চুয়াডাঙ্গায় সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির (৬০) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৯ জুন) সকালে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর আঞ্চলিক মহাসড়কের সন্তোষপুর তেল পাম্পের নিকট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে, হয়ত সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যেতে পারেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরাম হোসেন।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার ভোরে সন্তোষপুর তেল পাম্পের অদূরে সড়কের পাশে এক ব্যক্তির মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জীবননগর থানার পুলিশ। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, ওই ব্যক্তি হয়ত মানসিক প্রতিবন্ধী। রাতের কোনো এক সময় সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যেতে পারেন।

সন্তোষপুর গ্রামের আকলিমা খাতুন নামের এক নারী জানান, 'ভোরে ফজরের আজানের পর রাস্তায় একটি শব্দ শুনতে পাই। আমরা গিয়ে দেখি ওই ব্যক্তি সড়কের পাশে কাতরাচ্ছে। আমি তার মাথায় পানি দেয়ার জন্য বাড়িতে পানি আনতে গিয়ে ফিরে এসে দেখি তিনি মারা গেছেন।'

স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন বলেন, 'সন্তোষপুর তেল পাম্প সংলগ্ন সড়কের পাশে ঝোপের ভেতর এক প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মরদেহ পাওয়া গেছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে নাম-পরিচয় কিছু পাওয়া যায়নি।'

জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) একরাম হোসেন বলেন, 'জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে এক পাগল সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি ও মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।'

অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতিতে পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার (১ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে সাভারের আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সদর দফতরে জমায়েত হয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। সারাদেশের সমিতির সাথে একযোগে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।

সকাল থেকেই নিজেদের দাবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করছেন তারা। তবে বিশেষ ব্যবস্থায় জরুরি বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখেই কর্মবিরতি চলছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘোষিত দাবি দুটি হলো- স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মাণে আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন করতে হবে এবং ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের জন্য সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করতে হবে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সমিতির তদারকি প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) দ্বৈত নীতির কারণে ন্যায্য সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। শুধু তাই নয় বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বিতরণ লাইনে ব্যবহৃত নিম্নমানের মালামালের জন্য উত্তম গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।

আন্দোলনকারীরা বলেন, এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি বছরের ৫ মে থেকে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর ১০ মে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সমস্যা সমাধানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসবে বিদ্যুৎ বিভাগের এমন আশ্বাসে কাজে ফিরে যাই। পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী দাবি দাওয়া উল্লেখ করে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩৭ হাজার ৫৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর স্বাক্ষরসহ চিঠি বিদ্যুৎ বিভাগসহ বিআরইবিতে জমা দেয়া হয়। যেখানে বোর্ডের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়।

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম (ওএন্ডএম) সৈকত বড়ুয়া বলেন, সারাদেশের সাথে একযোগে আমাদের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মবিরতি পালন করছেন। তবে জরুরি বিদ্যুৎ সেবার দিকে আমাদের নজর রয়েছে। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোন উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই তাই আবারো বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিপীড়ন ও শোষণ থেকে বাঁচতে আবারও আমাদের কর্মবিরতিতে যেতে হলো।

;

পীরগঞ্জে অসহনীয় লোডশেডিং থেকে মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজি এবং অসহনীয় লোডশেডিং থেকে মুক্তির দাবিতে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে পীরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তায় উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে এই মানববন্ধন করা হয়।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী মানবন্ধন চলাকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন রায়, উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ইত্তেশাম উল হক মিম, উপজেলা জাসদের সভাপতি সলেমান আলী, উপজেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মুর্তাজা, প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নাল আবেদিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক নসরতে খোদা রানা, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি বিষ্ণুপদ রায়সহ অন্যান্যরা বক্তব্য দেন।

অবিলম্বে বিদ্যুতের লোডশেডিং সহনীয় পর্যায়ে আনা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচীর ডাক দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেন বক্তারা।

উল্লেখ্য, বর্তমানে পীরগঞ্জ উপজেলার গ্রাম গঞ্জে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

;

গাইবান্ধায় পানিতে ডুবে বাক প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গর্তের পানিতে ডুবে বাক প্রতিবন্ধী যুবক মহসিন মিয়ার (১৯) মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) সকালে উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চরিতাবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মহসিন ওই গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে।

