বাজার নিয়ন্ত্রণে আলু-পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
আলু ও পেঁয়াজের আমদানিতে আইপি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, এখন চাইলে যে কোনো আমদানিকারক যে কোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ ও আলু আমদানি করতে পারবেন।
শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনে জাতীয় রফতানি ট্রফি অনুষ্ঠানের সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলেন তিনি।
আহসানুল হক টিটু বলেন, দাম বাড়ছে, সরকার ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির চেষ্টা করছে। ভারতের নতুন সরকার দায়িত্ব নিয়েছে। এতে আমদানিতে সময় লাগছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আসলে দাম কমে যাবে। পাশাপাশি ভোজ্যতেলের জন্য ব্রাজিলের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বৈরি আবহাওয়ার সুযোগে কেউ যাতে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
দেশের গার্মেন্টস খাতে নির্ভরশীলতা কমিয়ে কৃষি ও চামড়া খাতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রফতানি বাণিজ্যসহ সরকারের সব কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য দেশের বেকারত্ব দূর করা। এজন্য শুধু গার্মেন্টস খাতের ওপর নির্ভর করলে চলবে না। তাই দেশের গার্মেন্টস খাতে নির্ভরশীলতা কমিয়ে কৃষি ও চামড়া খাতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এ সময়ে রফতানি বাড়ানো ছাড়া আর কোনো বিকল্প রাস্তা নেই। তাই সব রফতানিকারকের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তথ্যভান্ডার তৈরির কথাও জানান তিনি।
রফতানি তথ্যে কোনো ভুল নেই দাবি করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রফতানির হিসাব এনবিআর করে, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো শুধু তা প্রকাশ করে। এখন থেকে এনবিআরের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রফতানিকারকদের সঙ্গে সরাসরি তথ্য নিয়ে কাজ করবে ইপিবির পরিসংখ্যান বিভাগ। তাহলে রফতানি তথ্য নিয়ে আর বিভ্রান্তি হবে না আগামীতে। রফতানি-আমদানির জন্য প্রাথমিক তথ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও ইপিবির তথ্য আলাদা করে বিশ্লেষণ করার আহ্বানও জানান তিনি।