অনলাইনে জঙ্গি তৎপরতা পুলিশের বড় চ্যালেঞ্জ: ডিএমপি কমিশনার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইনে জঙ্গি তৎপরতা পুলিশের বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, অনলাইনের মাধ্যমে অল্প সময়ের ভেতরে অল্প খরচে বেশি মানুষকে সংক্রমিত করা যায়। এক্ষেত্রে পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি সমাজের সব শ্রেণির মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। 

সোমবার (১ জুলাই) সকালে রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসানে জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণে পু্ষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। 

অনলাইনে জঙ্গিবাদের তৎপরতার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এটি আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ অল্প সময়ের ভেতরে অল্প খরচে বেশি মানুষকে সংক্রমিত করা যায়। এক্ষেত্রে পুলিশের তৎপরতার পাশাপাশি সমাজের সব শ্রেণির মানুষের এগিয়ে আসতে হবে। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, সচেতন শ্রেণির মানুষ ও অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে এবং এগিয়ে আসতে হবে। সন্তান কীভাবে চলছে, কার সঙ্গে চলছে, কতক্ষণ তার সন্তান মোবাইলে থাকছে, একা একা থাকছে সবকিছু অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে। 

তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ একটি বৈষয়িক সমস্যা। বাংলাদেশেও এর থেকে মুক্ত নয়। এরপরেও বাংলাদেশ পুলিশের সিটিটিসি, এটিইউ ও জঙ্গি দমনে অন্যান্য বাহিনীর দক্ষতা ও দুরদর্শিতা বাংলাদেশকে সুন্দর অবস্থায় রেখেছে। জঙ্গি দমনে বিশ্বে রোল মডেল পরিচিত পেয়েছে। 

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘বিভিন্ন দেশে দেখে থাকি জঙ্গি আক্রমণের পরে অপারেশন হয় কিন্তু বাংলাদেশেই একমাত্র উদাহরণ যে, জঙ্গি আক্রমণ হওয়ার তথ্য পুলিশের কাছে ছিল এবং ইন্টেলিজেন্স পুলিশিং করে জঙ্গিদের অ্যাটাক করতে পেরেছি এবং অনেক ক্ষেত্রেই নির্মুল করতে পেরেছি।’ 

হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমানে যেকোনো ঘটনার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে। আশা করি, চলমান শান্তিপূর্ণ অবস্থা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হবো। 

জঙ্গিদের অর্থায়নে বিভিন্ন ইন্সুইরেন্সের জড়িত থাকার অভিযোগের প্রশ্নে তিনি বলেন, জঙ্গি সংশ্লিষ্ট যেকোনো প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি কিংবা সংগঠন তাদের পেছনে পুলিশের তৎপরতা রয়েছে এবং সেটি অব্যাহত থাকবে। 

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

বাংলা ব্লকেড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলা ব্লকেড

বাংলা ব্লকেড

  • Font increase
  • Font Decrease

এক দফা দাবিতে সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সোমবার (৮ জুলাই) দ্বিতীয় দিনের মতো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের স্থানে সড়ক অবরোধ করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটের দিকে ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হন। এরপর একটি মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড়ে এসে অবরোধ করেন তারা। এর ফলে এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর রোড এবং ধানমন্ডি ২ নম্বর সড়কের যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

ইডেন কলেজের ছাত্রীরা নীলক্ষেত মোড়ে অবস্থান নিয়েছে। এতে ওই এলাকার আশেপাশে যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, ঢাকা-রাজশাহী রেলপথ অবরোধ করেছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ সংলগ্ন ফ্লাইওভারের নিচে রেলপথের ওপরে অবস্থান নেয় তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘মুক্তিযুদ্ধের হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘সংগ্রাম না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, এই বাংলায় হবে না, বৈষম্যের ঠিকানা’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’—এমন স্লোগানসহ বিভিন্ন ধরনের ব্যানার, পোস্টার প্রদর্শন করেন।

কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে রংপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে দেড় ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে রংপুর নগরীর মডার্ন মোড়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা কোটাপদ্ধতি সংস্কার করা না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দেন।

কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহালের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি ঘিরে শাহবাগ এলাকায় পুলিশের সতর্ক অবস্থান দেখা গিয়েছে। শাহবাগ চত্বরের চারপাশে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের রমনা বিভাগের এক কর্মকর্তা বার্তা২৪. কমকে বলেন, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কোন বাধা দেওয়া হবে না। তবে তারা যদি কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তাহলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

গত ৬ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র নাহিদ ইসলাম ঘোষণা দেন, রোববার বিকেল ৩টা থেকে 'বাংলা ব্লকেড' কর্মসূচি পালিত হবে। শুধু শাহবাগ মোড় নয় ঢাকা শহরের সায়েন্সল্যাব, চানখারপুল, নীলক্ষেত, মতিঝিল প্রতিটি পয়েন্টে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নেমে আসবেন।ঢাকার বাইরের শিক্ষার্থীরা জেলায়–জেলায়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মহাসড়কগুলো অবরোধ করবেন। রোববার শিক্ষার্থীরা চার দফা বাদ দিয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করেন। তা হলো- সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যুনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।

প্রসঙ্গত, ৫ জুন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত। ওই দিন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। এ অবস্থায় আদালতের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য আজ ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি হয়, আপাতত আগের মতোই বহাল থাকছে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। তাই পূর্ব ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজও হচ্ছে কোটা সংস্কার আন্দোলন।

উল্লেখ্য, এ সময় ঢাবির বিভিন্ন হল ও বিভাগ থেকে শত শত শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে আসে এবং 'কোটা না মেধা? মেধা মেধা',জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে, লেগেছে রে লেগেছে রক্তে আগুন লেগেছে, কোটা না মেধা মেধা মেধা, সারা বাংলায় খবর দে কোটা প্রথার কবর দে সহ শিক্ষার্থীদের নানা স্লোগানে মুখরিত হয় ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এলাকা।

;

নির্বাচনি প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী আমরা সর্বস্তরে কাজ করছি: শিল্পমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন/বার্তা২৪.কম

ছবি: শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন/বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনি প্রতিজ্ঞা অনুযায়ী সর্বস্তরে কাজ করেছেন বলে জানিছেন শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকালে তেজগাঁও বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) কর্তৃক নির্মিত বয়েজ হোস্টেল ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিটাকে আধুনিক যন্ত্র তৈরি করার অভিজ্ঞ কর্মকর্তা আছেন, কারখানা আছে। জাতীয়ভাবে যে সমস্যা হয় এখানে আমরা সমাধান করতে পারি। বিটাক শুধু ঢাকায় নয় পুরো বাংলাদেশে আছে। ছেলেদের পাশাপাশি আমাদের এখানে মেয়েদের অগ্রাধিকার রয়েছে।

আমরা প্রকল্প নিলে বাস্তবায়নে অনেক সময় ক্ষেপন হয় তাতে সময়ও যেমন অপচয় হয় তেমনি খরচও বাড়ে। বিটাকের মাধ্যমে আমাদের জেলা ও বিভাগীয় যে সমস্ত প্রকল্প আছে আমি আশা করি সেগুলো তাড়াতাড়ি সমাপ্ত হয়ে যাবে।

শিল্পায়নের জন্য আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন বড় প্রকল্প আছে। সেখানে একের পর এক কারখানা এগিয়ে আসছে। সেখানেও কিন্তু বিশাল কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। সেখানেও কিন্তু আমাদের জনশক্তি দরকার। আমরা যদি যথাযথভাবে এগিয়ে যেতে পারি তাহলে আমাদের বেকারত্ব থাকবে না।

আমাদের এখানে যারা আছে তাদের জন্য আমাদের দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা উচিৎ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা এক সময় বলেছিলাম, ঘরে ঘরে আমরা নিজের চাকরি নিজেরাই তৈরি করবো। সেখানে আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো টাই শুধু বাহিরে চাকরি করবো না, আমরা নিজেরাই চাকরি তৈরি করবো।

