দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে কবিরাজি বিজ্ঞাপন, মন্ত্রে সমাধানের আশ্বাস



মশাহিদ আলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
কবিরাজের লিফলেট

কবিরাজের লিফলেট

  • Font increase
  • Font Decrease

'বোনজামাই আপনাদের খোঁজ নেয় না বা যোগাযোগ করে না। তাকে যদি বাধ্য করা হয় তাহলে কথা শুনবে। যেমন তার নাম দিয়ে আপনাদের ওপর বাধ্য করলাম। তখন সে আপনাদের প্রতি আটকা পড়বে। তখন আপনারা যে কথা বলবেন সে সেই কথা শুনবে। কথার অবাধ্য হবে না। এখন আপনি আমাকে তার নাম, আনুমানিক বয়স, বর্তমান ঠিকানা দেন এবং আপনাদের যাদের নামের ওপর বাধ্য করবো সবার নাম দিতে হবে। আমি কাজ করে দিলে সে ১৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনাদের প্রতি বাধ্য হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে হাদিয়া হিসেবে আমাকে দিতে হবে ৩ হাজার ২০০ টাকা। কারণ তাকে বশ করতে হলে আমাকে আয়োজন করতে হবে ১২ পয়েন্ট জাফরান কালি, একজোড়া কবুতর ও দুইটা মাটির কলস লাগবে। এই জিনিসগুলো নিয়ে আমি চালান বশকরণ করে দেবো মরার আগ পর্যন্ত লাইফ গ্যারান্টি কাজ করবে। টাকা দিয়ে দিলে কাজ শুরু হয়ে যাবে।'

কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রাম থেকে আন্তর্জাতিক কবিরাজ হাজী জুনাইদ হাসান। এই প্রতিবেদক পরিচয় গোপন করে কথা বলতে গেলে ওঠে আসে তন্ত্র-মন্ত্রের বিষয়টি। মন্ত্র দিয়ে মিলছে এমন বিভিন্ন সমস্যার সমাধান। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সরাসরি যেতে হবে না তান্ত্রিক ওঝা বা কবিরাজের কাছে। ঘরে বসেই ১৮-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মিলবে সমাধান। শুধু বিকাশে হাদিয়া আর নাম ঠিকানা দিলেই হয়ে যাবে কাজ।

এমন কিছু বিজ্ঞাপন শোভা পাচ্ছে সিলেটের বিভিন্ন স্থানে দেয়ালে দেয়ালে। শুধু তন্ত্র-মন্ত্রই যে শেষ তা কিন্তু নয়। রাস্তার পাশে ভ্যান বা ঠেলাগাড়িতে কবিরাজি ওষুধ ও যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রি হচ্ছে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই। এমনকি ক্যান্সারের মতো রোগের দিচ্ছেন চিকিৎসা। আর এসব বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন আর কেউ কেউ প্রতারিত হচ্ছেন।

তবে, মানুষকে এসব বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন সিলেটের সিভিল সার্জন। আর ওষুধ প্রশাসন বলছে, তারা প্রতিদিন কোনো না কোনো এলাকায় অভিযান পরিচালনা করছেন।

সিলেটে শহরে এবং শহরের বাহিরে অলিতে গলিতে, রাস্তাঘাটে, বৈদ্যুতিক খুঁটি, দোকানপাটের দেয়ালে শোভা পেতে দেখা যায় বিভিন্ন কবিরাজের লিফলেট ও পোস্টার। এসব পোস্টার কোথাও রঙিন কোথাও সাদা কালো। কোনোটায় বিভিন্ন প্রাণির ছবি। আবার কবিরাজের নিজের ছবিও দেওয়া রয়েছে।

