ঈদে বান্দরবানে নেই পর্যটক, হতাশ ব্যবসায়ীরা



আমিনুল ইসলাম খন্দকার, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ঈদে বান্দরবানে নেই পর্যটক, হতাশ ব্যবসায়ীরা

ঈদে বান্দরবানে নেই পর্যটক, হতাশ ব্যবসায়ীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদ মানে খুশি। কিন্তু বান্দরবানের ব্যবসায়ীদের কাছে এবারের ঈদ মানে হতাশা। ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের বরণ করতে প্রস্তুত বান্দরবানের পর্যটনকেন্দ্র, হোটেল-মোটেল ও অবকাশযাপন কেন্দ্রগুলো। তবে গত ঈদের তুলনায় এবার পর্যটক তেমন নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

প্রতিবছর ঈদ ও সরকারি ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকতো পাহাড়ি কন্যা খ্যাত পার্বত্য জেলা বান্দরবান। সরকারী যেকোন বন্ধে তাই বান্দরবানের হোটেল-মোটেল আর পর্যটকবাহী যানবাহনগুলো বুকিং হয়ে যেত কয়েকদিন আগে থেকে। তবে এবারে ভিন্ন চিত্র বান্দরবানে।

এবারের ঈদে আশানুরূপ পর্যটকের দেখা মিলছে না কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ও পরবর্তী পরিস্থিতিতে। নিরাপত্তা নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে রয়েছে শঙ্কা ।

সাধারণত ঈদের ছুটিতে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও এ বছর জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র, হোটেল, মোটেল, রিসোর্টগুলো প্রায় ফাঁকা বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও পর্যটন খাতের ব্যবসায়ী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, নিরাপত্তাজনিত কোনো সমস্যা নেই।

বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় ওইসব পর্যটনকেন্দ্র এড়িয়ে চলার কথা বলেছে প্রশাসন। তবে বান্দরবান সদরে নীলাচল, মেঘলা, স্বর্ণ মন্দির, নীলগিরি, শৈলপ্রপাত ও প্রান্তিক লেক ভ্রমণে সমস্যা নেই। এ ছাড়া আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় রয়েছে বেশ কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র। এসব পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণে  বাধানিষেধ নেই। তারপরও ঈদের ছুটিতে আশানুরূপ পর্যটক সাড়া না পাওয়ায় ক্ষতির আশঙ্কায় হোটেল মোটেল আর রিসোর্টের ব্যবসায়ীরা।

পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, পাহাড়ের নানা সমস্যার কারণে হোটেল-মোটেল প্রায় শূন্য। গত বছর কিছুটা বুকিং থাকলেও এবার ঈদে তেমন অগ্রীম বুকিং নেই। অর্থ উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মচারীদের ছাঁটাই করেছেন হোটেল মালিকরা। বিপাকে পড়েছেন টুরিস্ট গাইড, চাঁদের গাড়ির চালক, আবাসিক হোটেলের কর্মচারীসহ অনেকেই। তারা পাহাড়ে সন্ত্রাস নির্মূল করে দ্রুত জেলার সব পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণের উপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন।

বান্দরবান আবাসিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জসীম

উদ্দিন বলেন, গতবছর থেকে পর্যটক কমে গেছে। পর্যটক কমে যাওয়ায় আমাদের আবাসিক হোটেলগুলো ক্ষতির মুখে পড়ে গেছে। আমরা ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ছাড় দিয়েও পর্যটক পাচ্ছি না।

বান্দরবান সদরের আবাসিক হোটেল হিলটন এর ম্যানেজার মো. আক্কাস বলেন, হোটেল হিলটন এর ৮৫টি রুমের মধ্যে এবারের ঈদে কোন রুম বুকিং হয়নি। প্রতিবছর ঈদ উল ফিতর ও ঈদ উল আযহার বন্ধে হোটেল মোটেলে রুম পাওয়া কষ্টকর হয়ে পড়তো তবে এবার চিত্র ভিন্ন, পাহাড়ের অবস্থা ভালো না থাকায় পর্যটকরা আসতে ভয় পাচ্ছে।

এদিকে হোটেল মোটেল আর রিসোর্টের পাশাপাশি বুকিং নেই পর্যটকবাহী যানবাহন গুলোতে। ঈদের বন্ধে এমন হাহাকার অবস্থায় হতাশ পর্যটকবাহী যানবাহনের মালিক আর শ্রমিকেরা।

