সিলেটে ৩১ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
সিলেটে ৩১ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আটক ২

সিলেটে ৩১ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ আটক ২

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের জৈন্তাপুরে পুলিশের অভিযানে ৩১ বস্তা ভারতীয় চিনি ও ডিআই ট্রাকসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট-তামাবিল সড়কের সারিঘাট এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (৫ জুলাই) ভোর সাড়ে ৫টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের সারীঘাট উত্তরপাড়ে উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোস্তাফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সের চেকপোষ্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি কারে ৩১ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ ডিআই পিকআপ আটক করেন।

এসময় উপজেলার দরবস্ত গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে ইমরান হোসেন (২৭), টেংরা গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে মো. আকবর হোসেন (২৫) কে আটক করা হয়।

এসময় চোরাচালান চক্রের আরেক সদস্য নিজপাট কমলাবাড়ী মোকামটিলা গ্রামের কটাই মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২৫) পালিয়ে যায়।

এব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ৩১ বস্তা চিনি, ব্যবহৃত ডিআইসহ দুইজনকে আটক করা হয়। এই ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

গাড়িচালক আবেদ আলী অঢেল সম্পদের মালিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন

ছবি: পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

বিসিএস পরীক্ষাসহ পিএসসির পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি।

এছাড়াও বিসিএস পরীক্ষাসহ গত ১২ বছরে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রোববার (৭ জুলাই) বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এ সংক্রান্ত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাঁড়াশি অভিযানে নেমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

তবে পিএসসির প্রশ্নফাঁসের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে যে নামটি আলোচনায় এসেছে তিনি হচ্ছেন পিএসসির গাড়ি চালক আবেদ আলী। পিএসসির এই গাড়ি চালকের নাম আসার পরপরই সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সন্ধান মেলে আবেদ আলীর অঢেল সম্পদের।

সোমবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে আবেদ আলী ও তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামের নানান কর্মকাণ্ডের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৈয়দ আবেদ আলীর ব্যক্তিগত প্রোফাইল ঘেটে দেখা যায়, রাজনৈতিক, সামাজিক কর্মকাণ্ড, দান খয়রাত ও পরহেজগারির নানা খবর।

সৈয়দ আবেদ আলীর গ্রামের বাড়ি মাদারীপুর জেলার ডাসার উপজেলায়। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তার বিপুল বিত্তবৈভবের খবর। ঢাকায় ও গ্রামে একাধিক বাড়ি, গরুর খামার ও সম্পদের তথ্য মিলেছে তারই ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। যদিও ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে বিত্তবৈভব বানিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি।

সবশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন আবেদ আলী। আবেদ আলী সমাজের বিত্তবান ও প্রভাবশালীদের সঙ্গে নিয়মিত চলাফেরা করতেন। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গেও উঠবস করতেন তিনি সেসব ছবিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে।

প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য সামনে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিপুল সম্পদের তথ্য তুলে ধরছেন নেটিজেনরা। ছেলে ছাত্রলীগ নেতা, পড়েছেন বিদেশে, এরপর দেশের একটি ব্যয়বহুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকার ভেতর তার দুটি বহুতল ভবন, মাদারীপুরে আলিশান বাড়ি রয়েছে এমন তথ্যও সামনে আসছে।

সিআইডির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সাঁড়াশি অভিযান চলছে। যাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া যাবে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা এখন পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছি।

তিনি জানান, গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন পিএসসির উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও মো. জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, অফিস সহায়ক খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক (ডিসপাস) সাজেদুল ইসলাম।

এ ছাড়াও রয়েছেন সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিকী, ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের রাজনীতি করা এবং বর্তমানে মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ব্যবসায়ী মো. জাহিদুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী শাহাদাত হোসেন, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশীদ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মেডিক্যাল টেকনিশিয়ান মো. নিয়ামুন হাসান, ব্যবসায়ী সহোদর সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েম হোসেন ও বেকার যুবক লিটন সরকার।

;

কালের সাক্ষী ঐতিহ্যবাহী ‘ডিমলা কালী মন্দির’



বর্ণালী জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ডিমলা কালী মন্দির, ছবি: বার্তা২৪.কম

ডিমলা কালী মন্দির, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে ১১৬ বছর আগের নির্মিত ঐতিহ্যবাহী ‘ডিমলা কালী মন্দির’। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা অর্চনায় তৎকালীন সময়ে এই মন্দিরটির বেশ খ্যাতি ছিল।

যা বর্তমানে ঐতিহ্যের স্মারক হিসেবে সাক্ষ্য বহন করছে মন্দিরটি। এটি রংপুর সদর উপজেলার রেলওয়ে স্টেশন থেকে পূর্বদিকে এবং মাহিগঞ্জ বাজারের প্রায় ১ কিলোমিটার দক্ষিণে বড় রঙ্গপুরে অবস্থিত।

