বান্দরবানে বৌদ্ধ ভিক্ষুর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবিতে মানববন্ধন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বৌদ্ধ ভিক্ষুর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবিতে মানববন্ধন

বৌদ্ধ ভিক্ষুর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবিতে মানববন্ধন

বান্দরবানের কালাঘাটার আর্য ভ্রান্ত বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ড. এফ দীপংকর মহাথের (ধুতাঙ্গ ভান্তের) মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন তার শিষ্যরা। তাদের দাবি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) রাত ৯ টায় বন্দরবান শহরে প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সেখানে বক্তব্য দেন রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোজ বড়ুয়া, অসীম বড়ুয়া, লায়ন নিপু কান্তি বড়ুয়া, ইউপি সদস্য বিরলার তঞ্চঙ্গ্যা, প্রকৌশলী শুভ বিকাশ বড়ুয়া ও বিশ্বজিৎ বড়ুয়া।

বক্তারা বলেন, দীপঙ্কর মহাথের অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ছিলেন। তার মত ব্যক্তি আত্মহত্যা করতে পারেন না। এটা পরিকল্পিত একটা হত্যাকাণ্ড। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।

রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, এফ দীপঙ্কর মহাথের বিহারের কুটিরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে।

পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন আরও বলেন, তার হাতের লেখা দুটি চিরকুট পাওয়া গেছে। ভিক্ষু দীপঙ্কর মহাথেরর রেখে যাওয়া চিরকুট ও পারিপার্শ্বিক অবস্থায় ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তারপরও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

জানা যায়, জেলা শহরের গোধারপাড়া থেকে আধা কিলোমিটার দূরে আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহারে সকালে উপাসক-উপাসিকারা গেলে ধুতাঙ্গ ভান্তকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। ধুতাঙ্গ ভান্তে একটি গুহায় ধ্যান করেন। ধ্যানের ওই গুহাকে ঘিরে কয়েক বছর আগে আর্যগুহা ধুতাঙ্গ বিমুক্তি বিহার গড়ে উঠেছে। ওই বিহারে তিনি শিষ্যসহ থাকতেন। বিহারটি জেলা শহরতলিতে হলেও রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা ইউনিয়নে পড়েছে। বান্দরবান ছাড়াও রাঙামাটির বিলাইছড়ি ও চট্টগ্রামে আরও কয়েকটি স্থানে তাঁর বিহার রয়েছে।

এফ দীপঙ্কর মহাথের ২০১৬ সাল থেকে ওই বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ৫২ বছর বয়সী এ ভান্তের বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলায়। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পালি বিষয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক পান। পরবর্তীতে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালে ‘অশোক শিলালিপি’র উপর তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।