সংরক্ষিত বনের গাছ উদ্ধার, অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলীতে টেংরাগিরি সংরক্ষিত বন থেকে চুরি করে কেটে নেয়া ৪টি কেওড়া গাছ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।

চুরির সাথে জড়িত ব্যক্তিকে চিহ্নিত করার পরও তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ স্থানীয়দের।

শনিবার (২৯ জুন) বিকালে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের জয়ালভাঙ্গা এলাকা থেকে গ্রামবাসীর সহযোগীতায় গাছগুলো উদ্ধার করা হয়। গাছগুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা।

স্থানীয়া এবং বন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় জেলে মো. বেল্লাল কোনো অনুমতি ছাড়াই সরকারি সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনের গাছগুলো বিভিন্ন সময় চুরি করে কেটে নিচ্ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বন বিভাগ কেটে ফেলা ৪টি কেওড়া গাছ উদ্ধার করে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অভিযুক্ত মো. বেল্লালের বাড়ির পাশে একটি খালে দুটি গাছ ফেলে রেখেছে আর বাকি দুটি গাছ কেটে সাইজ করছে এ সময় বন বিভাগের লোকজনকে ওই গাছ উদ্ধার করে। পরে ওই এলাকার ইউপি সদস্য মো. জাহিদের কাছে গাছগুলো জিম্মা দেওয়া হলেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা মো. হারুন বলেন, বেলালের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় টেংরাগিরি বনের বড় বড় চারটি কেওড়া গাছ কেটে সাইজ করছে। পরে বিষয়টা স্থানীয় বন বিভাগের কাছে বললে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। আমরা স্থানীয় লোকজন বিষয়টা দেখেছি। এভাবে বনের গাছ কাটলে শীঘ্রই উজার হয়ে যাবে টেংরাগিরি বনের গাছ।

নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. জাহিদ বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে বনের চার পিস গাছ পাওয়া গেছে। পরে স্থানীয় বন বিভাগের লোকজন আমার কাছে গাছগুলো জিম্মা দিয়েছে। বনের গাছ কাটা একটি অপরাধ বন বিভাগের লোকজনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি বলেন, বেল্লাল একজন জেলে মাছ ধরার ফাঁকে ফাঁকে সে বনের গাছ লুটপাট করে। তার বিরুদ্ধে কেউ কোনদিন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তিনি সব জায়গা থেকে ছুটে যান। এছাড়া স্থানীয় বন কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে দিন দিন বনের গাছ লুটপাট হচ্ছে।

তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিষয়টা আমি অবগত হয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বন বিভাগকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।

গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ডিশ লাইন অপারেটরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ডিশ লাইনের কাজ করতে গিয়ে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ডিস লাইন অপারেটরের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে উপজেলার ছাপড়হাটি ইউনিয়নের ছমিরের বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

২২ বছর বয়সী নিহত ওই যুবকের নাম উজ্জ্বল চন্দ্র বর্মণ। সে ওই ইউনিয়নের উত্তর মরুয়াদহ গ্রামের গাছের ভিটা এলাকার রঞ্জিত চন্দ্র বর্মণের ছেলে।

বিষয়টি মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুব আলম।

স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, শনিবার সন্ধ্যার দিকে ছমিরের বাজারে বিদ্যুতের খুঁটিতে উঠে ডিশ লাইনে কাজ করছিলেন উজ্জ্বল চন্দ্র। এসময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুতের তারে স্পর্শ লেগে বিদ্যুতায়িত হয় এবং মাটিতে পড়ে যায় ওই যুবক। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন।

ওসি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্ত শেষে মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

হাতে সময় নিয়ে সড়কে বের হওয়ার পরামর্শ ঢাকার পুলিশের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কোটাবিরোধী আন্দোলনসহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উপলক্ষে রাজধানীতে যানজট হওয়ার সতর্কবার্তা দিয়ে মধ্য ও দক্ষিণ ঢাকায় চলাচলকারীদের হাতে সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ করেছে পুলিশ।

শনিবার (৬ জুলাই) রাতে এক বার্তায় ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কে এন রায় নিয়তি বলেন, রোববার দুপুরের পর সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উপলক্ষে শোভাযাত্রা ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করবে।

আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ও কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি থাকায় যানজট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করে বার্তায় বলা হয়, এ কারণে রমনা, মতিঝিল, ওয়ারী এলাকার মানুষকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার জন্য হাতে সময় নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ করেছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

রোববার ঢাকাসহ সারা দেশে 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি ঘোষণা করেছে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা।

গত কয়েকদিন শাহবাগ মোড়ে তাদের কর্মসূচির ফলে ছুটির দিনেও যানজটে ভুগতে হয় নগরবাসীকে।

ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, রোববার বেলা ৩টায় ঢাকার স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে রথযাত্রা।

রথযাত্রা উপলক্ষে ওই সময়ে বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করার জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

;