বিষয়টি দুপুরে মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম।

তিনি বলেন, রাস্তার ধারের গর্তে পড়ে বাক প্রতিবন্ধী এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় নিহতের স্বজনদের বরাতে ওসি জানান, সোমবার সকালের দিকে পরিবারের লোকজনের অজান্তে বাক প্রতিবন্ধী ওই যুবক বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী গুচ্ছগ্রামে দাদির বাড়িতে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে স্থানীয় মশিউর রহমান নামের এক ব্যক্তির জমিতে থাকা গর্তের পানিতে পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেনি। পরে স্থানীয়রা তাকে গর্তের পানিতে ভাসতে দেখে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

;

ধানের জাত ও নমুনা চেয়ে সরকারকে মিল মালিকদের চিঠি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ধানের জাত ঠিকমতো না চেনায় কুষ্টিয়ার খাজানগরের চালকল মালিকরা ধানের জাত ও জাতের নমুনা চেয়ে কুষ্টিয়া কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে কুষ্টিয়ার অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (৩০ জুন) কুষ্টিয়ার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তার দপ্তরে এ চিঠি দেওয়া হয়।

চিঠিতে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে সভাপতি ওমর ফারুক উল্লেখ করেন, চালের বস্তার গায়ে ধানের জাত লিখতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রাইস মিল (চালকল) মালিকদের। এজন্য সরকারের তালিকাভুক্ত ধানের জাতের নাম ও নমুনা সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ওমর ফারুক জানান, সরকার বলছে, মিনিকেট বলে কোনো ধান নেই। কিন্তু আমরা এ নামে ধান কিনছি কৃষকদের কাছ থেকে। তাহলে ওই ধানের ক্ষেত্রে বস্তায় কি লিখব, তা জানার জন্যই এ চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গত ১৪ এপ্রিল থেকে চালের বস্তায় ধানের জাত, মিলের ঠিকানা ও দাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হলেও এখনও হাট-বাজার ও আড়তে কার্যকর হয়নি সরকারি সেই নির্দেশনা। বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিকদের কাছ থেকে নির্দেশনাযুক্ত চালের বস্তা হাতে পাননি তারা।

কুষ্টিয়ার সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান জানান, অন্য জাতের ধান থেকে মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করে লাভবান হন মিল মালিকরা। তাই তারা এসব চিঠি দিচ্ছেন। চিঠিটি ঊর্ধ্বতন মহলে পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা এলে, তা বাস্তবায়ন করা হবে।

জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা জানান, সরকার অনুমোদিত জাতের ধান ছাড়া অন্য নামে যেমন মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করার সুযোগ নেই। করতে দেওয়া হবে না।

কুষ্টিয়ার খাজানগরে ৫০টির মতো অটোমেটিক রাইস মিল থেকে সারাদেশের সরু চালের সিংহভাগ সরবরাহ করা হয়। ধানের জাত যেটাই হোক, এখান থেকে মিনিকেট নামের চালই বেশি সরবরাহ হয়ে থাকে। বাজারে মিনিকেট চালের চাহিদা বেশি। এ কারণেই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে পরিপত্র জারি করেছে যে চালের বস্তার গায়ে ধানের জাতের নাম ও চালের দাম লিখে দিতে হবে। আড়াই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অধিকাংশ মিল মালিক বস্তার গায়ে এসব তথ্য লিখছেন না।

অপরদিকে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কুষ্টিয়ার বেশিরভাগ কৃষকই তাদের ধানের জাতের নাম উল্লেখ করেই বিক্রি করেন। এছাড়া কৃষি বিভাগও ধানের জাত উল্লেখ করেই বীজ বিতরণ ও প্রণোদনা দিয়ে থাকে। এছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী উৎপাদিত ধানের জাত উল্লেখ থাকে। তবে মিলাররা এসব ধানকে সরু করে মিনিকেট বলে বিক্রি করেন। জাত উল্লেখ করে বিক্রি করলে মিলারদের মিনিকেটের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তারা এমনটা করছেন।

এছাড়া অদৃশ্য কারণেই কুষ্টিয়ার চালকল মালিকরা প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে দিনের পর দিন মিনিকেট নামে চাল বাজারজাত করে আসছেন। এর মধ্যে জাত না চেনার এ চিঠি তথ্য গোপন করে মিনিকেট বাজারজাত ও সরকারি নির্দেশনা অমান্যের জন্য কালক্ষেপণ মাত্র- এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্ট।

;