সেতুভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে আগুন
রাজধানীর মহাখালীর আমতলীতে সেতুভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সাড়ে ৬টার দিকে এতথ্য নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের কন্ট্রোল রুম।
কন্ট্রোল রুম জানায়, মহাখালীর আমতলীতে সেতুভবন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। কুর্মিটোলা ও তেজগাঁও থেকে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট যেতে চেষ্টা করলেও আন্দোলনকারীরা তাদের বাঁধা দেয়।
জানা গেছে, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মহাখালীর আমতলী মোড় থেকে বীর উত্তম একে খন্দকার সড়কে লাঠিসোঁটা নিয়ে এগিয়ে আসে একদল যুবক। তিতুমীর কলেজের আগে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের সামনে এসে তারা ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এতে ভবনের সামনের অংশের বেশকিছু কাচ ভেঙে যায়। পরে ওই ভবনের সামনের সড়ক এবং ভবনের প্রবেশপথের সামনে থাকা কয়েকটি গাড়ি ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তারা। একপর্যায়ে কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আধঘণ্টা আগুন জ্বলার পর ওই ভবনেও আগুন ধরে যায়। ভবনের সামনের গাড়িগুলো থেকে একটু পরপর বিস্ফোরণ হতে থাকে। আগুন লাগার দুই ঘণ্টা পরও ফায়ার সার্ভিসের কোনো দল সেখানে আসতে পারেনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের পরিচালক (কাবিখা) মো. বদরুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের ভবনের সব কাচ ভেঙে ফেলেছে। ভবনেও আগুন লেগেছে। আমরা ভবনের ছাদ থেকে আশপাশের ভবনের ছাদ দিয়ে বের হয়ে এসেছি।
এদিকে, রাজধানীর রামপুরায় বাংলাদেশ টেলিভিশনের গেট ও ভেতরে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে পর্যন্ত আগুন জ্বলছিল।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রামপুরা-বাড্ডা পুরো সড়ক ছিল শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের দখলে। বাঁশ, লোহার রড নিয়ে সড়কের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে স্থানীয়দের দেখা যায়। পরে বিকেলের দিকে পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে এসে টিয়ারশেল ছুড়ে, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের কয়েকজনকে বনশ্রী ফরাজী হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।