কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অভিযান, ৮০ রোহিঙ্গা আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে অভিযান পরিচালনা করে ৮০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ৪টি বাসের ৭ জন চালক ও সহকারীকেও আটক করা হয়।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করে এসব রোহিঙ্গাকে আটক করে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ৪টি বাস জব্দ করা হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা জানিয়েছেন, ৪টি বাসযুগে ৮০ জন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে কক্সবাজারে ঘুরতে আসছে এমন খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে ৮০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়। এছাড়া বাস চালক এবং হেলপারসহ জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, রোহিঙ্গারা যাতে ক্যাম্প থেকে বের হয়ে সমুদ্র সৈকতে আসতে না পারে এজন্য জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক তদারকিতে রয়েছে। যাদেরকে আটক করা হয়েছে তাদেরকে ক্যাম্প ইনচার্জের সাথে কথা বলে কুতুপালং ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

এছাড়াও তিনি জানান, ৪টি বাসের মালিককে ডেকে ১৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। মুচলেকায় আবারো যদি রোহিঙ্গাদের অবৈধ উপায়ে পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয় তাহলে রোড পার্মিট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিল করা হবে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রোহিঙ্গারা উখিয়ার ১৫, ১, ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে কক্সবাজার শহরে অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা।

   

জাফলংয়ে সাপের কামড়ে পর্যটক আহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, সিলেট
মায়াবী ঝর্ণায় সাপের কামড়ে পর্যটক আহত

মায়াবী ঝর্ণায় সাপের কামড়ে পর্যটক আহত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলং পর্যটনকেন্দ্রের মায়াবী ঝর্ণায় বিষাক্ত সাপের কামড়ে মোহাম্মদ সানাউল্লাহ নামে এক পর্যটক আহত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত রয়েছেন জানিয়েছে টুরিস্ট পুলিশ সূত্র।

বুধবার (২৬ জুন) মায়াবী ঝর্ণা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

আহত সানাউল্লাহ চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার নাইমুল হকের ছেলে। উদ্ধার করে তাকে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ সানাউল্লাহ বন্ধুদের সাথে জাফলং ভ্রমণের উদ্দেশ্যে আসলে এক পর্যায়ে দুপুরের দিকে তারা জাফলং মায়াবী ঝর্ণায় যান। সেখানে দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মায়াবী ঝর্ণার উপরে উঠেন তারা। এসময় বিষাক্ত একটি সাপ সানাউল্লাহর পা কামড়ে ধরে। পরে সানাউল্লাহ সাপটিকে ছাড়িয়ে ঝর্ণার নিচে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লে ট্যুরিস্ট পুলিশ তাৎক্ষণিক জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর দায়িত্বরত চিকিৎসক পর্যটকের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্যুরিস্ট পুলিশ জাফলং জোনের ইনচার্জ মো.রতন শেখ বলেন, ‘ঝর্ণাটি ভারতীয়। উপরে না উঠার জন্য দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা বার বার মাইকিং করে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করে আসলেও কে শুনে কার কথা। ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে এখানে সতর্কাবলী বিলবোর্ড স্থাপন করা আছে। এরপরও অনেক পর্যটক অতি উৎসাহিত হয়ে ঝর্ণার একেবারে উপরের দিকে উঠতে যায়। এতে করে মাঝেমধ্যে অনাকাঙ্খিত কিছু দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে। আজকের সাপের কামড়ে আহত হওয়ার ঘটনাও সেই ধারাবাহিকতার অংশ।

;

মামলা করলেন আত্মহত্যা করা চিকিৎসকের মা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
অপর্ণা বসাক

অপর্ণা বসাক

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অপর্ণা বসাক (৩০) নামের এক চিকিৎসক নিজের শরীরে আগুন দিয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় নিহত অপর্ণার মা জ্যোৎস্না বসাক বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। 

আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ একজনকে আসামি করে বুধবার (২৬ জুন) কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করা হয়।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) ভোরের দিকে অপর্ণা নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে লেখেন, ‘ভালো থাকো। আমি আর পারছি না। হয়তো সবার মতে হেরে গেলাম। মুক্তি দিয়ে গেলাম।’ স্ট্যাটাসটিতে খন্দকার মাহবুব এলাহী নামের এক ব্যক্তিকে ট্যাগ করে দেওয়া হয়। এরপর নিজ কক্ষ থেকে অর্পণার পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘নিহত চিকিৎসকের মা জ্যোৎস্না বসাক বাদি হয়ে বুধবার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেছেন। সেখানে স্ট্যাটাসে ট্যাগ করা খন্দকার মাহবুব এলাহীকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু মাহবুল এলাহীর কোনো ঠিকানা নেই। ফেসবুক আইডিটিও ডিজেবল দেখাচ্ছে। ওই ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে আমরা কাজ করছি।’