কালী মন্দিরের কারুকাজ, আকৃতি ও গম্বুজসহ নকশা মনে করিয়ে দেয় তৎকালীন রাজাদের সৌখিনতার ছোঁয়ায় এটি নির্মাণ করা। ১৯০৮ সালে রাজা জানকি বল্লভ সেন এটি নির্মাণ কাজ শুরু করেন। নির্মাণের কাজ শুরু হবার দু'বছর পর রাজা জানকি বল্লভ সেন মারা গেলে স্ত্রী বৃন্দারানী চৌধুরানী ডিমলা রাজদেবোত্তর এস্টেট পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন। অসংখ্য চিত্রকলা শিল্পীদের নিপুণ ছোঁয়ায় ১৯১৬ সালে শেষ হয় সুবৃহৎ এই মন্দিরের নির্মাণকাজ। রাজা জানকি বল্লভ সেনের বিভিন্ন সেবামূলক কাজের অংশ হিসেবে এই মন্দিরটি অন্যতম। তিনি ছিলেন ডিমলার জমিদার নীল কমল সেনের বিধবা স্ত্রী শ্যামা সুন্দরীর দত্তক পুত্র।

মন্দিরের প্রতিটি স্তরে রয়েছে শৈল্পিক সৌন্দর্য্যের পূজারী স্থপতি ও চিত্রকলা শিল্পীদের নিপুণ ছোঁয়ায় সৃষ্ট চমৎকার শিল্পকর্ম।


মন্দিরের প্রবেশেই চোখে পড়ে ব্যাঘ্র মূর্তি। যেন পুরো মন্দিরটি বাঘের পাহাড়ায় রয়েছে। এটি প্রায় ৩ ফুট উঁচু অষ্টকোণাকার ভিত্তিবেদীর ওপরে দ্বিতল বিশিষ্ট পদ্ধতিতে নির্মিত ৫০ ফুট উঁচু নকশাটি অষ্টকোণাকৃতি। প্রথম তলার প্রতিটি কোনায় সুশোভিত রয়েছে একেকটি করে অষ্টকোণাকৃতি কর্ণার স্তম্ভ, যা পত্রপল্লবের ভাস্কর্য দ্বারা খচিত৷ ৮টি স্তম্ভের মধ্যবর্তী খিলানে রয়েছে মহেশ্বরী, বারাহী, কৌমারী, নারসিংহী,ব্রাহ্মী, চামুন্ডা ও অপরাজিতা রূপে নির্মিত অষ্ট দেবীমূর্তি। দ্বিতীয় তলার অষ্টকোণে স্থাপিত লক্ষ্মী, সরস্বতী, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শিব, শীতলাকালী, বামন অবতার ও বরাহ অবতারের মূর্তি। পাখির ডানাযুক্ত মানবাকৃতি ভাস্কর্য দ্বারা শোভাবর্ধক করা হয়েছে দ্বিতীয়তলার নিম্নদেশে প্রতিটি কোণায়।

এছাড়াও মন্দিরের শীর্ষে স্থাপিত হয়েছে পিতলের ৩টি কলস এবং ১টি ত্রিশুল। বর্তমানে মন্দিরে নানা সমস্যা রয়েছে বলে জানান পুরোহিত, পরিচর্যাকারীসহ স্থানীয়রা।

মন্দিরের পুরহিত রবিরঞ্জন চক্রবতী ও পরিচর্যাকারী অনাথ চন্দ্র বর্মন বলেন, মন্দিরের প্রাচীর কিছুটা ভঙ্গুর, মেঝের টাইলস, দেয়ালের প্লাস্টারও জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পানির সমস্যা রয়েছে। সেইসঙ্গে স্যানিটেশন ব্যবস্থাও তেমন নেই। আমরা চাই আমাদের এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটি মডেল মন্দিরে রূপান্তর করবে সরকার। তাহলে আগামী প্রজন্মের কাছেও রংপুরের এই সুবৃহৎ মন্দিরটির প্রাধান্য থাকবে।

মন্দিরটিকে সংস্কার করে মডেল মন্দিরে রূপান্তর করার দাবি জানান স্থানীয়রা। স্থানীয়রা বলেন, দেশের বাইরে থেকে দর্শনার্থীরা এসে অবাক চোখে প্রসংশা করেন। চমৎকারভাবে, নিখুঁত নকশায় এই মন্দির সত্যি প্রশংসনীয়। এটি সংস্কার করে আবারও সৌন্দর্য ফিরিয়ে দিলে সবার কাছে এর সুনাম খ্যাতি অব্যাহত থাকবে।