বিটাক মহাপরিচালক পরিমল সিংহ এর সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

;

বিলুপ্তের দুই বছরেও হয়নি রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছাত্রলীগের লগো, ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগের লগো, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তির দুই বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও নতুন কমিটি গঠন করা হয়নি। ২০২২ সালের ২১ অক্টোবরে রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে নানা প্রতিশ্রুতি ও আলোচনা হলেও এখনও পর্যন্ত নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি।

সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রলীগের অনেক সদস্য এবং সমর্থকরা তাদের হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, নতুন কমিটি না থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে এসেছে এবং সদস্যদের মধ্যে একতা ও প্রণোদনার অভাব দেখা দিয়েছে।

রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতারা বলছেন, নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে এবং অচিরেই এটি সম্পন্ন হবে। তারা উল্লেখ করেছেন, সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করতে সময় লাগছে যাতে ভবিষ্যতে ছাত্রলীগ আরও শক্তিশালী ও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। দীর্ঘদিন কমিটি না থাকায় ছাত্রলীগের কার্যক্রমে ভাটা পড়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্নজন ছাত্রলীগের নেতা পরিচয়ে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়লেও কমিটি না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।

নতুন কমিটির জন্য অপেক্ষায় থাকা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এখন একটি কার্যকরী ও গতিশীল কমিটির প্রত্যাশা করছেন, যা তাদেরকে সংগঠনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণের পথে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন।

অন্যদিকে জেলার অধীন অধিকাংশ উপজেলার ছাত্রলীগের কমিটি নেই গত কয়েক বছর ধরে। জেলার তিনটি উপজেলা কমিটির মেয়াদ আগেই শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাকিবুল ইসলাম রানাকে সভাপতি ও জকির হোসেন অমিকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩০ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিন খান জয় ও সাধারণ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। তবে কমিটি ঘোষণার মাত্র সাত মাসের মাথায় জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জড়িয়ে পড়েন নানান বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে। সভাপতি নারী কেলেংকারি ও সাধারণ সম্পাদকের মাদক গ্রহণের ভিডিও ভাইরাল হলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে দেন। কমিটি ভেঙে দেওয়ার পর গত ২১ মাসেও নতুন কমিটি দেওয়া হয়নি।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১০ জুলাই কেন্দ্রীয় কমিটি রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটির জন্য আগ্রহীদের জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করে। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে একটি কর্মীসভা আহ্বান করা হয়, তবে সেই সভাটি আর অনুষ্ঠিত হয়নি। চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের নিয়ে ঢাকায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভার পর শিগগিরই কমিটি ঘোষণা করার কথা ছিল, কিন্তু সেই কমিটি এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু জেলা কমিটিই নয়- রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী, বাঘা, পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গত দুই বছর ধরে নেই। জেলার চারঘাট, পবা ও মোহনপুর উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে আট বছর আগে। পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকা সত্ত্বেও এই তিনটি উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে পাঁচ বছর আগে। রাজশাহীর অধিকাংশ উপজেলাতে এখন আর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই।

রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি হওয়া জরুরি। কারণ এখন কমিটি না থাকার কারণে সাংগঠনিক সংকট তীব্র হচ্ছে। জেলায় ছাত্রলীগের কর্মী নেই এটা ভাবাই যায় না। নতুন করে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো এখন আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সংগঠন যারা করেন তাদেরই নেতৃত্বে আসা দরকার।

রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনীল কুমার বলেন, রাজশাহীতে ছাত্রলীগ আগের মতো আর প্রাণবন্ত নেই। নতুন কমিটি হলে সংগঠনে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হবে। আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলেছি। দ্রুত সময়ে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়ার জন্য তাদেরকে অনুরোধ করেছি।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি নিয়ে কাজ চলছে। যে কোনোদিন জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি দেওয়া হবে। নেতৃত্ব পেতে আগ্রহীদের প্রোফাইল যাচাই-বাছাই করার কাজ চলছে।

;