শুধু তন্ত্র-মন্ত্রেই মিলবে সব ধরনের সমস্যার সমাধান

তন্ত্র মন্ত্রে মিলে যেসব সমস্যার সমাধান

যৌন দুর্বলতা থেকে বন্ধ্যত্ব দূরীকরণ, জায়গা-জমির বিরোধ থেকে বিদেশে অশান্তি দূরীকরণ পর্যন্ত তাদের ক্ষমতা, দাম্পত্য জীবনে অসুখী, পারিবারিক কোনো সমস্যা অথবা বিয়ে হচ্ছে না, কাউকে ভালোবাসেন বশ করতে চান কোনের সমস্যা নেই সব কিছুর সমাধানের মন্ত্র। এছাড়া ক্যান্সারের চিকিৎসা দিচ্ছেন তারা বিভিন্ন সুপার মার্কেট, কেউ বা দিচ্ছেন নিজের বাড়ি বা এলাকায় থেকে, মোবাইল বা কুরিয়ার সার্ভিসে।

কেউ চট্টগ্রাম থেকে কেউবা খাগড়াছড়ি ও সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেকেই দিব্যি বিশাল বিশাল সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। তেমনি একজন হলেন আন্তর্জাতিক কবিরাজ হাজী অলউল্লা। তিনি ভারতের কামরূপ-কামাখ্যা থেকে ২১ বছরের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও ০১০ জন কবিরাজের ওস্তাদ। তিনি অবাধ্য গোপনীয় সমস্যার সমাধানসহ বিয়ে-সাদি না হওয়া, অবাধ্য কে বাধ্য করা, শত্রুকে দমন করা, বান-টোনা, ছেলে-মেয়ের অমিল, যাদের সন্তান হয় না মানে বন্ধ্যত্ব দূরীকরণ, যৌন দুর্বলতা থেকে মুক্তি পাওয়াসহ আরও অনেক বিষয়ে তিনি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অভিজ্ঞ কবিরাজ।

তবে, তার মুঠোফোনে কল দিয়ে মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আরেকজন হলেন চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক কবিরাজ হাজী জুনাইদ হাসান। তিনিও ভারতের কামরূপ-কামাখ্যা থেকে ২১ বছরের প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ও ৩১০ জন কবিরাজের ওস্তাদ।

দেয়ালে পাওয়া এসব লিফলেট ও পোস্টার দেখে গ্রামের বেশির ভাগ লোক আকৃষ্ট হয়ে থাকেন। কেননা গ্রামে এখনও প্রায় কুসংস্কার রয়ে গেছে। তবে গ্রামের পাশাপাশি এখন শহরের লোকদের আগ্রহ বাড়ছে। তবে অবাক করার বিষয় হচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা শাস্ত্রেও যেসব বিষয়ের চিকিৎসা নেই, এই তান্ত্রিকরা তন্ত্র-মন্ত্র দিয়েই তা সারিয়ে দেওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সিলেট নগরীর দক্ষিণ সুরমার পুরাতন পুলের মুখ এলাকায় ঠেলাগাড়ি ও ভ্যানগাড়িতে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন কবিরাজি ওষুধ। পাশাপাশি বিক্রি করছেন বিভিন্ন যৌন উত্তেজক ওষুধপত্র। কিন্তু নেই তাদের কোনো লাইসেন্স বা অনুমোদন। এমনকি কোম্পানির লোকদের মোবাইল নম্বর চাইলেও দিতে পারেননি। নিজেদের ভুলও স্বীকার করেন ক্যামেরার সামনে।

ওষুধ প্রশাসনের সিলেট জেলার ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো. শামীম হোসেন বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। অভিযোগ পাওয়া মাত্র আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। আমি যতদ্রুত সম্ভব এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবো।

এ বিষয়ে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মনসির চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন জায়গায় যে অপপ্রচার বা দেয়ালে প্রচার করা হচ্ছে আমার মতে এগুলো ঠিক না। জেলা ও উপজেলাগুলোতে যেসব কবিরাজ বা যারা এগুলো নিয়ে ব্যবসা করেন তারা বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ পেতে থাকেন। আমাদের স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগ থেকে এসবের বিরুদ্ধে সব-সময় প্রচার প্রচারণা করে থাকি। আমাদের প্রচারণা আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। সকলকে সচেতনতার মাধ্যমে এটা থেকে উত্তরণ হতে পারবো বলে আমি মনে করি।

