পরিবহন না চলায় ভোগান্তিতে পড়েছেন পর্যটকরা/ছবি: বার্তা২৪.কম
জাতীয়
প্রবল বর্ষণে আর পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের বাঘাইহাট বাজার পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। দ্বিতীয় দিনের মতো সাজেক ও খাগড়াছড়ি প্রান্তে আটকা পড়েছেন হাজারও পর্যটক।
বুধবার (০৩ জুলাই) সকালে খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বরে ভিড় করেন সাজেকমুখী শতাধিক পর্যটক। বাঘাইহাট বাজার পানির নিচে তলিয়ে থাকায় খাগড়াছড়ি থেকে যাচ্ছে না পর্যটকবাহী কোনো পরিবহন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পর্যটকরা। একই অবস্থা সাজেকের রুইলুইতেও। সাজেক ভ্রমণে গিয়ে সেখানেওে আটকা রয়েছেন ৫ শতাধিক পর্যটক।
এদিকে, সাজেক যেতে আজ ভোরেও দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসেছেন পর্যটকরা। খাগড়াছড়ি শহরে অপেক্ষার পাশাপাশি অনেকে স্থানীয় বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরে এবং কেউ হোটেলে অবস্থান করে সময় কাটাচ্ছেন।
মানিকগঞ্জ থেকে আসা মঈনুল ইসলাম জানান, ভোরে ঢাকার বাস থেকে নেমেছেন সাজেক যাওয়ার উদ্দেশে। এসে শুনছেন, গাড়ি কখন ছাড়বে তার নিশ্চয়তা নেই। এতে করে পরিবার নিয়ে বিপাকে রয়েছেন।
শিক্ষার্থী নজরুল ইসলাম জানান, বন্ধুরা মিলে ঘুরতে এসেছেন গেল সোমবার। দুইদিন অপেক্ষা করেও সাজেক যেতে পারেননি। খাগড়াছড়িতে থেকে হোটেল ভাড়া ও অন্য খরচ মিটাতে গিয়ে বাজেট শেষ পর্যায়ে। আজ যাওয়া না হলে ফিরতে হবে সাজেকের পর্ব অসমাপ্ত রেখে।
খাগড়াছড়ি সাজেক পরিবহন সমিতির লাইনম্যান মো. আরিফ জানান, বাঘাইহাট বাজার থেকে পানি না নামা পর্যন্ত গাড়ি ছাড়া হবে না। পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দুপুর নাগাদ বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিকেলে সাজেক সড়কে যান চলাচল শুরু হবে।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শুক্রবার (৫ জুলাই) আবহাওয়া অফিস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের এই ৮ বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
সংস্থাটি জানায়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বির্স্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চাঁদপুরে দেশের সর্বোচ্চ ৫৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় ৩৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এদিকে আজ শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা টেকনাফে ২৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
গাইবান্ধার সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের এসকেএসইন মোড় থেকে রাধাকৃষ্ণপুরগামী ১ কি.মি. রাস্তায় চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারো মানুষ। চলমান বৃষ্টিতে এই রাস্তায় প্রায় হাঁটু সমান কাদা হয়েছে। ফলে সেখানে হেঁটে চলাও দায় হয়ে পড়েছে পথচারীদের। জেলা শহরের সাথে দুই ইউনিয়নের মানুষের সহজে যোগাযোগের একমাত্র পথ হওয়ায় বাধ্য হয়ে জুতা হাতে, সাইকেল কাঁধে, মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়েও হেঁটে নিয়ে যেতে হচ্ছে মানুষদের। সব চেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন ওই পথের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা জানান, মাস দুয়েক আগে রাস্তাটির ওই অংশে মাটি দেওয়ায় এমন কাদার সৃষ্টি হয়েছে। এমন উন্নয়ন এখন ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে গত অর্থ বছরের শেষের দিকে বিশেষ বরাদ্দে এসকেএসইন মোড় থেকে রাধাকৃষ্ণপুরগামী (ভেলাকোপা) এক কিলোমিটার রাস্তায় মাটি কাটা হয়। উন্নয়নের জন্য সেই মাটিই এখন ওই পথে চলাচলকারীদের জন্য কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে ওই রাস্তায় দেখা যায়, পথচারিরা হাঁটুর উপর কাপড় তুলে জুতা হাতে চলাচল করছেন। কাদা ভেদ করে হেঁটেই চলেছে বাইসাইকেল চালকরা। সাইকেলের চাকায় কাদা আটকে গিয়ে অনেক কষ্টে ঠেলে ঠেলে ওই পথ পার হচ্ছেন সাইকেল চালকরা। মোটরসাইকেল চালকরা গাড়ি চালু রেখেই ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন মোটরসাইকেল। এছাড়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ও তাদের অভিভাবকদেরকেও জুতা হাতে চলতে দেখা গেছে। কাদায় পিছলে পড়ে কাপড় নষ্ট হয়ে যাত্রাও ভঙ্গ হচ্ছে কারো কারো।