পানিবন্দি মুজিবপল্লীর ১০০ পরিবার



রাজু আহম্মেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সুনামগঞ্জ জেলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে লালপুর বাজারের অদূরে অসহায় গৃহহীনদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে ১৪৭ টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। ৬ মাস আগে সেখানে ঠাঁই হয়েছিল ১০০ পরিবারের। ঠাঁই নেওয়া অধিকাংশ পরিবারেরই কর্মক্ষম ব্যক্তি একজন, যাদের বেশিরভাগই দিনমজুর। প্রতিদিনই পেটের তাগিদে ঘর থেকে বের হতে হয় এখানকার মানুষকে। তবে সুনামগঞ্জের আকস্মিক বন্যায় বিপাকে পড়েছেন মুজিবপল্লীর বাসিন্দারা।

আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণের কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও সেখানে নির্মাণ করা হয়নি সংযোগ সড়ক। ফলে রাস্তা না থাকায় বন্যার কবলে পড়া এখানকার হাজার হাজার মানুষের চলাচলের জন্য ব্যবহার করতে হচ্ছে নৌকা। এতে ঝুঁকির মুখে মুজিবপল্লীর বাসিন্দারা।

এদিকে বৃষ্টিপাত বাড়লেই পানি উঠছে আশ্রয়ণের ঘরে। নির্মাণের ছয় মাসেই ঘরের চাল দিয়ে পানি পড়ার অভিযোগও করছে বসবাসকারীরা। পানিবন্দি হওয়ার কারণে শিশুদের নিয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে সেখানকার বাসিন্দারা।

ঝুঁকির মুখে মুজিব পল্লির বাসিন্দারা

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘরে উঠার আগেই রাস্তা নির্মাণের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন করেনি উপজেলা প্রশাসন। এছাড়া মুজিবপল্লীর শিশুদের জন্য করা হয়নি শিক্ষার ব্যবস্থা। মসজিদ কিংবা মন্দিরও নেই সেখানে। এতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।

আব্দুল মালেক নামের এক বাসিন্দা বলেন, উদ্বোধনের সময় বলছে ৬ মাসে রাস্তা হবে। তা এখনো করে নি। অল্প বৃষ্টিতে আমাদের ঘরে পানি উঠছে। চাল দিয়ে পানি পড়ছে। ড্রেন না থাকায় পানি নেমে যেতে পারে না। এতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। আমরা দ্রুত সংযোগ সড়ক চাই।

পৌলমি দাস নামের এক নারী বাসিন্দা বলেন, আমাদের বাচ্চাদের জন্য কোন স্কুল নেই। এখানে নৌকা দিয়ে যাইতে হচ্ছে। এভাবে তো যাওয়া সম্ভব না। বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে আছি। চারদিকে পানি। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। রাস্তা থাকলে এই ভোগান্তি হতো না।

অল্প বৃষ্টিতে ঘরে পানি উঠে

সুলতান ইসলাম নামের আরেকজন বলেন, আমাদের যে সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা সেটা দেওয়া হচ্ছে না। রাস্তা নাই, ড্রেন নাই, অথৈ দরিয়ায় আমাদের ফেলে রেখে গেছে। পারছি না বের হতে। যেতে হলে নৌকার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে। কাজে যেতে দেরি হচ্ছে। মূলত এখানে অনিয়ম ঘটে অনেক।

তবে সুনামগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন বলছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের সব কাজ করা হয়েছে। এল জিইডির অনুমোদন না থাকায় সড়ক নির্মাণ করা যায়নি। অনুমোদন পেলে সড়ক নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমি মান্নান।

শিক্ষকদের আন্দোলন: ‘প্রত্যয়’ স্কিম নিয়ে যা জানালো অর্থ মন্ত্রণালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রত্যয় স্কিম

প্রত্যয় স্কিম

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বজনীন পেনশনব্যবস্থায় শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে ঘোষিত ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। এমন পরিস্থিতিতে ‘প্রত্যয়’ স্কিমের কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে ১ জুলাই থেকে প্রত্যয় স্কিম যাত্রা শুরু করে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ১ জুলাই ২০২৪ সাল থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয়’ স্কিম যাত্রা শুরু করেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনয়নের লক্ষ্যে অন্যান্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রবর্তন করা হয়েছে।

বর্তমানে ৪০৩টি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯০টির মতো প্রতিষ্ঠানে পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে। অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ডের (সিপিএফ) আওতাধীন।

