কেএনএফ'র আরও এক সদস্য গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
কেএনএফ'র আরও এক সদস্য গ্রেফতার

কেএনএফ'র আরও এক সদস্য গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানে রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় যৌথবাহিনীর অভিযানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্দেহে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতার হওয়া কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্য হলেন লাল বাই সাই লুসাই (৪২)। সে সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের ফারুক পাড়ার বাসিন্দা মৃত বিয়াত লিয়ান লুসাইয়ের ছেলে।

শুক্রবার (২৮ জুন) তাকে বান্দরবানে যৌথবাহিনীর অভিযানে সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের স্যারণ পাড়া থেকে গ্রেফতার করা হয়।

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে গ্রেফতার আসামিকে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রিজনভ্যানে করে বান্দরবান সদরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুল হক আসামিকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেন।

বান্দরবান আদালতের জিআরও বিশ্বজিৎ সিংহ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আসামি লাল বাই সাই লুসাইকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।

এ পর্যন্ত মোট ১১০ কেএনএফ সদস্য ও একজন চাঁদের গাড়ীর চালকসহ মোট ১১১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জন নারী রয়েছেন। যৌথ বাহিনীর টহলের ওপর হামলা করতে গিয়ে কেএনএফের মোট ১৫ জন নিহত হয়েছে।

বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে প্রকাশ্যে ব্যাংক লুটের পর বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় এ পর্যন্ত রুমা থানায় ১৩ টি ও থানচি থানায় চারটি, বান্দরবান সদর থানায় একটি এবং রোয়াংছড়ি থানায় তিনটি সহ সর্বমোট ২১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে।

সাদিক এগ্রোতে দুদকের অভিযান, মিলেছে নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সাদিক এগ্রোতে নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু

ছবি: সাদিক এগ্রোতে নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার জেলার সাভারে সাদিক এগ্রোর একটি খামারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল অভিযান চালিয়েছে। অভিযান শেষে ওই খামার থেকে নিষিদ্ধ ৭টি ব্রাহমা জাতের গরুর বাছুর ও ৫টি গাভির বিষয়ে তথ্য পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন দুদক কর্মকর্তারা।

এসময় আলোচিত ১৫ লাখ টাকার ছাগলটিও দেখতে পেয়েছেন তাঁরা। এ অভিযানের আগে দুদক কর্মকর্তারা সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার থেকে নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরুর বেশ কিছু নথিপত্র সংগ্রহ করেন।

আলোচিত ১৫ লাখ টাকার ছাগল

সোমবার (১ জুলাই) বেলা দেড়টার দিকে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকার সাদিক এগ্রো ফার্মের খামারে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি দল অভিযান চালায়।

অভিযানের সময় খামারটিতে আলোচিত ১৫ লাখ টাকার ছাগলটি দেখতে পান তারা। এছাড়া খামারে থাকা নথিতে ৫টি ব্রাহমা জাতের গাভীর বিষয়ে তথ্য ও ৭টি ব্রাহমা জাতের গরুর বাছুরের সন্ধান পান।

এর আগে দলটি সাভারে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে থেকে ২০২১ সালে আমেরিকা থেকে অবৈধভাবে আমদানি করায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের হাতে ১৮ টি নিষিদ্ধ ব্রাহমা জাতের গরু আটকের পর কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের হেফাজতে দেয়া গরুর কাগজপত্র সংগ্রহ করেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০২১ সালে ১৮ টি ব্রাহমা-জাতের গরু আমেরিকা থেকে অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছিলো। তখন এয়ারপোর্টে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গরুগুলো আটক করেন। এরপর গরুগুলো সভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে রাখা হয়। চলতি বছরের রোজার মধ্যে ওই গরুগুলো বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে জবাই করে সুলভ মূল্যে বিক্রয়ের কথা ছিলো। তবে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে গরুগুলো জবাই করে সুলভ মূল্যে বিক্রি না করে বেশি দামে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।

সাদিক এগ্রোতে দুদকের অভিযান

তিনি বলেন, সাভারের সাদিক এগ্রোর খামারটিতে অভিযান চালিয়ে ৭টি ব্রাহমা প্রজাতির বাছুর ও খামারের রেজিস্ট্রার খাতা থেকে ৫টি গাভীর বিষয়ে তথ্য পাওয়া গেছে। এসকল নথিপত্র আমরা জব্দ করেছি। এখন প্রতিবেদন তৈরি করে কমিশনের কাছে জমা দিবো। এরপর কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা সাদিক এগ্রোর আরো দু'টি খামারের তথ্য পেয়েছি।

খামারের দায়িত্বে থাকা ব্যবস্থাপক জাহিদ খান বলেন, দুদকের স্যারেরা খামারে ব্রাহমা জাতের গরু আছে কিনা সেটি তদন্ত করে দেখেছেন। এছাড়া আমাদের তিনটি খাতা নিয়ে গেছেন।

;

ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল আরও একজনের, আক্রান্ত ৫১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫১ জন।

সোমবার (০১ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে বরিশালে বিভাগে তিন জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৭ জন, ঢাকা বিভাগে ২৫ জন (এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ছয় জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১১ জন)। খুলনা বিভাগে দুই জন, ময়মনসিংহ বিভাগে এক জন, রাজশাহী বিভাগে এক জন, রংপুর বিভাগে দুই জন রয়েছেন।

