বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে: শেখ হাসিনা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে রোববার (৩০ জুন)  এক বাণীতে এ কথা বলেন।

আগামীকাল সোমবার (১ জুলাই) প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঐতিহাসিক ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ পালিত হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ উপলক্ষ্যে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন’।

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য-‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চ শিক্ষা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে অত্র অঞ্চলে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয়, সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না - এ সত্যটি সবার আগে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং কালক্রমে হয়ে উঠেছেন বাঙালি জাতির পিতা, ‘বঙ্গবন্ধু, বাঙালির ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।

সেই থেকে ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান ও বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি ‘বাংলাদেশ’ নামক একটি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টিতে এ প্রতিষ্ঠানটির অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ১৯৫২’র ভাষা-আন্দোলন, জাতির পিতা ঘোষিত ১৯৬৬’র ছয়-দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন এবং তাঁর (বঙ্গবন্ধু) আহ্বানে ১৯৭১’র মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তীকালে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা অগ্রভাগে থেকে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব প্রদান করছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিল- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত-বুদ্ধি চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা।

আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করেছে তখনই জাতির পিতার শিক্ষা দর্শনের আলোকে দেশের শিক্ষা খাতের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকগুলো বিজ্ঞান ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করি। গবেষণা ও প্রযুক্তির জন্য অনুদান ১০০ কোটিতে উন্নীত করি। আমরা জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন, বঙ্গবন্ধু বৃত্তি এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ এর প্রবর্তন করি।’

তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে ‘আমরা দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও গুণগত মান বৃদ্ধিতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫৪টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’, ‘বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার কৌশলী পরিকল্পনা: ২০১৮-২০৩০’ সহ প্রয়োজনীয় নীতিমালা এবং কলেজ পর্যায়ের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ২০২৩-২০৩১ মেয়াদি ন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক প্ল্যান প্রণয়ন করেছি। আমরা বিদেশ থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য ‘প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ’ প্রবর্তন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল এ্যাক্ট-২০১৬ পাস করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি, দেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির ছাত্র ও শিক্ষক আন্তর্জাতিক একাডেমিক কমিউনিটি এবং তথ্য ভান্ডারের সাথে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা আহরণে সক্ষম প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক সংকট নিরসনে হল ও ভবন নির্মাণ করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা, গবেষণার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নতুন নতুন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৮৪টি বিভাগ, ৫৮টি ব্যুরো ও গবেষণা কেন্দ্র, ছাত্র-ছাত্রীদের ১৯টি আবাসিক হল, ৪টি হোস্টেল এবং ১৮৮টি উপাদানকল্প কলেজ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ৮৯৫ জন এবং পাঠদান ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৯৮১ জন শিক্ষক। শেখ হাসিনা বলেন, অধিকতর উন্নত গবেষণার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে যেকোনো সংকট উত্তরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের সকল শাখায় এগিয়ে যাবে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘জ্ঞান ও আলোর পথের অভিযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নতুন দিগন্ত তৈরি করবে’।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ তথা তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।