অপর্ণা বসাক জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার প্রয়াত রতন বসাকের মেয়ে। দুই মাস আগে ময়মনসিংহ নগরীর পণ্ডিতপাড়া এলাকার একটি বাড়ির নিচতলায় বাসা ভাড়া নেন তিনি। ওই বাসায় মা জ্যোৎস্না বসাককে নিয়ে থাকতেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসক অপর্ণা বসাক ময়মনসিংহ নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তিনি বগুড়া মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।

;

মতিউরের স্বজনদের সম্পদের পাহাড়, দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়ে হতবাক গ্রামবাসী!



এস এল টি তুহিন,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বরিশাল
মতিউরের গ্রামের দ্বিতল আলিশান বাড়ি

মতিউরের গ্রামের দ্বিতল আলিশান বাড়ি

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সময়ে দেশের আলোচিত ঘটনা 'ছাগল কাণ্ড' ঘটনার মূল চরিত্রে আসীন হওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদ্য সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের জন্ম বরিশালের মুলাদী উপজেলায় বাহাদুরপুর গ্রামে। নিজ গ্রামের মানুষ তাকে চেনেন পিন্টু নামে।

পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলায় খালা বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করা মতিউর রহমান পিন্টুর সম্পদের পাহাড় এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর বিষয়টি নিয়ে পুরো গ্রামজুড়েই চলছে সমালোচনার ঝড়। একজন স্কুল শিক্ষকের সন্তান হয়ে কীভাবে গড়েছেন এতো সম্পদের পাহাড় সেই প্রশ্নে হতবাক গ্রামবাসী।

নিজ গ্রাম মুলাদীতে তেমন সম্পদ নেই মতিউর রহমান পিন্টুর নামে। তবে স্বজনদের রয়েছে বাড়ি, গাড়িসহ অঢেল সম্পদের পাহাড়। আর এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে মতিউর রহমান পিন্টুর হাত ধরে। স্থানীয়দের দাবি, মতিউর রহমান রাজস্ব কর্মকর্তা হওয়ার পরপরই অর্থ-সম্পদে ফুলে ফেঁপে ওঠেন পরিবারের অন্য সদস্যরা।

বুধবার (২৬ জুন) সরেজমিনে মুলাদীর কাজিরচর ইউনিয়নের বাহাদুরপর গ্রামে দেখা যায়, মতিউর রহমানের গ্রামের বাড়িতে দৃষ্টিনন্দন দ্বিতল আলিশান বাড়িসহ রয়েছে দৃষ্টিনন্দন নানান স্থাপনা। খালের ওপর নির্মিত পাকা সেতু পেরিয়ে বাড়িতে ঢুকতেই চোখে পড়ে দৃষ্টিনন্দন মাদ্রাসা ও মসজিদ। একপাশে তিনতলা মাদ্রাসা এবং অপরপাশে দ্বিতল মসজিদ। দুটি স্থাপনার মাঝেই রয়েছে বিশাল দৃষ্টিনন্দন গেট। সেই গেট পার হয়ে যেতে হয় মতিউর রহমান পিন্টুর বাড়িতে। তবে বুধবার বিকেলে সেই বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি কাউকে। বাড়ির কলাপসিবল গেটে ঝুলছে তালা। ভেতরে লোক থাকলেও সাংবাদিক দেখেই লুকিয়ে পড়েন তারা।

মতিউর রহমান পিন্টুর বাড়ির দক্ষিণ দিকে রয়েছে রহমানিয়া টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজ। তার পাশেই তিনতলা একটি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। যা ব্যবহার করা হচ্ছে কলেজ ভবন হিসেবে। এদিকে, পিন্টুর বাড়ির সামনে দিয়ে এঁকেবেঁকে বয়ে যাওয়া খালের দুই পাড় বাঁধানো হয়েছে সিমেন্টের ব্লক দিয়ে। খালের দুই পাশেই নির্মাণ করা হয়েছে পৃথক দুটি পাকা রাস্তা। খালের দুই পাড়ের প্রতিটি বাড়ির সামনে বাঁধানো হয়েছে অসংখ্য ভানায় খাটলা। খালের ওপর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি সেতু।

স্থানীয়দের দাবি, নিজের এবং স্বজনদের বাড়িঘর রক্ষায় সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রায় শত কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান পিন্টুর প্রচেষ্টায়।

মতিউর রহমান পিন্টুর মেঝ ভাই কাইয়ুম শের হাওলাদার। যিনি একসময় শিক্ষকতা করলেও বর্তমানে ঢাকার বড় শিল্পপতি। মুলাদী পৌর এলাকায় থানার পাশেই রয়েছে তার দোতলা বাড়ি। গ্রামে আসলে ওই বাড়িতেই থাকেন কাইয়ুম হাওলাদার।

বরিশাল মুলাদীর প্যাদারহাট বাজারে পিন্টুর ছোটভাই নুরুল হুদার রয়েছে বহুতল ভবন। সেই ভবনেই পিন্টুর মায়ের নামে চালু করা হয়েছিল একটি ক্লিনিক। স্থানীয়দের দাবি, ক্লিনিকটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে। এর বাইরে গ্রামে অনেক জমিও রয়েছে পরিবারের সদস্যদের। এসব সম্পত্তি মতিউরের পরিবার করলেও এর প্রকৃতি মালিক কে তা জানা নেই কারোর।

স্থানীয়দের দাবি, সকল প্রতিষ্ঠানই গড়ে তোলা হয়েছে পাওলাদার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। এমনকি সেই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেই পরিচালনা হচ্ছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এ ফাউন্ডেশনে কারা জড়িত এবং অর্থের উৎস কী জানা নেই গ্রামবাসীর।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. আব্দুস ছত্তার বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'মতিউর রহমান নামেই পরিচিত এনবিআরের সাবেক সদস্য পিন্টুর বাবা হাকিম হাওলাদার একসময় ঢাকার টঙ্গীতে একটি কারখানায় চাকরি করতেন। সেখান থেকে এসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। অবসরে গিয়ে কাজিরচর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন তিনি।

এরপর দায়িত্ব পালন করেন টানা ৯ বছর। গ্রামে যে বাড়িটি নির্মাণ করেছে সেটা হাকিম হাওলাদারের নির্মাণ করা, দাবি আব্দুস ছত্তারের। তবে মতিউর ও তার পরিবার কীভাবে এতো অর্থ সম্পদের মালিক হলেন তা জানা নেই স্থানীয় বাসিন্দাদের।

জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর ২০০৩ সালে কাজিরচর ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন মতিউরের বাবা হাকিম হাওলাদার। জীবদ্দশায় তিনি কাজিরচর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। মুলাদী উপজেলা ১৪ দলের বর্তমান সমন্বয়ক ইউসুফ আলীকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আবার ওয়ান-ইলেভেনের সময় চেয়ারম্যান পদের মেয়াদ শেষ হলেও নানা উপায়ে আরও প্রায় চার বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকেন হাকিম।

অপরদিকে, স্কুলজীবন থেকেই মেধাবী ছিলেন মতিউর। তবে পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে মুলাদীর পার্শ্ববর্তী বাবুগঞ্জ উপজেলায় খালার বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। পরিবারে ৩ ভাই আর ২ বোনের মধ্যে বড় মতিউর রহমান পিন্টু বিএনপি শাসনামলে বিএনপি নেতা মোশারেফ হোসেন মঙ্গুর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।

রাজস্ব ক্যাডারে যাওয়ার আগে ১১তম বিসিএসে ট্রেড ক্যাডারে চাকরি হয়েছিল তার। ট্রেড ক্যাডার বিলুপ্ত হলে পছন্দ অনুযায়ী অন্যান্য ক্যাডারে যাওয়ার সুযোগ পান ট্রেড ক্যাডারের কর্মকর্তারা। আর রাজস্ব কর্মকর্তা হিসাবে মতিউরের যোগদানের পর এই পরিবারকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, মতিউর রাজস্ব কর্মকর্তা হিসাবে ক্ষমতাবান হয়ে ওঠার আগ পর্যন্ত হাকিম হাওলাদারের পরিবারে তেমন সচ্ছলতা ছিল না। গ্রামে জায়গা-জমির পরিমাণও খুব বেশি ছিল না। তবে ৯১-পরবর্তী বিএনপির শাসনামলে রাজস্ব কর্মকর্তা হিসাবে মতিউরের উত্থানের পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে এই পরিবারের অর্থবিত্তের চিত্র।

