পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দি ২ হাজার পরিবার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত/ছবি: বার্তা২৪.কম

পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পানিতে কাচালং নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় অন্তত ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাঘাইছড়ি উপজেলার ২০ গ্রামের প্রায় ৪ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

ভারী বর্ষণে ফলে যেমন পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি কাচালং নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হতে পারে বলে আতঙ্ক বিরাজ করছে বাঘাইছড়ি উপজেলার বাসিন্দাদের মাঝে।

পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত/ছবি: বার্তা২৪.কম

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীণ আক্তার।

তিনি জানান, বাঘাইছড়িতে টানা ভারী বর্ষণের ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। উপজেলায় ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া বাঘাইহাট সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকে শতশত পর্যটক আটকা পড়েছে এবং পানি না সরা পর্যন্ত কেউ বের হতে পারবে না বলেও জানিয়েছেন ইউএনও।

সাজেক কটেজ মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, সোমবার যেসব গাড়ি এসেছে তাদের সবাই সাজেকে অবস্থান করছে। পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে মঙ্গলবারও গাড়ি চলাচল করা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। সকালে খাগড়াছড়ি থেকেও কোনো গাড়ি সাজেকে প্রবেশ করতে পারবে না। যারা আছেন তাদের কোনো রুম ভাড়া দেওয়া লাগবে না। তারা শুধু পানির খরচ দিলেই হবে।

এডিসের লার্ভা পাওয়ায় স্কয়ার হাসপাতালসহ ৯ স্থাপনাকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্কয়ার হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান

স্কয়ার হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান

  • Font increase
  • Font Decrease

এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় স্কয়ার হাসপাতালসহ ৯টি স্থাপনাকে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) ভ্রাম্যমাণ আদালত। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে করপোরেশন পরিচালিত ৭টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এই জরিমানা করে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) করপোরেশনের কামরাঙ্গীরচর, পান্থপথ, নারিন্দা, স্বামীবাগ, করাতিয়া রোড, সারুলিয়া, ডেমরা, রানীমহল, নন্দিপাড়া এম ব্লক, বনশ্রী, খিঁলগাও এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এক নম্বর অঞ্চলে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের পান্থপথ এলাকায় অবস্থিত স্কয়ার হাসপাতালের জন্য নির্মাণাধীন একটি ভবনের ৪র্থ তলার বেজমেন্টে মশার লার্ভা পাওয়ায় করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম মোর্শেদ হাসপাতালের প্রকৌশলী মো. আনোয়ার হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। স্কয়ার হাসপাতালের নির্মাণাধীন ভবনটি ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজিস লিমিটেড কর্তৃক নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও অঞ্চল-১ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরও ৪৪টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করেন।

তিন নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান আশিক ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের কামরাঙ্গীরচরের নূরবাগ এলাকায় ৫৮টি বাসাবাড়ি ও ৬ কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন। আদালত এ সময় তৈজসপত্র প্রস্তুতকারী ১টি কারখানায় ৬টি পাত্রে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ইমামগঞ্জ আশপাশ এলাকায় ১১০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ২টি বাড়িতে লার্ভা পাওয়ায় ২ মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমির হামজা ০৫ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের নারিন্দা, স্বামিবাগ, করাতিয়া রোড এলাকায় ৮৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ৩টি স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ৩ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

ছয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদুর রহমান ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের নন্দিপাড়া এম ব্লক, বনশ্রী, খিঁলগাও এলাকায় ৪৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ১টি বাড়িতে লার্ভা পাওয়ায় ১ মামলায় ২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডের সারুলিয়া, ডেমরা, রানীমহল এলাকায় ৪৬টি বাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে কোন লার্ভা পাওয়া যায় নি।

নয় নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ শামসুল আরেফীন ৬৩ নম্বর ওয়ার্ডের মাতুয়াইল, শরিফপাড়া, যাত্রাবাড়ীর এলাকায় ৬০টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনায় অভিযান পরিচালনা করে ৯টি বাসা বাড়ি ও স্থাপনায় লার্ভা পাওয়ায় ১ টি মামলায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

বৃহস্পতিবারের অভিযানে সর্বমোট ৪৫৮টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ৯টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৯টি মামলায় সর্বমোট ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

;

পানির তোড়ে ভেঙে পড়ল সড়ক, দুর্ভোগে ২ জেলার বাসিন্দা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
পানির তোড়ে ভেঙে পড়ল সড়ক

পানির তোড়ে ভেঙে পড়ল সড়ক

  • Font increase
  • Font Decrease

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণ আর পানির তোড়ে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের সঙ্গে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার সংযোগ সড়ক ভেঙে গেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে দুই জেলার বাসিন্দারা।

