সুরমা-কুশিয়ারার ছয় পয়েন্ট এখনও বিপৎসীমায় 

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সিলেট
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের নদ-নদীগুলো এখনও বিপৎসীমায় রয়েছে। সুরমা ও কুশিয়ারার ছয়টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার থেকে ১০২ সেন্টিমিটারে উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

শুক্রবার (২১ জুন) সকাল সাড়ে ছয়টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

পাউবোর তথ্যানুযায়ী, সুরমা সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ও কামাইঘাট পয়েন্টে ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর আমলসীদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জে ১০২ সেন্টিমার ও শেরপর পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সিলেটে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চলমান বৃষ্টিপাত আগামী পাঁচ দিন অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাসে এসব কথা জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কিছুটা কমলেও রংপুর, ময়মনসিংহ ও  সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় তা অব্যাহত থাকবে। 

এর আগে, গত তিন সপ্তাহে  সিলেট নগরীতে অতিভারি বৃষ্টিতে পাঁচবার তলিয়েছে শতাধিক এলাকা। জলাবদ্ধতায় ভুগেছে নগরবাসী৷ পরবর্তীতে উজান থেকে নেমে আসা  পানিতে সুরমাসহ সিলেটের নদ-নদীগুলো বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এতে সিলেটের সবগুলোর উপজেলায় বন্য পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।

গত ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেটে বন্যা দেখা দেয়। ৮ জুনের পর থেকে বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। সর্বশেষ সোমবার শুরু হওয়া অবিরাম বৃষ্টিতে আবার জেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে নগরে বন্যা দেখা দেয়।