ডেমরা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ পুলিশ হত্যা মামলায় রিমান্ডে

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

কোটাবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিন হত্যা মামলায় ডেমরা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাসুদ রানাসহ সাত আসামি ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বিজ্ঞাপন

অপর আসামিরা হলেন, দনিয়া ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক এরফান ওরফে রোকন, ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য আবু বক্কর, রবিউল ইসলাম, সৌরভ মিয়া, তারেক হোসেন ও ঢাকা কলেজের এইচএসসি (বিজ্ঞান বিভাগ) ছাত্র হাসনাতুল ইসলাম ফাইযার।

শনিবার (২৭ জুলাই) আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডেমরা থানা পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তারের আদালত প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অভিযোগ করা হয়,  বাংলাদেশ পুলিশের নায়েক গিয়াস উদ্দিন (৫৮) গত ১৯ জুলাই রাত আনুমানিক ৯টার গণভবনে সরকারি ডিউটি পালনের উদ্দেশ্যে তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল যোগে বাসা থেকে বের হন৷ যাত্রাবাড়ী থানাধীন রায়েরবাগ ফুটওভার ব্রীজের উত্তর পাশে আসা মাত্রই সাড়ে ৯টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াত ইসলামীর নেতা-কর্মীরা তাকে আটক করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় গুরুতর জখম করে।

পরে এ আসামিরাসহ অন্যান্য আসামিরা লোহার রড, লাঠি দিয়ে  পুলিশ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের এর নাক-কান, মুখ-মন্ডল, গলা ও হাত, বুক, পেট, পিঠ, ডান পায়ের হাটুর নিচে গোড়ালির নিচে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি ভাবে আঘাত করে ঘটনাস্থলে নির্মম ভাবে হত্যা করে। এরপর তাকে রশি দিয়ে ফুটওভার ব্রীজের সাথে বুলিয়ে রাখে। মৃত্যুর পর মৃতদেহ নিয়ে উল্লেখিত আসামিরা ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা পৈশাচিক আনন্দে মেতে উঠে এবং  মৃতদেহ গুম করার লক্ষ্যে উলঙ্গ করে মৃতদেহে আগুন লাগিয়ে পোড়ানোর চেষ্টা করে।

ওই ঘটনায় ২৪ জুলাই নিহতের ভগ্নিপতি ফজল প্রধান রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন।