এইচএসসি পরীক্ষা

পরীক্ষার হলে সন্তান, বাইরে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা



আল-আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে রোববার সকাল ১০টায় শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা (এইচএসসি)। এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন দেশের সাড়ে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী। সবার মতো এবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া মহিলা কলেজ থেকে পরীক্ষা দিচ্ছেন যাত্রাবাড়ী মুসলিমনগর এলাকার বাসিন্দা রিপা বেগমের মেয়ে। তার পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এন্ড কলেজে।

মা রিপা বেগম একমাত্র মেয়েকে সময় মতো পরীক্ষার কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে ভোর ৫টায় ঘর থেকে বের হয়েছেন। বৃষ্টি মাথায় যানজট পেড়িয়ে সময় মতো মেয়েকে পরীক্ষার হলে পৌঁছে দিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। এখন মেয়ের অপেক্ষায় পরীক্ষার হলের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন।

মেয়ের পরীক্ষার প্রস্তুতি ভালো হয়েছে জানিয়ে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'যাত্রাবাড়ী থেকে ভোর ৫টায় মেয়েকে নিয়ে বের হয়েছি। সময় মতো হলে আসতে পেরেছি। এবার প্রস্তুতি অনুযায়ী পরীক্ষা ভালো হোক সেই দোয়া করছি।'

রিপা বেগম আরও বলেন, 'আমার দুই সন্তান। দুজনেই পরীক্ষার হলে এই কেন্দ্রে হলো। এর আগে আমার ছেলেও পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষার দিন সকালে গাড়ি পাওয়া কষ্ট। গত বছর ছেলে নিয়ে হেঁটেও অনেক পথ আসতে হয়েছে।'

পুরান ঢাকা থেকে ছেলেকে নিয়ে আসা সাগর রায় ও পুস্পমালিনি দেবী দাসি। 
 

রোববার সকাল ১০টা থেকে ইকবাল রোডের প্রিপারেটরি স্কুলের কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, শতশত অভিভাবক বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতরে তাদের সন্তান জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা দিচ্ছেন। কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের এই পরীক্ষায় সন্তানের মঙ্গল কামনায় বাবা মা নিজ নিজ ধর্মের ইবাদত করছেন।

যেমনটা দেখে গেলো পুরান ঢাকা থেকে ছেলেকে নিয়ে আসা সাগর রায় ও পুস্পমালিনি দেবী দাসি দম্পতিকে। সনাতন ধর্মাবলম্বী এই বাবা-মা ছেলের পরীক্ষার হলের বাইরের রাস্তার ফুটপাতে নিজ ধর্মের তফসি পাঠ করছেন।

তারা বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'ছেলে পরীক্ষার হলে পরীক্ষা দিচ্ছে। আমাদের বাইরে থেকে মঙ্গল কামনা ছাড়া কিছুই করার নেই। রাস্তার পাশে বসে অপেক্ষা করছি আর তফসি পাঠ করছি যেন ছেলের পরীক্ষা ভালো হয়।'

সন্তানের পরীক্ষার হলের সামনে অপেক্ষায় থাকা অভিভাবকরা বলছেন, পরীক্ষার দিনগুলোতে যানজট সহনীয় পর্যায়ে থাকা দরকার। সময় নিয়ে বের হওয়ার পরেও পরীক্ষার হলে পৌঁছাতে হিমশিম খেতে হয়।

এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। এবারের পরীক্ষায় মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩টি। গত বছরের তুলনায় ২০২৪ সালে ৯১,৪৪৮ জন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। আর মোট প্রতিষ্ঠান ২৯৪টি ও কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি।

খাগড়াছড়ি পাহাড়ধস: ৩ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক যান চলাচল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে প্রবল বর্ষণে চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বেড়ে সদর, পানছড়ি ও দীঘিনালার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। দুই দিন ধরে বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোরে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার আলুটিলা সাপমারায় পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম ও ঢাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

ফায়ার সার্ভিসের দুইটি টিম ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মাটি সরিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এ ছাড়া জেলা সদরের সবুজবাগ, মোহাম্মদপুর ও কদমতলীতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে তবে কেউ হতাহত হয়নি।

এদিকে প্রবল বর্ষণে নদী-ছড়ার পানি বেড়ে দীঘিনালা-লংগদু ও দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। মহালছড়ির ২৪ মাইলে সড়কে পানি জমা থাকায় রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. জাকের হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিট দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া মাত্র উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এখনও কোন হতাহতের খবর নেই।

;