যুবককে টেনে হিঁচড়ে ১০০ মিটার নিয়ে গেল ট্রাক, প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপরে বেপরোয়া গতির একটি ট্রাক এক যুবককে অন্তত ১০০ মিটার রাস্তা টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেছে। পরে জনতার ধাওয়ার মুখে ট্রাক রেখে পালিয়ে গেছে চালক। তবে ঘটনার শিকার যুবক আবুল কাশেম প্রাণে বাঁচলেও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

এদিকে ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শনিবার (৬ জুলাই) রাত ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর-ভোলা মজু চৌধুরীর হাট সড়কের হাজির হাট এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গেলো ১ সপ্তাহে লক্ষ্মীপুর-ভোলা মজু চৌধুরীর হাট মহা-সড়কে বেপরোয়া গতির ড্রাম ট্রাকসহ পন্যবাহী ট্রাক চলাচল করে ৫টি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। সবশেষ শনিবার রাতে ওই সড়কের হাজির হাট এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল ওই যুবক। হঠাৎ একটি ট্রাক তার গায়ে গেঁসে যাওয়ার সময় গাড়ির চাকায় তার পরনের লুঙ্গী আটকে যায়। এ সময় তাকে অন্তত ১০০ মিটার রাস্তা টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেছে ট্রাকটি। পরে স্থানীয়রা ট্রাকটিকে ধাওয়া দিলে চালক পালিয়ে যায়। এসময় রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ঢাকায় প্রেরণ করে।

এদিকে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। মুহুর্তেই আন্দোলনে নামেন এলাকাবাসী। তাদের দাবি শুক্রবার মা হোসনেয়ারা বেগম ও ছেলে (শিশু)আশিককে চাপা দেয় একটি ট্রাক। ঘটনাস্থলেই মা মারা গেলেও শিশুটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর আগে অপর একটি ট্রাক মোটরসাইকেলকে চাপা দিলে দুই যুবক পঙ্গু হয়ে এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বেপরোয়া গতি ও হেলপাররা গাড়ি চালানোয় প্রতিনিয়ত একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। এ প্রতিকারে বিক্ষুব্দ এলাকাবাসী আন্দোলন করেন বলে জানান। পরে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

এসময় থানার ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার ট্রাক চালকদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষুব্ধরা।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, স্থানীয়দের ৪টি দাবি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলা হবে। তাদের দাবি পূরণের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় তারা।

;

প্রসূতিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে ভাঙা সেতুতে সন্তান প্রসব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ভাঙা সেতুতে সন্তান প্রসব/ছবি: সংগৃহীত

ভাঙা সেতুতে সন্তান প্রসব/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় হাসপাতালে যাওয়ার পথে ভাঙা একটি সেতুর উপর এক প্রসূতি সন্তান প্রসব করেছেন। শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বোয়ালমারী বেড়িবাঁধের রৌমারী-খাটিয়ামারী সড়কের সবুজপাড়া স্লুইসগেট সংলগ্ন বাঁশ ও কাঠের তৈরি একটি ভাঙা সেতুর উপর সন্তান জন্ম দেন ওই নারী।

প্রসূতি মায়ের নাম বিলকিস বেগম। তিনি যাদুরচর ইউনিয়নের যাদুরচর গ্রামের সাইজউদ্দিনের স্ত্রী। তবে তিনি রৌমারী সদর ইউনিয়নের সুতিরপাড় গ্রামে তার বাবার বাড়ি থেকে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন।

বিলকিসের ভাই সাফি উদ্দিন ও ভাবি আমিনা বেগম বলেন, সকালে প্রসব বেদনা উঠলে বিলকিসকে নিয়ে ব্যাটরিচালিত ভ্যানযোগে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। কিন্তু ভাঙা সেতুর কাছে গেলে সেখানে ভ্যান পারাপারের উপায় ছিল না। হেঁটে পার হওয়াই ঝুঁকি। বাধ্য হয়ে বেদনায় কাতর বিলকিসকে নিয়ে হেঁটে সেতু পার হতে থাকি। কিন্তু সেতুর মাঝামাঝি স্থানে পৌঁছালে প্রসব বেদনায় আরও অসুস্থ হয়ে শুয়ে পড়ে। সেতুর ওপরেই মেয়ে সন্তানের জন্ম হয়। পরে সন্তান ও মাকে নিয়ে বাড়ি ফিরি। তারা বর্তমানে ভালো আছে।

স্থানীয়রা জানান, বোয়ালমারী বেড়িবাঁধের রৌমারী-খাটিয়ামারী সড়কের সবুজপাড়া স্লুইসগেট সংলগ্ন অংশটি ২০১৪ সালের বন্যায় ভেঙে যায়। উপজেলা হতে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরত্বের এই স্থানটি ভেঙে যাওয়ায় তখন থেকে ১৪ গ্রামের মানুষ নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ থেকে বঞ্চিত। স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় নির্মাণ বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে সেতুর বিভিন্ন স্থানের কাঠ ভেঙে গেলেও অযত্ন আর কর্তৃপক্ষের অবহেলায় সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় অসুস্থ মানুষ ও শিশুদের জন্য চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি মেরামত ও স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানালেও তা আমলে নেননি কেউ।

;