তিনি আরও বলেন, ক্যান্সার খুবই মারাত্মক একটা রোগ। এটার বিজ্ঞানসম্মত যে পদ্ধতি আছে এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা নেওয়া উচিত। এই রোগের জন্য বড় বড় ক্যান্সার হাসপাতাল রয়েছে সেখানে রোগীরা চিকিৎসা নেবে। ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক যেসব জায়গা রয়েছে সেখান থেকে ক্রয় করলে মানুষ প্রতারিত হওয়া থেকে বাঁচতে পারবেন বলে মনে করি।

থাকা-খাওয়ায় ছাড় পাচ্ছেন সাজেকে আটকা ৭০০ পর্যটক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সাজেক

ছবি: সাজেক

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল বর্ষণের কারণে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি-বাঘাইহাট সড়ক ডুবে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাজেকে আটকা পড়া ৭০০ পর্যটকদের থাকা-খাওয়ায় ছাড় দিচ্ছে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাতে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাজেকের কটেজে কর্মরত যতেন ত্রিপুরা।

তিনি বলেন, পর্যটকরা সাজেক ছাড়তে না পারায় চরম বিপাকে পড়েছেন। তাদের হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষ মানবিক দিক বিবেচনায় পর্যটকদের থাকা-খাওয়ায় ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এদিকে সাজেকের বাঘাইহাট এবং মাচালং বাজার এলাকায় পানিবন্দি ৫০০ জনের মধ্যে খাবার বিতরণ করেছে সাজেক ইউনিয়ন পরিষদ।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার বলেন, সড়কে পানি থাকায় সাজেকে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও সচল হয়নি। পানি সরে গেলে যোগাযোগ ব্যবস্থা আবারও সচল হবে।

জানা যায়, সকালে বাঘাইছড়ি-বাঘাইহাট সড়ক উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায়। ফলে সাজেকে ছোট-বড় মিলিয়ে ১২৫টি গাড়ির পর্যটক আটকা পড়েন।

অন্যদিকে সকাল থেকে খাগড়াছড়ি থেকেও কোনও গাড়ি সাজেকে প্রবেশ করেনি। এদিকে যারা আটকা পড়েছেন তাদের রুম ভাড়া লাগবে না বলে কটেজ মালিক সমিতি জানিয়েছে। শুধু পানির খরচ দিতে হবে।

;

দেশের ১৭ জেলায় ঝড়ের আভাস



নিউজ ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: ঝড়

ছবি: ঝড়

  • Font increase
  • Font Decrease

আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশের ১৭ জেলার উপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস দিয়েছে। একই সঙ্গে এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার বিশেষ পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল, পটুয়াখালি, কুমিল্লা, নোয়াখালি, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বুধবারও। ওইদিনও রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে অপরিবর্তিত থাকতে পারে দিন ও রাতের তাপমাত্রা।

;

ডিএমপির আট কর্মকর্তাকে বদলি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
ছবি: ডিএমপির লোগো

ছবি: ডিএমপির লোগো

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদমর্যাদার আট কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশে এই বদলি ও পদায়ন করা হয়।

বদলি কর্মকর্তাদের মধ্যে দারুসসালাম জোনের মফিজুর রহমান পলাশকে ট্রাফিক-মিরপুর জোনে, পিআরঅ্যান্ডএইচআরডি বিভাগের মো. মনিরুল হককে দারুসসালাম জোনে, এয়ারপোর্ট জোনের আসমা আক্তার সোনিয়াকে ডিএমপির সদর দপ্তর ও প্রশাসন বিভাগে, দক্ষিণখান জোনের রাকিবা ইয়াসমিনকে পিআরঅ্যান্ডএইচআরডি বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া লালবাগ বিভাগের পেট্রোল-কোতোয়ালি মো. তারিকুল ইসলাম মাসুদকে দক্ষিণখান জোনে, উত্তরা বিভাগের পেট্রোল-উত্তরা পূর্ব এম ফখরুল হাসানকে এয়ারপোর্ট জোনে, ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগের মো. হালিমুল হারুনকে ভিআইপি অ্যান্ড ভিভিআইপি প্রটেকশন বিভাগে এবং মো. সাজ্জাদ হোসেনকে লালবাগ বিভাগের পেট্রোল হিসেবে বদলি করা হয়েছে।