বন্যার পানির স্রোতে বুধবার (৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে দেওয়ানগঞ্জের কাঠারবিল বাজার এলাকায় নির্মাণাধীন মহারাণী ব্রিজের এপ্রোচ (বিকল্প সড়ক) সড়ক ভেঙে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলার যোগাযোগের প্রধান সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পার্শ্ববর্তী রাজিবপুর উপজেলার ছাড়াও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার উত্তরে ৪টি ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াত করে থাকে। এছাড়াও সড়কটিতে যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, মিনিবাস, পিকআপ, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ শত শত ছোট বড় যানবাহন চলাচল করে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে গিয়ে দেখা গেছে, ব্যস্ততম সড়কটি ভাঙনের ফলে রাজিবপুর-দেওয়ানগঞ্জ-জামালপুরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে ২ জেলার বাসিন্দা

স্থানীয় ব্যবসায়ী লালন মিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় আমাদের খুবই কষ্ট হচ্ছে। দোকানের জন্য দুই লাখ টাকার মাল (পণ্য) অর্ডার ছিলো সেটা ফেরত নিয়ে গেছে। এতে ডিলারের গাড়িভাড়া ও আমার লোকসান হয়েছে।

হাতিভাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে সানন্দবাড়ী-রাজিবপুর সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিজের বিকল্প রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় উপজেলার ডাংধরা, চর আমখাওয়া, পাররামরামপুর, হাতিভাঙা ইউনিয়নসহ রাজিবপুরবাসী চলাচলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী তোফায়েল আহাম্মেদ বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি জনসাধারণ ও যানবাহন চলাচলের জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

পাঁচ বছরেও কার্যক্রম শুরু হয়নি ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান/ছবি: বার্তা২৪.কম

ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্ধারিত স্থান/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভিত্তি স্থাপনের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ও উচাখিলা ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে বিশাল চরাঞ্চলে এই অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রস্তাবনা ছিল।

জানা যায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চলে অর্থনৈতিক অঞ্চলটির অবস্থান হলেও ব্রহ্মপুত্র নদটি ত্রিশাল উপজেলা সীমানায় থাকায় এর কিছু অংশ ত্রিশাল সীমানায় রয়েছে। আর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে ত্রিশাল উপজেলা হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে যেতে সহজ যাতায়ত এবং ঢাকার সাথে অন্তত ৩০কিলোমিটার দূরত্ব কমে আসবে। এর ফলে দুই উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিক অঞ্চলটিকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবায়নে অগ্রগতি না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা হতাশ হচ্ছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিনিয়োগ আকর্ষণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে ২০১৬ সালের এপ্রিলে সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নতুন করে ৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান চূড়ান্ত করে। এর মধ্যে সরকারিভাবে পাঁচটি ও বেসরকারি উদ্যোগে বাকি চারটি বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। এই ৯টির একটি ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল, যেটি সরকারি উদ্যোগে নেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর ময়মনসিংহের সার্কিট হাউস ময়দানে আয়োজিত এক জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১০৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন। এর মধ্যে ময়মনিসংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নামফলক উদ্ধোধন করেছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ২০১৬ সালের ১৬ মে ৪৮৭ দশমিক ৭৭ একর জমি নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়। এর মধ্যে ৪৫৪ দশমিক ৮৪ একর বন্দোবস্ত ও ৩২ দশমিক ৯৩ একর অধিগ্রহণ করার কথা। ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট ভূমি মন্ত্রণালয় বেজার অনুকূলে সেই জমি বন্দোবস্ত করে দিতে ও প্রয়োজনী কিছু তথ্য চেয়ে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেয়। একই মাসে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটির স্থান পরিদর্শন করে।

তারা কিছু জমি ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে যাওয়ায় নতুন করে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দেয়। পরে ওই বছরের ২৪ অক্টোবর ৪৯২ দশমিক ৩৬ একর জমি নিয়ে নতুন করে প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা-২ থেকে ২০২০ সালের ১ মার্চ পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চররামমোহন মৌজায় ১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত বিভিন্ন দাগের ৪২৩ দশমিক ৬১ একর খাস জমি ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হলেও প্রস্তাবিত জমি নিয়ে মামলা চলছে। তাই বন্দোবস্ত দেওয়ার আইনগত সুযোগ নেই।

পরে ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নতুন একটি চিঠি দেওয়া হয়। তাতে মামলার কারণে জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার সুযোগ না থাকায় ২০০ একর জমি নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব জমা দিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী ২০২২ সালের ৫ জুন তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিকল্প হিসেবে ২০০ একর জমির প্রস্তাব জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেন। তারপর অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য নির্বাচিত স্থানে ব্র‏হ্মপুত্র নদ খনন করে বালু ফেলে উঁচু করা হয়েছে। এর বাইরে দৃশ্যমান আর কোনো অগ্রগতি নেই। বর্তমানে এখানে কোনো কার্যক্রম নেই।

উচাখিলা গ্রামের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, এখানে ইপিজেড হলে ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পারের মানুষের জীবন পাল্টে যেত। মানুষের কর্মসংস্থান হলে বেকারত্ব কমতো এবং জীবনমান আরো উন্নত হতো। আমরা প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দ্রুত বাস্তবায়ন চাচ্ছি।

ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাইল হোসাইন বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ২শ একর জমির বন্দোবস্তের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী অধিগ্রহণ করতে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। মন্ত্রণালয় থেকে নিদের্শনা আসলে আমরা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেব।

ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি শংকর সাহা বলেন, ‘অর্থনৈতিক অঞ্চলটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়ে গেছে। আমরা বার বার এই অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নের জন্য চেম্বারের পক্ষ থেকে চেষ্টা করেছি। কিন্তু অগ্রগতি হয়নি। এটি বাস্তবায়ন হলে শিল্পায়নের পাশাপাশি বহু মানুষের কর্মসংস্থান হতো। অর্থনৈতিকভাবে ময়মনসিংহ জেলার গুরুত্ব আরো বাড়তো। আমরা চাই দ্রুত এটি বাস্তবায়ন হোক।

ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ জানান, ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে নতুন কোনো তথ্য নেই। এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল হলে ত্রিশাল থেকে ঈশ্বরগঞ্জ যোগাযোগ সহজ হবে। এখানকার মানুষের জীবন মান উন্নত হবে।

ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, ময়মনসিংহ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে নতুন কোনো অগ্রগতি নেই। জায়গাটি মাটি ভরাট করে রাখা আছে। নতুন কোনো নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

;

৫৮ প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি টাকা দিলেন বাহাউদ্দিন নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এক কোটি টাকা টাকার একাউন্ট পে চেক প্রদান বাহাউদ্দিন নাছিমের

এক কোটি টাকা টাকার একাউন্ট পে চেক প্রদান বাহাউদ্দিন নাছিমের

  • Font increase
  • Font Decrease

অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের (টি আর) জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত নিজ আসনের ৫৮টি মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সামাজিক সংগঠনকে ১ কোটি টাকা টাকার একাউন্ট পে চেক প্রদান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে নিজ অফিসে এসব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি চেক হস্তান্তর করেন।

ঢাকা-৮ আসনের আওতাধীন মতিঝিল, রমনা, পল্টন, শাহবাগ ও শাহাজাহানপুরের ৫৮টি ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের মধ্যে ঢাকা কমলাপুর পুরাতন বাজার জামে মসজিদ, রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদ, বি আর টি সি বাস ডিপো জামে মসজিদ, মতিঝিল ঝিলপাড় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জামে মসজিদ, ইডেন জামে মসজিদ, টি অ্যান্ড টি কালানী মসজিদ, গাউসুল আযম রেলওয়ে জামে মসজিদ, বাইতুল মদিনা রেলওয়ে জামে মসজিদ, শাহজাহানপুর পুলিশ ফাঁড়ি জামে মসজিদ,পর্ব মালিবাগ আল আকসা জামে মসজিদ, হাজী আব্দুল কাদির জামে মসজিদ,নয়াপল্টন জামে মসজিদ, দক্ষিণ কমলাপুর কবরস্থান মাদ্রাসা, দারুল জামিয়া উলুম মসজিদ ও মাদ্রাসা,মদিনাতুল উলুম আদর্শ মহিলা মাদ্রাসা,মিসবাহুল উলুম কামিল মাদ্রাসা,জামিয়া মাহমুদিয়া রেলওয়ে মাদ্রাসা ও এতিমখানা রয়েছে।

এছাড়াও কমলাপুর শেরে বাংলা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়, আরামবাগ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পোস্ট অফিস হাই স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শান্তিবাগ উচ্চ বিদ্যালয়,শহীদ ফারুক ইকবাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা সরকারী বধির হাই স্কুল, শ্রী শ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দির, বুড়া শিব মন্দির (শিববাড়ী), ফকিরাপুল মাছ বাজার ও কাচাবাজার, টি অ্যান্ড টি ক্লাব, এ.জি.বি কলোনী আইডিয়াল জোন প্রগতি মাট, রাজারবাগ পি ডব্লিউ ডি স্টাফ কোয়ার্টার, শান্তিনগর বাজার রয়েছে।

এ বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় এদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে। তারা জনগণের উন্নয়নে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা চায় যাতে এদেশের জনগণ ভালো থাকে। তাই তিনি দেশের মানুষের জন্য ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রসা, সামাজিক সংগঠনের জন্য নানা বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। তারই একটি অংশ যা আমি আমার আসনের জন্য বরাদ্দ পেয়েছি তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রদান করেছি। আগামী দিনেও যাতে এ আসনের প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য আমি কাজ করে যাব।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা ৮ আসনের জনগণ আমাকে ভরসা করে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমি আমার জায়গা থেকে তাদের যে স্বপ্নগুলো রয়েছে তা পূরণ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এ আসনের জনসাধারণের যে সমস্যাগুলো রয়েছে আস্তে আস্তে সবগুলোরই নিরসন হবে ইনশাল্লাহ। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। কেউ আমাদের এই অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে পারবেনা। ঢাকা ৮ হলো ঢাকার হার্ট, হবে স্মার্ট।

;