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় বছরই স্থানীয়রা চাঁদা তুলে ভাঙা ইট, বালি, সুরকি ও রাবিশ ফেলে ওই রাস্তা মেরামত করে কিছুটা চলাচল উপযোগী করেছিলেন। কিন্তু পর পর দুই দফায় সেখানে মাটি কাটায় ইট ঢেকে পড়ে কাদার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সবুর সরকার, শরিফুল ইসলাম , জহুরুল হক ও অষুধ ব্যবসায়ী এনামুল হকসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, 'রাস্তায় নতুন করে মাটি কাটার কারণেই আজকে এখানে হাঁটু পরিমাণ কাদা হয়েছে। মাটি কেটে উন্নয়ন করতে গিয়ে আমাদের ভোগান্তিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই রাস্তায় যে স্থানগুলো খারাপ ছিলো সেখানে আমরা ভাঙা ইট ফেলে চলাচল উপযোগী করেছিলাম। তখন এতটা কাদা বা ধুলা হয়নি। নতুন করে মাটি কেটে ইটগুলো ঢেকে দেওয়ার কারণে এখন বছর বছর বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাদা হচ্ছে।
এ সময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্থানীয় ব্যক্তি জানান, "শুধু মাত্র বিল তোলার জন্য এখানে যৎ সামান্য মাটি কাটা হয়েছে। এই রাস্তাটিতে মাটি কাটার কোনো প্রয়োজনেই ছিলনা। কাঁচা হলেও এতটা কাদা হতোনা। সরকারের টাকা লুটপাট করে আত্মসাৎ করতেই এখানে লোক দেখানো কাজ করে আমাদেরকে ভোগান্তিতে ফেলা হয়েছে।
কাদা রাস্তায় মোটরসাইকেল ঠেলে নিয়ে যাচ্ছেন পথচারী/ছবি: বার্তা২৪.কম
এ সময় ওই পথে জুতা হাতে নিয়ে হেঁটে চলা পথচারী স্থানীয় লাভলু মিয়া বলেন, 'রাস্তাটির এই দূরাবস্থা দীর্ঘদিনের। আমরা প্রত্যেক বছরই বর্ষায় কাদায় ভোগান্তিতে পড়ি, খরাতেও ধুলায় হেঁটে চলা দায় হয়েছে। রাস্তাটি দেখার কেউই নেই। মোটরসাইকেল স্ট্রার্ট দিয়ে হেঁটে নিয়ে চলা রওশন মিয়া বলেন, রাস্তার যে অবস্থা দেখতেই পারছেন। আসলে শহরে সহজে যাওয়ার রাস্তাটি এটি। এছাড়া অন্যদিকে যেতে চাইলে ৪-৫ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে যেতে হয়।
কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ স্কুল থেকে ফিরে আসা এক নারী অভিভাবক বলেন, রাস্তাটি খুব দ্রুত পাকাকরণ জরুরি। শিশু বাচ্চাদের স্কুলে নিয়ে যেতে আমাদের অনেকটাই সমেস্যা হচ্ছে। স্কুলে যাওয়ার সময় অনেক বাচ্চা পড়ে কাপড় নষ্ট হয়ে সেদিন আর বিদ্যালয়ে যেতে পারছেনা। আমাদের এই রাস্তার কারণে বর্ষাকালে বেশিরভাগ দিনই স্কুলে যাওয়া হয়না এবং একই কারণে এই এলাকার বেশ কিছু অভিভাবক বাচ্চাকে স্কুলে নিয়েই যাচ্ছেন না।
এ ব্যাপারে ৮ নং বোয়ালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাবু বার্তা২৪.কমকে বলেন, রাস্তাটি বোয়ালী ইউনিয়নের অতি পুরাতন এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। রাস্তাটি পাকাকরণ অতি জরুরি। এসময় রাস্তা পাকাকরণে স্থানীয় সাংসদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে কথা বলার কোনো সরকার দেশে নাই। এদেশে আছে অন্য দেশের তাঁবেদার সরকার বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী ও নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী সমঝোতা স্মারকের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ভারতকে উদ্দেশ্য করে জোনায়েদ সাকি বলেন, এদেশের মানুষকে শুষ্ক মৌসুমে পানি আটকে রেখে আমাদেরকে পানিতে মারবেন, সীমান্তের কাটাতারে আমাদের নাগরিকদের প্রতিদিন গুলি করে হত্যা করবেন, বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বের কথা বলে বাণিজ্যে সব ধরনের অশুল্ক বাধা সৃষ্টি করে রাখবেন। এ দেশে নির্বাচিত সরকার যদি থাকতো তাহলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হতো না।