মিয়ানমারে সংঘাত: এমন বিকট শব্দ কখনো শোনেনি টেকনাফ সীমান্তের মানুষ



আবদু রশিদ মানিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: টেকনাফ সীমান্ত/বার্তা২৪.কম

ছবি: টেকনাফ সীমান্ত/বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রাতভর যুদ্ধ বিমানের হামলা-গোলাগুলি হয়েছে। এতে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে সীমান্তের মানুষ। মূলত মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাখাইন রাজ্যে ফের নিয়ন্ত্রণ নিতে জান্তা সরকার আরাকান আর্মির উপর এ বিমান হামলা চালায়।

গতকাল রাত ১২ টার পর থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ঘন্টা পর পরই ভারী গোলার বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান আরাকান আর্মি ও সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধে তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এপাড়ের সীমান্তজুড়ে আতঙ্ক দিন দিন বাড়ছে। যার ফলে সীমান্তে ফের অনুপ্রবেশের শঙ্কা রয়েছে।

সীমান্তের বাসিন্দারা বলছে, মিয়ানমারে চলমান টানা কয়েকমাস চলমান যুদ্ধে সীমান্তের বসবাসকারীদের মাঝে আতঙ্কে দিন কাটছে। বিশেষ করে গতকাল রাত থেকে ব্যাপক গোলার বিকট শব্দ আমাদের বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। এমন আওয়াজ আগে কখনো পাওয়া যায়নি। এদিকে, নিরপাত্তার কারণে সীমান্তের লোকজনকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।

পৌরসভার সীমান্তের বসবাসকারী জালিয়া পাড়ার বাসিন্দা নুর হোসেন বলেন, 'ওপারে টানা কয়েকমাসে চলমান যুদ্ধে এপারে সীমান্ত মানুষের আতঙ্ক বাড়ছে দিন দিন। গতকাল মিয়ানমারের রাতভর যুদ্ধ বিমানের হামলা চলছে। যার কারনে আমাদের বাড়িঘরের দরজা-জানালা কাঁপছে। এসময় ভয়ে আমরা পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পরি। এমন বিকট শব্দ আগে কখনো শুনিনি। যার কারনে ভয়ে নির্ঘুম রাত কেটেছে।'

টেকনাফের স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুর রহমান বলেন, এরকম বিস্ফোরণের শব্দ আগে কখনো শুনিনি। সারারাত ভয়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছি। খুব ভয়াবহ পরিস্থিতি।

এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘আজকেও সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে সেটি মিয়ানমারের ভেতরে। তবে নতুন করে যাতে কেউ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছি। পাশাপাশি সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনকে জরুরি কাজ ছাড়া সীমান্তে ঘুরাঘুরি না করতে নিষেধ করা হয়েছে।’

স্থানীয়রা জানায়, রোববার ভোর রাত থেকে সোমবার সকাল থেকে কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা, পৌরসভা, সদর, সাবরাং ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের সীমান্তে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেছে।

শাহপরীর দ্বীপ জেটি ঘাটের দোকানি মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘সকালেও মিয়ানমারের বিকট গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। পাশাপাশি টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে মানুষ সাবধানে চলাচল করছে।'

এদিকে মিয়ানমারের রাখাইনে জান্তা বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে যুদ্ধে রাখাইনের মংডু শহরের টাউনশিপ ছাড়া বাকি গ্রামে হেলিকপ্টার দিয়ে হামলা চালায়। ফলে কয়েক দিন ধরে এসব এলাকার প্রায় চার হাজার লোক বাড়িঘর ছেড়ে সীমান্তবর্তী গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের অপেক্ষা করছে বলে জানা গেছে।

টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ ৯ নম্বর ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম বলেন, ‘রাতে সীমান্তে ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। সকালে কিছুটা শব্দ কমেছে। আমরা বিজিবির সহায়তায় সীমান্তের লোকজনকে জরুরি কাজ ছাড়া অযথা সীমান্তে ঘুরাঘুরি না করতে নিষেধ করেছি।’

;