন্বেষণের নামে অল্পবয়সী তরুণীদের কাছ থেকে কৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও হাতিয়ে নিয়ে তা দিয়ে ব্ল‍্যাক মেইলের মাধ্যমে জোরপূর্বক তাদেরকে দেহব্যবসায় নামানোর ভয়ংকর এক চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি। এই চক্রটি মূলত উঠতি বয়সী তরুণীসহ যে সব তরুণীরা পারিবারিক ভাঙনের শিকার ও আর্থিক সমস্যা রয়েছে তাদের টার্গেট করত। চক্রটি কাজের সুযোগ দেওয়ার নামে ইন্টারভিউতে ডাকত। এরপর তাদের বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে সুযোগ দেওয়ার কথা বলে আপত্তিকর ছবি নিতো। প্রাথমিকভাবে কাজে আগ্রহী তরুণীদের চাহিদা মতো টাকা ও প্রয়োজন মিটাতো তারা। এরপর ধীরে ধীরে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করত তারা।

সিআইডির সংবাদ সম্মেলন

এই চক্রের মূলহোতা মেহেদী হাসান এবং তার খালাতো ভাই শেখ জাহিদ বিন সুজন মিলে এই চক্রটি গড়ে তুলেছিল। তারা দুজনেই মেডিকেল শিক্ষার্থী। তারা চিকিৎসা বিদ্যার আড়ালে অল্পবয়সী তরুণীদের ফাঁদে ফেলে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট তৈরি ও টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জারে নানা অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করত। গত ৭ বছরে তারা প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে। এই টাকা দিয়ে তারা যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা এবং ঢাকায় বিপুল পরিমাণ জমি ক্রয় করেছে। নির্মাণ করেছে আলিশান বাড়ি। তাদের আত্মীয়-স্বজনের ব্যাংক একাউন্টেও বিপুল অর্থ জমিয়ে রাখার তথ্য মিলেছে।

যেভাবে কাজ করতো চক্রটি

শুরুতে ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন, কখনও মডেল তৈরি, কখনোবা 'ট্যালেন্ট হান্ট' শীর্ষক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতো চক্রটি। এতে যারা সাড়া দিত তাদের নিয়ে টেলিগ্রামে গ্রুপ খুলতো। তারপর তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে বিদেশি বায়ারদের কাছে পাঠানোর কথা বলে মেয়েদের আপত্তিকর ছবি হাতিয়ে নিত চক্রটি। হাতিয়ে নেওয়া সেই সব অর্ধনগ্ন ছবি ভাইরাল করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে নগ্ন হয়ে ভিডিও কল বা সরসারি অসামাজিক কাজে বাধ্য করত। চক্রটির টেলিগ্রাম গ্রুপে হাজার হাজার সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। যারা একটি নির্দিষ্ট অর্থ দিয়ে ওই গ্রুপগুলোতে যুক্ত থাকতো। চক্রটি ভিডিও কলের সব কিছু গোপনে ধারণ করে রাখতো। এরপর মেয়েদের বাধ্য করা হতো চক্রটি ভুক্তভোগীদের যৌন সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করতো। এভাবেই চক্রটির হাতে আধুনিক যৌন দাসীতে পরিণত হয়েছিল শত শত তরুণী। দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান করে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার এই চক্রের মূল হোতা ও তার প্রধান সহযোগীদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

সিআইডির প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশ-বিদেশে চক্রটির রয়েছে শক্তিশালী একটি নেটওয়ার্ক। নানা নামে তাদের শতাধিক চ্যানেলে গ্রাহক সংখ্যা কয়েক লাখ। বিভিন্ন বয়সী নারীদের ভিডিওকল ও দেহ ব্যবসায় বাধ্য করে এবং গোপনে ধারণকৃত সেসব ভিডিও বিক্রি করে চক্রটি প্রায় ১০০ কোটি টাকা আয় করেছে। অর্থ লেনদেনের জন্য তারা ব্যবহার করতো এমএফএস বা মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস। এছাড়া ক্রিপ্টো কারেন্সিতেও তাদের হাজার হাজার ডলার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে নিজেদের আড়াল করার সব কলা-কৌশলও এই চক্রের জানা। ফলে শত শত মোবাইল সিম ব্যবহার করলেও তাদের কোনোটিই প্রকৃত ন্যাশনাল আইডি দিয়ে নিবন্ধন করা নয়। এক্ষেত্রে তারা নিম্ন আয়ের মানুষের অজ্ঞতার সুযোগ নিত। সামান্য অর্থ দিয়ে তোলা হতো সিমকার্ড। কন্টেন্ট আদান-প্রদান ও সাবস্ক্রিপশনের জন্য ছিল টেলিগ্রাম প্রিমিয়াম একাউন্ট এবং বিভিন্ন পেইড ক্লাউড সার্ভিস। অল্প বয়সী ভয়ানক চতুর এই দুই মেডিকেল শিক্ষার্থীর জিম্মায় কয়েক হাজার নারী রয়েছে। আছে টিকটক, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম সেলিব্রেটিও। অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপে গোপনে ধারণ করা প্রায় ১০ লাখ ন্যুড ছবি ও ২০ হাজার এডাল্ট ভিডিওর সন্ধান পাওয়া গেছে।

গ্রেফতার হওয়া চক্রের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে ও সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

;

এক মঞ্চে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাপার তরুণ নেতারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এক মঞ্চে তিন দলের নেতারা, ছবি: বার্তা২৪.কম

এক মঞ্চে তিন দলের নেতারা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝুঁকিমুক্ত নিরাপদ পথচারী পারাপারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ৬১ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া আবেদীন ভবন সংলগ্ন, জিয়া সরণি মিনি কালভার্ট নির্মাণ করার জন্য একযোগে আহবান জানিয়েছেন প্রধান তিন দলের তরুণ নেতারা।

বুধবার (২৬ জুন) ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই আহ্বান জানান।

তারা জানান, গত মে মাস থেকে ‘জিয়া সরণি মিনি কালভার্ট নির্মাণ’ বিষয়ে অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম শুরু করে, যা ৬১ নং ওয়ার্ডবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি। এই কার্যক্রমের আওতায় ফেলোগন পারস্পরিক ও নিজ নিজ দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নোয়াপাড়া নাগরিকদের সাথে কালভার্ট নির্মাণের বিষয়ে বিভিন্ন স্থানে কথা বলেন এবং সমস্যা সমাধানে স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রায় তিন'শ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেন।

ইউএসএআইডি'র অর্থায়নে আর্ন্তজাতিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল’র ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ" প্রকল্পের আওতায় এই তরুণ নেতারা ইয়ং লিডার ফেলোশিপ (ওয়াইএলএফপি) প্রোগ্রামে ২৪ তম ব্যাচে অংশ নিয়েছেন। এই ফেলোশিপ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে স্থানীয় সমস্যা সমাধানে ভিন্ন ভিন্ন দলের হলেও তারা একসাথে কাজ করছেন বলেও তারা জানান।

তারা বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ৬১ নং ওয়ার্ডের এই মিনি কালভারটা নির্মাণে খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। মানুষ এখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। এছাড়াও এলাকাবাসীর বিভিন্ন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর এই দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষার জন্য মিনি কালভার্টি খুবই জরুরি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রেহেনা আক্তার আশা, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সালেহা আক্তার, যুবদলের সাবেক দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটি সদস্য আফসানা ইয়াসমিন প্রমুখ।

;