হিংসার কি আছে, ড. ইউনূস পারলে বিতর্কে আসুক: প্রধানমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে হিংসা করার কি আছে। তিনি পারলে আমার সঙ্গে বিতর্কে আসুক। আমেরিকায় যেভাবে ডিবেট হয়, সেভাবে ডিবেট করুক।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১১টায় গণভবনে ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, পুরস্কার নিয়ে আমার কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই। এর জন্য লবিস্ট নিয়োগ করার টাকাও নেই আমার। তবে হ্যা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির পর অনেক নোবেল জয়ী আমার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে। তাই এটা নিয়ে আমার কোনো আকাঙ্ক্ষা নেই।

সরকার প্রধান বলেন, ড. ইউনূস রাজনৈতিক দল গঠন করতে চেয়েছিল। কিন্তু সে দল গঠন করতে পারে নাই। সে যদি গ্রামের মানুষকে এতো কিছুই দিয়ে থাকে, তাহলে তো সেই মানুষগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা। কই, কেউ তো ঝাঁপিয়ে পড়েনি।

তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সরকার মামলা করেনি। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। ড. ইউনূসের বিচার নিয়ে যেসব বিদেশি কথা বলছেন, তাদের দেশে বছরের পর বছর ট্যাক্স ফাঁকি দিলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে প্রশ্ন করা যায় তাদের।

তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে হেরে যান। তিনি অবৈধভাবে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি হিসেবে অতিরিক্ত ১০ বছর থেকে আরও থাকতে চাচ্ছিলেন। শ্রমিকরা মামলা করেছেন। তিনি সাজা পেয়েছেন। এতে আমার কি দোষ?’

শেখ হাসিনা বলেন, গ্রামীণের ব্যবসাটা তাকে আমি করে দিয়েছিলাম। তার ব্যবসা দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য বলা হয়ে থাকলেও মূলত তা দারিদ্র্য লালন করেছে। উনার কার্যক্রম কতটুকু দারিদ্র্য দূর করেছে আর শেখ হাসিনার সরকার কতটুকু দারিদ্র্য দুর করেছে? বলা হয়, উনি নোবেল পাওয়ায় আমি ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে হয়রানি করছি। আমার নোবেলের কোনো আকাঙ্খা নেই। লবিস্ট রাখার টাকাও নেই। নোবেলের বিভিন্ন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২১ জুন দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নয়াদিল্লি যান।

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করার পর ভারতে কোনো সরকার প্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।

এছাড়াও, এই সফরটি ছিল ১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতের রাজধানীতে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় সফর, তিনি ৯ জুন মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিশিষ্ট জনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ঢাকা ও নয়াদিল্লি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্ককে আরও সুসংহত করতে সাতটি নতুন এবং তিনটি নবায়নসহ ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।