কালের পরিক্রমায় অনেক কিছু বিলুপ্তি হয়ে গেলেও এখনো মানবসেবা ও জনকল্যাণমূলক এই নির্দশনগুলো সমৃদ্ধ ইতিহাসকে বুকে ধারণ করেছে। ঠিক তেমনি শ্রদ্ধা, ভক্তি ও ভালবাসায় ভূমিকা পালন করছে ভক্তরা। বিভিন্ন পূজা অর্চনার পাশাপাশি উৎসব আয়োজনে ভক্তদের আগমনে ভরে ওঠে পুরো প্রাঙ্গণ। চোখের পলকেই দৃষ্টিনন্দন মন্দিরটির সৌন্দর্যে মন ছুঁয়ে যায় ভক্ত ও দর্শনার্থীদের।

;

কাল গণসংযোগ, থাকছে না ব্লকেড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

শাহবাগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ছাত্রের মাঝে গণসংযোগ ও মতবিনিময় করবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এদিন ব্লকেড কর্মসূচি থাকছে না।

সোমবার (৮ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টায় আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম এই ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, এখন বল সরকারের কোটে। হাইকোর্ট দেখিয়ে লাভ নেই। সরকার কিভাবে করবে তা সরকারকে করতে হবে। প্রয়োজনে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, হলে আমাদের কোন ভাই বোনদের কেউ কোন ধরনের হয়রানি করলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সারাদেশে আমাদের প্রতিনিধি ঠিক করা হয়েছে।

সর্বাত্মক ব্লকেডের পরিকল্পনা জানিয়ে নাহিদুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার ছাত্রদের সঙ্গে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করে বিকেলে নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে সারাদেশে ব্লকেড প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

ঢাবি শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল হাসনাত বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আপনারা আমাদের ধৈর্য পরীক্ষা নিয়েন না। আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় করে বাড়ি ফিরবো।

সংবিধানে যেসব কোটার কথা বলা হয়েছে সেগুলোকে নূন্যতম জায়গায় নিয়ে সংসদে তা কার্যকর করতে হবে। আমরা ছাত্র টেবিলে ফিরতে চাই। রাস্তায় থাকলে কোন ভাই আহত হলে সেটার দায়িত্ব আপনাদের নিতে হবে, বলেন তিনি।

আরেক সমন্বয়ক সারজিজ আলম বলেন, দেশের প্রয়োজনে ছাত্র সমাজ জেগে ওঠবে। কোটার দিন শেষ। ৫২, ৬৯, ৭১, ৯১ কোন কিছু সাতদিনে হয়নি। দীর্ঘ সংগ্রামের পর সাফল্য এসেছে। তাই আমাদের ধৈর্য দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষামন্ত্রী আমাদের হাইকোর্ট দেখিয়ে দিছে। আমরা আপনাকে প্রশ্ন করি কোটার প্রতি আপনার এত দরদ কেন। বাংলাদেশকে সোনার বাংলা করতে হবে দেশকে মেধাবীদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে।

আজকে ঢাকা শহর ব্লকেড হয়েছে, তথা ৪০ জেলায় ব্লকেড হয়ে গেছে। তিনদিনের মধ্যে সমাধান না হলে সারাদেশ ব্লকেড হয়ে যাবে।

;

পরিবেশ রক্ষায় ৫ লাখ গাছ লাগাবে চসিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করে চসিক মেয়র

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করে চসিক মেয়র

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ও সবুজ নগরী গড়ার প্রত্যয়ে নগরীতে বৃক্ষরোপোণ কর্মসূচি গ্রহণ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।

সোমবার (৮ জুলাই) দুপুরে টাইগারপাস্থ বিন্নাঘাস প্রকল্প এলাকায় বৃক্ষরোপণের মধ্যদিয়ে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে মেয়র বলেন, পরিকল্পিতভাবে বৃক্ষ লাগিয়ে পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। আজকে বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত বিষয় জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষ রোপণ অপরিহায্য।

তিনি বলেন, আমরা যেমন পরিবেশকে আঘাত করেছি তেমনি পরিবেশও আমাদের প্রতি বৈরি আচরণ করছে। যার ফলে অতিরিক্ত খরা ও অতি বৃষ্টি দেখা দিচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে আমাদের বনাঞ্চল সৃষ্টি করতে হবে। এই লক্ষে আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসসূচিসহ নগরীর স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিনামূলে ৫ লক্ষ গাছের চারা বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া প্রত্যেক কাউন্সিলরকে নিজ নিজ ওয়ার্ডে রোপণের জন্য ৫ হাজার করে চারা প্রদান করা হয়।

তিনি বলেন, এই কার্মসূচি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নগরীকে সবুজায়ন করে তুলতে পারবো মনে করি।

এ সয়ম চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, কাউন্সিলর আব্দুস সালাম মাসুম, আবুল হাসনাত মো. বেলাল, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, ম্যালিরিয়া ও মশক নিধন কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা মইনুল হোসেন জয় প্রমুখ।

;