আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) থেকে ভূমি উন্নয়ন করের নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী, ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত।
রোববার (৩০ জুন) ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এই পরিবর্তনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ব্যবস্থাপনাকে জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বিত করা হয়েছে। পূর্বে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল ছিল বাংলা সনের ১ বৈশাখ থেকে ৩০ চৈত্র পর্যন্ত। জাতীয় অর্থ বছরের সাথে সমন্বয়ের ফলে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ভূমি মালিকের ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান সম্পর্কিত হিসাব ব্যবস্থাপনা অধিকতর সহজ ও গতিশীল হবে। এছাড়া জাতীয় অর্থনীতিতে ভূমি উন্নয়ন করের প্রভাব নির্ণয় অধিকতর সুবিধাজনক হবে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা উদ্বোধন করেন। পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ (১৪ এপ্রিল ২০২৩) থেকে সারা দেশব্যাপী ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে আদায় করা হচ্ছে। ভূমি (উন্নয়ন) কর ব্যবস্থার জন্য আন্তর্জাতিক উইসিস পুরস্কার ২০২২ অর্জন করে ভূমি মন্ত্রণালয়। ভূমি উন্নয়ন কর ডিজিটালাইজেশনের ফলে ভূমি খাতে রাজস্ব আদায়ের হার আগের চেয়ে তিন গুণ বা ২০০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশে, ভূমি সচিব মোঃ খলিলুর রহমানের তত্ত্বাবধানে ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা স্মার্ট করার কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের নৌবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের নৌবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
জাতীয়
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ভারতের নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল দিনাশ কে ত্রিপাঠি।
মঙ্গলবার (২জুলাই) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তাদের মধ্যে সাক্ষাৎ হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্টের সৌজন্য সাক্ষাৎ
এ দিন একই ভেন্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট (সাউথ, সেন্ট্রাল অ্যান্ড ওয়েস্ট এশীয়) ইংমিং ইয়াংও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
নরসিংদী শহরতলীর চিনিশপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া মহল্লার ওয়ারেশ সরকারের ছেলে সোহেল রানা। স্বপ্ন ছিল বিদেশ গিয়ে পরিবারের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেই স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেলো। বিদেশে যাওয়ার জন্য ধার-দেনা করে দালালকে দেয়া ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করা এখন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই টাকা নেয়ার জন্য পাওনাদারগণ এখন তাগাদা দিচ্ছে।
এ ঘটনায় সোহল রানা বাদী হয়ে নরসিংদী আদালতে মানব পাচার আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, দালালের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়ে ৪ মাস জেল খেটে দেশে ফেরেন সোহেল রানা। দালাল চক্রের হাতে নির্যাতনের শিকারসহ টাকা পয়সা হারিয়ে নিঃস্ব সোহেল দেশে ফিরে টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় দীর্ঘদিন দালাল চক্রের পেছনে ঘুরেছেন। এতে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে আদালতের দারস্থ হয়েছেন।
সোহেল রানা জানায়, শহরতলীর দাসপাড়া এলাকার মৃত আসাব উদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা বেগমের মাধ্যমে পরিচয় হয় নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলা বিশনন্দী চৈতনকান্দা এলাকার আলা উদ্দিনের ছেলে দালাল দেলোয়ারের সাথে।
দোলোয়ার হোসেন নরসিংদীর সোহেল রানাকেকে বৈধ পথে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে মালয়েশিয়া নেয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে প্রথমে ৩০ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট নেন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ব্যাংকের মাধ্যমে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং নগদ ১ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন।
সোহেল রানা বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন পুরণের লক্ষ্যে ঢাকার নয়া পল্টন এলাকায় চায়না টাওয়ারে অবস্থিত বঙ্গ ট্রাভেল এজেন্সির মালিক মনিরুল ইসলাম নিলয়ের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ২ জুন বিমান যোগে সিঙ্গাপুর যায়। সিঙ্গাপুর থেকে ৩ জুন বিমানযোগে কম্বোডিয়া যান। কম্বোডিয়ায় ২০/২৫ জন লোকের সাথে একটি হোটেলে অবরুদ্ধ হয়। পরে ১৪ জনকে প্রায় ৭ কিলোমিটার হাটার পর একটি গাড়িতে করে প্রায় ১৭ ঘণ্টা যাওয়ার পর মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের মাঝে একটি অজানা কক্ষে আটকে রাখা হয়।
ওখানে একদিন রেখে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে ২০২৩ সালের ৬ জুন থাইল্যান্ড থেকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করান। সেখান থেকে দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা গাড়ি করে মালয়েশিয়া রাজধানী কুয়ালামপুরে একটি হোটেল রাখা হয়।
