এরশাদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী ১৪ জুলাই
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী ১৪ জুলাই। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৯ সালের এই দিনে তিনি ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুর পরে দাফন নিয়েও চলে রশি টানাটানি। অবশেষে তাকে তার রংপুরের বাসভবন (পল্লী নিবাসে) দাফন করা হয়।
এরশাদ তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন প্রথম চাকরির ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন চট্টগ্রাম কাস্টমসে। এরপরেই সেনাবাহিনীর চাকরিতে পরীক্ষা দেন। প্রায় একই সময়ে দু’টি চাকরিতেই ডাক পড়ে। সেনাবাহিনীতে চাকরির বিষয়ে বাবার ছিল অনেক আপত্তি। অনেকটা জোর করেই সম্মতি আদায় করে নেন তিনি। ১৯৫১ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে সেনাপ্রধান হওয়া, সর্বশেষে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল মতান্তরে গ্রহণ করেন।
এরশাদের জীবদ্দশায় জাতীয় পার্টি চার ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। তার মৃত্যুর পর স্ত্রী রওশন এরশাদ ও ভাই জিএম কাদের দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। ৫ম মৃত্যুবার্ষিকীতে তারা পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
জিএম কাদের অনুসারীদের পক্ষ থেকে রাজধানী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিকেল ৩ টায় স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করবেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের এমপি।
সভায় জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান, কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্য, সংসদ সদস্যবৃন্দ, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা, ভাইস চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, জাতীয় পার্টি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠন সমূহের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন পার্টির মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।
জিএম কাদের অনুসারীদের আয়োজন থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরত্বে অভিন্ন সময়ে স্মরণসভার আায়োজন করেছে জাতীয় পার্টি (রওশন) পন্থীরা। রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে স্মরণসভায় রওশন এরশাদ সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে।