নরসিংদীতে দ্বিতীয় দিনেও পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীদের কর্মবিরতি অব্যাহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীদের কর্মবিরতি অব্যাহত, ছবি: বার্তা২৪.কম

পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীদের কর্মবিরতি অব্যাহত, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি অব্যাহত রেখেছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নরসিংদীর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে নরসিংদী চৌয়ালাস্ত পল্লী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের গেইটে কর্মবিরতি পালন করেন তারা। অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতির ফলে বিদ্যুৎ সেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

আন্দোলনকারীরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। 

তাদের অভিযোগ, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজে নিয়োজিতভাবে জীবন বাজি রেখে কাজ করছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা দিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝড়বৃষ্টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়ে দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সমিতির তদারকি প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) দৈত্ব নীতির কারণে সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা- কর্মচারী। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবী, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে তারা।

আন্দোলনকারীরা বলেন, এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অভিন্ন চাকরি বিধি বাস্তবায়নের দাবিতে চলতি বছরের ৫ মে থেকে কর্মবিরতি পালন করে কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর ১০ মে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সমস্যা সমাধানে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসবে বিদ্যুৎ বিভাগ, এমন আশ্বাসে কাজে ফেরেন তারা। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। তাই আবারো বাধ্য হয়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নিপিড়ন ও শোষণ থেকে বাঁচতে ফের কর্মবিরতিতে তারা। 

এর আগে, এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উপমহা ব্যবস্থাপক মো. মোক্তার হোসেন, এজিএম (ওএন্ডএম) আলিমুন রেজা তুহিন, এজিএম (এইচ আর) মো: মফিজুর রহমান খান, মো. মইনুল হাসান, মো. মোবারক হোসেনসহ আরও অনেকে।

৫৮ প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি টাকা দিলেন বাহাউদ্দিন নাছিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এক কোটি টাকা টাকার একাউন্ট পে চেক প্রদান বাহাউদ্দিন নাছিমের

এক কোটি টাকা টাকার একাউন্ট পে চেক প্রদান বাহাউদ্দিন নাছিমের

  • Font increase
  • Font Decrease

অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের (টি আর) জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বরাদ্দকৃত ৫৮টি মসজিদ, মন্দির, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সামাজিক সংগঠনকে ১ কোটি টাকা টাকার একাউন্ট পে চেক প্রদান করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে নিজ অফিসে এসব প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি চেক হস্তান্তর করেন।

ঢাকা-৮ আসনের আওতাধীন মতিঝিল, রমনা, পল্টন, শাহবাগ ও শাহাজাহানপুরের ৫৮টি ধর্মীয় উপাসনালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সামাজিক সংগঠনের মধ্যে ঢাকা কমলাপুর পুরাতন বাজার জামে মসজিদ, রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদ, বি আর টি সি বাস ডিপো জামে মসজিদ, মতিঝিল ঝিলপাড় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জামে মসজিদ, ইডেন জামে মসজিদ, টি অ্যান্ড টি কালানী মসজিদ, গাউসুল আযম রেলওয়ে জামে মসজিদ, বাইতুল মদিনা রেলওয়ে জামে মসজিদ, শাহজাহানপুর পুলিশ ফাঁড়ি জামে মসজিদ,পর্ব মালিবাগ আল আকসা জামে মসজিদ, হাজী আব্দুল কাদির জামে মসজিদ,নয়াপল্টন জামে মসজিদ, দক্ষিণ কমলাপুর কবরস্থান মাদ্রাসা, দারুল জামিয়া উলুম মসজিদ ও মাদ্রাসা,মদিনাতুল উলুম আদর্শ মহিলা মাদ্রাসা,মিসবাহুল উলুম কামিল মাদ্রাসা,জামিয়া মাহমুদিয়া রেলওয়ে মাদ্রাসা ও এতিমখানা রয়েছে।

এছাড়াও কমলাপুর শেরে বাংলা রেলওয়ে উচ্চ বিদ্যালয়, আরামবাগ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পোস্ট অফিস হাই স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, শান্তিবাগ উচ্চ বিদ্যালয়,শহীদ ফারুক ইকবাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা সরকারী বধির হাই স্কুল, শ্রী শ্রী বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী মন্দির, বুড়া শিব মন্দির (শিববাড়ী), ফকিরাপুল মাছ বাজার ও কাচাবাজার, টি অ্যান্ড টি ক্লাব, এ.জি.বি কলোনী আইডিয়াল জোন প্রগতি মাট, রাজারবাগ পি ডব্লিউ ডি স্টাফ কোয়ার্টার, শান্তিনগর বাজার রয়েছে।

এ বিষয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় এদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে। তারা জনগণের উন্নয়নে কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা চায় যাতে এদেশের জনগণ ভালো থাকে। তাই তিনি দেশের মানুষের জন্য ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ, মাদ্রসা, সামাজিক সংগঠনের জন্য নানা বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। তারই একটি অংশ যা আমি আমার আসনের জন্য বরাদ্দ পেয়েছি তা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রদান করেছি। আগামী দিনেও যাতে এ আসনের প্রতিষ্ঠান এগিয়ে যেতে পারে তার জন্য আমি কাজ করে যাব।

তিনি আরও বলেন, ঢাকা ৮ আসনের জনগণ আমাকে ভরসা করে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমি আমার জায়গা থেকে তাদের যে স্বপ্নগুলো রয়েছে তা পূরণ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। এ আসনের জনসাধারণের যে সমস্যাগুলো রয়েছে আস্তে আস্তে সবগুলোরই নিরসন হবে ইনশাল্লাহ। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। কেউ আমাদের এই অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে পারবেনা। ঢাকা ৮ হলো ঢাকার হার্ট, হবে স্মার্ট।

;

ওয়াকওয়েতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল চালক নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গায় এক পথচারীকে ধাক্কা দিয়ে পালানোর সময় সমুদ্র সৈকতের ওয়াকওয়েতে ধাক্কা লেগে মন্জুর আলম সিপন (২২) নামের এক মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছেন আরও দু’জন।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে পতেঙ্গা সৈকত জোনে ওয়াকওয়েতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আশীষ দে।

নিহত মোটরসাইকেল আরোহীর নাম মন্জুর আলম সিপন ডবলমুরিং থানার ধনিয়ালাপাড়ার আব্দুল মতিনের ছেলে। আহত শিশুর নাম মাইমুন আক্তার কোতোয়ালীর চাক্তাই চামড়ার গুদাম এলাকার মামুনুর রশিদের মেয়ে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি বলেন বলেন, মোটরসাইকেল আরোহী ওই যুবক পথচারী এক শিশুকে মেরে দিয়ে পালানোর সময় সমুদ্রসৈকতের ওয়াকওয়েতে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলে মারা যায়। মোটরসাইকেল আরোহী ও আহত পথচারীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

পরিচয় নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশিক বার্তা২৪.কমকে বলেন, পতেঙ্গা সি বীচে বাইক দুর্ঘটনা গুরুতর আহত যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত শিশুকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেয়।

;

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে রাজধানীতে তীব্র যানজট, ভোগান্তি চরমে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে পাঁচ ঘণ্টা ধরে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে রাজধানীর বেশিরভাগ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে সায়েন্স ল্যাব, মিরপুর সড়ক, মতিঝিলের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদের অনেকেই হেঁটে গন্তব্যস্থলের দিকে রওনা হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা মোড় অবরোধ করে রেখেছেন।

এর আগে, সকাল সাড়ে ১১টায় শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হন। পরে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দ্য সূর্যসেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, উপাচার্যের বাসভবন, রাজু ভাস্কর্য ঘুরে শাহবাগ এসে অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

স্বাভাবিক সময়ে মোটরসাইকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ফার্মগেট যেতে পনের মিনিটের মতো সময় লাগে। কিন্তু আজ বিকেল ৩টার দিকে এই পথ যেতে দেড় ঘণ্টার মতো সময় লাগার কথা জানালেন এক ভুক্তভোগী। রাজধানীর অন্যান্য অংশের অবস্থাও একই রকম বলে কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান। অবশ্য মোটরসাইকেল আরোহীদের চেয়ে বাসের যাত্রীদের ভোগান্তি বেশি হচ্ছে।

হলিক্রস কলেজের শিক্ষার্থী অনামিকা বলেন, পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হয়ে দেখি রাস্তায় তীব্র যানজট। ইচ্ছে ছিল দ্রুত বাসায় গিয়ে রেস্ট নেবো। যানজটের কারণে সেটা হচ্ছে না।

আরেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক রাকিব হাসান বলেন, সকাল থেকে প্রচণ্ড যানজট শুরু হয়েছে। হয়তো শাহবাগের প্রভাবে যানজট সারা রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এত যানজট আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ভোগান্তি বাড়াচ্ছে।

কাওরানবাজারে বিকল্প পরিবহনের বাসচালক বাবু বলেন, কয়েক দিন ধরে শাহবাগ আন্দোলনের কারণে রাস্তায় জ্যাম বাড়ছে। এতে যাত্রীদের ভোগান্তির পাশাপাশি আমাদের আয় কম হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে থাকতে হয়। অনেক যাত্রী পায়ে হেঁটেই চলে যাচ্ছেন।

আন্দোলনে অংশ নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সালমান বলেন, আমরা দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। সারাদেশের ছাত্রসমাজ আজ জেগে উঠেছে। শাহবাগ, সাইন্সল্যাব রোড এবং মেট্রোরেল বন্ধ করতে পারলে এই আন্দোলন সফল হবে।

জানা যায়, পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ৫ জুন সরকারি দফতর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (৯ম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন উচ্চ আদালত। ওই দিন থেকেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে নামেন। এ অবস্থায় আদালতের ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানির জন্য ৪ জুলাই দিন নির্ধারণ করা হয়।

সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম বলেন, তাদের দাবি মূলত তিনটি ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে সব গ্রেডে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ কোটা রেখে কোটা পুনর্বণ্টন বা সংস্কার; চাকরির পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করা ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া।

২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। সে সময় বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনে ছাত্রলীগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলার অভিযোগ করেন।

ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট করেন।

;

বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিস্তিয়াগা ওচোয়া।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিস্তিয়াগা ওচোয়া।

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা বাংলাদেশ ও স্পেনের মধ্যে ব্যবসা বাড়াতে চাই। পারস্পরিক সুবিধার জন্য দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারী বাসভবন গণভবনে স্পেনের রাষ্ট্রদূত গ্যাব্রিয়েল মারিয়া সিস্তিয়াগা ওচোয়া ডি চিনচেত্রু সৌজন্য সাক্ষাতে এলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে তার দেশের বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে স্প্যানিশ রাষ্ট্রদূতকে আহ্বান জানান।

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বাংলাদেশে প্রায় ১শ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। স্প্যানিশ বিনিয়োগকারীরাও সেখানে বিনিয়োগ করতে পারেন। কারণ আমরা স্পেন থেকে আরও বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ে স্পেনের সমর্থন চান।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে আরও জানানো হয় যে, দুই দেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব চুক্তির জন্য আলোচনা হবে- যা আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হবে।

স্পেনে বর্তমানে প্রায় ৬০ হাজার (বাংলাদেশি) বসবাস করে। প্রধানমন্ত্রী স্পেনের প্রতি বিশেষ করে আইটি খাত থেকে আরও বেশি বাংলাদেশি নেওয়ার আহ্বান জানান।

স্পেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে তার দেশ বাংলাদেশ থেকে শুধু তৈরি পোষাক (আরএমজি) আমদানি করে এবং বাংলাদেশের সিমেন্ট খাতে স্প্যানের বিনিয়োগ রয়েছে। চলতি অর্থ-বছরের জন্য বাংলাদেশের বাজেটের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, সরকার শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীকে গুরুত্ব দিয়েছে।

মারিয়া সিস্তিয়াগা বলেন, এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আপনার বর্ধিত আগ্রহ ও বরাদ্দ আমাদের দেশের সাথেও মিলেছে।

রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে তাকে স্পেন সফরের আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পেনের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।

;