পরে রাতে পাসপোর্ট ও মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে নির্যাতন করে তার মাধ্যমে দেশে ফোন করিয়ে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে দালাল চক্র। টাকা দিতে সোহেলের পরিবার ব্যর্থ হওয়ায় অবৈধ অভিবাসী হিসেবে সোহেল সহ রুমের সকলকে ৭ জুন রাতে মালয়েশিয়ার পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয় দালাল চক্র।
৮ জুন সোহেলের পরিবারের কাছে দালাল চক্র ডাচবাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করলেও সোহেলের সাথে কারো কোনো যোগাযোগ করতে পরেনি।
দীর্ঘ ৪ মাস জেল খাটার পর মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৩০ শে আগস্ট দেশে ফেরেন সোহেল। দেশে ফিরে টাকা উদ্ধারের জন্য দালাল চক্রের পেছনে ঘুরে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে নরসিংদী জজ কোর্টে মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ভুক্তভোগী সোহেল রানা বাদী হয়ে দালাল চক্রের ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
আদালত মামলাটি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থ্য গ্রহণের জন্য নরসিংদী সদর থানায় হস্তান্তর করেন। এদিকে মামলা দায়েরের পর থেকে দালাল চক্রের সদস্যরা সোহেলকে মামলা প্রত্যাহার করতে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন বলে জানায় সোহেল। এরই জেরে তিনি নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত দালাল দেলোয়ারের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা নরসিংদী সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল গাফফার জানান, মামলাটির তদন্ত চলমান রয়েছে। আমরা বাদীকে নোটিশ করেছি, বাদীকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
অভিযোগকারীকে যেই শর্তে মালয়েশিয়ায় নিয়ে কাজ দেয়ার কথা ছিল সেরকমটি ঘটেনি বলেই মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত চলছে, আশা করছি দ্রুতই আদালতে প্রতিবেদন দেয়া সম্ভব হবে।
টেকসই বাঁধ চান ফুলগাজী-পরশুরামবাসী, বন্যার ভোগান্তিতে ১০ গ্রামের মানুষ
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে গেছে, ছবি: বার্তা২৪.কম
জাতীয়
ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে ফেনীর মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চারটি স্থান ভেঙে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার ১০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।
বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় মানুষের আসবাবপত্র, ধান-চালসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরে পানি উঠে রান্না করার চুলা ভিজে যাওয়ায় না খেয়ে ছিল অধিকাংশ মানুষ। এমন অবস্থায় টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন ফুলগাজী পরশুরামের মানুষ।
সোমবার (১ জুলাই) রাত থেকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে।
জানা গেছে, সোমবার রাতে ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩টি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, বিজয়পুরসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়া পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ শালধর এলাকার জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন বাঁধের একটি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে দক্ষিণ শালধর, মালিপাথর, নিলক্ষ্মী, ঘোষাইপুর এবং পাগলিরকুল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজপুর গ্রামের মন্তু মিয়ার বাড়ি, পাটনী ভুঞা বাড়িসহ আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িতে পানিবন্দি হয়ে আছে সাধারণ মানুষ। অনেকের ঘরের পেছনের অংশ ভেঙে গেছে, কারও গুদাম ঘরে ফাটল ধরেছে। চুলা পানির নিচে থাকায় রান্না করতে পারেনি অধিকাংশ পরিবার।
পাটনী বাড়ির সুদীর চন্দ্র দাস বলেন, ঘরের মধ্যে, উঠানে পানি উঠে রাত থেকে ঘরের বাইরে। বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে কৃষকদের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। ঘরের গুদাম, ধান চাল নষ্ট হয়ে গেছে। আমাদের গুদাম ঘর সে ঘরে ফাটল ধরে গেছে। অচিরেই ভেঙে পড়বে। এর আগেও তুফানে গাছ পড়ে ঘরের ক্ষতি হয়েছে। সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করে আমরা খেয়ে বেঁচে থাকতে পারব। পাশাপাশি বাধ নির্মাণে স্থায়ী ব্যবস্থা নিলেই এ দুঃখ দুর্দশা থেকে মুক্তি পাব।
সখিনা বেগম নামে আরেকজন বলেন, রাত ৩ টার দিকে পানি উঠে চুলা ভিজে গেছে। ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র সব নষ্ট হয়ে গেছে। কেউ আমাদের দেখতে আসেনা। চেয়ারম্যান, মেম্বাররা আমাদের দেখতেও আসেনি। নিজে কষ্ট করে বাপের বাড়ি থেকে চলতেছি। এখন সব শেষ হয়ে গেছে, সরকারের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করেন তিনি।
মন্তু মিয়ার বাড়ির মোঃ বেলাল বলেন, কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছে রাতে। জিনিসপত্র সব নষ্ট হয়ে গেছে। ঘরের পাশ দিয়ে ভেঙে সব নদীর সাথে মিশে গেছে। রান্না বান্না করার মত অবস্থা নেই। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠা সম্ভব নয়। এখন ক্ষতি হয়েছে, আগামীতে যাতে না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে। নয়ত আমাদের এ দুর্দশা আজীবন থেকে যাবে।
