নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবের বেনাপোল বন্দর পরিদর্শন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল

ছবি: উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল (যশোর) বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বানিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল।

শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত তিনি তার সফরসঙ্গী নিয়ে বন্দর পরিদর্শন করেন।

এর আগে সচিব বেনাপোল বন্দরে পৌছালে বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম তাকে ফুল দিয়ে অভ্যার্থনা জানান।

বন্দরের পরিদর্শন স্থানগুলোর মধ্যে ছিলো, নবনির্মিত বেনাপোল বন্দর কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল, আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, গুরুত্বপূর্ণ শেড, ইয়ার্ডসহ বন্দর এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে সরেজমিনে দুই দেশের মধ্যে বানিজ্য ও পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন।

বন্দর পরিদর্শনকালে তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার , উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব নয়ন কুমার রাজবংশী, কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের পিডি ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ হাসান আলী, বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম, বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের ম্যানেজার, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এসএস রহমান এর সত্তাধিকারী, প্রকৌশলী এবং বন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

জানা যায়, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে দিন দিন বেনাপোল বন্দর ব্যবহারে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। এতে সরকার বন্দরের উন্নয়নে বর্তমানে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বেনাপোল বন্দরের গুরুত্ব অনুধাবন করে অবকাঠামো উন্নয়নে হাত দেয়। গেল ১৫ বছরে বন্দর আধুনিকায়নে সরকারী ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ব্যয় করা হয় ৬৮৫ কোটি টাকা। যা ইতিপূর্বের সরকারগুলো এ উন্নয়ন করতে পারেনি।

সুত্র জানায়, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে ৩২৯ কোটি টাকা ব্যায়ে ৪১ একর জমিতে কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল, যা ইতিমধ্যে ৮০ শতাংশ নির্মান কাজ শেষ হয়েছে। যেখানে একসাথে ভারতীয় ১২০০ ট্রাক পার্কিং, ফায়ার ষ্টেশন, ভারতীয় ট্রাক চালকদের জন্য ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা সেবা, কভিড বুথ, ১০০ এর অধিক কিচেন, ৩টি আধুনিক টয়লেট কমপ্লেক্স ও সিসি ক্যামেরা রয়েছে। এছাড়া ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১ একর জমি অধিগ্রহন করা হয়েছে।

এছাড়া নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে ১৯৩ কোটি টাকার আন্তর্জাতিক বাস ও প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, আরো ৩০ কোটি টাকার জায়গা অধিগ্রহন, ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বন্দরের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা, ৩৯ কোটি টাকার বাউন্ডারী ওয়াল, ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে স্টাফ ডরমিটোরি ভবন এবং ১ কোটি ৬২ লাখ টাকায় পণ্য পরিমাপের ২টি স্কেল। এসব অবকাঠামো ও অটোমেশন সুবিধায় ইতিমধ্যে রাজস্ব ও আমদানি রফতানি বানিজ্যে গতি বাড়িয়েছে বন্দরে। নির্মানধীন কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল চালু হতে পারে জুলাইয়ে।

বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে: শেখ হাসিনা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে রোববার (৩০ জুন)  এক বাণীতে এ কথা বলেন।

আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঐতিহাসিক ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ উপলক্ষ্যে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন’।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য-‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চ শিক্ষা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে অত্র অঞ্চলে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না - এ সত্যটি সবার আগে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং কালক্রমে হয়ে উঠেছেন বাঙালি জাতির পিতা, ‘বঙ্গবন্ধু, বাঙালির ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

সেই থেকে ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান ও বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টিতে এ প্রতিষ্ঠানটির অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৫২’র ভাষা-আন্দোলন, জাতির পিতা ঘোষিত ১৯৬৬’র ছয়-দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন এবং তাঁর (বঙ্গবন্ধু) আহ্বানে ১৯৭১’র মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তীকালে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা অগ্রভাগে থেকে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব প্রদান করছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিল- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত-বুদ্ধি চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই জাতির পিতার শিক্ষা দর্শনের আলোকে দেশের শিক্ষা খাতের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকগুলো বিজ্ঞান ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করি। গবেষণা ও প্রযুক্তির জন্য অনুদান ১০০ কোটিতে উন্নীত করি। আমরা জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন, বঙ্গবন্ধু বৃত্তি এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এর প্রবর্তন করি।’

তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে ‘আমরা দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও গুণগত মান বৃদ্ধিতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫৪টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’, ‘বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার কৌশলী পরিকল্পনা: ২০১৮-২০৩০’ সহ প্রয়োজনীয় নীতিমালা এবং কলেজ পর্যায়ের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ২০২৩-২০৩১ মেয়াদি ন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক প্ল্যান প্রণয়ন করেছি। আমরা বিদেশ থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ’ প্রবর্তন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল এ্যাক্ট-২০১৬ পাস করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি, দেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির ছাত্র ও শিক্ষক আন্তর্জাতিক একাডেমিক কমিউনিটি এবং তথ্য ভান্ডারের সাথে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা আহরণে সক্ষম প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক সংকট নিরসনে হল ও ভবন নির্মাণ করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা, গবেষণার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নতুন নতুন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৮৪টি বিভাগ, ৫৮টি ব্যুরো ও গবেষণা কেন্দ্র, ছাত্র-ছাত্রীদের ১৯টি আবাসিক হল, ৪টি হোস্টেল এবং ১৮৮টি উপাদানকল্প কলেজ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ৮৯৫ জন এবং পাঠদান ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৯৮১ জন শিক্ষক। শেখ হাসিনা বলেন, অধিকতর উন্নত গবেষণার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে যেকোনো সংকট উত্তরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের সকল শাখায় এগিয়ে যাবে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘জ্ঞান ও আলোর পথের অভিযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন দিগন্ত তৈরি করবে’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ তথা তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।

তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।  

;

বসতঘরে মিলল গোখরা সাপের ৩৫ বাচ্চা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
বসতঘরে মিলল গোখরা সাপের ৩৫ বাচ্চা

বসতঘরে মিলল গোখরা সাপের ৩৫ বাচ্চা

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় ইদুঁরের গর্ত থেকে একে একে বেরিয়ে এসেছে ৩৫টি গোখরা সাপের বাঁচ্চা।

রোববার (৩০ জুন) রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের ছোটশলুয়া গ্রামের মিলন হোসেন নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে গোখরার বাঁচ্চাগুলি উদ্ধার করা হয়।

এসময় স্থানীয় সাপুড়ের সহযোগিতায় ওই গর্ত খুড়ে উদ্ধার করা হয় ৪২টি সাপের ডিম। সাপের বাঁচ্চা ও ডিম উদ্ধারের পর থেকে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ছোটশলুয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ার একটি মাটি তৈরি ঘরে বাস করেন মিলন হোসেন। রোববার বিকেলে বাড়িতে থাকা চৌকির নিচের ইদুঁরের গর্ত থেকে একটি গোখরার বাচ্চা বের হয়ে আসে। বাড়ির লোকজন সাপটি দেখতে পেয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে। সন্ধ্যায় একই গর্ত থেকে আরও একটি গোখরার বাচ্চা বাইরে বের হলে মিলন হোসেন স্থানীয় সাপুড়ে ঈসাকে খবর দেন। ঈসা সাপুড়ে দ্রুত ওই বাড়িতে আসেন এবং গর্ত খুড়ে একটি প্রাপ্তবয়স্ক গোখরা ও ৩৪টি গোখরার বাচ্চা উদ্ধার করেন। ওই গর্ত থেকে ৪২টি সাপের ডিমও উদ্ধার হয়। স্থানীয়রা ৩৫টি সাপকেই পিটিয়ে মেরে ফেলে।

ওই বাড়ির মালিক মিলন মিয়া জানান, ‘বিকেলে আমার মেয়ে ঘরে গিয়ে দেখে চৌকির নিচে একটি মুরগী, সেটি তাড়িয়ে দিতে গেলে সাপের বাচ্চাটি তার চোখে পড়ে। এসময় আমরা সাপটি মেরে ফেলি। পরবর্তীতে ঈসা সাপুড়ে গর্ত খুড়ে আরও ৩৪টি গোখরার বাচ্চা খুঁজে পায়। সেখানে ৪২টি ডিমও ছিল।’