বেনাপোল বন্দরে ৯৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বন্দরের নিরাপত্তায় থাকা বিএসএফ ও বিজিবি এবং বন্দর কাস্টমসের নিরাপত্তার চোখে ধুলো দিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করা একটি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ৯৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে। এসময় ভারতীয় ট্রাকচালক রফিকুল মন্ডল (২৪) কে আটক করা হয়।

সোমবার (১ জুলাই) রাত ১১টার দিকে গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি ও কাস্টমস সদস্যরা বন্দরের ৩১ নম্বর কাঁচামালের মাঠে ট্রাকে রাখা এ ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ চালানের আরও ৫টি সন্দেহভাজন ভারতীয় ট্রাক বন্দরে কাস্টমস ও বিজিবির নজরদারিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

আটক ট্রাকচালক ভারতের পেট্টপোল সীমান্তের নাছির আলী মন্ডলের ছেলে। 

জানা যায়, অভিনব কায়দায় সিটের নিচে ফেনসিডিল লুকিয়ে এনে হাত বদলের জন্য বন্দরে অপেক্ষা করছিল ট্রাক চালক।

বেনাপোল কাস্টমসের জয়েন্ট কমিশনার অথলো চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দরের মাঠে (WB 25 E 2372) ভারতীয় একটি কাচবাহী ট্রাক তল্লাশী করা হয়। এসময় ট্রাকচালকের সিটের নিচে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে ৯৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। মাদক পাচারের অভিযোগে ভারতীয় ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার মাদক ও ট্রাকচালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

যে ট্রাকে ফেনসিডিল পাচার করা হচ্ছিল সে ট্রাকে থাকা পণ্যের আমদানিকারক বাংলাদেশের বেঙ্গল গ্লাস লিমিটেড। পণ্য চালানটির বন্দর থেকে খালাসের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল বেনাপোলের পদ্মা ট্রেডিং করপোরেশন। 

এদিকে সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ৮ মাস ধরে বেনাপোল বন্দরে চোরাচালান প্রতিরোধে থাকা স্ক্যানিং মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় অবাধে ভারত থেকে মাদকদ্রব্য ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য বন্দরে প্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়েছে । এতে বৈধ ব্যবসায়ীরা যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন তেমনি নিরাপদ বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়ছে। তবে পাচার প্রতিরোধে শূন্য রেখায় বিজিবি ট্রাক তল্লাশী করলেও এসব মাদক ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আর ভারতীয় বিএসএফ স্বর্ণ আটকে বেশ তৎপরতা দেখালেও মাদক তাদের হাতে ধরা পড়ছেনা। 

;

জুলাইয়ে ভারী বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কা, বাড়বে তাপপ্রবাহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি জুলাই মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হতে পারে। এছাড়া এ মাসে একটি নিম্নচাপ এবং বিচ্ছিন্নভাবে একটি থেকে দুটি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সোমবার (১ জুলাই) দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার এ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, জুলাইয়ে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এছাড়া, দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে তিন-চার দিন বিজলিসহ মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে। সারাদেশে পাঁচ-ছয় দিন বিজলিসহ হালকা বজ্রঝড় হতে পারে।

এছাড়া জুলাই মাসে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের কতিপয় স্থানে অল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, ভারী বৃষ্টি থাকলেও এ মাসে এক থেকে দুটি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

খাগড়াছড়িতে পাহাড় ধসে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে ভারী বর্ষণে আলুটিলা সাপমারায় এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ে চট্টগ্রাম ও ঢাকা সড়কে যান চলাচল বন্ধ। মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোর রাতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। সড়কের ওপর মাটি জমে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচের যাত্রীরা আটকা পড়েছেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম যাতাযাতকারী যাত্রীরা। সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এছাড়া জেলার মহালছড়ির ২৪ মাইল এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক। রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কেও যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।

এদিকে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং স্টিল ব্রিজ এলাকায় পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি লংগদু সড়ক তলিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। খাগড়াছড়ি সাজেক সড়কের বাঘাইহাট এলাকায় পানিতে ডুবে যাওয়ায় সড়কটি বন্ধ রয়েছে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. জসিমউদ্দীন বলেন, সাপমারা এলাকায় সড়কের মাটি সরানোর কাজ চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি চলাচলের উপযোগী হবে। তবে আলুটিলা সড়কের আরও কিছু স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। খাগড়াছড়িতে বৃষ্টি চলমান। বৃষ্টি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে না। এছাড়া অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে। বসতবাড়িতেও প্রবেশ করছে পানি।

;