তারা আরও জানান, মতিউর রহমানের মেজভাই কাইয়ুম হাওলাদারের শুরু শিক্ষকতা দিয়ে। ভাই রাজস্ব কর্মকর্তা হওয়ার পর সম্পদের পাহার গড়ার মিশনে নামেন তিনি। রাজধানী ঢাকার টঙ্গীতে গড়ে তোলেন ট্রাভেল ব্যাগ তৈরির কারখানা। ছাগল কাণ্ডের আগে অর্থাৎ ঈদের একমাস আগেও সোনালী ব্যাংক থেকে বড়ভাই মতিউর রহমানের প্রভাবে তিনশত কোটি টাকার লোন নেন কাইয়ুম হাওলাদার। বাবা বিএনপি নেতা হলেও সম্প্রতি মুলাদীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিজের নাম লেখান কাইয়ুম। অর্থবিত্তের প্রভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেন আধিপত্য। বাবাকে চেয়ারম্যান বানাতে প্রচুর টাকা খরচ করেছিলেন মতিউর। কারণ ২০০৩ সালে মতিউর ছাড়া তখন অন্য ভাইয়েরা স্বাবলম্বী ছিলেন না।

এদিকে, মতিউর ঢাকার বিত্তশালী হওয়ার বিষয়টি জানলেও তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা জানা ছিল না এলাকাবাসীর। মতিউরের গ্রামের বাড়ির প্রতিবেশী মাসুম বার্তা২৪.কমকে বলেন, মতিউর রহমানের পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকেন। গ্রামের বাড়িতে তাদের খুব একটা যাতায়াত নেই। গ্রামের বাড়িটি দেখাশোনার জন্য একজন কেয়ারটেকার রয়েছে। তার বাড়িও খুলনায়।

তিনি জানান, ২০১৮ সালে মতিউর রহমানের বাবা আবদুল হাকিম হাওলাদার মৃত্যুবরণ করেন। তখন মতিউর রহমান বাড়িতে এসেছিলেন। পরের বছর মায়ের অসুস্থতার খবর শুনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার জন্য বাড়িতে আসেন। বাড়িতে তার ছোট ভাই নুরুল হুদা ও মেজ ভাই কাইয়ুম হাওলাদার মাঝেমধ্যে আসেন। তিনি জানান, নুরুল হুদা ঈদের এক দিন আগে এসে কোরবানি দিয়েছেন। পরে আবার ঢাকায় ফিরে গেছেন।

বাহাদুরপুর রহমানিয়া টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. খলিলুর রহমান বার্তা ২৪.কমকে বলেন, 'এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা মতিউর রহমান। প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হয়েছে। এখানের বর্তমান সভাপতি মতিউর রহমান। তবে আমি যোগদান করেছি প্রায় ৮ মাস। এর মধ্যে একবারের জন্যও গ্রামে আসেননি তিনি। বিদ্যালয় পরিচালনার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হলে তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। বর্তমান ঘটনার পর থেকে তার সাথে আমাদের কোন যোগাযোগ নেই।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বাহাদুরপুর টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড বিএম কলেজ প্রতিষ্ঠার সময় খাল ভরাট করা হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় কৃষক এবং জনপ্রতিনিধিরা বিরোধিতা করলেও সুফল পাননি তারা। মতিউর রহমানের প্রভাবের কাছে হার মানতে হয় তাদের।

এ প্রসঙ্গে মুলাদীর কাজিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মন্টু বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি গড়ার সময় এলাকার কৃষকেরা প্রতিবাদ করেছিল। কিন্তু কোন কাজ হয়নি। জোয়ার-ভাটার খাল আটকে দেওয়ায় শুকনো মৌসুমে ফসলি জমিতে সেচ দিতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের।

;

আওয়ামী লীগ আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিবে আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: আওয়ামী লীগ

ছবি: আওয়ামী লীগ

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ পঞ্জিকা বছর ২০২৩-এর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিবে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন)। এজন্য সকাল ১১ টায় নির্বাচন কমিশন অফিসে যাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। 

বুধবার (২৬ জুন) আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান এক ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন। 

তিনি জানান, আগামীকাল ২৭ জুন, বৃহস্পতিবার, সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন অফিসে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পঞ্জিকা বছর ২০২৩-এর আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা প্রদান করবে।



;