সিপিএফ সুবিধার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্ত হয়ে থাকেন, কোনো পেনশন পান না। তাছাড়া সরকারি, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ একটি সুগঠিত পেনশনের আওতা বহির্ভূত থাকায় সরকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মাধ্যমে একটি সুগঠিত পেনশন কাঠামো গড়ে তোলার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রবর্তন করেছে।

প্রত্যয় স্কিমের যে বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হয়েছে

>> গত অর্থবছরের শেষদিন অর্থাৎ ৩০ জুন পর্যন্ত যে সব শিক্ষক/কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিরত আছেন তারা পূর্বের ন্যায় সব পেনশন সুবিধা প্রাপ্য হবেন।

>> বর্তমানে সরকারি পেনশনে আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। ফলে, পেনশনের যাবতীয় ব্যয় প্রয়োজন অনুযায়ী প্রদত্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে মেটানো হয়। ১ জুলাই ২০২৪ সাল থেকে ফান্ডের ডিফাইন্ড কন্টিবিউটরি সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থা চালু হবে বিধায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাসিক জমার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা যা কম হবে তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন থেকে কাটা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রদান করবে। অতঃপর উভয় অর্থ ওই কর্মকর্তা/কর্মচারীর কর্পাস অ্যাকাউন্টে জমা হবে।

>> আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ ক্রমাগত বৃদ্ধি পায় যা দীর্ঘমেয়াদে কোনোক্রমেই টেকসই ব্যবস্থা নয়। অপরদিকে ফান্ডেড কন্টিবিটরি পেনশন সিস্টেমে প্রাপ্ত কন্ট্রিবিউশন এবং বিনিয়োগ মুনাফার ভিত্তিতে একটি ফান্ড গঠিত হবে বিধায় এটি দীর্ঘমেয়াদে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ২০০৪ সাল থেকে ফান্ডেড কন্ট্রিবিউটরি পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে।

>> নতুন পেনশন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর মধ্যে আনা সম্ভব হবে। এতে ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশন এবং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

>> কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একই পদে বা উচ্চতর কোনো পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তিনি সার্ভিস প্রটেকশন ও পে প্রটেকশন প্রাপ্ত হন বিধায় এটিকে নতুন নিয়োগ হিসাবে গণ্য করা হয় না। সেক্ষেত্রে তার বিদ্যমান পেনশন সুবিধার আওতায় থাকার সুযোগ থাকবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী যারা ২০২৪ সালের ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন কেবলমাত্র তারা প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন।

>> সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনে ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন প্রাপ্তির উল্লেখ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৬৫ বছর থেকে অবসরে যাবেন বিধায় ৬৫ বছর থেকে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। এক্ষেত্রে সরকার আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে।

>> লাম্পগ্রান্ট ও পিআরএল অর্জিত ছুটি প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রদান করা হয় বিধায় ছুটি জমা থাকা সাপেক্ষে তা বহাল থাকবে।

>> কন্ট্রিবিউটরি পেনশন সিস্টেমে অংশগ্রহণকারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এককালীন নয় বরং মাসিক পেনশনের যুক্তিসংগত পরিমাণ নির্ধারণ করাই অগ্রগণ্য বিধায় এক্ষেত্রে আনুতোষিকের ব্যবস্থা রাখা হয়নি বরং বিদ্যমান মাসিক পেনশনের কয়েকগুণ বেশি মাসিক পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে মাসিক ৫০০০ টাকা বেতন থেকে কাটা হলে একই পরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠান জমা প্রদান করলে ৩০ বছর পর একজন পেনশনার প্রতি মাসে ১,২৪,৬৬০ টাকা হারে আজীবন পেনশন পাবেন। তার নিজ আয়ের মোট জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ টাকা এবং তিনি যদি ১৫ বছর ধরে পেনশন পান সেক্ষেত্রে তার মোট প্রাপ্তি হবে ২ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা যা তার জমার প্রায় ১২.৫ গুণ। পেনশনার পেনশনে যাবার পর ৩০ বছর জীবিত থাকলে তার জমার প্রায় ২৫ গুণ অর্থ পেনশন পাবেন।

>> বিদ্যমান ব্যবস্থায় পেনশনার আজীবন পেনশন পান। তার অবর্তমানে পেনশনারের স্পাউজ (স্বামী/স্ত্রী) এবং প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন পেনশন পান। নতুন পেনশন ব্যবস্থায়ও পেনশনার আজীবন পেনশন পাবেন। পেনশনারের অবর্তমানে তার স্পাউজ (স্বামী/স্ত্রী) বা নমিনি পেনশনারের পেনশন শুরুর তারিখ থেকে ১৫ বছর হিসাবে যে সময় অবশিষ্ট থাকবে সে পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন। উদাহরণস্বরূপ, একজন পেনশনার অবসরে যাবার পর পেনশন ভোগরত অবস্থায় ৫ বছর পেনশন পেয়ে তারপর মারা গেলেন। এক্ষেত্রে তার স্পাউজ বা নমিনি আরো ১০ বছর পেনশন পাবেন।

;

কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি হু হু করে বাড়ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই লেকের পানি বৃদ্ধিতে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিটের মধ্যে চারটি ইউনিট হতে ১৬৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।

কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, টানা বৃষ্টিতে কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন হয়েছে ১৬৪ মেগাওয়াট। এরমধ্যে ১ ও ২ নং ইউনিট হতে ৪২ মেগাওয়াট করে ৮৪ মেগাওয়াট এবং ৪ ও ৫ নং ইউনিট হতে ৪০ মেগাওয়াট করে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

চলতি বছরে এটি কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সর্বাধিক উৎপাদন। পানির পরিমাণ বাড়তে থাকলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি। তাছাড়া বর্তমানে ৩ নং ইউনিট বন্ধ রয়েছে বলে তিনি জানান।

এদিকে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা জানান, বছরের এই সময় কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ রুলকার্ভ অনুযায়ী ৮৪ দশমিক ১৬ ফুট এমএসএল থাকার কথা থাকলেও মঙ্গলবার কাপ্তাই হ্রদে পানি পরিমাণ রয়েছে রুলকার্ভ অনুযায়ী ৮৩ দশমিক ৬৯ ফুট মীন সি লেভেল। যা গত কয়েকদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ পানির লেভেল। তবে কাপ্তাই হ্রদের পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট মীন সি লেভেল।

উল্লেখ্য, কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট হতে সর্বোচ্চ ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।

;

অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট

রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘেরাও



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘেরাও, ছবি: সংগৃহীত

জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘেরাও, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে রূপগঞ্জের বরপা এলাকার ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়। এটিইউ’র পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মাহফুজুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, রূপগঞ্জের বরপা এলাকায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে চারতলা একটি বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। একটু পরে সেখানে অভিযান শুরু হবে। এখনও বোঝা যাচ্ছে না ভেতরে কতজন আছেন। পরে এবিষয়ে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

;

পেনশনের টাকায় মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
পেনশনের টাকায় মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ, ছবি: বার্তা২৪.কম

পেনশনের টাকায় মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা গিয়াস উদ্দিন। বয়স ৭০। পেনশনের ২৫ লাখ টাকাসহ নিজের প্রায় সর্বস্ব ব্যয় করে গড়ে তুলেছেন একটি মসজিদ। এমন উদ্যোগে স্থানীয়দের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বেড়াখলা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। নিজের ১০ শতাংশ জমিতে বাইতুন নূর জামে মসজিদের পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা। সেখানে পড়ছেন ২৫ জন শিক্ষার্থী। তাদের বিনা বেতনে পড়াচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার ওয়াহেদপুর আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন তিনি। মাওলানা গিয়াস উদ্দিন শান্ত প্রকৃতির মানুষ। সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের সেবা করেন। পেনশনের টাকা ও নিজের সম্পদ দিয়ে তিনি মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করছেন। এতে গর্ববোধ করেন তারা।


মাওলানা গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমার কোনো ছেলে-মেয়ে নেই। আমি মারা যাওয়ার পর দোয়া করার মতোও কেউ নাই। তাই এই মসজিদ-মাদ্রাসার উসিলায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করছি। এই চিন্তা থেকে পেনশনের সব টাকা দিয়ে মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করি। পাশাপাশি আমার স্ত্রী নিজ থেকে তার জমানো ৩ লাখ টাকা আমার হাতে তুলে দিয়েছেন।

সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা এই মসজিদ নির্মাণ করা। কোনো কিছু না ভেবে কাজ শুরু করেছি। কাজের কিছু অংশ আটকে আছে, ঋণ করতে হয়েছে। তাই সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি।

জানা যায়, চাকরি শেষ হওয়ার পর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পেনশনের ২৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা পান তিনি। তা দিয়ে পরিবার ও নিজের ১০ শতাংশ জমিতে এই মসজিদ ও মাদ্রাসার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। মসজিদ নির্মাণে এখন পর্যন্ত ধার করেছেন ৫ লাখ টাকা।

;