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা চীনে যাওয়ার জন্য ভারতের অনুমতি নিয়ে এসেছেন, এই হলো ৫৩ বছরের মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের অবস্থা। বিদেশি প্রভুর দয়ায় যারা ক্ষমতায় আছেন তারা এই ভাবে অনুমতি নিয়ে সব কাজ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ এখন তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। ১০০ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশের জনগণের ঘাড়ে বৈদেশিক ঋণ চাপিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাই। শিক্ষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাই। এদেশের মানুষের প্রতিটি আন্দোলনে আমরা আছি। আমরা সবাই একসাথে সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদেরকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে দিবো।
এসময় বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ এবং বর্তমান সরকার বাস্তবে এখন ভারতীয় স্বার্থে প্রতিনিধিত্ব করছে। ফলে এই সরকার যে সমঝোতা চুক্তি করেছে সেটা কোনো ভাবেই বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। এ সরকারের কাছে কোনো কিছুই এখন আর নিরাপদ নয়। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, জাতীয় নিরাপত্তা সবকিছুই আজ হুমকির মুখে।
নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালানোর আড়ালে ডাকাতি, গ্রেফতার ৭
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
গ্রেফতার আসামিরা, ছবি: সংগৃহীত
জাতীয়
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে লুণ্ঠিত মালামালসহ ৭ ডাকাত ও তাদের সহযোগী এক অসাধু জুয়েলারি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১টি এলজি, ১টি পাইপগান, ২টি কিরিচ, ৩টি ছোরা, ১টি গ্রিল কাটার, ১টি শাবল এবং ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে। এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার মীরওয়ারিশপুর ইউনিয়নের লালপুর এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, বেগমগঞ্জ উপজেলায় কিছু ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত সর্দার কামালের নাম উঠে আসে। পরে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে তার অবস্থান নিশ্চিত করে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ডাকাত কামাল ও তার সহযোগী শামীম, রায়হান, মিরাজ, শরীফ,হেলাল উদ্দিন, সালা উদ্দিন ও হাসানকে গ্রেফতার করে। ডাকাত কামালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, লুণ্ঠনসহ ১৬টি মামলা আছে।
পুলিশ আরও জানায়, গ্রেফতার ডাকাত রায়হান চৌমুহনী এলাকায় অটোরিকশা চালাতেন। অটোরিকশা চালানোর পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন এলাকার বাড়িঘর রেকি করে সেগুলোর বিশদ তথ্য সংগ্রহ করে দলনেতা কামালের কাছে দেন। রায়হানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে টার্গেটকৃত বাড়িতে ডাকাত কামালের দল ডাকাতি করে। ডাকাতিতে অটোরিকশা চালক রায়হান সরাসরি অংশগ্রহণ করতেন। ডাকাতির স্বর্ণ তারা লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার রিপন স্বর্ণকারের কাছে বিক্রয় করে। পরবর্তীতে ডাকাত কামালের ভাষ্যমতে মালামাল কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। রিপন স্বর্ণকারকে গ্রেফতার করে ডাকাতির সময় লুন্ঠিত ৪ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে। স্থানীয় এজেন্ট রায়হানের তথ্যের ভিত্তিতে তারা চট্রগ্রামে বসে ডাকাতির পরিকল্পনা করতেন। পরে ডাকাতি করে কামাল ডাকাত দল নিয়ে চট্রগ্রাম চলে যেতেন।