বান্দরবানের চাঁদের গাড়ীর চালক মো. উসমান বলেন, বান্দরবানের রুমা,থানচি ও রোয়াংছড়িতে সন্ত্রাসীদের আনাগোনার সংবাদে অনেক পর্যটক বান্দরবানে আসতে চাইছে না। পর্যটক না থাকায় অনেকে পর্যটকবাহী গাড়িগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে।

বান্দরবানের পরিবহন শ্রমিক নেতা মো. বাহাদুর বলেন, পর্যটক পরিবহনের জন্য চার শতাধিক চাঁদের গাড়ি রয়েছে। কিন্তু পর্যটক না আসায় গাড়িচালকরা সবাই বেকার হয়ে পড়েছেন। গত দুই ঈদের মতো এবারও তেমন একটা বুকিং নেই, পর্যটকও আসছে না। তাই বাধ্য হয়ে অনেকে পেশাও পরিবর্তন করেছেন।

বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মঞ্জিল মোরশেদ বলেন, বান্দরবানের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে দুর্গম এলাকার পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে পর্যটক যেতে না পারলেও, জেলা সদরের আশপাশের মেঘলা, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, প্রান্তিক লেক, চিম্বুক ও নীলগিরি ভ্রমণে যেতে কোনো বাধা নেই।

তিনি আরও বলেন,বান্দরবান টুরিস্ট পুলিশ পর্যটকদের সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। এছাড়া বিভিন্ন হোটেল, কটেজ ও রিসোর্টগুলোতে পর্যটকদের যেন কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য জেলা টুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, পাহাড়ে যেসব এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চলমান আছে, সেসব এলাকা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানাচ্ছি। তবে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি এ তিন উপজেলা ছাড়া অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা স্বার্থে প্রত্যেকটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছেন।

বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায়  মামলায় অভিযুক্ত  ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র  সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে বান্দরবানে  যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

   

বগুড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

বগুড়ায় ট্রাকের ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।

বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে দুপচাঁচিয়া পৌর এলাকার জেকে কলেজের সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের সোনারপাড়া গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে সাদেকুল ইসলাম (১৯) ও একই এলাকার নবাব আলীর ছেলে মোকাদ্দেস (১৮) ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত সাদেকুল ও মোকাদ্দেস মোটরসাইকেল নিয়ে বগুড়া থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। জেকে কলেজ গেটের সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে চালক ও আরোহী রাস্তার ওপর পরে যায়। এ সময় মোকাদ্দেস ট্রাকের চাকায় পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় তারা। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন সাদেকুলকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সনাতন চন্দ্র সরকার বলেন, নিহতদের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশগুলো নিহতদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

রংপুরে পানিতে ডুবে একইদিনে ভাই-বোনসহ ৫ শিশুর মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে পানিতে ডুবে একইদিনে ভাই-বোনসহ ৫ শিশুর মৃত্যু

রংপুরে পানিতে ডুবে একইদিনে ভাই-বোনসহ ৫ শিশুর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরে পৃথক স্থানে একই দিনে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পানিতে ডুবে ভাইবোনসহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।

এদের মধ্যে মিঠাপুকুরে সকালে এক জন, দুপুরে মিঠাপুকুরের পায়রাবন্দ ঘাঘট নদীতে ২ জন এবং রংপুর নগরীর ভুরাঘাট এলাকার ঘাঘট নদীতে ২ জনের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রংপুর নগরীর ১৫ নং ওয়ার্ডের ভুরারঘাটের ঘাঘট নদীতে গোসল করতে নেমে ভাই বোনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন ঘাঘটপাড়া এলাকার আনিসুলের মোরসালিন আহমেদ জিম (১০) এবং রতন মিয়ার মেয়ে আরশি বেগম (১২)। নিহত দুজন সম্পর্কে জ্যাঠাত-চাচাতো দুই ভাই বোন। নিহত দুইজনেই স্থানীয় নর্থ বেঙ্গল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এর শিক্ষার্থী। আরশি ৬ষ্ঠ ও জিম পঞ্চম শ্রেণিতে পড়তেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কয়েকজন মিলে ঘাঘট নদীতে দুপুরের সময় গোসল করতে নামে তারা। গোসলে নামার পর পানির স্রোতে নদীর মধ্যখানে চলে যায় এবং এক সময় পানিতে ডুবে যায়। পরে ঘটনাস্থলে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উপস্থিত হয়ে বিকেলে সাড়ে ৩টার দিকে তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের আঠারোকাটা গ্রাম সংলগ্ন ঘাঘট নদীতে পানিতে ডুবে দুপুর আড়াইটার দিকে আইশা খাতুন ও আয়াত খাতুন নামে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে মিঠাপুকুরের ১১নং বড়বালা ইউপির পশ্চিম বড়বালা এলাকায় সকাল ৯টার দিকে এরশাদুল হকের এক বছরের মেয়ে মিফতাহুল জান্নাত মাইশা বাড়ির পাশে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা যায়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ।

