বন্ধুকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার ৫

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

ফেনীতে অপহরণের একদিন পর বন্ধুর ভাড়া বাসা থেকে মোহাম্মদ রায়হান রানা (২২) নামে এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ জুলাই) দিবাগত রাতে জেলার দাগনভূঞা পৌরসভার সাতবাড়িয়া জামে মসজিদ এলাকার লাতু মিয়ার কলোনী থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, রায়হানকে অপহরণ করে তার এক বন্ধুসহ তাদের একটি চক্র রায়হানের বাবার কাছে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে বন্ধুর ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

এ সময় অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছ পুলিশ। চক্রের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়।

এর আগে অপহৃত যুবকের বাবা মো. বেলাল বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অপহৃত রায়হান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরকলাকোপা গ্রামের মোহাম্মদ বেলালের ছেলে। তিনি চট্টগ্রামে মাছ ধরা ট্রলারে কাজ করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জাহিদুল ইসলাম পিন্টু (৩৪), ফখরুল ইসলাম (৩৩), আল জাবের (২৫), আজমীর হোসেন হৃদয় (২৬) এবং টিটু দাশ (৩৩)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ছুটি কাটিয়ে গত মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে রামগতি থেকে চট্টগ্রামের কর্মস্থলে যোগ দিতে গাড়িতে উঠেন রায়হান। যাত্রাপথে রায়হান মুঠোফোনে ফেনীর দাগনভূঞার এক বন্ধুর সঙ্গে চট্টগ্রামে যাওয়ার ব্যাপারে কথা বলেন।

ওই বন্ধু তাকে দাগনভূঞা নেমে ভাত খাওয়ার দাওয়াত দেন। তার কথা অনুযায়ী দুপুর ১টায় রায়হান দাগনভূঞা বড় মসজিদের সামনে বাস থেকে নেমে তার সাথে দেখা করেন। পরে ওই বন্ধু তাকে ভাত খাওয়ানোর জন্য সাতবাড়িয়া মসজিদের বিপরীতে নিজের ভাড়া বাসায় নিয়ে একটি কক্ষে আটকে ফেলেন।

ওই সময় কক্ষে অবস্থান করছিল অন্যান্য অপহরণকারীরাও। পরে রায়হানের মোবাইল ফোন থেকে তার বাবার সঙ্গে কথা বলে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

পরদিন (৩ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে তাদের কথামতো রায়হানের বাবা ও নিকটাত্মীয় শাহেনাজ দাগনভূঞার জিরো পয়েন্টে এসে পৌঁছালে এ সময় ওই এলাকায় টহলরত দাগনভূঞা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আজমগীরকে দেখতে পেয়ে তার কাছে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে সহযোগিতা চান তারা। পরে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে দাগনভূঞা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।