পার্শ্ববর্তী গ্রামের হিজলগাড়ীর ঈসা সাপুড়ে বলেন, বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রব বেশি হয়, এসময় সবাইকে সতর্ক থাকা উচিত।

তিনি উদ্ধারকৃত প্রাপ্তবয়স্ক সাপটি নিরাপদ ও নির্জন স্থানে ছেড়ে দিবেন বলেন জানান।

;

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে কার্ভাড ভ্যানের ধাক্কা, শিশুসহ নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে কার্ভাড ভ্যানের ধাক্কা, শিশুসহ নিহত ২। ছবিঃ বার্তা২৪.কম

দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পিছনে কার্ভাড ভ্যানের ধাক্কা, শিশুসহ নিহত ২। ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার নন্দীগ্রামে ট্রাকের পিছনে কার্ভাড ভ্যানের ধাক্কায় শিশুসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুই জন।

রোববার (৩০ জুন) রাত ১১টায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে নন্দীগ্রাম উপজেলার রনবাঘা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্বাস আলী এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন, প্রান-আরএফএল গ্রুপের বিক্রয় প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম (৩৫) ও বেলাল হোসেনের ছেলে বায়েজিদ (৩)। হতাহতরা কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার বাসিন্দা।

হাইওয়ে থানার ওসি জানান, প্রান-আরএফএল গ্রুপের কাভার্ড ভ্যান নাটোর থেকে বগুড়া যাচ্ছিল। এর কেবিনে ড্রাইভারের পাশের আসনে যাত্রী ছিলেন প্রান-আরএফএল গ্রুপের বিক্রয় প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, তার স্ত্রী ও শিশু পুত্র। রাত ১১টার দিকে রনবাঘা এলাকায় মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দেয় কাভার্ড ভ্যানটি। এতে কাভার্ড ভ্যানের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই শহিদুল ইসলাম মারা যান।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বায়েজিদ নামের শিশুটিকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত অবস্থায় বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বেলাল হোসেনের স্ত্রীর নাম জানা যায়নি।

হাইওয়ে থানার ওসি বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাকটি পালিয়ে যায় এবং কাভার্ড ভ্যানের চালকও আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়। কাভার্ড ভ্যানটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

;

২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড কক্সবাজারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ফাইল ছবি। ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ফাইল ছবি। ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ রোববার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজারে।

রোববার (৩০ জুন) বাংলাদেশ মিটারোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে সারাদেশে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত এর রেকর্ডসমূহে দেখা যায়, কক্সবাজারে ১৩৪ মিলিমিটার, তেঁতুলিয়ায় (পঞ্চগড়) ১২৯ মিলিমিটার, মংলায় (বাগেরহাট) ১১২ মিলিমিটার, বরগুনায় ৭১ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ৬৭ মিলিমিটার, মাদারীপুরে ৬০ মিলিমিটার, বদলগাছী (নওগাঁ) ৫৯ মিলিমিটার, বান্দরবানে ৫৭ মিলিমিটার, কুমারখালী (কুষ্টিয়া) ৫৫ মিলিমিটার এবং নাটোরে ৫৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়।

এর আগে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মাল্লিক, দেশের ওপর মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ার ফলে গত শনিবার থেকে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত টানা অতি বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম জানিয়েছে, এ বৃষ্টিবলয়ের নাম 'রিমঝিম'। এটা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকতে পারে ৩০ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত। এই বৃষ্টিবলয় গতকাল চট্টগ্রাম ও বরিশাল দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে। আগামী ৭ জুলাই রংপুর হয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে।

আগামী সাত দিনে ঢাকায় গড়ে ১৮০-২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। চট্টগ্রাম ৪০০-৫৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। খুলনা বিভাগে গড়ে ২০০-২৫০ মিলিমিটার, বরিশাল বিভাগে গড়ে ২৫০-৪০০ মিলিমিটার, সিলেট বিভাগে গড়ে ৩৫০-৫০০ মিলিমিটার, ময়মনসিংহ ২৮০-৪০০ মিলিমিটার, রাজশাহী ১৫০-২২০ মিলিমিটার, রংপুর ৩৫০-৪৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হতে পারে।

;