চলতি বছরের ০১ জুলাই পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে তিন হাজার ৭০২ জন। এর মধ্যে দুই হাজার ২৪৬ জন পুরুষ এবং এক হাজার ৪৫৬ জন নারী রয়েছেন।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ৫৩ ডেঙ্গুরোগী। চলতি বছরে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন হাজার ৪৩৯ জন।

২০২৩ সালের ০১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।

;

চট্টগ্রামের যে ১৮ জায়গায় গ্যাস থাকবে না মঙ্গলবার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
কেজিডিসিএল

কেজিডিসিএল

  • Font increase
  • Font Decrease

এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের র‌্যাম্প নির্মাণকাজের জন্য চট্টগ্রামের ১৮ জায়গায় মঙ্গলবার (২ জুলাই) গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল)।

কেজিডিসিএল জানিয়েছে, নগরের ফকিরহাট এলাকায় একটি র‌্যাম্প নির্মাণ কাজের জন্য কেজিডিসিএলের ৮ ইঞ্চি ব্যাসের ১০ বার চাপসম্পন্ন গ্যাস পাইপলাইন ডাইভারশন কাজ করা হবে। সেজন্য মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে।

যে ১৮ জায়গায় গ্যাস থাকবে না

কেজিডিসিএল সূত্র জানিয়েছে বারিক বিল্ডিং, আগ্রাবাদ সিডিএ, নিমতলা, বন্দর, মাদারবাড়ী, সদরঘাট, নিউমার্কেট, মাঝিরঘাট, পাথরঘাটা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

এছাড়া দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, লালখান বাজার, জিইসি, কোতোয়ালী, ডিসি রোড, জেল রোড, আন্দরকিল্লা, চাক্তাই ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় গ্যাস সরবরাহের চাপ কম থাকবে। দুর্ঘটনা এড়াতে গ্যাস সরবরাহ সরঞ্জামাদি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।

;

দুর্নীতির অভিযোগে বদলি-বরখাস্ত-অবসর যথেষ্ট নয়: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ/ছবি: বার্তা২৪.কম

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতির অভিযোগে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বদলি, বরখাস্ত, বাধ্যতামূলক অবসরসহ কোনো বিভাগীয় ব্যবস্থাই যথেষ্ট নয়, ক্ষেত্রবিশেষে তা দুর্নীতিকে উৎসাহ প্রদান করে বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

অন্য সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইনি প্রক্রিয়ায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদেরও বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুর্নীতির অভিযোগে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও পুলিশের কোনো কোনো কর্মকর্তাকে বদলি বা বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। যা বিভাগীয় পদক্ষেপ হিসেবে আশাব্যঞ্জক প্রথম পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, প্রজাতন্ত্রের কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলেই তাকে বদলি করা, বরখাস্ত বা বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের মতো বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখাকেই স্বাভাবিকতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দুর্নীতির জন্য কার্যকর জবাবদিহিতা ও প্রতিরোধের সম্ভাবনার মানদণ্ডে যা একেবারেই যথেষ্ট নয়। দুর্নীতির মতো অপরাধ বদলির মাধ্যমে বড়জোর স্থানান্তরিত ও আরো বেশি প্রসারিত এবং অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনাও সৃষ্টি করে। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী দুর্নীতি করলে দেশের প্রচলিত আইনে শাস্তির মুখোমুখি হতে হয় না-এমন ধারণা প্রসারের মাধ্যমে তা দুর্নীতিকে অধিকতর উৎসাহ দেয়।

বিভিন্ন সময়ে সংশোধনের মাধ্যমে বিদ্যমান সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা শিথিল করে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের প্রকারন্তরে এক ধরনের সুরক্ষা কবচ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ড. জামান বলেন, দুর্নীতির দায়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে দায় শেষ করা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনও বটে।

তিনি বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ অনুযায়ী, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের শাস্তি শুধুমাত্র বদলি, বরখাস্ত ও অবসর প্রদানে সীমাবদ্ধ রাখার মাধ্যমে অন্য সকল শ্রেণি-পেশার জনগণের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণের পরিচায়ক ও সরকারি খাতের পাশাপাশি অন্যান্য খাতেও জোগসাজশের মাধ্যমে দুর্নীতির বিকাশের অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে। দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেলায়ও অন্য সব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য দেশের প্রচলিত আইনি প্রক্রিয়ায় তদন্ত ও বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের দুর্নীতির প্রকটতর উদাহরণসমূহের দায় রাজনৈতিকভাবে এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিকতার বিষয়টি ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দের একাংশ স্বীকার করলেও, তাদের অনেকেই এই দুর্নীতির দায় ঢালাওভাবে শুধু সরকারি কর্মচারীদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু উচ্চপর্যায়ের এই দুর্নীতি অনেক ক্ষেত্রেই যে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা ও যোগসাজশ ছাড়া সম্ভব নয়, তাও অস্বীকার করার উপায় নেই।

অন্যদিকে, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ঘাটতির অন্যতম কারণ যে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে দলীয় রাজনৈতিক প্রভাব, তার দায়ও রাজনৈতিক নেতৃত্বের এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। মূলত বারবার সরকারের শীর্ষ অবস্থান থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতির কথা বলা হলেও, তা যে শুধুমাত্র ফাঁকা বুলি-জনমনে গেঁথে যাওয়া এমন ধারণা থেকে উত্তরণের দায় রাজনৈতিক নেতৃত্বকেই নিতে হবে, বলে তিনি মনে করেন।

;