তিনি ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।  

রংপুরে নির্মাণ শ্রমিকদের ন্যায্য বকেয়া পাওনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: শ্রমিকদের ন্যায্য বকেয়া পাওনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ছবি: শ্রমিকদের ন্যায্য বকেয়া পাওনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের ঐতিহ্যবাহী 'লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ' এর নির্মাণাধীন দ্বিতীয় নতুন ভবন এবং অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের কাজের মজুরীর বকেয়া পাওনা টাকা আদায়ের দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে রিপোর্টার্স ক্লাব, রংপুরের হলরুমে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, রংপুর বিভাগীয় শহর ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন টাইলস মিস্ত্রি মাসুদ রানা বাবু, সেনিটারি মিস্ত্রি মাসুদ রানা বাবু, ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি আবুল হোসেন, রঙ মিস্ত্রি ইউসুফ আলী, থাই মিস্ত্রি মিজু প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, 'লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, রংপুর'এর দ্বিতীয় নতুন ভবন এবং অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া কমপ্লেক্সের নির্মাণাধীন যাবতীয় কাজের পারিশ্রমিক হিসাবে মজুরীর অর্থ ১৪,৭২,৯৮২.০০ (চৌদ্দ লক্ষ বাহাত্তর হাজার নয়শত বিরাশি টাকা) পাওনা রয়েছে। বিগত ২০২৩ খ্রিস্টাব্দের ১৭ ডিসেম্বর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ও প্রাক্তন কমিটির নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বৈঠকে আলোচনার পর জানান, বিশেষ কারণে দুই দিনের জন্য চলমান ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে। দুই দিন পরই আবারও কাজ শুরু করা হবে। কিন্তু পরবর্তীতে আর কোন কাজ শুরু না করে গত ১লা রমজান থেকে শুরু শ্রমিকদের পারিশ্রমিকের পাওনা মজুরির টাকা না দিয়ে দিনের পর দিন ওই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ও বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ হয়রানি করাচ্ছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দের দু'গ্রুপের কাছেই ধর্ণা দিয়ে আমারা বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছি। সাবেক ও বর্তমান কমিটির অভ্যান্তরিণ কোন্দলে দু'পক্ষের কোনো পক্ষই শ্রমিকদের টাকার দায় নিচ্ছে না। এতে দিশেহারা হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন পাওনাদার শ্রমিকরা।

এবিষয়ে সাবেক কমিটির সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী জানান, আমাদের ক্ষমতা ২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিল। আমাদের সময় পর্যন্ত নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের পাওনা ব্যাতিত যাবতীয় বিল প্রদান করা হয়েছে। তবে শ্রমিকরা তাদের পাওনা টাকা আমাদের ক্ষমতাকালীন বিল ভাউচার জমা না করায় তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। শ্রমিকদের দাবীকৃত টাকা পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, শ্রমিকরা যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন সেটি দৃশ্যমান। ভুলে হয়তো শ্রমিকরা আমাদের সময় বিল দাখিল করেননি, তা বর্তমান কমিটি যাচাই বাছাই করে তাদের দাবীকৃত পাওনা টাকা পরিশোধ করবে এটাই নিয়ম। একইভাবে একই কথা বলেন, তৎকালীন নির্মাণ কমিটির আহবায়ক এনামুল হক সোহেল ।

লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের নবাগত দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ডা. আকতারুজ্জামান বলেন, পূর্বের কমিটির কাজের দায় আমি নিতে পারিনা। পূর্বের কমিটি প্রতিষ্ঠানে যে কাজ করেছেন, তারা সমস্ত বিলের টাকা তুলে নিয়ে গিয়ে সেই টাকার দায় আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। তবে সাবেক ও বর্তমান কমিটির কোন্দলে নির্মাণ শ্রমিকরা তাদের পাওনা টাকা থেকে বঞ্চিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, এ বিষয়টি আমলে নিয়ে ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে।

কমিটি গত ১৯ মে আমাদের বিল প্রদানের আশ্বাসে তারিখ দেয়। যথারীতি ১৯ মে ২০২৪ তারিখে সভাপতির চেম্বারে সাক্ষাত করতে যায় শ্রমিকরা, কিন্তুসেদিন তিনি অফিসে বসেন নাই। তবে বিদ্যালয়ের হিসাব রক্ষকের মাধ্যমে জানতে পারে বর্তমান কমিটি তাদের টাকা দিবে না। এমতাবস্থায়, তারা নিরুপায় হয়ে মজুরির পাওনা টাকা আদায়ে ব্যবস্থা গ্রহণে সহায়তার জন্য রংপুর জেলা ও মহানগর প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও অদ্যবধি কোন প্রতিকার না পাওয়ায়। বর্তমানে অতি মানবেতর জীবন-যাপন করছে শ্রমিকরা।

;

যশোরে পর্নোগ্রাফি চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
যশোরে পর্নোগ্রাফি চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