;

চলন্ত ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসে ট্রেনে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণীকে (৭২৪ নং ট্রেন) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস এ কর্পোরেশনের তিন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। একই সাথে ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আবদুর রহিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (২৬ জুন) ভোররাত চারটার দিকে চলন্ত ট্রেনটিতে এ ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে মঙ্গলবার রাত ১০টায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসে ট্রেনটি। বুধবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম স্টেশন পৌঁছায়।

থানা ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট থেকে রাতে ছেড়ে আসার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে চারটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ট্রেনটি লাকসাম এলাকা পার হচ্ছিল। মূলত ক্যাটারিং সার্ভিসের তিন কর্মী ওই তরুণীকে খাবার গাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী তরুণী।

রেলওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী উদয়ন এক্সপ্রেসে করে চট্টগ্রামে আসছিলেন। খাবার বগিতে অবস্থানের সময় এস এস কর্পোরেশনের কয়েকজন কর্মী তরুণীটিকে প্রথমে উত্যক্ত। পরবর্তীতে ওই বগিতে ভোররাতের দিকে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী তরুণী। ওই তরুণী আত্মীয়দের সঙ্গে ভৈরবে থাকলেও তার বাড়ি বান্দরবান জেলায়।

রেলের দেয়া তথ্যে জানা গেছে, এই ঘটনায় খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মী মো. জামাল (২৭), মো. শরীফ (২৮) ও মো. রাশেদ (২৭)।

রাত আটটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শহীদুল ইসলাম।

তিনি জানান, উদয়ন এক্সপ্রেসের খাবারের বগিতে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভিকটিম (তরুণী) পুলিশের হেফাজতে আছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হবে।

চলন্ত ট্রেনে ধর্ষণের ঘটনা মর্মান্তিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পাশাপাশি বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে জিআরপি থাকায় মামলা দায়ের হয়েছে। ট্রেনের গার্ডকেও বরখাস্ত করা হয়েছে। রেলওয়ে ইতোমধ্যে এস এস কর্পোরেশনের ক্যাটারিং লাইসেন্স অনির্দিষ্টকালের জন্য বাতিল করেছে।

;

পাইলট সংকট কাটিয়ে উঠতে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ মন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ঘাটতি কাটিয়ে উঠার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান।

বুধবার (২৬ জুন) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সদর দপ্তরে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠককালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

তিনি বলেন, বিগত কয়েক বছরে বিমান নতুন নতুন আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালু করেছে এবং আরো কিছু নতুন রুটের চাহিদা রয়েছে সুতরাং বিমানের ফ্লাইট পরিচালনা নির্বিঘ্ন করার জন্য বিদ্যমান নিয়োগ নীতিমালার আলোকে যথাযথ স্বচ্ছতা বজায় রেখে দ্রুততার সাথে পাইলট ও কেবিন ক্রু নিয়োগের মাধ্যমে ঘাটতি কাটিয়ে উঠার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, বিমানের সেবাকে আরো বেশি যাত্রীবান্ধব করতে হবে। দ্রুততার সাথে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দিয়ে কল সেন্টার গুলোকে ২৪ ঘণ্টা সচল রাখতে হবে যাতে যাত্রীরা যেকোনো সময় তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারেন। এছাড়াও বর্তমানে ওয়েবসাইট ও দেশীয় সেল সেন্টারগুলোতে নগদ টাকার পাশাপাশি ক্রেডিট কার্ড দিয়ে টিকেট কাটা গেলেও বিদেশের বিভিন্ন স্টেশনের সেল সেন্টারে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। অতি দ্রুত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের এই সীমাবদ্ধতা দূর করতে হবে।

ফারুক খান বলেন, প্রতিটি উড়োজাহাজের যথাযথ স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর মেনে নিয়মিত ও যথাসময়ে মেইনটেনেন্স কাজ সম্পূর্ণ করতে হবে। ফ্লাইটের ইনফ্লাইট সেবা ও অভ্যন্তরীণ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে আরো বেশি যত্নবান হতে হবে। বিমানের প্রতিটি বিভাগের মধ্যে নিবিড় আন্ত-সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যবসা উন্নয়নের সময়োপযোগী কৌশল গ্রহণ করতে হবে। সেবা সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য যাত্রী ও জনগণের কাছে যথাসময়ে পৌঁছে দিতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম ভূঞা।

;