খাগড়াছড়িতে হাজারও পরিবার পানিবন্দি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
![খাগড়াছড়িতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ছবি: বার্তা২৪.কম](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2024/Jul/02/1719910396269.jpg)
খাগড়াছড়িতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ছবি: বার্তা২৪.কম
খাগড়াছড়িতে দুই দিনের টানা বর্ষণে মাইনী ও চেঙ্গী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলে জেলা সদর ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারও পরিবার।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) খাগড়াছড়ি থেকে নতুন করে পর্যটকবাহী কোনো পরিবহন ছেড়ে যায়নি। অন্যদিকে, মাইনী নদীর পানি বেড়ে দীঘিনালা-লংগদু সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি সড়কের মহালছড়ির ২৪ মাইলে সড়কে জলাবদ্ধতা হওয়ায় যান চলাচল সীমিত রয়েছে।
এতে করে সাজেক-দীঘিনালা সড়কের মাচালং, বাঘাইহাটসহ কয়েকটি স্থানে সড়ক ও বেইলী ব্রিজ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সাজেক ভ্যালিতে আটকা পড়েছেন ৫ শতাধিক পর্যটক।
এর আগে, মঙ্গলবার ভোর রাত ৫ টার দিকে খাগড়াছড়ি-ঢাকা ও খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মাটিরাঙ্গার সাপমারা এলাকার ২ টি স্থানে পাহাড় ভেঙে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ সময় অর্ধশতাধিক যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন আটকা পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গার দুইটি ইউনিট ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
এ দিকে, জেলা সদর ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় তলিয়ে গেছে সবজি ও মাছের খামার। সোমবার রাতের প্রবল বর্ষণে জেলা শহরের শালবন, মোহাম্মদপুর ও সবুজবাগে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত না হলেও বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করিম বলেন, গত রাতে শালবনের ৫ টি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঘর বাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হলেও কেউ হতাহত হয়নি। প্রাণহানি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস করা মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রমুখী করতে প্রচারণা করা হলেও অনেকে আসতে চাচ্ছে না।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জাকের হোসেন বলেন, জেলার সবকটি ইউনিট দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে। পাহাড় ধসে যান চলাচল বন্ধ হওয়ার খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি ও মাটিরাঙ্গা ইউনিট ভোর থেকে ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, খাগড়াছড়িতে পানিবন্দি ও পাহাড় ধসের ঝুঁকিতে থাকা দুর্গত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৯৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।