সীতাকুণ্ডে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ১, আহত ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, চট্টগ্রাম
দুর্ঘটনাকবলিত বাস

দুর্ঘটনাকবলিত বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ফৌজদারহাটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী স্টার লাইন পরিবহনের একটি বাস উল্টে যাওয়ার ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয় আরও তিনজন।

শনিবার (২৯ জুন) সকাল ৯টার দিকে ফৌজদারহাটের ফকিরহাট এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহত যাত্রীর নাম পাওয়া যায়নি। তবে তিনি নারী বলে জানা গেছে। আহত তিনজন হলেন- নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ এলাকার মো. মোস্তফার ছেলে আরিফ (৩০), কুমিল্লা জেলার চোদ্দগ্রাম এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলের আব্দুল মোতালেব (৫২) ও ফেনী জেলার সোনাগাজী এলাকার কোমল চন্দ্র নাথের মেয়ে স্বপ্না রানী (৪৯)। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চমেক হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশিক বলেন, ফৌজদারহাট এলাকায় স্টারলাইন গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে ৩ জনকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করিয়ে দেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুর রাজ্জাক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে সকাল ৯টায় বাস উল্টে যাওয়ার খবর আসে। তাৎক্ষণিক কুমিরা ও আগ্রাবাদের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। বাসের মধ্যে আটকে পড়া চারজনকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বাকি তিনজনকে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রাজ্জাক আরও বলেন, ওই বাসের ভেতর আটকে পড়া আমরা আর কাউকে পাইনি। বাস চালক পালিয়ে গেছে। ধারণা হচ্ছে বৃষ্টির মধ্যে গাড়িটি দ্রুত গতিতে চলানোয় নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে গেছে৷ বাসটি আমরাপুলিশের সাহায্যে উদ্ধার করেছি।

জানা গেছে, স্টারলাইন পরিবহনের এই বাসটি চট্টগ্রাম যাত্রী নিয়ে ফেনীর দিকে যাচ্ছি।

‘ভারতের রেল চলাচলে দেশের নিরাপত্তায় কোনো ঝুঁকি নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রেল বাংলাদেশে প্রবেশের পর দেশের আইন অনুযায়ী চলবে জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, অস্ত্র ও বিস্ফোরক বহনের সুযোগ না থাকায় ভারতের রেল চলাচলে দেশের নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি তৈরি হবে না।

সোমবার (১ জুলাই) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

ভারতের সঙ্গে রেল সমঝোতা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছি বিএনপি এবং বিরোধীরা বলে মন্তব্য করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করেছেন। সেখানে কিছু সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন মূলধারার গণমাধ্যমে অপপ্রচার হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও মিথ্যাচার করেছেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বুক চিরে ভারতের ট্রেন চলবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেছেন, আমাদের দেশ নাকি নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। এই লাইনে ভারত নাকি এখান দিয়ে আর্মস নিয়ে যাবে। কিন্তু সমঝোতা স্মারকে এমন কিছুই নেই। বরং আর্মসসহ এ জাতীয় কিছুই পরিবহণ করা যাবে না উল্লেখ আছে। এ নিয়ে একটা কল্পিত ঝুঁকির ভয় দেখানো হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

তিনি বলেন, ভারত শুধু আমাদের ওপর নিয়ে ট্রেন নিয়ে যাবে না বরং বাংলাদেশের ট্রেনও ভারত হয়ে নেপাল ভুটান যাবে। এসব অর্জনকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটাকে তো নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বলে না।

;

চাকরিতে বৈষম্য, লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের বিরুদ্ধে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়নসহ কর্মক্ষেত্রে নানা বৈষম্য তুলে কর্মবিরতি পালন করছে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

সোমবার (১ জুলাই) সকাল থেকে দিনব্যাপী সমিতির বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং অস্থায়ী কর্মচারীরা বিভিন্ন প্লাকার্ড হাতে এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। এ সময় তারা নানা স্লোগান দেয়।

তাদের দাবি, পল্লী বিদ্যুতায় বোর্ডের কর্মকর্তারা সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন। কর্মক্ষেত্রে নানা ভাবে তাদের নিপীড়ন ও নির্যাতন করা হচ্ছে। তারা আরইবি এবং সমিতিকে একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিনীতি বাস্তবায়ন ও চুক্তিভিত্তিক এবং অস্থায়ী কর্মচারীদের চাকরি স্থায়ী করণের দাবি জানান।

দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রেখে লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন তারা।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আরিফুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, এসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার মো. মফিজুল ইসলাম, শরীফুল হাসান প্রমুখ।

;

মামলা না নেওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার হতাশ

হাতীবান্ধায় ভাতিজার লাঠির আঘাতে চাচির মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
নিজ বাড়িতে আরজিনা বেগমের মৃত্যু, ছবি: বার্তা২৪.কম

নিজ বাড়িতে আরজিনা বেগমের মৃত্যু, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পাটিকাপাড়া ইউনিয়নের উত্তর পারুলিয়া এলাকায় দুই নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলামের ছেলে রিপনের (ভাতিজার) লাঠির আঘাতে চাচির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (১ জুলাই) উপজেলার উত্তর পারুলিয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে আরজিনা বেগম (৫৭) নামে ওই নারী মৃত্যুবরণ করেন।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, গত ঈদুল আজহার আগের দিন চাচি আরজিনা বেগম রিপনের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভাতিজা রিপন অতর্কিতভাবে বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এমতাবস্থায় গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা প্রথমে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে নিয়ে আসার তিন দিন পর সোমবার সকালে নিজ বাড়িতে আরজিনা বেগমের মৃত্যু হয়।

তবে এ মৃত্যু নিয়ে নাটকীয়ভাবে মিমাংসা করার চেষ্টা করছেন প্রভাবশালী মহল। আরজিনা বেগমের স্বামী গোলাপ হোসেন ও তার আত্মীয়স্বজনরা হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

আরজিনা বেগমের ভাই সিরাজুল ইসলাম হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম মামলা না নিয়ে সিরাজুল ইসলামকে ফেরত পাঠান। 

এতে সিরাজুল এই হত্যার ন্যায় বিচার নিয়ে শঙ্কিত আছেন। কারণ আসামি রিপনের পিতা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। এব্যাপারে সিরাজুল ইসলাম আরও বলেন, এই মৃত্যুর পেছনে রফিকুল ইসলাম নিজেও জড়িত তাহলে আসামি কীভাবে বাদী হয়।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর বিষয়টি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে মামলার বিষয়ে ওসি বলেন মামলা দুইদিন পরও দিতে পারবে।

;

অস্বাভাবিক গতিতে বাড়ছে সুরমার পানি, তলিয়েছে রাস্তাঘাট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
অস্বাভাবিক গতিতে বাড়ছে সুরমার পানি, তলিয়েছে রাস্তাঘাট

অস্বাভাবিক গতিতে বাড়ছে সুরমার পানি, তলিয়েছে রাস্তাঘাট

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টিতে একদফা বন্যায় কাটানো সুনামগঞ্জে আবারও বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে সুরমা ও যাদুকাটা নদীর পানি। তলিয়ে গেছে গ্রামের রাস্তাঘাট, তাহিরপুরের সাথে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এদিকে দু’দফা বন্যা হলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জ স্টেশনে সুরমা নদীর পানি ৬৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার ও ছাতকে ২৩ সেন্টিমিটার ওপরে বইছে। এতে পানি উঠেছে সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সাহেববাড়ি, উত্তর আরপিননগর, বাগানবাড়িসহ কয়েকটি এলাকার সড়কে। তলিয়ে গেছে সদর, জগন্নাথপুর, তাহিরপুরসহ কয়েকটি উপজেলার গ্রামীণ সড়ক।


তাহিরপুরের সীমান্ত নদী যাদুকাটাও বইছে বিপৎসীমার ৯৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে সড়ক ডুবে বন্ধ হয়ে আছে তাহিরপুরের সাথে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ। 

দোয়ারাবাজার উপজেলার আকরম আলী বলেন, এক বারের বন্যার এখনো ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আবার বন্যার শঙ্কা। আমাদের বাঁচা দায় হয়ে গেছে।

সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুরের আমরিয়া বিবি বলেন, ঘরের কোমর পানি উঠছিল সেই পানি এখনো উঠানে রয়ে গেছে আবার পানি বাড়তেছে। ঘরের আগের ভাঙাই এখনো ঠিক করতে পারিনি। আবার বন্যা এলে আবার নতুন করে ভাঙবে। আমরা কিভাবে এগুলো ঠিক করবো।


গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হয়েছে ১৭০ মিলিমিটার ও চেরাপুঞ্জিতে ৩১৩ মিলিমিটার। বৃষ্টিপাত ও ঢল অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে আবারও বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার শঙ্কা আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হবে।

সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, সুনামগঞ্জে অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে। আরও দুদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।

;