বিদ্যুৎ উৎপাদনে পরিষ্কার ও সবুজ জ্বালানিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে: প্রতিমন্ত্রী
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০৪১ সালের লক্ষ্য অর্জনে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। পরিষ্কার ও সবুজ জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
নবায়ণযোগ্য জ্বালানির বিভিন্ন উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের চলমান ৪৭টি প্রকল্প হতে ৩৭৪৯.০৭ মেগাওয়াট ও প্রক্রিয়াধীন ৭৯টি প্রকল্প হতে ৯৩১৮.১৫ মেগাওয়াট অর্থাৎ মোট ১২৬টি প্রকল্প হতে ১৩০৬৭.২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট সোলার প্রকল্প উন্নয়নের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও ইন্দোনেশিয়ার পিটি পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানী বাংলাদেশ লিমিটেড’ এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং ‘পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়া’র পক্ষে স্ট্র্যাটেজিক পরিচালক ফাদলি রহমান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে ১১টি সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। বেসরকারি খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে ৯টি পিপিএ ও আইএ স্বাক্ষরিত প্রকল্পের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬৯.২৭ মেগাওয়াট। বেসরকারি খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২৯টি এলওআই স্বাক্ষরিত প্রকল্পের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬০৮ মেগাওয়াট। নবায়ণযোগ্য জ্বালানির প্রসারকে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশগুলো হতেও নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ আমদানির প্রচেষ্টা চলছে। একই সাথে নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি ও জমির স্বল্পতা নিয়েও আমরা কাজ করছি।
বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতান্তো সুবুলো।