যশোরে পর্নোগ্রাফি চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীদের অপহরণ করে পর্ণ ভিডিও তৈরি ও বাজারজাত চক্রের মূলহোতা নারীসহ দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে যশোর জেলা ডিবি পুলিশ।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) ডিবি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান ডিবির উপ-পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম।

গ্রেফতারকৃতরা হলো মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার নয়াদিঘীর পাহাড় এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর মেয়ে বীথি আক্তার ও বাগেরহাটের মোড়লগন্জ উপজেলার বলভদ্রপুর গ্রামের সুজন কুমার দাসের ছেলে রাজিব কুমার দাস

জেলা ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম জানান আটককৃত বিথী ও রাজিব দাস দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীদের অপহরণ করে এনে জোর পূর্বক পর্ণ ভিডিও বানাতেন। এছাড়াও ইমো, হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলের মাধ্যমে অশ্লীল ভিডিও বানাতেন এবং এসব পর্ণ ভিডিও বাজারজাত করতেন।

ডিবির এসআই মফিজুল আরও জানান, এমন কিছু অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিবি পুলিশের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকায় গতকাল রাত সাড়ে ১২টায় অভিযান চালিয়ে পর্ণ ভিডিও তৈরি ও বাজারজাত চক্রের নারী সদস্যসহ দু’জনকে গ্রেফতার ও ভিডিও ধারণের তিনটি মোবাইল জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট আদালতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

৬০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
৬০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

৬০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) সন্ধ্যায় নদীবন্দরের জন্য দেওয়া এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

এতে বলা হয়, রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, রংপুর, বগুড়া, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া আগামী তিন দিনের (৭২ ঘণ্টার) পূর্বাভাসে বলা হয়, বুধবার (০৩ জুলাই) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (০৫ জুলাই) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;

স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে এডিবি’র ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত, স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে এডিবি’র ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক

ছবি: সংগৃহীত, স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে এডিবি’র ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ, মধ্য এবং পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াংয়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কার্যালয়ে ইংমিং ইয়াংয়ের নেতৃত্বে ছয় সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দল এ বৈঠকে অংশ নেন।

বৈঠকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ২শ ২৭টি প্রজেক্টের মধ্যে এডিবি'র সহায়তায় বাস্তবায়িত প্রজেক্ট ১০টি। এর আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ ২২ হাজার ৩শ ৫৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্যতম আর্থিক সহযোগী পার্টনার হিসেবে আমরা চাই, এই সহায়তা অব্যাহত থাকুক!

মন্ত্রী আরো বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ এবং সিলেট বিভাগসহ অন্যান্য অঞ্চলে বন্যায় বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এখানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের ক্ষতি প্রায় ১ হাজার ৬শ কোটি টাকা এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪শ কোটি টাকা। এডিবি'র সঙ্গে চলমান প্রকল্পগুলোর পাশাপাশি আমরা এডিবি'র কাছ থেকে উপকূল এবং বন্যাপ্লাবিত অঞ্চলের সহায়তায় আর্থিক সাহায্য প্রত্যাশা করছি।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা নেওয়ার প্রস্তাব আছে। শর্তসাপেক্ষে আমরা সে সহায়তাও নিতে পারি নতুবা নিজস্ব অর্থায়নে আমরা এই ক্ষয়ক্ষতি মেটাবো।

এডিবি'র দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াং বলেন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকসই পরিবেশ এবং আঞ্চলিক একত্রীকরণের মাধ্যমে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দারিদ্র্য হ্রাস করে। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে উত্তরণে এডিবি সর্বাত্মক সহায়তা করে। বাংলাদেশের ব্যাপারেও আমরা আশাবাদী। আমরা চাই, বাংলাদেশও উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হোক।

ইংমিং ইয়াং আরো বলেন, বাংলাদেশে এটা আমার প্রথম সফর। এই সফরের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর আগামী লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের সঙ্গে সমান্তরালে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকও কাজ করে যেতে চায়।

বৈঠকে এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলী আকতার হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁসহ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;