;

‘ফু’ দিয়েই সব রোগের চিকিৎসার নামে প্রতারণা: সিভিল সার্জনের পরিদর্শন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: কথিত শামীম কবিরাজের সাথে সিভিল সার্জন

ছবি: কথিত শামীম কবিরাজের সাথে সিভিল সার্জন

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কমলাপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের শামীম হুজুর। কয়েক বছর ধরে তাকে হুজুর হিসেবে চিনলেও তার নাম এখন শামীম কবিরাজ। এক ‘ফু’ দিয়েই জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা দিচ্ছেন। যদিও এর বিনিময়ে ফি না নেয়ার কথা বলছেন তবু কৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা।

টাকা নিজের কোনো টাকার চাহিদা নেই বলে জানিয়েছেন শামীম কবিরাজ, তার এই কৌশলের ফলে এতে করে প্রতিনয়ত বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা: মো আকুল উদ্দিন ঐ গ্রামে কথিত কবিরাজের বাড়িতে পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সত্যতা পান।

এসময় তিনি দেখতে পান কবিরাজ সাধারণ মানুষকে পানি/ঝাঁড় ফুকের মাধ্যমে সকল রোগের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন যা চিকিৎসা বিদ্যা বহির্ভূত এবং এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করছেন। সাধারণ মানুষ ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে এবং জেলা পুলিশের সার্বিক সহোযোগিতায় শামীম কবিরাজকে তার কর্মকান্ড বন্ধ রাখতে বলা হয় এবং তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো সাজ্জাদ হোসেন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সিভিল সার্জন ডা: মো আকুল উদ্দিন জানান, নারী-পুরুষকে সামনে নিয়ে ‘ফু’ দিয়েই প্রায় কয়েক বছর ধরে সব রোগের চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এতে করে সাধারণ মানুষের বিশ্বাসকে পুঁজি করে হাতিয়ে নিচ্ছিলো লাখ লাখ টাকা।

স্থানীয়রা জানান, শামীম কবিরাজ বিভিন্ন এলাকায় দালাল ঠিক করে করেছেন। তাদের মাধ্যমে সব রোগের চিকিৎসার প্রচার চালাচ্ছেন। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নিজেরাই তার কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলেও প্রচারণা করছেন। এসব কথা শুনে কুষ্টিয়া জেলাসহ অনেক জেলা ও উপজেলা থেকে সহজ-সরল মানুষেরা ছুটে আসেন তার কাছে। তার রোগীদের বেশিরভাগই নারী এবং সুযোগ বুঝে হাতিয়ে নেন লাখ লাখ টাকা।

বিষয়টি নিয়ে কবিরাজ শামীম বলেন, ‘আল্লাহর দয়ায় আমি কবিরাজ হয়েছি। জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা দিচ্ছি। সবাই আমার চিকিৎসা নিয়ে ভালো হচ্ছেন। প্রতিদিন রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। টাকা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে যা দেয় তা হাত দিয়ে ধরি। আমার কোনো চাহিদা নেই।’

এদিকে কবিরাজের অনুসারীরা অবশ্য জানান, গত দুবছর ধরে তিনি এক অজানা শক্তির আশীর্বাদ পেয়ে বাড়িতে বসে এমন চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। ‘ফু’ দিয়ে তিনি যৌন রোগ, নিঃসন্তানে সন্তান, ডায়াবেটিস, কিডনি, ব্যথাসহ জটিল ও কঠিন রোগ ভালো করছেন। তিনি চিকিৎসা বাবদ কোনো টাকা নেন না। তবে খুশি মনে যে যা পারেন তাই কবিরাজকে দেন।

;