‘পুলিশের ভূমিকায় মনে হচ্ছে অপমৃত্যু রেকর্ডের জন্য বসে আছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন

  • Font increase
  • Font Decrease

এই দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছে, হবিগঞ্জের শাহ এ এম এস কিবরিয়া মারা গেছেন আমরা তাদের কোনো ধরনের নিরাপত্তা দিতে পারিনি। আর আমার বিষয়টা এমন হয়েছে যে পুলিশের ভূমিকা দেখে মনে হচ্ছে অপমৃত্যু রেকর্ড করার জন্য তারা বসে আছেন।

হত্যার হুমকি পেয়ে থানায় জিডি করার বিষয়ে রোববার (৩০ জুন) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এসব কথা বলেন।

সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, আমি থানায় জিডি করার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত ছিল যারা হুমকি দিয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা। কারণ তাদের থেকে আমি হুমকির তথ্য পেয়েছি। রাষ্ট্রযন্ত্র আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় কি না, সেই প্রশ্ন এখন দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সংসদে থাকাকালীন আমার এলাকার যে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আছেন তিনি আমকে কল করে জানান গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে তাই বাড়ি আসার পর তার সঙ্গে যেনো আমি একটি বসি। পরে শুক্রবার বাড়ি যাবার পর শুরু দুপুরে আমার সঙ্গে বসেছিলেন ওসি। তখন ওসি আমাকে একটি ম্যাসেজ দেখালেন। সেখানে ওসিকে একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ২/৩ দিন কল করেছেন। কিন্তু কলটি আমলে না নেয়ায় ওই ব্যক্তি ওসিকে একটি ম্যাসেজ করে জানান যে, তিনি আমার সঙ্গে কথা বলেতে চান। এছাড়া ম্যাসেজে দেখা গেছে একটি কন্ট্রাক কিলার গ্রুপ হায়ার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে এক্টিভ।

তিনি বলেন, পরে ওসি তার ফোন দিয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে আমাকে কথা বলায় দিলেন। তখন আমি কথা বলেছি। পরে অজ্ঞাত ব্যক্তি জানায় যে, তিনি নিজের পরিচয় এবং ঠিকানা দিতে চান না। এছাড়া তিনি নিজেও ওই কিলার গ্রুপের একজন সদস্য ছিলেন। যখন আমাকে হত্যার জন্য তার কাছে নাম আসে এবং এই হত্যা তাকে করতে হবে তখন তিনি এই কাজে অস্বীকৃতি জানান বা না করেন দেন। কারণ তার বাড়িও সিলেটে। তিনি আমার কাজকর্ম সম্পর্কে সব জানেন তাই তিনি রাজি হননি বলেও আমাকে জানান।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক বলেন, কলে ওই ব্যক্তি জানান আমি যেনো আগামী ২/৩ দিন যেনো বাসার থেকে না বের হই। কিন্তু এর আগেও আমি মৌখিকভাবে এবং পিএসয়ের মাধ্যমে হুমকি পেয়েছি। কিন্তু সেগুলো আমলে নেইনি। তবে এবার যখন ওসির মাধ্যমে এসেছে তখন আমার কাছে মনে হয়েছে এবার সিরিয়াসলিভাবে আমলে নিতে হবে।

তিনি বলেন, এরপর আমি শনিবার ঢাকায় চলে আসি। এর মধ্যে আমি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। পরে আমি শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি।

সুমন আরও বলেন, আমি একজন সংসদ সদস্য। যখন আমার এলাকার ওসি কোন এক মাধ্যমে জেনেছেন যে আমার লাইফ রিস্ক আছে তখনই কিন্তু তার এসপি বা ডিআইজির সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল। এটা কি সত্যই হুমকি নাকি ভোগাস সেটিতো আমার কাছে আসার আগেই তাদের তদন্ত করে ফেলা উচিত ছিল। আমাকে কেনো জিডি করতে হলো। আমার প্রশ্ন হলো আমার থ্রেট তো আমি জানি না। আমার আগে জেনেছেন ওসি। এরপর এটা এসপি বা ডিআইজিকে জানানো দরকার ছিল এবং আমি জানার আগেই আমাকে প্রোটেকশন দেবেন। এরপর আমাকে জানাতে পারতেন যে এই থ্রেটটা রিয়েল অথবা ফেইক। কিন্তু ওসি আমাকে বলেছেন, আমার জিডি করতে হলো। এখন তো আমার জীবনের নিরাপত্তা তো নিজেরেই দিতে হচ্ছে। আমি বুঝি না এই রাষ্ট্রযন্ত্র আসলেই কি আমাকে বাঁচায় রাখতে চায় কি না। কারণ আমি যেখানে জিডি করতেছি বা পুলিশ বিভাগকে জানাচ্ছি তারাই তো আমার আগে এই ঘটনা জেনেছে।

পেনশনের টাকায় মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
পেনশনের টাকায় মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ, ছবি: বার্তা২৪.কম

পেনশনের টাকায় মসজিদ-মাদ্রাসা নির্মাণ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা গিয়াস উদ্দিন। বয়স ৭০। পেনশনের ২৫ লাখ টাকাসহ নিজের প্রায় সর্বস্ব ব্যয় করে গড়ে তুলেছেন একটি মসজিদ। এমন উদ্যোগে স্থানীয়দের প্রশংসায় ভাসছেন তিনি।

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বেড়াখলা গ্রামের বাসিন্দা তিনি। নিজের ১০ শতাংশ জমিতে বাইতুন নূর জামে মসজিদের পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন একটি হাফিজিয়া মাদ্রাসা। সেখানে পড়ছেন ২৫ জন শিক্ষার্থী। তাদের বিনা বেতনে পড়াচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন পার্শ্ববর্তী দেবিদ্বার উপজেলার ওয়াহেদপুর আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন তিনি। মাওলানা গিয়াস উদ্দিন শান্ত প্রকৃতির মানুষ। সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের সেবা করেন। পেনশনের টাকা ও নিজের সম্পদ দিয়ে তিনি মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করছেন। এতে গর্ববোধ করেন তারা।


মাওলানা গিয়াস উদ্দিন বলেন, আমার কোনো ছেলে-মেয়ে নেই। আমি মারা যাওয়ার পর দোয়া করার মতোও কেউ নাই। তাই এই মসজিদ-মাদ্রাসার উসিলায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করছি। এই চিন্তা থেকে পেনশনের সব টাকা দিয়ে মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করি। পাশাপাশি আমার স্ত্রী নিজ থেকে তার জমানো ৩ লাখ টাকা আমার হাতে তুলে দিয়েছেন।

সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা এই মসজিদ নির্মাণ করা। কোনো কিছু না ভেবে কাজ শুরু করেছি। কাজের কিছু অংশ আটকে আছে, ঋণ করতে হয়েছে। তাই সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করি।

জানা যায়, চাকরি শেষ হওয়ার পর ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পেনশনের ২৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা পান তিনি। তা দিয়ে পরিবার ও নিজের ১০ শতাংশ জমিতে এই মসজিদ ও মাদ্রাসার নির্মাণ কাজ শুরু করেন। মসজিদ নির্মাণে এখন পর্যন্ত ধার করেছেন ৫ লাখ টাকা।

;

সুনামগঞ্জে সুরমা নদীতে নৌকা ডুবে শিশুসহ নিখোঁজ ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, সুনামগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজারের আজমপুর এলাকায় সুরমা নদী পার হতে গিয়ে নৌকা ডুবে শিশুসহ তিন জন নিখোঁজ হয়েছেন। এরা তিনজনই আজমপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা। 

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ডিঙ্গি নৌকা করে সুরমা নদী পার হওয়ার সময় স্রোতের কবলে পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নৌকা ডোবার পর মাঝি সাতরে পারে চলে আসতে পারলেও দুই মহিলা ও এক শিশু ডুবে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নেহের নিগার তনু।

বিস্তারিত আসছে...

;

সাজেকে আটকা পড়েছে ৭০০ পর্যটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণে গিয়ে ৭০০ পর্যটক আটকা পড়েছে। এতে আতঙ্ক বোধ করছেন আটকে পড়া পর্যটকরা ।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকালে বাঘাইছড়ি-বাঘাইহাট সড়ক উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায়। ফলে সাজেকে ছোটবড় মিলে ১২৫ গাড়ির পর্যটক আটকা পড়ে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাজেক কটেজ মালিক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা। তিনি আরও জানান, সোমবার যেসব গাড়ি এসেছে তাদের সবাই সাজেকে অবস্থান করছে। পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে আজকে গাড়ি চলাচল করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। অন্যদিকে সকালে খাগড়াছড়ি থেকেও কোনো গাড়ি সাজেকে প্রবেশ করতে পারেনি।

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার জানান, বাঘাইছড়িতে টানা ভারীবর্ষণের ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। যাতে প্রায় দুই হাজার পরিবার পানি বন্দি। ৫৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হলেও এখনো কেউ আসেনি। আর বাঘাইহাট সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকে ৭ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। পানি না সরা পর্যন্ত কেউ বের হতে পারবে না।

প্রসঙ্গত, প্রতিবছরই বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ি ঢলের কারণে খাগড়াছড়ি সাজেক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ১৮



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭৫ পিস ইয়াবা, ১৯২ গ্রাম হেরোইন, ১০০ বোতল ফেন্সিডিল, ৪০০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ১০০ গ্রাম আইস ও ৯৫৩ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে, ১৪টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;