কাজের মেয়েকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে চিকিৎসক গ্রেফতার 



ডিস্ট্রিক্ট করসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরে ১৪ বছরের এক কাজের মেয়েকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে ফরহাদ উজ্জামান (৩৭) নামে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৯ জুন) দিবাগত রাতে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকায় ওই চিকিৎসকের চেম্বার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্ত চিকিৎসক শ্রীপুর পৌর বাজার এলাকার অ্যাডভোকেট আবুল হাসেমের ছেলে।

অভিযোগে জানা যায়, দেড় মাস আগে মেয়ের পরিবার তাকে শ্রীপুর পৌর শহরের মাছ বাজার এলাকায় অ্যাডভোকেট আবুল হাসেমের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজে পাঠান। সেখানে কাজ করার সময় থেকে আবুল হাসেমের ছেলে ডা. ফরহাদ উজ্জামান ওই কাজের মেয়েকে বিভিন্ন প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং সেই চিত্র মোবাইলে ধারণ করেন। পরবর্তীতে মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দিলে ভুক্তভোগী মেয়ের স্বজনরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিও দেখতে পান। পরে ওই পরিবার শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর আলী খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনা সত্যতা পাওয়ার পর থানায় মামলা রুজু হয়। পরে তাকে গত রাতে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিপৎসীমার ওপরে সুরমার পানি, তৃতীয় দফায় বন্যার মুখে সিলেট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,সিলেট
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সিলেটে আবারও বাড়ছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। ইতিমধ্যেই তিনটি নদীর ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির কারণে নতুন করে তৃতীয় দফা বন্যার মুখে পড়েছে সিলেট অঞ্চল। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।

দুই দিন ধরে সিলেটে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সোমবার ও মঙ্গলবার বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুরমা নদীর কানাইঘাট ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে। সিলেট পয়েন্টেও পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে।


সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড তথ্যমতে, মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। একইভাবে কুশিয়ারা নদীর অমলসীদ পয়েন্টে ৭১ সেন্টিমিটার, একই নদীর শেওলা পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৯৩ সেন্টিমিটার, শেরপুর পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার ও সারিগোয়াইন নদীর পানি গোয়াইনঘাট পয়েন্টে ১০ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। আর সুরমা নদীর সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ছুঁই ছুঁই করছে। এই পয়েন্টে বিপৎসীমা হচ্ছে ১৮০ সেন্টিমিটার সেখানে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়েছে ২৯৪ মিলিমিটার ও মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, সিলেটে দ্বিতীয় দফায় বন্যায় ১ হাজার ৮১টি গ্রামের ৭ লাখ ৩৩৬ জন মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। ১৯৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাস করছেন ৯ হাজার৫৬৮ জন লোক।

এর আগে গত ২৯মে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে আকস্মিক বন্যা দেখা দেয়। এরপর জুন মাসের মাঝামাঝিতে সিলেটে ফের বন্যা হয়। প্রথম দফায় জেলার সাড়ে ৭ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছিলেন ও দ্বিতীয় দফায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ পানিবন্দি হন। দ্বিতীয় দফার বন্যার পানি কমতে না কমতে তৃতীয় দফায় ফের বন্যার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় অনেকটা ভয়-আতঙ্কে আছেন সিলেট অঞ্চলের মানুষ। 

এদিকে, সিলেটের সীমান্তবর্তী জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, গোয়াইনঘাট,কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জৈন্তাপুর উপজেলার নিচু এলাকাগুলো পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। অনেক এলাকায় দ্বিতীয় দফার পানি নামার আগেই নতুন করে প্লাবিত হয়েছে।

;

খাগড়াছড়ি পাহাড়ধস: ৩ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক যান চলাচল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে প্রবল বর্ষণে চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বেড়ে সদর, পানছড়ি ও দীঘিনালার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। দুই দিন ধরে বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটছে। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোরে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙার আলুটিলা সাপমারায় পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম ও ঢাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

ফায়ার সার্ভিসের দুইটি টিম ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে মাটি সরিয়ে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। এ ছাড়া জেলা সদরের সবুজবাগ, মোহাম্মদপুর ও কদমতলীতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে তবে কেউ হতাহত হয়নি।

এদিকে প্রবল বর্ষণে নদী-ছড়ার পানি বেড়ে দীঘিনালা-লংগদু ও দীঘিনালা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। মহালছড়ির ২৪ মাইলে সড়কে পানি জমা থাকায় রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক মো. জাকের হোসেন জানান, ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিট দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পাহাড় ধসের খবর পাওয়া মাত্র উদ্ধার কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এখনও কোন হতাহতের খবর নেই।

;

বেনাপোল বন্দরে ৯৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বন্দরের নিরাপত্তায় থাকা বিএসএফ ও বিজিবি এবং বন্দর কাস্টমসের নিরাপত্তার চোখে ধুলো দিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করা একটি ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক থেকে ৯৯ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে। এসময় ভারতীয় ট্রাকচালক রফিকুল মন্ডল (২৪) কে আটক করা হয়।

সোমবার (১ জুলাই) রাত ১১টার দিকে গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি ও কাস্টমস সদস্যরা বন্দরের ৩১ নম্বর কাঁচামালের মাঠে ট্রাকে রাখা এ ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এ চালানের আরও ৫টি সন্দেহভাজন ভারতীয় ট্রাক বন্দরে কাস্টমস ও বিজিবির নজরদারিতে রয়েছে বলে জানা গেছে।

আটক ট্রাকচালক ভারতের পেট্টপোল সীমান্তের নাছির আলী মন্ডলের ছেলে। 

জানা যায়, অভিনব কায়দায় সিটের নিচে ফেনসিডিল লুকিয়ে এনে হাত বদলের জন্য বন্দরে অপেক্ষা করছিল ট্রাক চালক।

বেনাপোল কাস্টমসের জয়েন্ট কমিশনার অথলো চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দরের মাঠে (WB 25 E 2372) ভারতীয় একটি কাচবাহী ট্রাক তল্লাশী করা হয়। এসময় ট্রাকচালকের সিটের নিচে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে ৯৯ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। মাদক পাচারের অভিযোগে ভারতীয় ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া উদ্ধার মাদক ও ট্রাকচালকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

যে ট্রাকে ফেনসিডিল পাচার করা হচ্ছিল সে ট্রাকে থাকা পণ্যের আমদানিকারক বাংলাদেশের বেঙ্গল গ্লাস লিমিটেড। পণ্য চালানটির বন্দর থেকে খালাসের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছিল বেনাপোলের পদ্মা ট্রেডিং করপোরেশন। 

এদিকে সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, প্রায় ৮ মাস ধরে বেনাপোল বন্দরে চোরাচালান প্রতিরোধে থাকা স্ক্যানিং মেশিনটি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকায় অবাধে ভারত থেকে মাদকদ্রব্য ও মিথ্যা ঘোষণার পণ্য বন্দরে প্রবেশের সুযোগ তৈরি হয়েছে । এতে বৈধ ব্যবসায়ীরা যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন তেমনি নিরাপদ বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়ছে। তবে পাচার প্রতিরোধে শূন্য রেখায় বিজিবি ট্রাক তল্লাশী করলেও এসব মাদক ধরতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আর ভারতীয় বিএসএফ স্বর্ণ আটকে বেশ তৎপরতা দেখালেও মাদক তাদের হাতে ধরা পড়ছেনা। 

;

জুলাইয়ে ভারী বৃষ্টি ও বন্যার আশঙ্কা, বাড়বে তাপপ্রবাহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি জুলাই মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যা হতে পারে। এছাড়া এ মাসে একটি নিম্নচাপ এবং বিচ্ছিন্নভাবে একটি থেকে দুটি মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

সোমবার (১ জুলাই) দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়ার এ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চলতি মাসে সামগ্রিকভাবে দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, জুলাইয়ে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি মৌসুমি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এছাড়া, দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলে তিন-চার দিন বিজলিসহ মাঝারি ধরনের বজ্রঝড় হতে পারে। সারাদেশে পাঁচ-ছয় দিন বিজলিসহ হালকা বজ্রঝড় হতে পারে।

এছাড়া জুলাই মাসে মৌসুমি ভারী বৃষ্টিপাতজনিত কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলের কতিপয় স্থানে অল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে দক্ষিণ-পূর্ব পার্বত্য অববাহিকার কতিপয় স্থানে স্বল্পমেয়াদি আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, ভারী বৃষ্টি থাকলেও এ মাসে এক থেকে দুটি বিচ্ছিন্নভাবে মৃদু (৩৬-৩৮ ডিগ্রি) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;