বাস ভর্তি গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীদের আনা হচ্ছে কুমেক হাসপাতালে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাস ভর্তি গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীদের আনা হচ্ছে কুমেক হাসপাতালে

বাস ভর্তি গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীদের আনা হচ্ছে কুমেক হাসপাতালে

দুপুরের পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার কোটবাড়ি বিশ্বরোড এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুপুর গড়িয়ে বিকেলেও মহাসড়কের পরিস্থিতি শান্ত হয়নি।

সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১২০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৩ জন শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (কুমেক) ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহতদের কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে হাসপাতালে আনতে দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও জেলা জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ায় আহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১২টা ৪০ মিনিটের দিকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করলে ৪০ মিনিট পরই আন্দোলনকারীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ।

এসময় আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। বিপরীতে আন্দোলনকারীরাও পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। একপর্যায়ে কোটবাড়ি বিশ্বরোড ইউটার্ন এলাকায় পুলিশের ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. ফজলে মীর রাব্বি বলেন, সন্ধ্যা ৬টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত ৫৩ শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

ডা. ফজলে রাব্বি আরও বলেন, এ পর্যন্ত ছাত্র, পুলিশ এবং বিজিবি সদস্যসহ প্রায় ১২০ জন আহত রোগী কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন। আহত বিজিবি দুজন সদস্য হলেন শাহীন ও নাহিদ। এছাড়া পুলিশের তিনজন সদস্য হলেন- কনস্টেবল সাইফুল, সাব ইন্সপেক্টর মনির, এএসআই আফজাল হোসেন। এদের মধ্যে সাইফুলের অবস্থা গুরুতর।

অন্যদিকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে ২৩ জন ভর্তি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আরও বেশ কয়েকজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানা গেছে।