ফুলগাজী বাজারের ব্যবসায়ী আলী আহম্মদ বলেন, বিগত বছরগুলোতে বন্যা হলেও বাজারে এতো পানি কখনও হয়নি। সোমবার রাতে বাঁধের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে প্রায় তিন ফুটের বেশি পানিতে বাজার প্লাবিত হয়েছে। রাতে স্বাভাবিকভাবে দোকান বন্ধ করে বাড়ি গেলেও সকালে এসে অনেক সামগ্রী পানির নিচে পেয়েছি।
স্বপ্না আক্তার নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, মাত্র একবছর আগে টেইলার্স দোকান দিয়েছিলাম। আজকে বন্যার পানি প্রবেশ করে দোকানে প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবছরই এমন বন্যায় আমাদের দুর্ভোগে পড়তে হয়। এবার আর কোনও ত্রাণ নয়, একটি স্থায়ী বাঁধ চাই আমরা।
পরশুরামের চিথলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, রাতে দক্ষিণ শালধর জহির চেয়ারম্যানের বাড়ি সংলগ্ন মুহুরী নদীর বাঁধে ভাঙনের শুরু হয়। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। গতবছরও এ ভাঙন স্থানের পাশে বাঁধের আরেকটি অংশে ভাঙনের দেখা দিয়েছিল। টেকসই বাঁধ নির্মাণ ছাড়া এ দুর্ভোগ কমানো সম্ভব নয়।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতির কারণে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।
জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বোর্ডের সাথে আলোচনা করে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। এবার ফুলগাজীতে ৪টি ও পরশুরামে ২টি কেন্দ্রে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৪টি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছিল। নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভাঙন স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানির ডুকছে। নদীর পানি কমলে ভাঙন এলাকা মেরামত করা হবে।
এ ব্যাপারে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, সোমবার রাতে ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩টি অংশে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় শুকনো খাবারসহ অন্যান্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানান তিনি।
ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন মজুমদার বলেন, বন্যাদুর্গতদের মাঝে ৩০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্তদের সাময়িক সহযোগিতা করা হয়েছে। আগামীতে তাদের বিষয়ে খোজখবর নিয়ে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।
ফেনীর ফুলগাজীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, স্থানীয় সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা, জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতারা।
এসময় প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, মুহুরী-কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধ নিয়ে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। দুই মাসের মধ্যে এই প্রকল্প একনেকে উপস্থাপনের চেষ্টা করব। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই এখানে কাজ শুরু করতে পারব বলে আশাবাদী।
পর্যটন খাতে ২ কোটি ১৯ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে: পর্যটনমন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘পর্যটন খাতে ২ কোটি ১৯ লাখ কর্মসংস্থান তৈরি হবে’
জাতীয়
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, পর্যটন খাতে পরিকল্পিত উন্নয়নে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে। এতে সমগ্র বাংলাদেশকে ৮টি অঞ্চল ও ৫৩টি ক্লাস্টারে ভাগ করে ১ হাজার ৪৯৮টি পর্যটন সম্পদ চিহ্নিত করা হয়েছে। পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০৪১ সালের মধ্যে এই খাতে ২ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্য আলী আজমের লিখিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এই তথ্য জানান। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালে দেশে ৫৫ লাখ ৭০ হাজার বিদেশি পর্যটক আগমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পর্যটন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ২০৪১ সালের মধ্যে এই খাতে ২ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
তিনি বলেন, সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় পর্যটন খাত। সেই সময়েও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি ও আনুতোষিক পরিশোধ করেছে। সংস্থাটি নিজস্ব আয়ে পরিচালিত সরকারের একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশের মধ্যে নতুন নতুন পর্যটন আকর্ষণীয় স্পট চিহ্নিতকরণ ও এর উন্নয়নে ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে রাজধানী ঢাকাসহ, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া, মেহেরপুরের মুজিবনগর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রংপুর, বগুড়া, দিনাজপুর, সিলেট, কক্সবাজার, পটুয়াখালির কুয়াকাটা, পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবনসহ সারাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের মাধ্যমে মোট ৫৩টি পর্যটন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান (হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, এমিউজম্যান্ট পার্ক, বার, পিকনিক স্পট ও ডিউটি ফ্রিশপ) স্থাপন করা হয়েছে। যেগুলো দেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে।